করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য স্বেচ্ছাসেবকের আবেদন করল ভারত সরকার। আগ্রহ দেখালেন অনেকেই।
বিজ্ঞাপন
রোগী অনেক, কিন্তু চিকিৎসক নেই। চিকিৎসক আছেন কিন্তু যথেষ্ট সেবিকা নেই। বয়স্ক মানুষদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার লোক নেই। নেই কবরস্থল বা শ্মশানে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার কাঁধ। করোনায় দিশেহারা গোটা পৃথিবী। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি প্রান্ত থেকে এমনই খবর মিলছে প্রতিনিয়ত। স্পেনে পরিত্যক্ত খাটে দিনের পর দিন পরে থেকেছে বৃদ্ধের লাশ। চীনে, ইটালিতে সেবিকার অভাব বার বার খবরের শিরোনাম হয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই এক নতুন প্রচারাভিযান শুরু করল ভারত সরকার। করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে চাওয়া হল স্বেচ্ছাসেবক। সুখের কথা, তাতে সাড়াও মিলেছে। বহু মানুষ স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করছেন।
গণমাধ্যম এবং সমাজ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে ভারত সরকার। তাতে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য স্বেচ্ছাসেবক চাই। ব্যক্তিগত ভাবে অথবা সংস্থার তরফ থেকে সেখানে নাম নথিভুক্ত করা যাবে। উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে, কোন কোন ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা যাবে। এক, স্বাস্থ্যক্ষেত্র, দুই, যোগাযোগ, তিন, ঘরে বসে উৎপাদন এবং চার, জরুরি পরিষেবা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই আবার আলাদা আলাদা বিষয় আছে। যেমন স্বাস্থ্যক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কাজের সুযোগ আছে। শুধু মাত্র চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরাই এ কাজে যোগ দিতে পারবেন। এ ছাড়াও আছে প্যারামেডিক্যাল কাজ। সেখানে যোগ দিতে পারবেন যে কেউ। এ ছাড়াও স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়ক, মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করা, অসুস্থ ব্যক্তিদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মতো কাজ স্বাস্থ্যক্ষেত্রে রয়েছে।
যোগাযোগ ক্ষেত্রেও নানা ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। বাড়িতে বসেই রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন হেল্পলাইন অপারেট করা করা সম্ভব। এ ছাড়াও মানুষকে সচেতন করার জন্য নানা ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে সেখানে। বাড়িতে বসে উৎপাদন ক্ষেত্রেও কাজ করার সুযোগ আছে। এ ক্ষেত্রে কোনও সংস্থা স্যানিটাইজার এবং মাস্ক উৎপাদন করে সরকারকে দিতে পারে। আর চতুর্থ ক্ষেত্রটি সরাসরি প্রশাসনকে সাহায্য করার। পুলিশ, সরকারি আধিকারিকদের সহকারি হিসেবে কাজ করার।
করোনা সংকটে পপুলিস্ট নেতারা কোণঠাসা
পপুলিজম বা জটিল সমস্যার চটজলদি সমাধান বাতলে দেবার প্রবণতা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে৷ কিন্তু পপুলিস্ট নেতারা করোনা সংকটের সামনে অসহায় হয়ে পড়ছেন৷
ছবি: Imago Images/Media Punch/O. Contreras
ডনাল্ড ট্রাম্পের দুশ্চিন্তা
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বছরে অর্থনৈতিক সাফল্য তুলে ধরে সাফল্যের আশায় ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ প্রথমে করোনা সংকট লঘু করে দেখিয়ে চাপের মুখে কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি৷তবে বৈজ্ঞানিক ও বিশেষজ্ঞদের অবজ্ঞা করে ইস্টারের আগেই পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ করে তুলতে চান ট্রাম্প৷
ছবি: Reuters/J. Ernst
বরিস জনসনের উভয় সংকট
সবে ব্রেক্সিট কার্যকর করে জনপ্রিয়তা উপভোগ করছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী৷ করোনা সংকট তাঁর ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছে৷ প্রথমদিকে পরস্পরবিরোধী ও বিভ্রান্তিকর অবস্থান নেবার পর জনসনও কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছেন৷ ব্রিটেনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবকাঠামো পরিস্থিতি সামলাতে না পারলে জনসনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে৷
