নারী সুরক্ষার নিরিখে ভারতের রাজধানী শহরের স্থান একেবারে নিচের সারিতে৷ দিল্লিতে চলন্ত গাড়িতে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বন্ধে এবার ট্যাক্সিতে ‘চাইল্ড লক' ব্যবস্থার সচেতনতামূলক স্টিকার লাগানো বাধ্যতামূলক হচ্ছে৷
বিজ্ঞাপন
২০১২ সালে গোটা ভারতকে নাড়িয়ে দেওয়া নির্ভয়াকাণ্ড ঘটেছিল চলন্ত বাসে৷ তারপর সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা হয়েছে বহুবার৷ কিন্তু বাস, ট্যাক্সি অথবা মেট্রোতে নারী নির্যাতন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে৷ দিল্লি সরকার, মহিলা কমিশন, কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক, দিল্লি পুলিশসহ প্রায় সব পক্ষই এই বিষয়ে চিন্তিত ছিল এতদিন৷ কারণ, চলন্ত গাড়িতে ‘চাইল্ড লক'-এর বোতাম থাকে চালকের কাছে৷ তবে গাড়ির প্রতিটি দরজায় অন্য ব্যবস্থাও থাকে৷ কিন্তু ওলা, উবেরের মতো বাণিজ্যিক ট্যাক্সিতে চড়া অনেকেই সেটা জানেন না৷ যার ফলে বিপদে পড়ে নিস্তারের উপায় খুঁজে পান না মহিলা যাত্রীরা৷ সেটাই শেখাবে ওই স্টিকার৷
ইদানীংকালের 'ওলা', ‘উবার'-এর মতো বেসরকারি অনলাইন পরিবহন ব্যবস্থার সুবিধা নিতে গিয়ে অনেকক্ষেত্রেই সমস্যায় পড়ছেন মেয়েরা৷ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ক্যাব বুকিং করে কম সময়ে এবং অল্প খরচে গন্তব্যে পৌঁছানো এখন ফ্যাশন৷ এতগুলো ভালো দিকের পাশাপাশি অনেক সময় ক্যাবের চালকদের লালসার শিকার হতে হচ্ছে কলেজ পড়ুয়া থেকে সাধারণ গৃহবধূদের৷
এ সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ নিলো দিল্লি রাজ্য পরিবহন সংস্থা৷ নারী সুরক্ষার স্বার্থে রাজ্য পরিবহন দপ্তর নির্দেশ জারি করেছে, সমস্ত কমার্শিয়াল ট্যাক্সিতে কমপক্ষে ৪টি স্টিকার লাগিয়ে রাখতে হবে, যাতে স্পষ্ট উল্লেখ থাকবে, কীভাবে ‘চাইল্ড-লক' ব্যবস্থাকে অকেজো করে ফেলা যায়৷ চাইল্ড-লক স্টিকার সাঁটিয়ে রাখতে হবে৷ এবং যাত্রীদের পরামর্শ দেওয়া থাকবে, গাড়ি চলতে শুরু করার আগেই যেন ‘চাইল্ড-লক' ব্যবস্থা অকেজো করে দেওয়া হয়৷
দু'দিন আগেই দিল্লি রাজ্য পরিবহন সংস্থার পরিচালনা সমিতির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে৷ খুব শীঘ্রই পরিবহন দপ্তরের কর্মকর্তাদের জানিয়ে দেওয়া হবে, দিল্লির বুকে ট্যাক্সি চালানোর লাইসেন্স নিতে হলে গাড়ির ভেতরে অন্তত ৪টি স্টিকার লাগাতে হবে৷ তাতে থাকে ‘চাইল্ড-লক' খোলার পদ্ধতির বিবরণ৷ যে ট্যাক্সিতে এই বিবরণমূলক স্টিকার থাকবে না, সেই গাড়ি দিল্লির রাস্তায় চলতে পারবে না৷ এ জন্য দিল্লির ট্রাফিক পুলিশ ও পরিবহন দপ্তরের অপরাধদমন শাখাকেও চিঠি দিচ্ছে রাজ্য সরকার৷ বলা হচ্ছে, নিয়মিত পর্যবেক্ষন ও পরীক্ষা করে নিয়মভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে৷
স্বভাবতই দিল্লির আম আদমি পার্টি পরিচালিত সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি ছাত্রী, চাকুরিজীবী মহিলা, গৃহবধূ, অবিভাবক থেকে শুরু করে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ৷ তবে প্রায় প্রত্যেকেরই অভিমত, ‘‘এই একটি উদ্যোগ নিয়েই নারী নির্যাতন বন্ধ করা সম্ভব নয়৷ নারী সুরক্ষা বাড়াতে সরকার ও পুলিশকে আরও অনেক কাজ করতে হবে৷ সেইসঙ্গে অভিভাবক, কর্মরত মহিলাসহ ছাত্রীদেরও সচেতনতা বাড়াতে হবে৷''
ইভ টিজিং থেকে বাঁচতে কারাতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন নারীরা
বাংলাদেশে ইভ টিজিং আর নারী নির্যাতনের হার বেড়ে চলছে৷ ফলে আত্মরক্ষার জন্য মার্শাল আর্ট বা কারাতে প্রশিক্ষণে ঝুঁকছেন নারীরা৷ আত্মরক্ষার পাশাপাশি শারীরিক সুস্থ্যতার বিবেচনায় অনেকেই আজকাল কারাতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন বাংলাদেশে৷
