ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া এমন আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্র রাষ্ট্রগুলো৷ তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট মনে করছেন বাড়াবাড়ি রকমের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে দেশগুলো, যা উলটো ইউক্রেনকেই ঠেলে দিচ্ছে অর্থনৈতিক সংকটে৷
বিজ্ঞাপন
ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার উপর অব্যাহত চাপ তৈরি করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটোভুক্ত ইউরোপীয় দেশগুলো৷ পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর ঘোষণা, অর্থনৈতিক অবরোধের হুমকি, সেই সঙ্গে ইউক্রেনে হামলা করলে তার পাল্টা জবাব দেয়ার কথাও বলছে বাইডেন প্রশাসন৷ তবে রাশিয়া বরাবরের মতোই দাবি করে আসছে যুদ্ধের কোনো পরিকল্পনাই তাদের নেই৷ প্রথমবারের মতো রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিন নিজেও সেই আশ্বাস দিয়েছেন৷
তারপরও ওয়াশিংটনের কঠোর অবস্থানে সংকটে পড়ছে ইউক্রেন৷ সাবেক এই সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা গণমাধ্যম বাড়াবাড়ি রকমের ভীতি ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট৷
পূর্ব ইউরোপে সৈন্য পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
বাইডেন শুক্রবার পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে সেনা পাঠানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘পূর্ব ইউরোপ ও ন্যাটো দেশগুলোতে সামনের দিনে সৈন্য পাঠাবো আমি৷ খুব বেশি নয়৷’’
চলতি সপ্তাহে পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবিও এমন আভাস দেন৷ তিনি জানান, ন্যাটো বাহিনীকে সহায়তার জন্য সাড়ে আট হাজার সেনাকে ‘উচ্চ সতর্ক’ অবস্থায় রাখা হয়েছে৷
ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালালে যাতে প্রতিবেশী ন্যাটো দেশগুলো থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায় তার প্রস্তুতিই আগেভাগে সেরে নিতে চাইছে ওয়াশিংটন৷ এজন্য এই অঞ্চলে সৈন্য বৃদ্ধির পরিকল্পনার কথা গত সপ্তাহেও জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ বাইডেন বলেন, ‘‘আমরা প্রকৃতপক্ষে পোল্যান্ড, রোমানিয়া ইত্যাদি দেশে সৈন্য উপস্থিতি বাড়াতে যাচ্ছি, তারা ন্যাটোর সদস্য৷’’
এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন দাবি করেছেন, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া এমন পর্যায়ে সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়েছে তাতে পুটিন চাইলেই দেশটিতে সামরিক অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম হবেন৷ পেন্টাগনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘‘আমরা যদিও বিশ্বাস করি যে প্রেসিডেন্ট পুটিন এখনও এই বাহিনীকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি, কিন্তু পরিস্কারভাবেই এখন সেই সক্ষমতা তার রয়েছে৷’’
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দাবি অনুযায়ী, গত অক্টোবর থেকে রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তের আশেপাশে এবং প্রতিবেশী বেলারুশে এক লাখের বেশি সৈন্য ও সমর সরঞ্জাম জড়ো করেছে৷
ইউক্রেন অস্ত্র পাচ্ছে, আরও চায়
২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রাইমিয়া দখল করার পর সামরিক শক্তি বাড়িয়েছে ইউক্রেন৷ সম্প্রতি রাশিয়া সীমান্তে সেনা উপস্থিতি বাড়ানোয় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে৷ পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে৷ তবে আরও দরকার, বলছে ইউক্রেন৷
২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২১ হাজার ৪৩০ কোটি টাকার অস্ত্র সহায়তা দিয়েছে৷ এর মধ্যে আছে জ্যাভলিন অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল (ছবি), টহল বোট, হামভি, স্নাইপার রাইফেল, ড্রোন, রাডার সিস্টেম, নাইট ভিশন ও রেডিও ইকুইপমেন্ট৷