ছবি: Reuters/I. Vogler
নরেন্দ্র মোদীর বিড়ম্বনা
ভারতে করোনা সংকট এখনো মারাত্মক আকার ধারণ করেনি৷ কিন্তু সমালোচকরা সরকারের অনেক ‘লোক দেখানো’ পদক্ষেপের সমালোচনা করছেন৷ তাঁদের মতে, লকডাউন ঘোষণা ও জনমোহিনী ভাষণ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী সংক্রমণ কমাতে যথেষ্ট কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন৷ যথেষ্ট সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাব ভারতকে সংকটে ফেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Sharma
বেপরোয়া বোলসোনারো
অন্যান্য পপুলিস্ট বিশ্বনেতার মতো ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো করোনা সংকট যতটা সম্ভব উপেক্ষা করে চলার চেষ্টা করছেন৷ তিনি বিষয়টিকে নিয়ে ‘অকারণ ত্রাস’ সৃষ্টির সমালোচনা করে থাকেন৷ এমনকি অবিলম্বে দেশে সব বাধানিষেধ তুলে নেবার ডাক দিচ্ছেন তিনি৷ বয়স্কদের ভিত্তিহীন আশ্বাস দিয়ে বলছেন, ভয়ের কোনো কারণ নেই৷ অনেকের সন্দেহ, প্রেসিডেন্ট নিজে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/A. Borges
সীমান্ত বন্ধ রাখতে চান ল্য পেন
ইউরোপের পপুলিস্ট নেতারা ভাঙলেও মচকাতে প্রস্তুত নন৷ ফ্রান্সের জাতীয় ফ্রন্ট নেত্রী মারিন ল্য পেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের ‘সীমন্তহীনতার ধর্ম’-কে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেছেন৷ তাঁর মতে, যে কোনো পরিস্থিতিতেই সীমান্ত মানুষকে সুরক্ষা দেয়৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সীমান্ত বন্ধ করার কোনো পরামর্শ যে দেয়নি, ল্য পেনের অনুগামীরা সেই খবর রাখেন কিনা, সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে৷
ছবি: Reuters/E. Gaillard
বিশেষজ্ঞদের পছন্দ নয়
ট্রাম্প, জনসন, বোলসোনারোর মতো নেতারা কোনো বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রাহ্য করতে চান না৷ বিশেষজ্ঞরাই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠুন, সেটাও তারা চান না৷ নিজেদের ভিত্তিহীন ধারণাকে জনমোহিনী মোড়কে সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে তাঁরা যথেষ্ট সফল হয়েছেন৷ ফলে করোনা সংকটের সময় সাধারণ মানুষের বিপদের আশঙ্কা আরো যাচ্ছে৷
ছবি: Imago Images/Media Punch/O. Contreras
6 ছবি1 | 6
কেন্দ্রীয় সরকারের এক আধিকারিক ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''সরকারের এই সিদ্ধান্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বহু দেশেই দেখা গিয়েছে, করোনা ছড়িয়ে যাওয়ার পরে স্বাস্থ্যকর্মীর অভবা ঘটেছে। আমাদের দেশে এখনও সংক্রমণ হাতের বাইরে চলে যায়নি। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ হলে এই স্বেচ্ছাসেবকদের সব চেয়ে বেশি প্রয়োজন হবে। এখনই তাঁরা কাজ শুরু করে দিলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শিখে যাবেন।''
বিশিষ্ট চিকিৎসক সাত্যকি হালদারও একই কথা বলেছেন। ডয়চে ভেলেকে সাত্যকি জানিয়েছেন, ''যে ভাবে করোনা ছড়াচ্ছে, তাতে নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকাটা সব চেয়ে বড় বোকামি। অনেকেরই আশঙ্কা আগামী দুই সপ্তাহে সংক্রমণ অনেকটাই বাড়বে। তখন এই স্বেচ্ছাসেবকদের অসম্ভব দরকার হবে।''
অলস, সতর্ক, অচেনা ঢাকা
বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে শুরু হয়েছে ১০ দিনের সাধারণ ছুটি। যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জনগণকে ঘরে রাখতে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের দোকান পাট, শপিং মল বন্ধ। এর অন্যথায় দেয়া হচ্ছে শাস্তি।
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
করোনার ছুটি
হরতালে, এমনকি ঈদের ছুটিতেও এত ফাঁকা হয় না রাজধানী ঢাকা৷ কিন্তু অনেকেই ঢাকা ছেড়ে চলে গেছেন৷ তার ওপর দোকান-পাট, অফিস আদালত বন্ধ থাকায় ঢাকা একেবারেই ফাঁকা৷ কিছু প্রধান সড়ক যান চলাচলের জন্য এভাবে বন্ধও করে দেয়া হয়েছে৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
এ কেমন ফার্মগেট!