ছবি: DW/M. Mamun
ইভ টিজিং আজও এক বড় সমস্যা
বাংলাদেশে নারীদের জন্য ইভ টিজিং একটি বড় সমস্যা৷ পথ চলতে নারীরা হরহামেশাই ইভ টিজিং-এর শিকার হন৷ ইভ টিজিং-এর কারণে অনেক নারী শিক্ষার্থীর স্কুল-কলেজে যাওয়া বন্ধ হয়েছে৷ এমনকি এর বঞ্চনা সইতে না পেরে অনেকে আত্মহননের পথও বেছে নিয়েছেন৷ (প্রতিকী ছবি)
ছবি: DW/M. Mamun
আত্মরক্ষার পাশাপাশি শারীরিক সুস্থতা
তাই এবার আত্মরক্ষার জন্য মার্শাল আর্ট বা কারাতে (বানানভেদে ক্যারাটে) প্রশিক্ষণের দিকে ঝুঁকছেন বাংলাদেশের নারীরা৷ তবে শুধু আত্মরক্ষা নয়, পাশাপাশি শারীরিক সুস্থতার জন্যও অনেকে আজকাল এই প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন৷ যেমন ঢাকার রামপুরার বনশ্রী এলাকার একটি স্কুলে কারাতে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
নারীদের কারাতে শিখতে উৎসাহ দেওয়া
ঢাকার বনশ্রী এলাকায় ওসমানী স্পোর্টস স্কুলে নানা রকম খেলাধুলার সঙ্গে কারাতে প্রশিক্ষণ দেন প্রশিক্ষক আশেক ওসমানী৷ তাঁর মতে, নারীদের মধ্যে কারাতে প্রশিক্ষণের প্রতি উৎসাহ দিনে দিনই বাড়ছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
নারীদের জন্য বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ
মাত্র দু’জন শিক্ষর্থীকে নিয়ে শুরু করা এ স্কুলে এ মুহূর্তে কারাতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন দেড়শ’ জনেরও বেশি প্রশিক্ষণার্থী৷ তাছাড়া ওসমানী স্পোর্টস স্কুলে অর্থিকভাবে অসচ্ছল নারীদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা আছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই নারী অথবা শিশু
ওসমানী স্পোর্টস স্কুলে প্রশিক্ষণ নিতে আসাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী৷ তবে মোটের ওপর বাংলাদেশে কারাতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে শিশু শিক্ষার্থীর হার সবচেয়ে বেশি৷
ছবি: DW/M. Mamun
যৌন হয়রানি বেড়ে যাওয়ায় কারাতে শেখা
আইরিন পেশায় ডাক্তার৷ ছোটবেলা থেকেই কারাতের প্রতি তাঁর ঝোঁক ছিল৷ কিন্তু সে সময় বাসার আশেপাশে কারাতে শেখার তেমন কোনো জায়গা না থাকায় শেখার সুযোগ হয়নি তাঁর৷ তবে দেশে ইভ টিজিং এবং যৌন হয়রানি বেড়ে যাওয়ায় এখন কারাতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তিনি৷
ছবি: DW/M. Mamun
আত্মরক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন মুমতাহিন
মুমতাহিন জাহান পড়েন ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে৷ পড়ালেখার কারণে অনেক সময়ই তাঁকে রাত-বিরেতে চলতে হয়৷ তাই নিজের আত্মরক্ষার কথা ভেবেই তিনি কারাতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
সমাজের অমূলক ভ্রান্ত ধারণা ভাঙতে কারাতে
ইশরাত জাহান গৃহিনী৷ স্কুল পড়ুয়া একমাত্র কন্যাকে তিনি কারাতে স্কুলে নিয়ে আসেন নিয়মত৷ নিজে স্কুলে পড়ার সময়ে একবার কারাতে প্রশিক্ষণে ভর্তি হলেও পরিবার ও মানুষের চাপে তিনি সেটা করতে পারেননি৷ মেয়েদের কারাতে শেখা ঠিক নয় – এই ধরনের অমূলক ভ্রান্ত ধারণা ভাঙতেই তাই আজ নিজের মেয়েকে কারাতে শেখাচ্ছেন ইশরাত৷ তাঁর মতে, বাংলাদেশের মেয়েদের আত্মরক্ষার কৌশল জানা খুবই জরুরি৷
ছবি: DW/M. Mamun
মফস্বলের নারীদের জন্যও চাই আত্মরক্ষার কৌশল
কারাতে প্রশিক্ষক আশেক ওসমানী শহরের বাইরে থেকে আসা নারীদের জন্য একটি নতুন প্রকল্প শুরুর কথা ভাবছেন৷ তাঁর মতে, শহরের চেয়ে গ্রামে ইভ টিজিং-এর হার কোনো অংশে কম নয়৷ তাই মফস্বল এলাকার কিছু স্কুলের পাঁচজন করে শিক্ষার্থীকে আত্মরক্ষার কৌশল শেখাতে চান তিনি৷ উদ্দেশ্য – তাঁর কাছে শেখা শিক্ষার্থীরাই আবার স্কুলের বাকি শিক্ষার্থীদের আত্মরক্ষার কৌশল শেখাবে৷ এতে করে মফস্বলের নারীরাও আত্মরক্ষার কৌশল শিখতে পারবেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
