খেলার সময় ভালোভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন তুমি কোনোভাবোই রাস্তায় চলে ‘না’ যাও৷ হাঁটা বা সাইকেল চালানোর সময় হঠাৎ করে যেন কোনো দুর্ঘটনা ঘটে সেজন্য তাকে তার সীমানা চিনিয়ে দেওয়া হয়৷

রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাফিক লাইট সবুজ হলেও দুই দিকেই ভালো করে দেখে নিয়ে, অর্থাৎ দু’পাশের গাড়ি দাড়িয়ে আছে কিনা দেখে নিয়ে তারপর পার হতে হবে৷

বাইরে অন্ধকার হলে গায়ে হালকা রঙের পোশাক পরতে হবে যেন দূর থেকে গাড়ি বা সাইকেল চালক পথচারীকে দেখতে পায়৷ শিশুর স্কুল ব্যাগ হতে হবে রিফ্লেকটিভ, যাতে অন্ধকারে ছোট্ট শিশুকে সকলে দেখতে পায়৷

আট বছরের নীচে যাদের বয়স, তারা সাইকেল চালাবে হাঁটার রাস্তায় আর এটাই জার্মানির কড়া নিয়ম৷ বয়স দশ হলে শিশু যদি সাহস করে তাহলে সে রাস্তায় যেতে পারে সাইকেল নিয়ে৷ তবে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে৷

স্কেটিং করার সময় শুধুই ফুটপাথে থাকতে হবে৷ তাছাড়া পরে গেলে বা কোনো অঘটন ঘটলে শিশু যেন সরাসরি আঘাত না পায়, সেজন্য হেমলেট, হাতের জয়েন্ট, কনুই এবং হাটুতে প্যাড পরতে হবে অবশ্যই৷

সাইকেল চালানোর সময় অবশ্যই মাথায় হেলমেট পরতে হবে৷ তা শিশু সাইকেলে চালিয়ে যত কাছেই যাক না কেন৷

গাড়িতে শিশুদের জন্য তৈরি বিশেষ সিটে শিশুকে বসতে হবে এবং সিটবেল্ট অবশ্যই বাধতে হবে, তা পথ কাছের বা দূরে হোক৷ জার্মানিসহ পুরো ইউরোপেই সিটবেল্ট বাধা ছোট-বড় সকলের জন্যই বাধ্যতামূলক৷ জার্মানিতে সিটবেল্ট বাঁধা না থাকলে ৬০ ইউরো জরিমানা৷ কোনো মাফ নেই কিন্তু!

সাইকেলের লাইট, বেল, আয়না, ব্রেক – সবকিছু কিছুদিন পরপরই বাবা-মায়ের সাথে চেক করতে হবে৷

শিশুরা,গাড়ি থেকে নামার সময় ফুটপাথ দিয়ে নামো৷ কখনো রাস্তার পাশ দিয়ে নামবে না!

বাসস্টপে আসা যাওয়ার সময়ব বাড়তি নজর রাখতে হবে৷ আর বাস আসছে বা যাচ্ছে দেখে দৌড়ে রাস্তা পার হওয়ার চেষ্টা করোনা৷ এই তথ্যগুলো জানা যায় জার্মানির পরিবহণ ও নির্মাণ মন্ত্রণালয় থেকে৷