গভীর রাতেও কখনো এত ফাঁকা হয় না রাজধানীর ব্যস্ততম সড়কগুলোর একটি ফার্মগেট মোড়৷ কিন্তু করোনার অঘোষিত লকডাউনে ফার্মগেটও হারিয়েছে তার চিরাচরিত চেহারা৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
বিক্রি হচ্ছে না মাস্কও
করোনা আতঙ্কে কদিন আগেই ফার্মেসিগুলোতে মাস্ক ও স্য়ানিটাইজার কিনতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সবাই৷ অথচ এখন রাস্তার পাশে মাস্ক নিয়ে বসে আছেন এক বিক্রেতা, কেনার কেউ নেই৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
ক্রেতাহীন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা
গরমে ডাব, আখের রস, লেবুর শরবত ঢাকার রাস্তায় বেশ জনপ্রিয় পানীয়৷ কিন্তু মানবশুন্য় সড়কে এখন দিনের খরচ জোগাড়ের চিন্তায় মাথায় হাত এই ডাব বিক্রেতার৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
এদের কী হবে?
ব্যস্ত সময়ে ঢাকার রাস্তায় রিকশা মানে সোনার হরিণ৷ কিন্তু এখন জরুরি কাজ ছাড়া বাসার বাইরে বের হওয়াই মানা৷ তাই রিকশাচালকেরাও শুয়ে বসেই কাটাচ্ছেন অলস সময়৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
গলির দোকানে ভিড়
মূল সড়কের আশেপাশে প্রায় সব দোকানপাটই বন্ধ৷ বিভিন্ন গলির ভেতরে কিছু ছোটখাটো মুদির দোকান খোলা রয়েছে৷ সেগুলোতে মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো৷ অবশ্য কেউই চা-পান খেতে খেতে জমিয়ে গল্প করছেন না৷ প্রয়োজনীয় জিনিস কিনেই রওয়ানা হচ্ছেন বাড়ির উদ্দেশ্যে৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
ব্যক্তিগত নিরাপত্তা
করোনা থেকে বাঁচতে অনেক ব্যবসায়ীকে দেখা গেছে তাদের কর্মচারীদের এমন পার্সোনাল প্রটেকশন ইউনিট- পিপিই সরবরাহ করতে৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
খা খা করছে ফার্মেসিও
এমনিতেই এসব ফার্মেসিতে লেগে থাকে ক্রেতার ভিড়৷ তার ওপর করোনা আতঙ্কে মানুষ আরো হামলে পড়েছিল এইসব বড় আকারের ঔষধের দোকানগুলোতে৷ কিন্তু এখন গল্প করেই সময় কাটছে কর্মচারীদের৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
মসজিদও ফাঁকা
সরকার ও আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে বারবারই সব ধরনের সমাবেশ ও জনসমাগম এড়িয়ে চলার আহ্বান জানানো হচ্ছে৷ তার মধ্যে রয়েছে ধর্মীয় সমাগমও৷ তবে এখন মসজিদগুলোতেও একেবারেই কমে গেছে মুসল্লিদের উপস্থিতি৷ বেশিরভাগ ধর্মপ্রাণ মানুষই বাসায় থেকে নামাজ আদায় করছেন৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
নেই কোনো দিনমজুর
ঢাকা শহরের এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় মধ্যম আকারের ভারি মালামাল পরিবহনে একমাত্র উপায় এই ভ্যানগুলো৷ কিন্তু দোকানপাটই খোলা নেই, তাই আসছে না কোনো কাজও৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
স্বেচ্ছাসেবা
ঢাকার অনেক জায়গাতেই দেখা গেল কেউ কেউ বাসায় তৈরি জীবাণুনাশক স্প্রে করতে রাস্তায় নেমেছেন৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
‘নির্দেশ’ অমান্যের ‘সাজা’
জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বের হয়ে তাৎক্ষণিক সাজাও পেয়েছেন কেউ কেউ। তবে পুলিশ সদস্যরা কারো সঙ্গে এমন আচরণ করতে পারেন কিনা, সে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