9 ছবি1 | 9
দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী জয়হিন্দ বলছেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রস্তাব ছিল৷ আলোচনা চলছিল৷ দিন হোক বা রাত, দিল্লির বুকে নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গাড়িতে চড়ে যাওয়ার সময় অসৎ চালকের খপ্পরে পড়তে হয় মেয়েদের৷ ইচ্ছা থাকলেও গাড়ির দরজা খুলতে পারেন না৷ ফলে, ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটে যায়৷ তবে, এবার সেই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার একটা উপায় বের করা গেছে৷ বাণিজ্যিক ট্যাক্সিতে চড়ার পর গাড়ি চলতে শুরু করার আগে ‘চাইল্ড-লক' অকেজো করে দিতে হবে৷ সেই জন্য সচেতনতার প্রয়োজন৷ সচেতনতা বাড়াবে ট্যাক্সিতে সাঁটিয়ে রাখা স্টিকার৷''
কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী মানেকা গান্ধী আগেই জানিয়েছেন, ‘‘‘গোটা দেশজুড়ে নারী সুরক্ষার স্বার্থে মোবাইল ফোনে স্বয়ংক্রিয় ‘আতঙ্ক বোতাম' চালু করতে চায় নরেন্দ্র মোদী সরকার৷ সম্ভবত অক্টোবরেই এই পদ্ধতি চালু হয়ে যাবে ভারতে৷'' দিল্লি পরিবহন দপ্তরের এই ‘চাইল্ড-লক' উদ্যোগ সাধুবাদ কুড়াচ্ছে সব মহলেই৷ ক্যাবে সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন গার্গী কলেজের ছাত্রী কোমল শর্মা৷ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পাঠরত ছাত্রী খুশপ্রীত চাড্ঢাদের মতো অনেকেই৷
বিশ্বের স্বাধীন রাষ্ট্রের সংখ্যা ১৯৫টি৷অধিকাংশ দেশই শাসন করছেন পুরুষরা৷ তবে, নারী সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধানের সংখ্যা হাতেগোনা হলেও যারা আছেন তারা বেশ ক্ষমতাধর৷ চলুন দেখে নিই তাঁদের৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O.Hoslet
আঙ্গেলা ম্যার্কেল
বর্তমানে ৬২ বছর বয়সি জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সরকারপ্রধান হিসেবে প্রথম নিয়োগ পান ২০০৫ সালে৷ তিনিই জার্মানির প্রথম নারী সরকার প্রধান৷ চতুর্থবারের মতো এই পদে থেকে যেতে পারেন তিনি৷ সাবেক পূর্ব জার্মানিতে বেড়ে ওঠা এক যাজকের মেয়ে ম্যার্কেল রসায়নে পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছিলেন৷ টাইম ম্যাগাজিন তাঁকে ২০১৫ সালে ‘‘পারসন অফ দ্য ইয়ার’’ ঘোষণা করে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O.Hoslet
টেরেসা মে
টেরেসা মে হচ্ছেন মার্গারেট থ্যাচারের পর যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী৷ ৬০ বছর বয়সি সাবেক এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গত বছরের জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন৷ ঐতিহাসিক ব্রেক্সিট গণভোটের পক্ষে সে দেশের জনগণ রায় দেয়ার পর তিনি ক্ষমতায় আসেন৷ তিনি ঠিক কতদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেন তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন রয়েছে৷ চলতি মাসে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে হারলে তাঁকে বিদায় নিতে হতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Tyagi
সাই ইং-ভেন
সাই ইং-ভেন হচ্ছেন ‘রিপাবলিক অফ চায়না’ বা তাইওয়ানের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট৷ ২০১৬ সালের মে মাসে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর দ্বীপটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বেইজিং, কেননা চীন মনে করে দ্বীপটি স্বাধীন নয়৷ তবে সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সে দেশের কাছে নতি স্বীকার করবেন না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন সাই৷
