রিও ডি জানেরোর উপকণ্ঠে ডুকে ডি কাসিয়াস এলাকা৷ বছর তিনেক আগে এখানে একটি বিধ্বংসী বন্যা হয়৷ এখন সেখানে বাড়ি করলে, পাশের খানিকটা জমি ফাঁকা রাখা হচ্ছে৷ বাঁচানোর চেষ্টা চলেছে বৃষ্টিপ্রধান ক্রান্তীয় বনাঞ্চলকে৷
বিজ্ঞাপন
কয়েক বছর আগেও নাকি তিনি এখান থেকে ঝিনুক আর স্যালমন মাছ ধরেছেন – জানালেন আমাদের গাইড ক্রিস্টিয়ানো সোয়ারেস৷ ধীবর ক্রিস্টিয়ানো সোয়ারেস-এর কথায়, ‘‘দেখুন এখানে, কতটা নোংরা৷ পানিতে সব কিছু ভাসছে৷ শুধু এই ম্যানগ্রোভ গাছগুলো আমাদের মতো জেলেদের পরিবেশ দূষণের ফলশ্রুতি থেকে বাঁচায়৷ জল থেকে হানিকর পদার্থ শুষে নেবার পর গাছগুলেো নিজেরাই মারা পড়ে৷ ম্যানগ্রোভ অরণ্য না থাকলে, আমরা সত্যিই বিপদে পড়তাম৷''
ক্রমবর্ধমান দূষণের ফলে প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যে সংকটের মুখে৷ নগর বিকাশ কর্মকর্তা মার্সিও ভিয়েইরা এ ব্যাপারে উদ্বিগ্ন৷ তিনি জাননা, ‘‘ভবিষ্যতে এই ম্যানগ্রোভ অরণ্য শহরের পক্ষে একটা অস্তিত্বের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াবে৷ আমরা জানি যে, জলবায়ু পরিবর্তন আসছে; সাগরের পানির উচ্চতা বাড়লে এই ম্যানগ্রোভ অরণ্যই হবে আমাদের শেষ সম্বল৷ কেননা ডুকে ডি কাসিয়াস একটু নীচু জায়গায়, এখানে বন্যার আশঙ্কা আছে৷''
অরণ্যের পক্ষে সবচেয়ে বড় বিপদ হলো মানুষ!
03:48
শহরের উত্তরে আরো একটি এলাকা আছে, নগর পরিকল্পকরা যেখানে কোনোরকম নির্মাণকার্যের অনুমতি দেবেন না৷ সেটি হলো অ্যাটলান্টিক রেইন ফরেস্ট বা বৃষ্টিপ্রধান ক্রান্তীয় অরণ্য৷ এখানে ২০ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ ও দু'হাজারের বেশি প্রজাতির প্রাণীর বাস৷ সিজেলি মেদেইরোস হলেন সেই সংরক্ষিত এলাকার পরিচালক৷ এককালে ব্রাজিলের ভূখণ্ডের একটা বড় অংশ এই অ্যাটলান্টিক রেইন ফরেস্টে ঢাকা ছিল৷ আজ তার মাত্র সাত শতাংশ বাকি আছে৷
সিজেলি মেদেইরোস বললেন, ‘‘অরণ্যের পক্ষে সবচেয়ে বড় বিপদ হলো মানুষ৷ আমাদের আরো ভালোভাবে বোঝাতে হবে যে, অক্ষুণ্ণ অরণ্য যে সমৃদ্ধি আনতে পারে, অরণ্য ধ্বংস করে তা কোনোদিন পাওয়া যাবে না৷''
শহরের পানীয় জল আসে এখান থেকে৷ এছাড়া এই বনানী গোটা অঞ্চলকে ঠান্ডা রাখে৷ এই অ্যাটলান্টিক রেইন ফরেস্ট আরো একটি কারণে মার্সিও ভিয়েইরা-র মতো নগর পরিকল্পকদের কাছে অপরিহার্য৷ তাঁর কথায়, ‘‘খুব বৃষ্টি হলে, রেইন ফরেস্ট এই পানি ধরে রাখে আর ধীরে ধীরে নীচে শহরের দিকে ছাড়ে৷ জঙ্গল এভাবে বিপুল পরিমাণ পানি আটকে রেখে বন্যা প্রতিরোধ করে৷ অর্থাৎ রেইন ফরেস্ট মানুষের প্রাণ বাঁচায়৷''
বর্ষায় আরো সুন্দরী সুন্দরবন
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ‘ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট’ বা শ্বাসমূলীয় বন সুন্দরবন৷ এই বনের প্রধান গাছটির নাম সুন্দরী৷ আর তার থেকেই সুন্দরবনের নামকরণ৷ ঋতুতে ঋতুতে এ বনের চরিত্র বদলায়৷ তবে সুন্দরবন সবচেয়ে বেশি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে বর্ষাকালে৷
ছবি: DW/M. Mamun
‘আয় বৃষ্টি ঝেঁপে, ধান দিলাম মেপে’