কয়েক ব্যাচ বায়রাকটার টিবিটু ড্রোন বিক্রি করেছে৷ ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের ডনবাস এলাকায় রুশ সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে এগুলো ব্যবহৃত হয়েছে৷
ছবি: Murat Cetinmuhurdar/Turkish Presidency/handout/picture alliance / AA
জার্মানি
ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে৷ তবে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে যে ৫১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে তার একটা অংশ দিচ্ছে জার্মানি৷
ছবি: Sean Gallup/Getty Images
ইউক্রেন আরও যা চায়
যুক্তরাষ্ট্র থেকে হেলিকপ্টার, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও হালকা সাঁজোয়া যান চায়৷ নরওয়ে থেকে চায় সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম৷ এছাড়া মাঝারি ও স্বল্প রেঞ্জের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও চায় ইউক্রেন৷
ছবি: DARKO BANDIC/AFP via Getty Images
6 ছবি1 | 6
যুদ্ধের পরিকল্পনা নেই: পুটিন
ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্যপদ দেয়া হবে না, যুক্তরাষ্ট্রসহ জোটের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে এমন নিশ্চয়তা চায় রাশিয়া৷ তবে সাম্প্রতিক আলোচনায় এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে ওয়াশিংটন৷ এমন বাস্তবতায় রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো৷ তবে যুদ্ধের পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া৷
রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিন এই বিষয়ে প্রথমবারের মতো দেয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো এখনও রাশিয়ার নিরাপত্তা সংক্রান্ত মূল দাবির বিষয়টির কোনো সুরাহা দেয়নি৷ তবে এই বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে চান তিনি৷ ইউক্রেনে হামলার পরিকল্পনা নেই বলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁকে ফোনালাপে তিনি জানিয়েছেন৷ ক্রেমলিনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, পুটিন মাক্রোঁকে বলেছেন, নতুন কোনো পদক্ষেপ নেয়ার আগে তিনি এই সপ্তাহে পশ্চিমা দেশগুলো ও ন্যাটোর প্রতিক্রিয়া খতিয়ে দেখবেন৷
এদিকে ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি খারাপ হোক এমনটা চান না বলে পুটিন মাক্রোঁকে আশ্বস্ত করেছেন৷
রাজনীতির বাইরে থেকে রাষ্ট্রের নেতৃত্বে
ইউক্রেনের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন কৌতুকাভিনেতা ভলোদিমিয়ের জিয়েলইয়েনস্কি৷ রাজনীতির বাইরে থেকে এসে রাষ্ট্রনায়ক হওয়ার এমন নজির আছে বিশ্বব্যাপী৷ তাঁদের কেউ অভিনেতা, কেউ সংগীত শিল্পী কেউবা ছিলেন ধনী ব্যবসায়ী৷
ছবি: AFP/Getty Images/S. Supinsky
টিভি পর্দা থেকে বাস্তবে
ইউক্রেনের জনপ্রিয় একটি টেলিভেশন শো ‘সার্ভেন্টস অব দ্যা পিপল’৷ ভলোদিমির জেলেনস্কি সেখানে শিক্ষকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি বনে যান৷ পর্দার এই ঘটনাকেই এবার বাস্তবের মঞ্চে রূপ দিতে যাচ্ছেন জিয়েলইয়েনস্কি৷ প্রথম দফার নির্বাচনে তিনি রাষ্ট্রপতির দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেছেন৷ দেশব্যাপী জনপ্রিয় এই অভিনেতা নির্বাচনি প্রচারে নিজেকে ক্লাউন হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন৷
ছবি: AFP/Getty Images/S. Supinsky
চলচ্চিত্রের রাখাল বালক
ছবির মানুষটিকে চিনতে পেরেছেন? তিনি রোনাল্ড রেগান৷ ১৯৮১ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে ছিলেন৷ হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা থেকে যিনি রাজনীতিবিদ বনেছেন৷ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার আগে ১৯৬৭ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/Keystone
সংগীত শিল্পীর কাঁধে রাষ্ট্রের ভার
১৯৮০’র দশকে হাইতিতে সংগীত শিল্পী হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান মিশেল মার্তেলি৷ পরিচিত ছিলেনে ‘সুইট মিকি’ নামে৷ চোখ ধাঁধানো পোশাক আর মঞ্চে প্যান্ট খুলে ফেলার জন্যও পরিচিত ছিলেন তিনি৷ ২০১১ থেকে ২০১৬ সালে এই মানুষটিই হাইতির রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পান৷ ২০১০ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর তাঁর নেতৃত্বেই আবারো ঘুরে দাঁড়ায় ক্যারিবীয় দেশটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. M. Casares