ছবি: Reuters/T. Siu
এলেন জনসন সার্লিফ
৭৮ বছর বয়সি এই নারী ২০০৬ সাল থেকে লাইবেরিয়ার রাষ্ট্রপতি৷ তিনি আফ্রিকার প্রথম নারী রাষ্ট্রপ্রধান৷ ২০১১ সালে সার্লিফ এবং লাইবেরিয়া ও ইয়েমেনের আরো দুই নারী শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার জয় করেন৷ অহিংস পথে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সংগ্রাম এবং শান্তিপ্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করায় এই সম্মাননা দেয়া হয় তাঁদের৷
ছবি: Reuters/N. Kharmis
দালিয়া গ্রেবাউসকাইতি
লিথুনিয়ার প্রথম নারী রাষ্ট্রপ্রধান দালিয়া গ্রেবাউসকাইতি৷ কারাতে ব্লাক বেল্ট থাকায় এবং কথাবার্তায় কঠোর মনোভাব প্রকাশ করায় তাঁকে অনেকেই ‘আয়রন লেডি’ বলেন৷ ৬১ বছর বয়সি গ্রেবাউসকাইতি ২০০৯ সালে প্রথমে দায়িত্ব নেন এবং ২০১৪ সালে পুনরায় নির্বাচিত হন৷
ছবি: Reuters/E. Vidal
এর্না সোলব্যার্গ
নরওয়ের সরকারপ্রধানও একজন নারী৷ ২০১৩ সালে দ্বায়িত্ব পান তিনি৷ তবে সোলব্যার্গ দেশটির দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী৷ রাজনৈতিক আশ্রয় বিষয়ে কঠোর নীতির কারণে তাঁকে ‘আয়রন এর্না’ বলা হয়ে থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/V. Wivestad Groett
বেয়াটা শিডউয়ো
পোল্যান্ডের তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী বেয়াটা শিডউয়ো৷ ২০১৫ সালের নভেম্বর থেকে দায়িত্বে আছেন তিনি৷ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি মেয়র এবং সংসদ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/W. Dabkowski
সারা কুগোনগেলওয়া-আমাথিলা
নামিবিয়ার চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী সারা কুগোনগেলওয়া-আমাথিলা ২০১৫ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন৷ তরুণ বয়সে সিয়েরা লিয়নে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ শেষে ১৯৯৪ সালে দেশে ফেরেন ৪৯ বছর বয়সি এই নারী৷ তিনি সে দেশের প্রথম নারী সরকারপ্রধান৷
ছবি: Imago/X. Afrika
মিশেল বাচিলেট
২০১৪ সাল থেকে দায়িত্বে রয়েছেন চিলির প্রেসিডেন্ট মিশেল বাচিলেট৷ তবে এটাই তাঁর প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হওয়া নয়৷ সে দেশের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০০৬ থেকে ২০১০ অবধিও দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি৷
ছবি: Getty Images/AFP/C. Reyes
শেখ হাসিনা ওয়াজেদ
ফোর্বস ম্যাগাজিনে ২০১৬ সালে প্রকাশিত বিশ্বের ১০০ ক্ষমতাশালী নারীর মধ্যে স্থান পেয়েছিলেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ ২০০৯ সাল থেকে জনসংখ্যার বিচারে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম রাষ্ট্রটি শাসন করছেন তিনি৷ তবে রাজনীতিতে তিনি আছেন কয়েক দশক ধরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Bildfunk
কোলিন্দা গ্রাবার-কিটারোভিচ
৪৯ বছর বয়সি এই নারী ২০১৫ সালে ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগ অবধি সরকারের বিভিন্ন পদে, এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর দেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন৷ তিনি সেদেশের প্রথম নারী রাষ্ট্রপ্রধান৷
ছবি: Reuters/D. Sagolj
সালম চুবারবিশভিলি
জর্জিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন৷ ২০১৮ সালের নভেম্বরে ৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন তিনি৷