বঙ্গোপসাগরের উপকূল ঘেঁষে সুন্দরবনে বর্ষা আসে মে মাসে আর সেই বর্ষাকাল চলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত৷ অবশ্য জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যভাগ পর্যন্ত এখানে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়৷ সুন্দরবন অঞ্চলে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৬৪০-২০০০ মিমি৷ তবে বনের পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে বৃষ্টিপাত তুলনামূলকভাবে বেশি৷
ছবি: DW/M. Mamun
দিনে দু’বার জোয়ার-ভাটা
প্রতিদিন দু’বার করে জোয়ার-ভাটা হয় সুন্দরবনে, যা কিনা বাংলাদেশ ও ভারত – প্রতিবেশী এই দুই দেশের বিশাল উপকূলীয় অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত৷ এখানে সবচেয়ে বড় জোয়ার হয় পূর্ণিমা ও অমাবস্যায়৷ তবে বর্ষাকালে জোয়ারের উচ্চতা থাকে সবচেয়ে বেশি৷ এ সময় বনের বেশিরভাগ অংশই প্লাবিত হয়, ডুবে যায় সবকিছু৷
ছবি: DW/M. Mamun
খাবারের সন্ধানে হরিণসাবক
জোয়ারের পানিতে সুন্দরবন প্লাবিত হলে হরিণসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীরা অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গাগুলোয় আশ্রয় নেয়৷ এরপর জোয়ারের পানি নেমে গেলে খাবারের সন্ধানে নেমে পড়ে তারা৷ আর ঠিক সেই মুহূর্তটার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন বহু পর্যটক – বন্যপ্রাণী দেখবেন বলে৷
ছবি: DW/M. Mamun
বর্ষার জন্য বিশেষ ‘প্যাকেজ’
বর্ষায় সুন্দরবনে পর্যটকের আনাগোনা বেশ কম৷ এ বনে পর্যটনের মৌসুম মূলত নভেম্বর থেকে মার্চ৷ তবে বর্ষার সুন্দরবনকে দেখতে কিছু কিছু ভ্রমণপিয়াসী মানুষ এখানে আসেন বটে৷ আর সেই সব পর্যটকদের চাহিদার কারণেই সম্প্রতি দু-একটি বেসরকারি ভ্রমণ সংস্থা বর্ষাকালে সুন্দরবন ভ্রমণের ব্যবস্থা করছে, দিচ্ছে বিশেষ ‘প্যাকেজ’৷
ছবি: DW/M. Mamun
তারপরেও পরিত্যক্ত বহু এলাকা
বর্ষা মৌসুমে প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা সুন্দরবনের হাড়বাড়িয়া বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের একটি পর্যটক ট্রেল৷ এ সময়ে পর্যটকের যাতায়াত না থাকায় এই হাঁটা পথের ওপরে জমা হয়েছে বিভিন্ন গাছের ফল৷ আসলে ম্যানগ্রোভ অরণ্য হলেও, বেশ কিছু ফল গাছও আছে সুন্দরবনে৷
ছবি: DW/M. Mamun
সুন্দরী বন সুন্দরবন
জোয়ারের পানিতে সুন্দরবনের এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় ভেসে আসে এ বনের প্রধান বৃক্ষ সুন্দরী গাছের ফল৷ ভেসে যায় আশেপাশের কোনো এলাকায়৷ তবে সুন্দরী গাছের বন সুন্দরবনে এমন একটা দৃশ্যের দেখা পাওয়া যায় কেবলমাত্র বর্ষাকালে৷
ছবি: DW/M. Mamun
জঙ্গলের বিস্তার, সুন্দরেরও
জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা সুন্দরী ফলের অংশ বিশেষ ভাটার সময় জঙ্গলে থেকে যায়৷ তারপর সেখান থেকেই অঙ্কুর গজায়, গাছ হয়, ফুল ফোটে, ফল দরে৷ এভাবেই বিস্তার ঘটে সুন্দরী গাছ এবং তার সঙ্গে সঙ্গে সুন্দরবনের৷ প্রকৃতির এ নিয়মেই বেড়ে উঠেছে সুন্দরবনের বেশিরভাগ বনাঞ্চল৷
ছবি: DW/M. Mamun
সুন্দরবনের বানর
সুন্দরবনের অন্যতম বাসিন্দা বানর৷ ম্যানগ্রোভ বা শ্বাসমূলীয় এই বনে বেড়াতে গেলে তাই এদের চোখে পড়বেই৷ কখনও একা একা, আবার কখনও দঙ্গল বেধে ঘুরে বেড়ায় এরা৷ তবে বৃষ্টির সময় এদের গাছের ডালেই আশ্রয় নিতে দেখা যায়৷
ছবি: DW/M. Mamun
চলে লুকোচুরির খেলা...
