1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আলোকচিত্রী এরিক ইওহানসন

ওফেলিয়া হার্মস আরুটি/এসি১৫ জানুয়ারি ২০১৬

সুইডেনের মানুষ এরিক, যদিও বাস করেন প্রাগে৷ পেশায় আলোকচিত্রশিল্পী৷ ‘সাররিয়াল' বা পরাবাস্তব ছবি তোলেন৷ বাস্তবের খুঁটিনাটি মিলিয়ে এক অলীক স্বপ্নজগত গড়ে তোলেন তিনি৷

DW euromaxx 06.11.15 GQ Award
আলোকচিত্রী এরিক ইওহানসনছবি: DW

এরিক ইওহানসন – যেন এক জাদুকর

04:23

This browser does not support the video element.

রিটাচ ফটোগ্রাফার এরিক ইওহানসন বলেন, ‘‘আমার কাছে একটা আইডিয়া পাওয়ার পন্থা হলো এমন দু'টো জিনিসের মধ্যে একটা যোগসূত্র আবিষ্কার করা, যেগুলো সাধারণত পরস্পরের সঙ্গে মেলে না৷ আমি এমন সব জিনিস নেওয়ার চেষ্টা করি যেগুলো আসলে সম্পূর্ণ আলাদা, কিন্তু এমন একটা উত্তরণ খোঁজার চেষ্টা করি, যাতে তারা সুন্দরভাবে মিলে যায়৷''

প্রথম স্কেচ করা থেকে চূড়ান্ত ছবি সৃষ্টি হওয়া অবধি অনেকদিন সময় লেগে যায়, হয়ত কয়েকটা মাস৷ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো, প্রতিটি খুঁটিনাটি যেন যতটা সম্ভব বাস্তব, বাস্তবিক দেখতে হয়৷ তাতে যত কাঠখড় পোড়াতে হোক, এরিক-এর কোনো আপত্তি নেই৷ কেননা সবশেষে ‘ইলিউশন' বা মায়া'টা পূর্ণাঙ্গ হওয়া চাই৷ তথ্যপ্রযুক্তির স্নাতক এরিক বলেন, ‘‘আমার চিরকালই আঁকতে ভালো লাগত, ছোটবেলা থেকেই৷ কিন্তু আমার কম্পিউটার সম্পর্কেও খুব আগ্রহ ছিল৷ তারপর যখন ১৫ বছর বয়সে আমার প্রথম ডিজিটাল ক্যামেরা হাতে পেলাম, তখন মনে হলো, আমি এই দুটোকে মিশিয়ে নতুন এক ধরনের ফটো তৈরি করব৷''

বার্লিন থেকে প্রাগে

এরিক সবেমাত্র বাস উঠিয়ে প্রাগে এসেছেন৷ এর আগের চার বছর ছিলেন বার্লিনে৷ তিনি সব জায়গাতেই কাজ করতে পারেন, বললেন এরিক৷ এখন বয়স হয়েছে তিরিশ৷ বাড়ি বদলে – মানে শহর বদলে তিনি নাকি নতুন কিছু সৃষ্টির প্রেরণা পান৷ এরিক বলেন, ‘‘একটা শহরের পরিবেশ, তার সংস্কৃতি আমার কাজের ওপর প্রভাব ফেলে বলে আমার ধারণা৷ একটা নতুন জায়গা খুবই ইন্টারেস্টিং, যা কিছু দেখবেন, সবই একটা নতুন কিছু সৃষ্টি করার প্রেরণা হয়ে উঠতে পারে৷ কাজেই প্রাগ আমাকে নতুন আইডিয়া দেবে, বলে আমি নিশ্চিত, যদিও সেটা কীভাবে, তা বলতে পারব না৷''

পারিপার্শ্বিকের সব জায়গা থেকেই প্রেরণা খুঁজে পান এরিক৷ এমনকি কৃত্রিম পদার্থ আর প্রকৃতির মধ্যে পার্থক্য থেকেও৷ তাঁর ছবিগুলোর দাম হলো ৬০ থেকে ১২০ ইউরোর মধ্যে৷ প্রাগে আজ প্রথমবার তাঁর নতুন স্টুডিও-য় বসে কাজ করছেন এরিক৷ কাজ করার সময় নিজের পুরনো ছবিগুলোকে চোখের সামনে রাখতে ভালোবাসেন৷ পুরনো ছবিতে মাঝেমধ্যে এমন কোনো খুঁটিনাটি বিষয় চোখে পড়ে, যা হয়ত আরো ভালোভাবে করা যায়৷ এরিক বলেন, ‘‘আমি যেদিন আমার কাজ নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হব, সেটাই হবে শিল্পী হিসেবে আমার শেষ দিন, বলে আমার ধারণা৷ আমাকে এগিয়ে যেতে হবে, আরো ভালো হতে হবে৷ এখনো আমার মাথায় নানা ধরনের আইডিয়া আছে, যেগুলো নিয়ে আমি কাজ করতে চাই৷''

এখন এরিক যে ছবিটা নিয়ে ব্যস্ত, সেটার জন্য একটি ডিটেল বাকি আছে, একটা কাঁচি৷ কাঁচিটাই হবে এই ছবির কেন্দ্রবিন্দু৷ এরিক জানালেন, ‘‘আকাশ থেকে শুরু করে, ধীরে ধীরে পটভূমি ভরিয়ে, তারপর সামনের স্যাচুরেশন কিছুটা কমিয়ে....আমি চাই, আকাশটা যেন কাঁচি দিয়ে কাটা হচ্ছে, এমন মনে হয়৷ মেয়েটার হাতে থাকবে সেই কাঁচি, আমি যার ছবি তুলছিলাম৷''

ফটোশপ পদ্ধতিতে এরিক বেশ কয়েকশো রং নিয়ে কাজ করেন৷ মায়া যাতে পূর্ণাঙ্গ হয়, সেজন্য তিনি সারা পৃথিবীতে ঘুরে বেরিয়েছেন৷ স্বদেশ সুইডেন প্রায়ই তাঁর ফটোগ্রাফির জগতে উঁকি মারে৷ ফটোর জন্য যদি মৌসুমটা ঠিক না হয়, তাহলে সে প্রকল্পকে আগের বছর অবধি বসে থাকতে হবে৷ কেননা সব কিছু যতটা সম্ভব বাস্তবের মতো দেখতে হওয়া চাই৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