1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রিগ না করলে আমায় হারানো যাবে না: ট্রাম্প

২৫ আগস্ট ২০২০

ডেমোক্র্যাটরা নির্বাচনে রিগিংয়ের জন্য করোনাকে ব্যবহার করছেন। রিপাবলিকানদের নির্বাচনী কনভেনশনে ট্রাম্পের তোপ।

ছবি: Getty Images/AFP/C. Carlson

তাঁকে হারানোর একমাত্র রাস্তা ভোট লুঠ। রিগিং। বিরোধীরা সেই চেষ্টাই করছে। নির্বাচনী কনভেনশনের প্রথম দিনেই এ ভাষাতেই ডেমোক্র্যাটদের আক্রমণ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর বক্তব্য, মেল ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচনের যে প্রচার চালাচ্ছে ডেমোক্র্যাটরা, তা আসলে রিগিংয়ের জন্য। ট্রাম্পের অভিযোগ, করোনাকে ব্যবহার করে রিগিংয়ের রাস্তা খুঁজছে বিরোধীরা।

এই প্রথম নয়, এর আগে একাধিকবার মেল ব্যালটের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর অভিযোগ, মেল ব্যালট রিগিংয়ের জন্য সব চেয়ে ভালো। যদিও মার্কিন নির্বাচন কমিশন ট্রাম্পের অভিযোগের সঙ্গে কখনওই এক মত হয়নি। তারা বরাবরই বলে এসেছে, মেল ব্যালটের সাহায্যে যে রিগিং করা সম্ভব, এমন প্রমাণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। বস্তুত, মার্কিন গৃহযুদ্ধের সময় থেকে মেল ব্যালটের প্রচলন আছে অ্যামেরিকায়। সেনা, প্রশাসনিক আধিকারিকরা এই ব্যালটের মাধ্যমে বহু দিন ধরে ভোট দিয়ে আসছেন। ডনাল্ড ট্রাম্প এবং তাঁর পরিবারও এই ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন।

মিথ্যা বলার জন্য ট্রাম্পের কি অনুশোচনা হয়?

00:49

This browser does not support the video element.

ট্রাম্প অবশ্য কোনো যুক্তি শুনতেই রাজি নন। তাঁর বক্তব্য, নিরপেক্ষ ভোট হলে তাঁকে হারানো সম্ভব নয়। সে কারণেই করোনাকে ব্যবহারের চেষ্টা চালাচ্ছে বিরোধীরা। বক্তৃতায় তিনি এক জায়গায় বলেই ফেলেছেন, যদি তিনি হেরে যান, তাহলে ধরে নিতে হবে রিগিং হয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালেও একই অভিযোগ করেছিলেন ট্রাম্প। হিলারি ক্লিন্টনের বিরুদ্ধে রিগিংয়ের অভিযোগ করেছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত জয় হয়েছিল তাঁরই। এ বছর অবশ্য প্রাকভোট সমীক্ষা বলছে, জো বাইডেন ট্রাম্পের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে আছেন।

সোমবার থেকে চার দিনের নির্বাচনী কনভেনশন শুরু হয়েছে রিপাবলিকানদের। সোমবারই আনুষ্ঠানিক ভাবে ট্রাম্পকে নভেম্বর নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষ দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের বক্তৃতার মাধ্যমে কনভেনশন শেষ হবে। রিপাবলিকানদের একটি গোষ্ঠীর অভিযোগ, কনভেনশনে ট্রাম্পের পরিবারের বক্তৃতার সংখ্যা এতটাই বেশি যে অন্যরা বলার সুযোগই পাচ্ছেন না। বস্তুত, ইমপিচমেন্টের সময় থেকেই রিপাবলিকানদের একাংশের মধ্যে ট্রাম্পবিরোধী চোরাস্রোত রয়েছে। কনভেনশনে তা আরও একবার প্রকাশ্যে এসেছে।

এ দিন ট্রাম্পের বক্তৃতার সময় সমর্থকরা 'ফোর মোর ইয়ার্স' বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন। ট্রাম্পতাঁদের থামিয়ে বলেন ''চার নয়, ১২ বলুন। তা হলে বিরোধীরা আরও চিন্তায় পড়বেন।'' যদিও মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী কোনও প্রেসিডেন্ট আট বছরের বেশি প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেন না। ট্রাম্প এর আগেও ১২ বছরের কথা বলেছেন। তা হলে কি পুনর্নির্বাচিত হলে ট্রাম্প সংবিধান সংশোধনের চেষ্টা করবেন? এ প্রশ্নও উঠছে কোনো কোনো মহলে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