বর্ষাকালে সুন্দরবনে চলে রোদ আর বৃষ্টির লুকোচুরি৷ ঝকঝকে রোদের মধ্যে হঠাৎ করেই আকাশে মেঘের ঘনঘটা দেখা যায় এখানে৷ গাড় হয়ে ওঠে নদীর জল, বনের সবুজে পড়ে ছায়া৷ কখনো কখনো মেঘের ভেতর থেকেই সূর্য উঁকি মারে, অসাধারণ দৃশ্যের অবতারণা হয় বনজুড়ে৷
ছবি: DW/M. Mamun
‘লাল-নীল-সবুজের মেলা বসেছে’
কখনও আবার তুমুল বৃষ্টিপাতের মধ্যে হঠাৎ করেই ঝকঝকে নীলাকাশ দেখা যায় সুন্দরবনে৷ বৃষ্টিধৌত বনে সূর্যের আলো তখন ভিন্ন পরিবেশের সৃষ্টি করে৷ ঝলমল করে ওঠে নদী, বনের গাছ৷ বৃষ্টি একটু ধরলে আস্তে আস্তে নদীর ধারে চড়তে আসে বানর, হরিণ, এমনকি বাঘ মামাও৷
ছবি: DW/M. Mamun
বর্ষার এক ভিন্ন চিত্র
সুন্দরবনের হাড়বাড়িয়া বন্যপ্রাণী অভয়রাণ্যে বৃষ্টিস্নাত এক ‘গ্রেটার ইয়োলোনেইপ’ বা বড় হলদেসিঁথি কাঠঠোকরা৷ নানা রকম পাখির নিরাপদ আবাসস্থল এই সুন্দরবন৷ প্রায় ৪০০ প্রজাতির আবাসিক ও পরিযায়ী পাখি রয়েছে সুন্দরী গাছের এ বনে৷
ছবি: DW/M. Mamun
সুন্দরবনের সুন্দরী হাঁস
সুন্দরবনের কটকা বনাঞ্চলের বড় কটকার খালে চোখে পড়ে ‘মাস্কড ফিনফুট’ বা সুন্দরী হাঁস৷ এর আরেক নাম কালোমুখ প্যারা পাখি৷ বাংলাদেশের সুন্দরবন ও মিয়ানমারে এ হাঁসের বিচরণ সবচেয়ে বেশি৷ সারা পৃথিবীতে বর্তমানে এ পাখির সংখ্যা এক হাজারেরও কম৷ লাজুক স্বভাবের সুন্দরী হাঁসের বৃহত্তম আবাসস্থলও সুন্দরবন৷
ছবি: DW/M. Mamun
জেলেদের জীবন
সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী জয়মনি জেলে পল্লীর পাশে পশুর নদীতে চিংড়ি পোনা সংগ্রহ করছেন জেলেরা৷ সুন্দরবনের পাশে গড়ে ওঠা ভ্রাম্যমাণ এ জেলে পল্লীর জেলেরা সুন্দরবন ও তার আশেপাশে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের পর...