সেনা সদস্যরাও টহলে
আগেই ঘোষণা দেয়া হয়েছিল জনগণের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব রাখা নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকারকে সহায়তা করবে সেনাবাহিনী৷ ঢাকার সড়কেও দেখা গেল সেনাবাহিনীর টহল৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
‘হাত ধোও’
ঢাকা ওয়াসার পক্ষ থেকে বিভিন্ন সড়কে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ সিটি কর্পোরেশনও বিভিন্ন স্থানে এমন উদ্যোগ নিয়েছে৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
গৃহহীনের নেই নিরাপত্তা
করোনা আতঙ্কে সবাই উদ্বিগ্ন হলেও গৃহহীনদের জন্য নেই কোনো ব্যবস্থা৷ অনেকে গ্রামের বাড়িতে চলে গেলেও কারো কারো ঢাকার সড়কই একমাত্র অবলম্বন৷ তাদের জন্য দেখা যায়নি কোনো উদ্যোগ৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
15 ছবি1 | 15
স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নাম নথিভুক্ত করেছেন তথ্য ও প্রযুক্তি কর্মী সুলগ্না। ডয়চে ভেলেকে তিনি জানিয়েছেন, ''এটা সময়ের কাজ। এই ভয়াবহ সময়ে মানুষের পাশে না দাঁড়ালে সভ্যতা বাঁচানো যাবে না। গোটা বিশ্বের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা ভয়াবহ চাপ নিচ্ছেন। জীবন বলি দিয়ে সকলকে সুস্থ করছেন। আমাদেরও তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত।'' শুধু তাই নয়, নাম নথিভুক্ত করা অনেকেই বলছেন, লকডাউনেরতিনদিনের মধ্যেই নানা জিনিস নিয়ে কালোবাজারি শুরু হয়ে গিয়েছে। মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে না, স্যানিটাইজার মিলছে না। পেলেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এমন অবস্থায় ঘরে বসে এগুলি তৈরি করতে পারলে সাধারণ মানুষের কাছে তা নিখরচায় পৌঁছনো সম্ভব হবে। সেটা খুবই জরুরি।
আনন্দের কথা, ভারত সরকার এই প্রচার শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই বহু মানুষ নাম নথিভুক্ত করতে শুরু করেছেন। কতজন যোগ দিচ্ছেন, সেই সংখ্যাটিও দেখা যাচ্ছে পোর্টালে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ব্যক্তিগত উদ্যোগে নাম লিখিয়েছেন প্রায় ৩৪ হাজার জন। আর প্রায় ১৫০০টি সংস্থা নাম নথিভুক্ত করেছে। সরকারের আশা, দ্রুত এই সংখ্যা লক্ষাধিক হয়ে যাবে।
যুক্তরাজ্যেও একই কাজ করা হয়েছে। ম্যাঞ্চেস্টার থেকে শাশ্বতী সেনগুপ্ত ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''প্রচুর স্বেচ্ছাসেবক ঘরে বসে অথবা রাস্তায় নেমে কাজ করছেন। রাস্তায় নামলেও তাঁরা নিজেদের সুরক্ষিত রাখছেন। অনেকেই বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের বাড়িতে খাবার, ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছেন। তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের এই সময়ে দূর থেকেই মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন।''
যুক্তরাজ্যে এ ধরনের কাজ ইতিমধ্যেই বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে। অনেকেরই ধারণা, ভারতেও এই প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হবে।