1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রিও-র বনাঞ্চলকে বাঁচানোর প্রচেষ্টা

ফিলিপ বার্থ/এসি২০ মে ২০১৬

রিও ডি জানেরোর উপকণ্ঠে ডুকে ডি কাসিয়াস এলাকা৷ বছর তিনেক আগে এখানে একটি বিধ্বংসী বন্যা হয়৷ এখন সেখানে বাড়ি করলে, পাশের খানিকটা জমি ফাঁকা রাখা হচ্ছে৷ বাঁচানোর চেষ্টা চলেছে বৃষ্টিপ্রধান ক্রান্তীয় বনাঞ্চলকে৷

ব্রাজিলের সবুজ অরণ্য
ছবি: picture-alliance/Demotix/K. Hoffmann

কয়েক বছর আগেও নাকি তিনি এখান থেকে ঝিনুক আর স্যালমন মাছ ধরেছেন – জানালেন আমাদের গাইড ক্রিস্টিয়ানো সোয়ারেস৷ ধীবর ক্রিস্টিয়ানো সোয়ারেস-এর কথায়, ‘‘দেখুন এখানে, কতটা নোংরা৷ পানিতে সব কিছু ভাসছে৷ শুধু এই ম্যানগ্রোভ গাছগুলো আমাদের মতো জেলেদের পরিবেশ দূষণের ফলশ্রুতি থেকে বাঁচায়৷ জল থেকে হানিকর পদার্থ শুষে নেবার পর গাছগুলেো নিজেরাই মারা পড়ে৷ ম্যানগ্রোভ অরণ্য না থাকলে, আমরা সত্যিই বিপদে পড়তাম৷''

ক্রমবর্ধমান দূষণের ফলে প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যে সংকটের মুখে৷ নগর বিকাশ কর্মকর্তা মার্সিও ভিয়েইরা এ ব্যাপারে উদ্বিগ্ন৷ তিনি জাননা, ‘‘ভবিষ্যতে এই ম্যানগ্রোভ অরণ্য শহরের পক্ষে একটা অস্তিত্বের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াবে৷ আমরা জানি যে, জলবায়ু পরিবর্তন আসছে; সাগরের পানির উচ্চতা বাড়লে এই ম্যানগ্রোভ অরণ্যই হবে আমাদের শেষ সম্বল৷ কেননা ডুকে ডি কাসিয়াস একটু নীচু জায়গায়, এখানে বন্যার আশঙ্কা আছে৷''

অরণ্যের পক্ষে সবচেয়ে বড় বিপদ হলো মানুষ!

03:48

This browser does not support the video element.

শহরের উত্তরে আরো একটি এলাকা আছে, নগর পরিকল্পকরা যেখানে কোনোরকম নির্মাণকার্যের অনুমতি দেবেন না৷ সেটি হলো অ্যাটলান্টিক রেইন ফরেস্ট বা বৃষ্টিপ্রধান ক্রান্তীয় অরণ্য৷ এখানে ২০ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ ও দু'হাজারের বেশি প্রজাতির প্রাণীর বাস৷ সিজেলি মেদেইরোস হলেন সেই সংরক্ষিত এলাকার পরিচালক৷ এককালে ব্রাজিলের ভূখণ্ডের একটা বড় অংশ এই অ্যাটলান্টিক রেইন ফরেস্টে ঢাকা ছিল৷ আজ তার মাত্র সাত শতাংশ বাকি আছে৷

সিজেলি মেদেইরোস বললেন, ‘‘অরণ্যের পক্ষে সবচেয়ে বড় বিপদ হলো মানুষ৷ আমাদের আরো ভালোভাবে বোঝাতে হবে যে, অক্ষুণ্ণ অরণ্য যে সমৃদ্ধি আনতে পারে, অরণ্য ধ্বংস করে তা কোনোদিন পাওয়া যাবে না৷''

শহরের পানীয় জল আসে এখান থেকে৷ এছাড়া এই বনানী গোটা অঞ্চলকে ঠান্ডা রাখে৷ এই অ্যাটলান্টিক রেইন ফরেস্ট আরো একটি কারণে মার্সিও ভিয়েইরা-র মতো নগর পরিকল্পকদের কাছে অপরিহার্য৷ তাঁর কথায়, ‘‘খুব বৃষ্টি হলে, রেইন ফরেস্ট এই পানি ধরে রাখে আর ধীরে ধীরে নীচে শহরের দিকে ছাড়ে৷ জঙ্গল এভাবে বিপুল পরিমাণ পানি আটকে রেখে বন্যা প্রতিরোধ করে৷ অর্থাৎ রেইন ফরেস্ট মানুষের প্রাণ বাঁচায়৷''

এই অরণ্য ছাড়া তিন বছর আগের বন্যা অনেক বেশি বিধ্বংসী হতো৷ সেই বিপর্যয়ের প্রতিক্রিয়া হিসেবে আগে যেখানে নদীর ধারেই বাড়ি তৈরি করা হতো, আজ সেখানে জমি খালি রাখা হয়৷ মার্সিও ভিয়েইরা বলেন, ‘‘যখন না ভেবেচিন্তে বাড়ি তৈরি করা হতো, আমরা সে পর্যায়কে পিছনে ফেলে এসেছি৷ এখন আমরা বলি, যখন বাড়ি তৈরি হচ্ছে, তখন তার কাছে কিছুটা জমি ফাঁকা রাখতে হবে৷ বাড়ির পাশে বাড়ি, মানুষের ওপর মানুষের ভিড় করে কারো কোনো লাভ হবে না, কোয়ালিটি অফ লাইফ বাড়বে না৷ বরং এখানকার মতো বিপর্যয় ঘটার সম্ভাবনা থাকবে৷ আমরা এমন একটা শহর চাই, যেখানে প্রকৃতির জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকবে৷''

হয়ত ডুকে ডি কাসিয়াস শহর এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারবে, সংরক্ষিত প্রাকৃতিক এলাকাগুলিকে আরো ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারবে৷ তা-তে এখানকার বাসিন্দাদের লাভ বৈ লোকসান হবে না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