জার্মানি থেকে অভিবাসীদের গণহারে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে অতি-দক্ষিণপন্থিরা। এএফডির কয়েকজন পার্লামেন্ট সদস্য এর সঙ্গে যুক্ত।
বিজ্ঞাপন
গত ১০ জানুয়ারি অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম কারেকটিভ রিপোর্ট করেছিল যে, পটসডামের একটি হোটেলে দক্ষিণপন্থি দল এএফডি ও নব্য নাৎসিরা বৈঠক করেন।
সেই বৈঠকে যোগদানকারী নেতারা ‘রিমাইগ্রেশন’ নিয়ে আলোচনা করেন। ‘রিমাইগ্রেশন’ মানে জার্মানিতে যে অভিবাসীরা আছেন, তাদের ফেরত পাঠানো। তারা যে দেশ থেকেই আসুন না কেন, তাদের নিজেদের আদি দেশে ফেরত পাঠাতে হবে, এই ছিল বৈঠকের বিষয়বস্তু।
দক্ষিণপন্থি ও অতি-দক্ষিণপন্থিরা রিমাইগ্রেশন কথাটি খুবই ব্যবহার করেন। কারেকটিভের রিপোর্ট বলছে, পটসডামের বৈঠকে অভিবাসীদের বহিষ্কার করা নিয়ে একটি সামগ্রিক ধারণা ও মাস্টার প্ল্যান বানানোই ছিল মূল কর্মসূচি।
সেখানে যারা রেসিডেন্ট পারমিট নিয়ে আছেন অথবা যারা জার্মানির নাগরিকত্ব পেয়েছেন, কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ সমাজের সঙ্গে মিশে যেতে পারেননি, তাদের প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়েছে।
সংবিধান-বিরোধী কাজ নিয়ে ক্ষোভ
বৈঠকে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জার্মানির সংবিধানে লিখিত মৌলিক অধিকারের বিরোধী। তাছাড়া সরকারি আইনে কাউকে তাদের জাতি, সম্প্রদায়, ভাষা বা মূল দেশের ভিত্তিতে বৈষম্য করা যায় না।
জার্মানির অভিবাসন নীতিতে যেসব পরিবর্তন আসছে
আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য জার্মানি আরো অনাকর্ষণীয় হতে যাচ্ছে ২০২৪ সালে৷ তবে সহজ হবে দক্ষ কর্মীদের অভিবাসন৷ বিস্তারিত ছবিঘরে...
ছবি: Uwe Zucchi/dpa/picture alliance
আবেদন প্রত্যাখ্যাতদের ‘ডিপোর্টেশন’
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস আগেই জানিয়েছেন, নতুন বছরটি আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যাতদের জন্য কঠিন হতে যাচ্ছে৷ ডেয়ার স্পিগেল ম্যাগাজিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ডিসেম্বরে শলৎস বলেছেন, তিনি আবেদন প্রত্যাখ্যাতদের ‘বড় আকারে ডিপোর্টেশন’ বা প্রত্যাবাসনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন৷
ছবি: Michael Kappeler/dpa/picture alliance
প্রত্যাবাসন আইনের পরিবর্তন
সরকারি হিসাবে ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে জার্মানি সাত হাজার ৮৬১ জনকে ডিপোর্ট করেছে৷ ‘প্রত্যাবাসন উন্নয়ন আইন’ নামের একটি বিল পাস হলে সংখ্যাটি আরো বাড়তে পারে৷ এই আইনে আগে থেকে ডিপোর্টেশনের ঘোষণা দেয়ার ইতি টানা হবে, বাড়ানো হবে বন্দি রাখার সময়সীমা৷ সেই সঙ্গে যাদের ফেরত পাঠানো হবে তাদের তল্লাশি ও ফোনের মতো ব্যক্তিগত সম্পত্তি জব্দের বাড়তি ক্ষমতা পাবে পুলিশ৷ অপরাধীদের ক্ষেত্রে ডিপোর্ট আরো দ্রুত হবে৷
ছবি: Julian Stratenschulte/dpa/picture alliance
‘নিরাপদ দেশ’-এর সংখ্যা বাড়বে
যেসব দেশে তেমন নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই তাদেরকে ‘নিরাপদ দেশ’ এর তালিকায় রাখে সরকার৷ এসব দেশের নাগরিকেরা আশ্রয়ের জন্য কম বিবেচিত হন এবং দুই দেশের চুক্তি অনুযায়ী তাদেরকে দ্রুত ফেরত পাঠানো যায়৷ এমন দেশের সংখ্যা বাড়াতে চায় জার্মানি৷ সবশেষ নভেম্বরে এই তালিকায় ঢুকেছে জর্জিয়া ও মলডোভা৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে তুরস্কের একটি চুক্তি পুনর্নবায়ন হলে দেশটির আশ্রয়প্রার্থীদেরও দ্রুত ফেরত পাঠানো যাবে৷
ছবি: Alexander Pohl/NurPhoto/picture alliance
