যুদ্ধ করে সমাধান হবে না
১৩ ডিসেম্বর ২০১২![Activists of the Bangladesh Nationalist Party (BNP) shout slogans as they set fire to tyres during a nationwide blockade in Dhaka December 9, 2012. Police fired rubber bullets and tear gas to disperse protesters staging blockades across Bangladesh on Sunday as part of an opposition campaign for an independent caretaker administration to oversee next year's national election.REUTERS/Andrew Biraj (BANGLADESH - Tags: POLITICS CIVIL UNREST)](https://static.dw.com/image/16439994_800.webp)
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিএনপি'র নেতৃত্বে বিরোধী ১৮ দলের আধাবেলার হরতাল কর্মসূচি শুরু হয়েছে৷ নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারে দাবিতেই তাদের এই হরতাল৷
কিন্তু চলতি মাসেই আরো দু'দফা হরতাল এবং অবরোধে উদ্বিগ্ন সুশীল সামজের প্রতিনিধিরা৷ এই ধরণের কর্মসূচিতে এবার সহিংসতার নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে৷ সুশাসনের জন্য নাগরিক বা সুজন-এর ড. বদিউল আলম মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘দেখে শুনে মনে হচ্ছে আমরা আবার লাশের রাজনীতিতে ফিরে যাচ্ছি৷'' আর সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, এর পরিণতি শুধু রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় সীমাবদ্ধ না থেকে দেশে গৃহযুদ্ধ লেগে যেতে পারে৷
বদিউল আলম মজুমদার বিরোধী দলের কর্মসূচি ঠেকাতে সরকারি দলের অনুসারীদের মাঠে নামার সমালোচনা করে বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে সরকারের যে ব্যাপক দূরত্ব – তা ঘোচাতে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে৷ তবে বিরোধী দলকেও হতে হবে আরো নমনীয়৷
ওদিকে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ মনে করেন, আলোচনা করেই সমাধানে আসতে হবে৷ বিকল্প কোনো পথে সমাধান আসবে না৷ তাঁরা দু'জনই মনে করেন, এই যে সংঘাতের রাজনীতি – তা রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য ক্ষতিকর৷ কিন্তু দেশের ভাবমূর্তিকেও তা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে৷