পিয়ানিস্ট থেকে প্রধানমন্ত্রী
পোল্যান্ডের বিখ্যাত পিয়ানিস্ট ও কম্পোজার ইগনাৎসি ইয়ান হনাসে ইয়ান পাদ্যাব়্যাফস্কি৷ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর পোলিশ ন্যাশনাল কমিটির সক্রিয় সদস্য ছিলেন তিনি৷ বিশ্বযুদ্ধের পর তাঁকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়৷ এসময় তিনি পোল্যান্ডের পক্ষে ভার্সাই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন৷ অবশ্য দায়িত্বের এক বছরের মাথায় প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেন পাদ্যাব়্যাফস্কি৷
ক্রিকেটের কিংবদন্তি
নিজে কিংবদন্তিতুল্য ক্রিকেটার ছিলেন৷ ১৯৯২ সালে দেশকে এনে দিয়েছেন বিশ্বকাপের ট্রফি৷ ১৯৯৬ সালে গঠন করেন নিজের রাজনৈতিক দল৷ ২০১৮ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে পাকিস্তানে সরকার গঠন করেন৷ ইমরান খান বনে যান দেশটির প্রধানমন্ত্রী৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/S. Holland
বিশ্বখ্যাত ফুটবলার
লাইবেরিয়ার ফুটবলার জর্জ উইয়াহ ইউরোপের বড় বড় ক্লাবের হয়ে মাঠে লড়েছেন৷ ১৯৯৫ সালে প্রথম কোনো আফ্রিকান হিসেবে ফিফা বর্ষসেরার খেতাব জেতেন৷ ফুটবল থেকে অবসরের পর যোগ দেন রাজনীতির মাঠে৷ ২০০৫ সালে ব্যর্থ হলেও লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ২০১৭ সালে৷
ছবি: picture-alliance/DPPI Media
কলঙ্কিত গণমাধ্যম টাইকুন
প্রথম জীবনে প্রমোদতরীতে পিয়ানোবাদক ও সংগীত শিল্পীর কাজ করে পড়াশোনার খরচ যোগাতেন৷ এরপর খ্যাতি কুড়ান আবাসন আর মিডিয়া টাইকুন হিসেবে৷ কুখ্যাতিও অর্জন করেছেন রাজনৈতিক দল করে যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে৷ যদিও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে পিছিয়ে পড়েননি৷ ১৯৯৪ সাল থেকে চার দফা তিনি ইটালির সরকারপ্রধান ছিলেন৷
ছবি: Reuters
টিভি তারকা হোয়াইট হাউসে
১৯৭০ এবং ১৯৮০’র দশকেই আবাসন ব্যবসায়ী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক পরিচিতি পান ট্রাম্প৷ ২০০৩ সালে তিনি জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠান ‘দি অ্যাপ্রেন্টিস’ এর সঞ্চালনা শুরু করেন৷ ২০১৫ সালে লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ের সুযোগ পান৷ নির্বাচনি প্রচারের চমক শেষ পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পৌঁছে দিয়েছে হোয়াইট হাউসে৷
ছবি: Reuters/C. Allegri
তরুণদের অনুপ্রেরণা
১৯৯৯ সালে সংগীত ক্যারিয়ার শুরু করেন উগান্ডার ববি ওয়াইন৷ পরে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব আফ্রিকাতেই৷ ২০১৭ সাল থেকে উগান্ডার সংসদ সদস্য তিনি৷ দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করে আসা ইয়োয়েরি মুসাভিনির বিরুদ্ধে তরুণদের তিনি সংগঠিত করতে পেরেছেন৷ তবে ২০২১ সালে তিনি বিতর্কিত নির্বাচনে মুসাভিনির কাছে হেরে যান৷
ছবি: AFP/Getty Images/I. Kasamani
9 ছবি1 | 9
ভীতি ছড়াবেন না: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট
রাশিয়া ইউক্রেনে অচিরে হামলা করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র এমন আশঙ্কা প্রকাশ করলেও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট তেমনটা মনে করেন না৷ বরং যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো অতিমাত্রায় ভীতি ছড়ানোর কারণে চার কোটি জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত ইউক্রেনের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন ভলোদিমির জেলেনস্কি
বিদেশি গণমাধ্যমের জন্য আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘‘ইউক্রেনের সড়কে কোনো ট্যাংক নেই৷ কিন্তু গণমাধ্যম এমন ধারণা দিচ্ছে যাতে ইউক্রেনের বাইরে থাকা মানুষের কাছে মনে হবে আমরা যুদ্ধাবস্থায় আছি, এখানে রাস্তায় সেনাবাহিনী আছে...৷ কিন্তু পরিস্থিতি তেমন নয়৷ এই আতঙ্কের প্রয়োজন নেই আমাদের৷''
খারাপ কিছু ঘটার আশঙ্কা উড়িয়ে না দিলেও বর্তমান পরিস্থিতি আগের চেয়ে খারাপ এমনটা মনে করেন না ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট৷ তিনি বলেন, হোয়াইট হাউস ব্যাপকভাবে যুদ্ধের আশঙ্কাকে সামনে এনে ‘ভুল’ করছে, যা তিনি এরইমধ্যে বাইডেনকে ফোনেও বলেছেন৷
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য দেশটি থেকে তাদের কূটনীতিকদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে৷ এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে জেলেনস্কি বলেন, ‘‘আমরা টাইটানিক নই৷ ইউক্রেন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে৷''
তবে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে তা যে শুধু ইউক্রেন নয় বরং গোটা অঞ্চলকেই বিপদে ফেলবে সেই বিষয়ে সতর্ক করেন তিনি৷ রাশিয়ার সঙ্গে নর্ড স্ট্রিম টু গ্যাস পাইপলাইন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা নিয়ে জার্মানির সমালোচনা করে তিনি বলেন, দেশটি ইউক্রেনের নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার চেয়েও রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে৷
এফএম/এডিকে (ডিপিএ, রয়টার্স)
পূর্ব ইউক্রেনের বিভাজন রেখায় বাড়ছে উত্তেজনা
রাশিয়ার সঙ্গে চরমে উঠেছে ইউক্রেনের সংঘাত৷ রাশিয়া সীমান্তে ন্যাটোর সেনা মোতায়েন উত্তেজনা বাড়িয়েছে৷ ইউক্রেন সীমান্তে সামরিক তত্পরতা বাড়িয়েছে মস্কো৷ অন্যদিকে ইউক্রেনও পিছিয়ে নেই৷ প্রস্তুত রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরাও৷
ছবি: AP Photo/picture alliance
রুশ-ইউক্রেন উত্তেজনা
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর একজন সেনাকে দেখা যাচ্ছে৷ দনেত্স্ক এলাকার হরলিভকাতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত তিনি৷ রুশপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিভাজন রেখার কাছে বন্দুকধারী সেনার ছবি ক্যামেরাবন্দি করেছেন একজন আলোকচিত্রী৷
ছবি: Anna Kudriavtseva/REUTERS
সেনার প্রস্তুতি
রাশিয়ার গুপ্তচররা ইউক্রেনের ভিতরে ঢুকে যুদ্ধের বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ৷ যদিও রাশিয়া এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷ দনেত্স্ক এলাকায় রাশিয়াকে রুখতে প্রস্তুত রয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী৷
প্রত্যেক ইউক্রেনীয় সেনাই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত৷ যে কোনো মুহূর্তে যুদ্ধ শুরু হতে পারে, মানসিকভাবে এমন প্রস্তুতি রয়েছে তাদের৷
ছবি: Anna Kudriavtseva/REUTERS
প্রস্তুত ‘নোঁ দ্য গ্যার ইয়াকুট’
লুহানস্ক এলাকায় পোপাসনা শহরে ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনী ভোলোদিয়ার সেনারাও প্রস্তুত৷ এরা ‘নোঁ দ্য গ্যার ইয়াকুট’ নামে পরিচিত৷
ছবি: Maksim Levin/REUTERS
সামরিক অবস্থান শনাক্ত
দনেত্স্ক পিপলস রিপাবলিকের (ডিএনআর) এক অস্ত্রধারী জঙ্গির (মস্কোপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী) ছবিও ধরা পড়েছে চিত্রসাংবাদিকের ক্যামেরায়৷ সামরিক অবস্থান খতিয়ে দেখে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারাও৷
ছবি: Alexander Ermochenko/REUTERS
প্রতিপক্ষের মোকাবিলায়
লুহানস্ক এলাকায় পোপাসনায় রয়েছেন ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর সেনা আন্দ্রে৷ নোঁ দ্য গ্যার দ্রুইদ হিসেবে পরিচিত আন্দ্রেও মানসিকভাবে প্রতিপক্ষের মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছেন৷
ছবি: Maksim Levin/REUTERS
ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর সেনা
লুহানস্কে বরফ ঢাকা পথে হেঁটে চলেছেন ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর সেনারা৷ সামরিক বিন্যাস নিয়ে তৈরি তারা৷ একদিকে জারি হাই অ্যালার্ট, অন্যদিকে সেনা মোতায়েন৷ যুদ্ধের দামামা কি বেজে গেল? রাশিয়ার পরবর্তী পদক্ষেপ কী? উঠে আসছে এই প্রশ্নগুলি৷