অস্ট্রেলিয়ার একটি গবেষণাগার রিয়েল টাইমে আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণের লক্ষ্যে কাজ করছে৷ প্রচলিত সেন্সর ব্যবহার না করে বিজ্ঞানীরা ফাইভ-জি সংকেতের মাধ্যমে আবহাওয়ার পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে চান৷
ছবি: Artlist
বিজ্ঞাপন
প্রচলিত সেন্সর ব্যবহার না করে বিজ্ঞানীরা ফাইভ-জি সংকেতের মাধ্যমে আবহাওয়ার পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে চান৷ তারা ‘নেটওয়ার্ক সেন্সিং' নামে নতুন এক প্রযুক্তি তৈরি করছেন৷
পরিবেশের পরিবর্তন বুঝতে ফাইভ-জি সিগন্যাল ব্যবহার করা হয়৷ এই মোবাইল যোগাযোগ প্রযুক্তির কারণে রিয়েল-টাইমে ডেটা স্থানান্তর সম্ভব হয়৷
সিডনি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নেটওয়ার্ক সেন্সিং ল্যাব এর জে গু বলেন, ‘‘আমরা আমাদের মোবাইলের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বেস স্টেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করি৷ বেস স্টেশন থেকে মোবাইলে এবং মোবাইল থেকে বেস স্টেশনে সিগন্যাল পরিবেশগত বিভিন্ন কারণে প্রভাবিত হয়ে থাকে৷ যখন বৃষ্টি হয় কিংবা পানির স্তরের পরিবর্তন হয় তখন সিগন্যালে ভিন্নতা তৈরি হয়৷ সিগন্যালের এমন পরিবর্তন বিশ্লেষণ করে আমরা বন্যা ও বৃষ্টিপাত সম্পর্কে তথ্য পেতে পারি৷''
আবহাওয়া ও বিপর্যয়ের পূর্বাভাস দিচ্ছে ফাইভ-জি প্রযুক্তি
03:20
This browser does not support the video element.
তথ্য বিশ্লেষণ করে তা ডিজিটাল টুইনে পাঠাতে এআই ব্যবহার করা হয়৷ এরপর প্রোগ্রামটি কখন এবং কোথায় বন্যা হতে পারে তার ছবি তৈরি করে৷
বর্তমানে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিতে স্যাটেলাইটের ছবি এবং জটিল সিমুলেশন ব্যবহার করা হয়৷ কিন্তু এভাবে রিয়েল-টাইম তথ্য পাওয়া যায় না৷
জে গু জানান, ‘‘এখন যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে তা শুধুমাত্র দীর্ঘমেয়াদী ও সাধারণ পূর্বাভাস দিতে পারে৷ যেমন একদিন পরের কিংবা পরবর্তী কয়েক দিনের, অথবা বড় কোনো এলাকার পূর্বাভাস দিতে পারে৷ এটা কার্যকর, তবে আকস্মিক বন্যার পূর্বাভাসের জন্য যথেষ্ট কার্যকর নয়৷ আমাদের পদ্ধতি ব্যবহার করে আমরা আধা বা এক ঘণ্টার মধ্যে বন্যার আশঙ্কা আছে কিনা, কোন সড়কে কতটুকু বন্যা হতে পারে, সে সম্পর্কে তথ্য দিতে পারি৷''
সিক্স-জি প্রযুক্তি নিয়ে চীনের কাজ শুরু
01:03
This browser does not support the video element.
তথ্যের নির্ভুলতা নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকে না৷ ফলে জরুরি পরিস্থিতিতে এটি দারুণ সহায়ক হতে পারে৷
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার লিসমোর শহর তার ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হয়েছিল৷ প্রায় পাঁচ হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল অথবা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল৷
উদ্ধারকারী বাহিনী ভবিষ্যতে নেটওয়ার্ক সেন্সিং থেকে লাভবান হওয়ার আশা করছে৷
ফেসবুক : এক ছাত্রাবাস থেকে সারা বিশ্বে
২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ফেসবুক যাত্রা শুরু করে৷ বর্তমানে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সামাজিক নেটওয়ার্ক৷ তবে নানাসময়ে ফেসবুকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগও উঠেছে৷
ছবি: Dado Ruvic/REUTERS
শুরুর কথা
১৯ বছর বয়সি মার্ক সাকারবার্গ ২০০৩ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে তার রুমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরির কাজ শুরু করেন৷ ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তিন বন্ধুর সঙ্গে মিলে তিনি thefacebook.com চালু করেন৷ উত্তর অ্যামেরিকার অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও সদস্য হওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছিল৷
ছবি: JOSH EDELSON/AFP/Getty Images
প্রথম বিনিয়োগ প্রাপ্তি
পেপল-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা পিটার টিলের কাছ থেকে পাঁচ লাখ ডলার বিনিয়োগ পেয়েছিল সাকারবার্গের কোম্পানি৷ এরপর ২০০৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কোম্পানিটি ফেসবুক-এ পরিণত হয়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা
২০০৮ সালে মাইস্পেসকে সরিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইটে পরিণত হয় ফেসবুক৷ পরের বছর মোবাইল অ্যাপ চালু হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
টাইম ম্যাগাজিনের স্বীকৃতি
২০১০ সালে টাইম ম্যাগাজিন সাকারবার্গকে ‘পার্সন অফ দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত করে৷ ‘আমাদের প্রতিদিনকার জীবনযাপনের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনায়’ জাকারবার্গকে বেছে নেওয়া হয়৷
তরুণদের প্ল্যাটফর্ম হয়ে ওঠা
২০১১ সালে আরব বসন্তের সময় ফেসবুক আরব তরুণদের মতপ্রকাশের গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছিল৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/M. Deghati
ইনস্টাগ্রাম কেনা
২০১২ সালে এক বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইনস্টাগ্রাম কিনে নেয় ফেসবুক৷
ছবি: DAVID H. CALZADA/Zoonar/picture alliance
১০০ কোটি পেরোনো
২০১২ সালের অক্টোবরে ফেসবুকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০০ কোটি ছাড়িয়ে যায়৷
ছবি: AP/dapd
হোয়াটসঅ্যাপ ক্রয়
২০১৪ সালে ১৯ বিলিয়ন ডলার দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ কিনে নেয় ফেসবুক৷
ছবি: Justin Sullivan/Getty Images
অভিযোগ
২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া প্রভাব বিস্তার করেছিল বলে অভিযোগ আছে৷ এই কাজে রাশিয়া ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে বলে অভিযোগ৷
ছবি: Facebook
ফেসবুকের তথ্য চুরি
২০১৮ সালে ব্রিটিশ কনসাল্টিং ফার্ম ‘ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা’ ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে বলে খবর প্রকাশিত হয়৷ মার্কিন কংগ্রেসের মুখোমুখি হয়ে জাকারবার্গ ভুয়া খবর, নির্বাচনে বিদেশি প্রভাব ও হেট স্পিচ বন্ধ এবং ডাটা প্রাইভেসি রক্ষায় আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করেন৷
ছবি: Andrew M. Chang/ZUMA Wire/imago images
নাম পরিবর্তন করে মেটা
২০২১ সালে ফেসবুকের কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে মেটা রাখা হয়৷ সাকারবার্গ মনে করেন ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ হবে মেটাভার্স৷ ফেসবুকের নাম মেটা রাখার এটিও একটি কারণ৷
ছবি: Yves Herman/REUTERS
এখনও সবচেয়ে জনপ্রিয়
তরুণ প্রজন্ম টিকটিক বা স্ন্যাপচ্যাট ব্যবহারে আগ্রহী হলেও ফেসবুক এখনও বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সামাজিক নেটওয়ার্ক৷ কারণ বর্তমানে ফেসবুকের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৯৬ কোটি৷
ছবি: Reuters/D. Ruvic
এক্স-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতা
২০২৩ সালে মেটা এক্স-এর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ‘থ্রেডস’ অ্যাপ চালু করে৷
ছবি: STEFANI REYNOLDS/AFP
শিশুদের ক্ষতি করার অভিযোগ
২০২৩ সালের অক্টোবরে কয়েকটি মার্কিন রাজ্য ফেসবুকের বিরুদ্ধে শিশু ও টিনএজারদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করার অভিযোগ আনে৷ এর প্রেক্ষিতে ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে মেটা৷
ছবি: Susan Walsh/AP/picture alliance
14 ছবি1 | 14
স্টেট ইমার্জেন্সি সার্ভিসের ডেভিড মঙ্ক বলেন, ‘‘আমাদের পরিকল্পনা হলো, একটি তথ্যসমৃদ্ধ কমিউনিটি গড়ে তোলা যারা তাদের নিজস্ব পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে সঠিক সিদ্ধান্ত ও প্রস্তুতি নিতে পারবে৷ সেক্ষেত্রে বন্যার সময় জরুরি পরিষেবার খুব বেশি প্রয়োজন হবে না৷ এটাই হবে বিশ্বের সব জরুরি পরিষেবার মূল লক্ষ্য৷ আমাদের সাড়া দিতে হলে অনেক দেরি হয়ে যাবে৷''
নেটওয়ার্ক সেন্সিং যেহেতু ইতিমধ্যে বিদ্যমান অবকাঠামো ব্যবহার করে, তাই বন্যার পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য এটি একটি সাশ্রয়ী পদ্ধতি৷ ফাইভ-জি কভারেজ থাকা সব এলাকায় এই প্রযুক্তি কাজ করে৷
ডেভিড মঙ্ক বলেন, ‘‘এটা একটা যুগান্তকারী প্রযুক্তি, কারণ, এর জন্য আপনাকে আসলে এমন কোনো সেন্সর ইনস্টল করতে হয় না, যেটা দুর্যোগের সময় ভেঙে যাওয়া বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, এবং যেটা নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হতে পারে৷''
নেটওয়ার্ক সেন্সিং প্রযুক্তি নিয়ে এখনো কাজ হচ্ছে৷ কখন এবং কীভাবে এটি ব্যবহার করা হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