আশ্রয় প্রক্রিয়ায় গতি
আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়ায় গতি আনতে চায় জার্মানি৷ বর্তমানে একটি আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হতে দুই বছরের বেশি পর্যন্ত সময় লাগে৷ প্রস্তাবিত আইনে তা তিন মাস থেকে ছয় মাসে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে৷ আশ্রয় আবেদনকারীদের ভাতাসহ বিভিন্ন সরকারি সুবিধাগুলোও কমানোর কথা বলা হয়েছে৷ বর্তমানে ১৮ মাস পরে ‘কল্যাণভাতা’ পাওয়া যায়, যা তিন বছর পর মিলবে৷ রাষ্ট্রীয় আবাসনে যারা থাকবেন তাদের খাবার খরচ কেটে নেয়া হবে৷
ছবি: DW
‘ক্যাশ’-এর বদলে কার্ড
ব্যাংকের মাধ্যমে ক্যাশ বা অর্থ প্রদানের বদলে কার্ড ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা করছে জার্মানির বিভিন্ন রাজ্য, যাতে তারা পরিবারকে বা অন্য কাউকে অর্থ পাঠাতে না পারে৷ হ্যানোফার গত ডিসেম্বরে ‘সোশ্যাল কার্ড’ ব্যবস্থা চালু করেছে৷ পূর্বের রাজ্য ঠুরিঙ্গিয়াও আশ্রয় আবেদনকারীদের জন্য কার্ড ইস্যু করেছে৷ ২০২৪ সালে এই ব্যবস্থা চালু করবে হামবুর্গ ও বাভারিয়াও৷
ছবি: Julian Stratenschulte/dpa/picture alliance
সুখবর দক্ষ কর্মীদের জন্য
আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠলেও দক্ষ কর্মীদের আকর্ষণে সম্প্রতি আইনে বেশ কিছু সংস্কার আনা হয়েছে৷ ভাষাগত দক্ষতা, পেশাগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পয়েন্ট ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে অভিবাসীরা চাকরি খোঁজার জন্য এক বছরের ভিসা পাবেন৷ স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাসহ যেসব খাতে কর্মী সংকট আছে সেসব ক্ষেত্রে ইউ ব্লু কার্ডের আওতা বাড়ানো হবে৷
ছবি: Daniel Karmann/dpa/picture alliance
সুখবর দক্ষ কর্মীদের জন্য
আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠলেও দক্ষ কর্মীদের আকর্ষণে সম্প্রতি আইনে বেশ কিছু সংস্কার আনা হয়েছে৷ ভাষাগত দক্ষতা, পেশাগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পয়েন্ট ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে অভিবাসীরা চাকরি খোঁজার জন্য এক বছরের ভিসা পাবেন৷ স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাসহ যেসব খাতে কর্মী সংকট আছে সেসব ক্ষেত্রে ইউ ব্লু কার্ডের আওতা বাড়ানো হবে৷
ছবি: Jens Krick/Flashpic/piture alliance
পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অভিবাসন
মার্চ থেকে বিদেশিরা দক্ষতার ভিত্তিতে সরাসরি জার্মানিতে এসে চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন৷ আবেদনকারীদের পরিবারের সদস্য আনার প্রক্রিয়াও সহজ হবে৷ ব্যয় বহনের সামর্থের প্রমাণ দিতে পারলে কর্মীরা তাদের উপর নির্ভরশীলদের নিয়ে তিন বছরের বসবাসের অনুমতি পাবেন৷ কিছু দেশের জন্য বিশেষ অভিবাসন কোটার সংখ্যা বাড়ানো হবে৷ যেমন জুনে বলকান দেশগুলোর জন্য এই সংখ্যা দ্বিগুন বৃদ্ধি করে ৫০ হাজারে উন্নীত করা হচ্ছে৷
ছবি: Armando Babani/Xinhua/picture alliance
8 ছবি1 | 8
পটসডামের রিপোর্ট নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয়েছে। এফডিপি-র পার্লামেন্টারি পার্টির নেতা ত্রিশ্চিয়ান ডার বলেছেন, ‘‘লাখ লাখ অভিবাসীদের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত জার্মানির ইতিহাসে অন্ধকারতম অধ্যায়ের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে৷’’ তিনি ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সালের নাৎসী যুগের প্রসঙ্গই তুলেছেন।
কারা বৈঠকে ছিল?
