রূপগঞ্জের ঘটনায় আহত একজন মারা গেছেন
২৪ অক্টোবর ২০১০ঢাকার অদূরে রূপগঞ্জে সেনা আবাসন প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদ করতে গিয়ে শনিবার গুরুতর আহতদের একজন মোস্তফা জামাল রোববার সকালে মারা গেছেন৷ তাঁকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল৷ তাঁর মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার আত্মীয়-স্বজন৷
বিকেল পর্যন্ত লাশ হাসপাতালেই ছিল৷ সন্ধ্যায় পুলিশ পাহারায় লাশ রূপগঞ্জে পাঠানো হয়৷ ডাক্তাররা জানিয়েছেন গুলিবিদ্ধ হয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মোস্তফা জামালের মৃত্যু হয়েছে৷ তিনি রূপগঞ্জের হরিনা গ্রামের কৃষক আব্দুর রফিকের ছেলে৷
শনিবারের ঘটনার প্রতিবাদে রোববার রূপগঞ্জ থানায় কয়েক হাজার অজ্ঞাত ব্যাক্তিকে আসামি করে পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে৷ রুপগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক মো. মুনসেফ আলী বাদী হয়ে মামলা করেছেন৷ তিনি জানান, হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়৷
রূপগঞ্জের কয়েতপাড়া ও রূপগঞ্জ ইউনিয়ন সেনা আবাসন প্রকল্পের জমির অধিগ্রহণ নিয়ে শনিবার আইন-শৃংখলাবাহিনী ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়৷ এতে কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়৷ ওই এলাকা থেকে সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছে৷
এদিকে রোববারও রূপগঞ্জ এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে৷ স্থানীয় লোকজন এর মধ্যেই খন্ড খন্ড প্রতিবাদ মিছিল বের করে৷ ওই এলাকায় পুলিশ অবস্থান করছে৷
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন, শনিবারের সংঘর্ষের পর এখনও কয়েকজন গ্রামবাসী নিখোঁজ রয়েছেন৷ তারা বলেছে কোনভাবেই তারা তাদের ভিটেমাটি সেনা আবাস প্রকল্পে দেবে না৷
অন্যদিকে, বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল আলম হানিফের বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছেন৷ তিনি বলেছেন, রূপগঞ্জের ঘটনার জন্য হানিফ খালেদা জিয়াকে দায়ী করে উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়েছেন৷ তিনি এই ঘটনার উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করে সেনাবাহিনী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনার কথা বলেছেন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম