1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রুমানিয়ায় পর্যটকদের আকর্ষণ ‘আনন্দময় কবরস্থান'

৩০ ডিসেম্বর ২০২১

কবরখানা বিষাদের জায়গা, সেখানে প্রিয় মানুষকে বিদায় জানাতে হয়৷ কিন্তু রুমfনিয়ার একটি গ্রামে এক সমাধিক্ষেত্রে আনন্দময় ও কৌতুকের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে৷ ফলে পর্যটকরা সেখানে যাচ্ছেন, গ্রামের মানুষেরও আয় হচ্ছে৷

BG Friedhöfe Sapanta Rumänien
ছবি: picture alliance/AP Images/V. Ghirda

রুমানিয়ার উত্তরে ইউক্রেন সীমান্তের কাছে সাপুনৎসায় ‘আনন্দময় কবরস্তান' অবস্থিত৷ ক্রস মেকার হিসেবে দুমিত্রু পপ সেখানে ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নীল মোমবাতির উপর কবিতা ও ছবি দিয়ে মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছেন৷ দুমিত্রু একটি সমাধির বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে বলেন, ‘‘শাশুড়ি ও জামাইয়ের মধ্যে জটিল সম্পর্ক এখানে তুলে ধরা হচ্ছে৷ জামাই এখানে শাশুড়িকে দাফন করেছেন৷''

বেঁচে থাকতে শাশুড়ি তার কুঁড়ে জামাইকে মেলা গালি দিয়েছেন৷ তাই দুমিত্রুর কবিতার মধ্যে মানুষকে চুপচাপ থাকতে বলা হয়েছে৷ তা না হলে সেই নারী নাকি আবার জেগে উঠে গালিগালাজ শুরু করে দেবেন৷

দুমিত্রু পপ মনে করেন, আনন্দময় কবরস্তান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটাই গোটা বিশ্বে একমাত্র জায়গা যেখানে মৃত্যু নিয়ে হাসাহাসি করা হয় এবং মৃতদের জীবনের কাহিনি নিয়ে চর্চা হয়৷

সাধারণত রুমানীয় অর্থোডস্ক সম্প্রদায়ের কবরখানা অত্যন্ত বিষাদময় ও ধূসর দেখতে লাগে৷ কিন্তু সে দেশের এক ছুতার মিস্ত্রী ব্যাতিক্রমী কিছু করতে চেয়েছিলেন৷ প্রায় ৮৫ বছর আগে স্টান ইওয়ান পাত্রাশ এই ‘আনন্দময় কবরস্থান' সৃষ্টি করেন৷ তিনিই দুমিত্রুকে কাঠের কাজ শিখিয়েছিলেন৷ মাত্র নয় বছর বয়সে দুমিত্রু সেই কাজ শুরু করেছিলেন৷ সেই সংযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘প্রাথমিক স্কুলে পড়ার সময়েই ইওয়ান পাত্রাশ শিল্পকলায় প্রতিভা খুঁজতে আমাদের কাছে এসেছিলেন৷ আঁকার ক্লাসে সেরা হওয়ায় তিনি আমাকেই বেছে নিয়েছিলেন৷ সত্যি এখন তাঁর অভাব বোধ করি৷ আমরা মানুষ এবং মানুষের মনে আবেগ থাকে৷ কিন্তু এটাই তো জীবন৷ একজন যায়, আরেক জন আসে৷''

আনন্দময় কবরখানা

04:01

This browser does not support the video element.

দুমিত্রু এখনো পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার ক্রস তৈরি করেছেন৷ তিনি প্রত্যেকটি ক্রসের কাহিনি আলাদা করে জানেন৷ যেমন একটি ক্রস তার একেবারে প্রথম দিকের সৃষ্টি৷ সামনের দিকে মৃত ব্যক্তির জীবন এবং পেছনে মৃত্যু সম্পর্কে কিছু লেখা আছে৷ বাচ্চা মেয়েটি মাত্র চার বছর বয়সে ট্যাক্সি চাপা পড়ে মারা যায়৷

এই গ্রামে সবাই সবাইকে চেনে৷ দুমিত্রু পপ শুধু জীবিত মানুষ নয়, মৃতদের সম্পর্কেও অনেক কিছু জানেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এখানে একটা ঐতিহ্য রয়েছে৷ সবাই মিলে বিদায় জানাতে মানুষ মৃতদেহ তিন দিন বাসায় রাখেন৷ আমাদের এখানে মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে অভিযোগ করা হয় না, তাকে নিয়ে গান গাওয়া হয়৷ মৃতের জীবন সম্পর্কে চটজলদি গান বাঁধা হয়৷ সেটা থেকে আমি প্রেরণা পাই৷''

মাঝে মধ্যে মুখোরচক কাহিনি সম্পর্কে এখানে কেউ চটে যায় না, অন্তত প্রকাশ্যে নয়৷ কারণ, গোটা গ্রামের আয় কবরখানার উপর নির্ভর করে রয়েছে৷ অঞ্চলের অন্যতম দৃষ্টব্য হিসেবে জায়গাটি বেশ জনপ্রিয়৷

রুমানিয়ার ‘আনন্দময় কবরখানা' আসলে একটি গোটা গ্রামের মানুষের জীবনের কাহিনির অনবদ্য সংগ্রহ৷

মাক্স মডলার/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