কারেকটিভের রিপোর্ট বলছে, অবসরপ্রাপ্ত ডেন্টিস্ট ও অতি-দক্ষিণপন্থি নেতা গেয়ারনোট ম্যোরিশ ছিলেন এই বৈঠকের আয়োজক। তার সঙ্গে ছিলেন শিল্পপতি হানস-ক্রিশ্চিয়ান লিমের। বৈঠকে যারা যোগ দিয়েছিলেন, তাদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার ইউরো ডোনেশন চাওয়া হয়। এএফডি-র সহকারী নেতা অ্যালিস ভাইডেলের পরামর্শদাতা রোলান্ড হার্টভিশ আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলেন। এছাড়াও এএফডির পার্লামেন্ট সদস্যদের মধ্যে কয়েকজন বৈঠকে ছিলেন।
জার্মানির সবচেয়ে বড় বিরোধী দল সিডিইউ-এর কয়েকজন নেতাও ছিলেন বলে রিপোর্ট জানাচ্ছে।
তবে বৈঠকে যারা যোগ দিয়েছিলেন, তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নাম হলো অস্ট্রিয়ার রাজনীতিবিদ মার্টিন সেলনার। তিনিই রিমাইগ্রেশনের তত্ত্ব বিস্তারিতে বলেন।
এএফডির মত
কিছুদিন আগে জার্মানির চ্যান্সেলর শলৎস বলেছিলেন, ‘‘যাদের জার্মানিতে থাকার অধিকার নেই, এমন মানুষদের ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা আমাদের শেষ পর্যন্ত করতেই হবে৷’’
জার্মানিতে অভিবাসন: কে, কেমন সুবিধা পাচ্ছে?
জার্মানিতে শরণার্থীরা কী ধরনের রাষ্ট্রীয় সুবিধা পান তা নিয়ে নানা সময় নানা ধরনের বক্তব্য দেন রাজনীতিবিদরা৷ এই নিয়ে বিভ্রান্তিও সৃষ্টি হয়৷ চলুন জেনে নেই এ সংক্রান্ত কিছু তথ্য৷
ছবি: Bodo Schackow/dpa/picture alliance
স্বাস্থ্যসেবা
রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীরা শুধুমাত্র অত্যন্ত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা এই দাঁতের চিকিৎসা পেয়ে থাকেন৷ এধরনের সেবা বলতে শারীরিক আঘাত পাওয়ার মতো ব্যাপার বোঝানো হয় যার চিকিৎসা হাসপাতালে হয়ে থাকে৷ জার্মানির সমাজ কল্যাণ দপ্তর সেই সেবার খরচ বহন করে৷
ছবি: picture alliance/dpa/I. Wagner
রাজ্যভেদে নিয়ম আলাদা
জার্মানির ষোলো রাজ্যে স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টি আলাদাভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়৷ তবে অধিকাংশ রাজ্যে, আশ্রয়প্রার্থীরা চিকিৎসা নেয়ার আগে সমাজ কল্যাণ দপ্তর থেকে সেটির অনুমতি নিতে হয়৷
ছবি: Paul Zinken/dpa/picture alliance
নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা
তবে, জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন করার পর ১৮ মাস পেরিয়ে গেলে কিংবা আশ্রয় মঞ্জুর হয়ে গেলে তখন সেই ব্যক্তি নিয়মিত চিকিৎসা সেবা পেতে পারেন, যার খরচ সংবিধিবিদ্ধ স্বাস্থ্য বিমা তহবিল থেকে আসে৷ কসমেটিক সার্জারির খরচ স্বাস্থ্যবিমা বহন করে না৷
ছবি: Friso Gensch/dpa/picture alliance
প্রাথমিক আশ্রয় ও আবাসন
জার্মানিতে আশ্রয়প্রার্থীরা শুরুতে বিভিন্ন প্রাথমিক অভ্যর্থনাকেন্দ্রে থাকার সুযোগ পান৷ এগুলোতে সাধারণত অনেক মানুষ একত্রে থাকেন৷ সেখানে রুম শেয়ার করে থাকতে হয়৷ তবে সেখানে নিজেদের রান্নাবান্না করার আয়োজন থাকার পাশাপাশি সব বেলা খাবার সরবরাহও করা হয়৷ এসব কেন্দ্রে কয়েক সপ্তাহ থেকে ১৮ মাস অবধি থাকতে হতে পারে৷
