রিপাবলিকানদের প্রাথমিক বিতর্কে যোগ দেবেন না ট্রাম্প
২১ আগস্ট ২০২৩
আগামী বুধবার রিপাবলিকান প্রার্থীদের টেলিভিশনে প্রথম বিতর্কসভা। সেখানে যোগ দেবেন না ট্রাম্প।
বিজ্ঞাপন
অ্যামেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, অ্যামেরিকার জনগণ তাকে চেনে। ফলে নতুন করে তাদের সামনে নিজের কথা বলার আর কোনো প্রয়োজন নেই তার। সে কারণেই রিপাবলিকানদের প্রাথমিক বিতর্কসভায় তিনি যোগ দেবেন না। বস্তুত, ওই সভায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য অন্য সব রিপাবলিকান পদপ্রার্থী যোগ দেবেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তারা সকলেই কথা বলবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি মামলার বিচারের স্কেচ প্রকাশ
নিউইয়র্ক আদালতের বিচারক মঙ্গলবার সাবেক রাষ্ট্রপতি ডনাল্ড ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন৷ কলামনিস্ট ই জিন ক্যারোল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন৷ বিচারকার্যের কিছু স্কেচ দেখে নেয়া যাক চলুন৷
ছবি: Jane Rosenberg/REUTERS
কলামনিস্টের করা মামলায় ট্রাম্পের সাজা
ই জিন ক্যারোল নামের একজন কলামনিস্ট মামলা করেন যে ১৯৯৬ সালে ট্রাম্প তাকে যৌন হেনস্থা এবং ধর্ষণ করেছিলেন৷ সেই মামলার রায় মঙ্গলবার পড়ে শোনানোর সময়ের স্কেচ এটি৷
ছবি: Jane Rosenberg/REUTERS
বিচারকার্য দেখছেন ক্যারোল
এই স্কেচটি শুনানি শেষে ডিস্ট্রিক্ট জজ লুইস কাপলান যখন ছয় পুরুষ এবং তিন নারীর সমন্বয়ে তৈরি জুরি বোর্ডকে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন তখনকার৷ ক্যারোল তখন পুরো প্রক্রিয়া দেখছিলেন৷
ছবি: Jane Rosenberg/REUTERS
অভিযোগে যা বলা হয়েছে
ক্যারলের দাবি, ১৯৯৬ সালে এক বান্ধবীর উপহার কেনার জন্য ট্রাম্প ক্যারলকে ডেকেছিলেন৷ তারা ম্যানহাটনের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে গিয়েছিলেন৷ সেখানে কথা বলতে বলতে ক্যারলকে নিয়ে ট্রাম্প ট্রায়ালরুমে ঢুকে পড়েন৷ এবং সেখানেই তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন৷
ছবি: Jane Rosenberg/REUTERS
ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণ হয়নি, তবে...
মার্কিন আদালতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণ হয়নি৷ তবে যৌন হেনস্থার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে৷
ছবি: Jane Rosenberg/REUTERS
জো টাকোপিনা
এই ছবিতে ট্রাম্পের আইনজীবী জো টাকোপিনাকে শুনানিতে যুক্তি তুলে ধরতে দেখা যাচ্ছে৷ স্কেচে ট্রাম্পকে মনিটরে দেখা যাচ্ছে৷
আদালত কক্ষে ক্যারল জানান যে, ধর্ষণের অভিযোগ আনার পর ট্রাম্প তার মানহানি করেছিলেন৷ মানহানির অভিযোগও আদালত মেনে নেয়৷ তারপর ট্রাম্পকে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়৷
ছবি: Jane Rosenberg/REUTERS
8 ছবি1 | 8
নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়ায় রোববার তার বিতর্কসভায় যোগ না দেয়ার খবর প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। তার আমলে অ্যামেরিকা কীভাবে এগিয়েছে, জনগণ তা জানে। ফলে নতুন করে তার আর কিছু বলার নেই। তিনি জানেন, মানুষের সমর্থন তার সঙ্গে আছে।
বস্তুত, সম্প্রতি একটি ওপিনিয়ন পোলে দেখা গেছে রিপাবলিকান প্রার্থীদের মধ্যে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। ৬২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন ট্রাম্প। তার পরে স্থান পেয়েছেন ফ্রোলিরডার গভর্নর রন ডিস্যাটিস। তার প্রাপ্ত ভোট ১৬ শতাংশ। বাকি দুই প্রার্থী ১০ শতাংশের কম ভোট পেয়েছেন।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে অ্যামেরিকার আদালতে। কিন্তু তারপরেও তার জনপ্রিয়তা কমেনি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে আগামী বেশ কয়েকটি রিপাবলিকান বিতর্কসভায় অন্য রিপাবলিকান প্রার্থীরাট্রাম্পকে তুলোধোনা করবেন বলেই মনে করছেন তারা। কিন্তু তার পরেও ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কতটা টলানো যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।