1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রিয়েল টাইমে আবহাওয়ার তথ্য পেতে চান বিজ্ঞানীরা

২৮ মে ২০২৫

অস্ট্রেলিয়ার একটি গবেষণাগার রিয়েল টাইমে আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণের লক্ষ্যে কাজ করছে৷ প্রচলিত সেন্সর ব্যবহার না করে বিজ্ঞানীরা ফাইভ-জি সংকেতের মাধ্যমে আবহাওয়ার পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে চান৷

Netzwerksensorik für Umweltdaten
ছবি: Artlist

প্রচলিত সেন্সর ব্যবহার না করে বিজ্ঞানীরা ফাইভ-জি সংকেতের মাধ্যমে আবহাওয়ার পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে চান৷ তারা ‘নেটওয়ার্ক সেন্সিং' নামে নতুন এক প্রযুক্তি তৈরি করছেন৷

পরিবেশের পরিবর্তন বুঝতে ফাইভ-জি সিগন্যাল ব্যবহার করা হয়৷ এই মোবাইল যোগাযোগ প্রযুক্তির কারণে রিয়েল-টাইমে ডেটা স্থানান্তর সম্ভব হয়৷

সিডনি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নেটওয়ার্ক সেন্সিং ল্যাব এর জে গু বলেন, ‘‘আমরা আমাদের মোবাইলের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বেস স্টেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করি৷ বেস স্টেশন থেকে মোবাইলে এবং মোবাইল থেকে বেস স্টেশনে সিগন্যাল পরিবেশগত বিভিন্ন কারণে প্রভাবিত হয়ে থাকে৷ যখন বৃষ্টি হয় কিংবা পানির স্তরের পরিবর্তন হয় তখন সিগন্যালে ভিন্নতা তৈরি হয়৷ সিগন্যালের এমন পরিবর্তন বিশ্লেষণ করে আমরা বন্যা ও বৃষ্টিপাত সম্পর্কে তথ্য পেতে পারি৷''

আবহাওয়া ও বিপর্যয়ের পূর্বাভাস দিচ্ছে ফাইভ-জি প্রযুক্তি

03:20

This browser does not support the video element.

তথ্য বিশ্লেষণ করে তা ডিজিটাল টুইনে পাঠাতে এআই ব্যবহার করা হয়৷ এরপর প্রোগ্রামটি কখন এবং কোথায় বন্যা হতে পারে তার ছবি তৈরি করে৷

বর্তমানে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিতে স্যাটেলাইটের ছবি এবং জটিল সিমুলেশন ব্যবহার করা হয়৷ কিন্তু এভাবে রিয়েল-টাইম তথ্য পাওয়া যায় না৷

জে গু জানান, ‘‘এখন যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে তা শুধুমাত্র দীর্ঘমেয়াদী ও সাধারণ পূর্বাভাস দিতে পারে৷ যেমন একদিন পরের কিংবা পরবর্তী কয়েক দিনের, অথবা বড় কোনো এলাকার পূর্বাভাস দিতে পারে৷ এটা কার্যকর, তবে আকস্মিক বন্যার পূর্বাভাসের জন্য যথেষ্ট কার্যকর নয়৷ আমাদের পদ্ধতি ব্যবহার করে আমরা আধা বা এক ঘণ্টার মধ্যে বন্যার আশঙ্কা আছে কিনা, কোন সড়কে কতটুকু বন্যা হতে পারে, সে সম্পর্কে তথ্য দিতে পারি৷''

সিক্স-জি প্রযুক্তি নিয়ে চীনের কাজ শুরু

01:03

This browser does not support the video element.

তথ্যের নির্ভুলতা নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকে না৷ ফলে জরুরি পরিস্থিতিতে এটি দারুণ সহায়ক হতে পারে৷

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার লিসমোর শহর তার ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হয়েছিল৷ প্রায় পাঁচ হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল অথবা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল৷

উদ্ধারকারী বাহিনী ভবিষ্যতে নেটওয়ার্ক সেন্সিং থেকে লাভবান হওয়ার আশা করছে৷

স্টেট ইমার্জেন্সি সার্ভিসের ডেভিড মঙ্ক বলেন, ‘‘আমাদের পরিকল্পনা হলো, একটি তথ্যসমৃদ্ধ কমিউনিটি গড়ে তোলা যারা তাদের নিজস্ব পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে সঠিক সিদ্ধান্ত ও প্রস্তুতি নিতে পারবে৷ সেক্ষেত্রে বন্যার সময় জরুরি পরিষেবার খুব বেশি প্রয়োজন হবে না৷ এটাই হবে বিশ্বের সব জরুরি পরিষেবার মূল লক্ষ্য৷ আমাদের সাড়া দিতে হলে অনেক দেরি হয়ে যাবে৷''

নেটওয়ার্ক সেন্সিং যেহেতু ইতিমধ্যে বিদ্যমান অবকাঠামো ব্যবহার করে, তাই বন্যার পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য এটি একটি সাশ্রয়ী পদ্ধতি৷ ফাইভ-জি কভারেজ থাকা সব এলাকায় এই প্রযুক্তি কাজ করে৷

ডেভিড মঙ্ক বলেন, ‘‘এটা একটা যুগান্তকারী প্রযুক্তি, কারণ, এর জন্য আপনাকে আসলে এমন কোনো সেন্সর ইনস্টল করতে হয় না, যেটা দুর্যোগের সময় ভেঙে যাওয়া বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, এবং যেটা নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হতে পারে৷''

নেটওয়ার্ক সেন্সিং প্রযুক্তি নিয়ে এখনো কাজ হচ্ছে৷ কখন এবং কীভাবে এটি ব্যবহার করা হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷

মিশেল অস্টভাল্ড/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