ছবি: Patrick Pleul/picture alliance/dpa
আশ্রয়প্রার্থীদের ছড়িয়ে দেয়া হয়
অভ্যর্থনাকেন্দ্র থেকে আশ্রয়প্রার্থীদেরকে একপর্যায়ে বিভিন্ন শহরে থাকা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ছড়িয়ে দেয়া হয়৷ এসবকেন্দ্রে কয়েক ডজন থেকে কয়েকশত মানুষ একত্রে থাকেন৷
ছবি: Markus Schreiber/AP Photo/picture alliance
আর্থিক সহায়তা
একজন আশ্রয়প্রার্থী আশ্রয়কেন্দ্রে সাধারণত প্রয়োজনীয় সবকিছু পেয়ে থাকেন৷ এসবের মধ্যে রয়েছে, খাবার, থাকার ব্যবস্থা, হিটার, পোশাক, প্রসাধনী, এবং গৃহস্থলিতে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন দ্রব্য৷ পাশাপাশি একক ব্যক্তিরা পকেট খরচ হিসেবে মাসে ১৫০ ইউরো অবধি পান৷
ছবি: picture-alliance/dpa
তবে ব্যতিক্রমও আছে
যদি আশ্রয়প্রার্থীকে খাদ্য, পোশাক এবং অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ সম্ভব না হয়, তখন তাকে প্রতিমাসে সেসবের জন্য প্রতিমাসে ৩৬৭ ইউরো দেয়া হয়৷ পাশাপাশি তারা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করতে পারেন৷ কিন্তু সেজন্য মাসে ২০০ ইউরোর বেশি নিতে পারবেন না৷
ছবি: picture-alliance/dpa
আশ্রয়প্রার্থীদের নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য
জার্মান রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে দেশটিতে আশ্রয় নেয়া আশ্রয়প্রার্থীদের সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে৷ এ নিয়ে বিতর্কও দেখা দেয়৷ কারণ, সেখানে অতিরঞ্চিত তথ্যও থাকে৷ ডয়চে ভেলে তাই এধরনের কিছু তথ্য যাচাই করেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Grubitzsch
8 ছবি1 | 8
বিরোধী জোট সিডিইউ-সিএসইউয়ের অনেক রাজনীতিবিদও এই মত সমর্থন করেন।
এএফডি দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানাচ্ছে, অভিবাসীদের গণহারে নিজেদের দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। ২০২১ সালে দল তার ইস্তাহারে রিমাইগ্রেশন কথাটা ব্যবহার করেছে।
১০ জানুয়ারি দল এক্স-এ যে মেসেজ পোস্ট করেছে, তাতেও রিমাইগ্রেশন কথাটি আছে।
এএফডিকে নিষিদ্ধ করার দাবি
এএফডি-র নেতা ও পার্লামেন্টের কয়েকজন সদস্য পটসডাম বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন, এই তথ্য সামনে আসার পরই আবার ওই দলকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে।
সিডিইউ নেতা ও একটা রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টমাস স্ট্রবল বলেছেন, ‘‘গোয়েন্দা সংস্থাগুলির এএফডি-র কাজকর্ম খতিয়ে দেখার যথেষ্ট কারণ আছে৷’’
জার্মানিতে শুধুমাত্র জাতীয় সাংবিধানিক আদালত একটি দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারে। ১৯৫৬ সালে শেষবার একটি দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
সিডিইউ নেতা ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস বলেছেন, আমাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। এএফডিকে নিষিদ্ধ করে তাদের শহিদের মর্যাদা দেয়ার কোনো অর্থ হয় না।