সুন্দরবনের শেলা নদীতে চলছে তেলবাহী ট্যাংকার ও মালবাহী জাহাজ৷ গত ডিসেম্বরে প্রায় ৫৮ হাজার লিটার ফার্নেস অয়েল নিয়ে জাহাজ ডুবির পরও এ রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়নি৷ এছাড়া সাম্প্রতিক বাঘশুমারিতে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়ার কারণ হিসেবেও এই নৌ-রুটটিকে দায়ী করা হচ্ছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
14 ছবি1 | 14
এই অরণ্য ছাড়া তিন বছর আগের বন্যা অনেক বেশি বিধ্বংসী হতো৷ সেই বিপর্যয়ের প্রতিক্রিয়া হিসেবে আগে যেখানে নদীর ধারেই বাড়ি তৈরি করা হতো, আজ সেখানে জমি খালি রাখা হয়৷ মার্সিও ভিয়েইরা বলেন, ‘‘যখন না ভেবেচিন্তে বাড়ি তৈরি করা হতো, আমরা সে পর্যায়কে পিছনে ফেলে এসেছি৷ এখন আমরা বলি, যখন বাড়ি তৈরি হচ্ছে, তখন তার কাছে কিছুটা জমি ফাঁকা রাখতে হবে৷ বাড়ির পাশে বাড়ি, মানুষের ওপর মানুষের ভিড় করে কারো কোনো লাভ হবে না, কোয়ালিটি অফ লাইফ বাড়বে না৷ বরং এখানকার মতো বিপর্যয় ঘটার সম্ভাবনা থাকবে৷ আমরা এমন একটা শহর চাই, যেখানে প্রকৃতির জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকবে৷''
হয়ত ডুকে ডি কাসিয়াস শহর এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারবে, সংরক্ষিত প্রাকৃতিক এলাকাগুলিকে আরো ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারবে৷ তা-তে এখানকার বাসিন্দাদের লাভ বৈ লোকসান হবে না৷
মহাবিপর্যয়ের মুখে সুন্দরবন
সুন্দরবনের শেলা নদী থেকে পশুর নদী পর্যন্ত তেল ছড়িয়ে পড়েছে৷ সাড়ে তিন লাখ লিটারের বেশি তেল সুন্দরবনের ৩৪ হাজার হেক্টর এলাকায় এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে৷ দেখা দিয়েছে পরিবেশ বিপর্যয়৷
ছবি: Ingrid Kvale
শেলা নদীতে ট্যাংকার দুর্ঘটনা
৯ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার ভোরের দিকে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের কাছে শেলা নদীতে সাড়ে তিন লাখ লিটারের ফার্নেল ওয়েলবাহী ট্যাংকার ডুবির পর, ছড়িয়ে পড়েছে তেল৷ সুন্দরবনের ৩৪ হাজার হেক্টর এলাকায় এরই মধ্যে তেল ছড়িয়ে পড়েছে বলে বন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন৷
ছবি: STR/AFP/Getty Images
পরিবেশ বিপর্যয়
তেল ছড়িয়ে পড়ায় পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করে বন সংরক্ষক জানিয়েছেন, এই তেলের ক্ষতিকর প্রভাব এখনই বোঝা যাবে না৷ একটু সময় লাগবে৷ তেলের কারণে সুন্দরবনের গাছপালা আস্তে আস্তে শুকিয়ে মারা পর্যন্ত যেতে পারে৷ সুন্দরবনের নদী-খালে অন্তত ৩০০ প্রজাতির মাছের বিচরণ রয়েছে ছোট প্রজাতির কিছু মাছ এরই মধ্যে মরতে শুরু করেছে৷
ছবি: DW/M, Mamun
বিশ্ব ঐতিহ্যের জন্য বিপর্যয়
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই তেল ক্রমেই যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে এই বিশ্ব ঐতিহ্যের জন্য বিপর্যয় বয়ে আনতে পারে৷
শেলা নদীর জয়মনি এলাকাটি ডলফিনদের অভয়াশ্রম৷ সেখানে একটু পর পর ডলফিন লাফিয়ে উঠত৷ স্থানীয় জেলেরা জানিয়েছেন, তেল ছড়িয়ে পড়ার পর মঙ্গলবার বিকাল থেকে আর কোনো ডলফিন উঠতে দেখা যাচ্ছে না৷ তেলের কারণে তারা হয় মরে গেছে অথবা দূরে কোথাও সরে গেছে৷
ছবি: Rubaiyat Mansur
গাছে গাছে তেলের আবরণ
বন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সুন্দরবনের ওই সব এলাকায় সুন্দরী গাছ বেশি৷ শেলা নদী সংলগ্ন বনের সুন্দরী, কেওড়া, বাইনসহ গুল্ম জাতীয় গাছের পাতায় তেলের আবরণ লেগে রয়েছে৷ কোথাও কোথাও জোয়ারের পানি বনভূমিতে উঠে বনের গাছের শ্বাসমূলে লেগে আছে তেল৷
ছবি: DW/M, Mamun
ডলফিনদের রক্ষা
নদী থেকে তেল দ্রুত অপসারণ করা না গেলে বিরল প্রজাতির ডলফিনের এই অভয়াশ্রম রক্ষা করা কঠিন হবে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা৷