1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তোপের মুখে রাশিয়া

৬ এপ্রিল ২০১৭

সিরিয়া যুদ্ধ নিয়ে জাতিসংঘের জরুরি বৈঠকে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে রাশিয়া৷ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, সিরিয়া প্রসঙ্গে তাঁর অবস্থান বদলে গেছে৷ সব কিছুর পরও অবশ্য রাশিয়া অনড়৷

USA | Botschafterin der Vereinigten Staaten bei den Vereinten Nationen Nikki Haley mit Fotos syrischer Opfer
ছবি: Reuters/S. Stapelton

মঙ্গলবার সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমের ইডলিব প্রদেশে বিমান থেকে রাসায়নিক অস্ত্র হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া যায়৷ হামলায় এ পর্যন্ত ৮৬ জন নিহত এবং শতাধিক ব্যক্তির আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর জানিয়েছে ব্রিটেনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস৷

হামলায় ‘সারিন’ নামের মারাত্মক এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহৃত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ এবং এমন হামলা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনীই যে চালিয়েছে এ বিষয়ে পশ্চিমা বিশ্ব একরকম নিশ্চিত৷ তবে আসাদ সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷ আসাদের মিত্র দেশ রাশিয়া বুধবারই বলেছে, তাদের ধারণা হামলায় সিরীয় বিদ্রোহীরাই জড়িত৷

এ অবস্থানের জন্য বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি সভায় তোপের মুখে পড়ে রাশিয়া৷ সভায় মঙ্গলবারের হামলার জন্য বাশার আল আসাদ সরকারকে দায়ী করে নিন্দা প্রস্তাব পাশের অনুরোধ জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স৷ ‘সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করে রাশিয়া সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে৷ ফলে এ নিয়ে কোনো ভোটাভুটিও হতে পারেনি৷

তবে এভাবে দামেস্কের বিরুদ্ধে নিন্দাপ্রস্তাব রুখে দিলেও সমালোচনার তোপ এড়াতে পারেনি রাশিয়া৷ জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত নিকি হ্যালি কথিত রাসায়নিক হামলায় নিহতদের ছবি দেখিয়ে বলেছেন, ‘রাশিয়া এবং ইরান সিরিয়ায় ‘শান্তি স্থাপনে আগ্রহী নয়’ বলেই এমন ঘটনা ঘটে চলেছে৷ এ সময় সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদেরও কঠোর সমালোচনা করে হ্যালি বলেন, আসাদ সরকার জোটবদ্ধ কঠোর ব্যবস্থার ঝুঁকি নিচ্ছে৷

জাতিসংঘে ফ্রান্সের দূত মঙ্গলবারের হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে আসাদ সরকার এবং রাশিয়ার তীব্র সমালোচনা করেন৷

এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাসায়নিক অস্ত্র হামলার অভিযোগ সিরিয়া প্রসঙ্গে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে৷ বুধবার জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহর সঙ্গে বৈঠকের পর হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘‘এ ঘটনা সিরিয়া এবং আসাদের প্রতি আমার দৃষ্টিভঙ্গি অনেক বদলে দিয়েছে৷’’

গত সপ্তাহেই ট্রাম্প বলেছিলেন, অতীতে আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অগ্রাধিকার পেলেও এখন সে অবস্থানে পরিবর্তন আসতেই পারে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