রেল লাইনে ছাত্রীর মরদেহ: পশ্চিমবঙ্গে প্রশ্নে নারী নিরাপত্তা
পায়েল সামন্ত কলকাতা
৯ নভেম্বর ২০২৪
‘‘ওরা আমাকে বাঁচতে দেবে না,’’ মাকে এই কথা বলে মারা গেলেন এক ছাত্রী৷ তার দেহ মিললো রেল লাইনে৷ কাদের হুমকির মুখে পড়েছিলেন মৃত ছাত্রী?
বিজ্ঞাপন
আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের পর নাগরিক সমাজ পথে নেমেছে৷ নারী নিরাপত্তার দাবি জোরদার হয়েছে৷ তারা রাত দখলের আন্দোলন করেছেন৷ কিন্তু নারীর বিরুদ্ধে অপরাধের প্রবণতা কমছে না৷ পূর্ব বর্ধমানে ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু তার আরও একটি নমুনা বলে মনে করা হচ্ছে৷
ছাত্রীরদেহউদ্ধার
পূর্ব বর্ধমানের ধাত্রীগ্রামে বাড়ি মৃত ছাত্রীর৷ দ্বাদশ শ্রেণীর এই ছাত্রী কাছেই কালনা শহরে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে যেত৷ মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফিরতো৷ শুক্রবার সন্ধ্যায় পড়া শেষ হওয়ার পর সে মাকে ফোন করে৷ ফোনে তার ভয়ার্ত কণ্ঠ শোনা যায় বলে মায়ের দাবি৷
মৃত ছাত্রীর মা বলেন, ‘‘আমাকে ফোন করলে আমি টিউশন থেকে বাড়ি নিয়ে আসি৷ কালকে ফোন করে বললো, ওরা আমাকে বাঁচতে দেবে না! এরপরই ফোনটা কেটে যায়৷ আর কল করে ওকে পাওয়া যায়নি৷'' পুলিশে খবর গেলে শুরু হয় অনুসন্ধান৷ রাতে জিউধারা এলাকার রেলগেট থেকে উদ্ধার হয় ছাত্রীর দেহ৷
শনিবার কালনা হাসপাতাল থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে ছাত্রীর দেহ৷ সেখানেই ময়নাতদন্ত হয়েছে৷ পুলিশ খতিয়ে দেখছে, কাদের কথা বলতে চেয়েছিল পড়ুয়া৷ কেউ কি তাকে হুমকি দিয়েছিল? কোনো চাপের মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে?
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ছাত্রীটি কালনা স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে৷ প্লাটফর্মে উঠছে, আবার নেমে যাচ্ছে৷ এভাবে ইতস্তত ঘুরতে দেখা গিয়েছে তাকে৷ সেই সময় কি কারো সঙ্গে কথা বলেছিল সে? কারো জন্য অপেক্ষা করছিল? পুরো বিষয়টি ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের৷
মৃত ছাত্রীর মা জানিয়েছেন, তার মেয়ে ধাত্রীগ্রাম এলাকায় সেরা ফল করেছিল পরীক্ষায়৷ তার প্রতি কারো ঈর্ষা থাকতে পারে৷ কিন্তু এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে তিনি কিছু বলতে পারেননি৷ কেউ ছাত্রীকে চাপে রেখেছিল কি না, সে ব্যাপারেও তিনি অন্ধকারে৷ পুলিশ তদন্ত করে দেখছে, ছাত্রী আত্মহত্যা করেছিল, নাকি তাকে খুন করে লাইনে ফেলে দেয়া হয়েছে?
মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘‘ময়নাতদন্ত যাতে সঠিকভাবে হয়, সেজন্য আমি বর্ধমান মেডিক্যালে কথা বলেছি৷ পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে৷ অপরাধী যেই হোক, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷’’
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে যে দশটি কাজ করতে পারেন
বিশ্বের সবদেশেই কমবেশি সহিংসতার শিকার হচ্ছেন নারীরা৷ বর্তমানে করোনা মহামারির কারণে তাদের অবস্থা আরো নাজুক হয়ে উঠেছে৷ জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থা ইউএন উইম্যান নারীদের সুরক্ষায় সহায়তার দশটি উপায়ের কথা জানিয়েছে৷
ছবি: Daniel Mihaulescu/AFP/Getty Images
ভুক্তভোগীর কথা শুনুন
একজন নারী সহিংসতার শিকার হওয়ার পর মুখ খোলার অর্থ হচ্ছে, তিনি সেই সহিংস পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্যে প্রথম ধাপ অতিক্রম করেছেন৷ তখন সমাজের সবার উচিত তিনি যাতে তার কথা বলতে পারেন, সেরকম নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা এবং তার কথা শোনা৷ এক্ষেত্রে সহিংসতার শিকার নারীর পোশাক, যৌন পরিচয় বা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ নিয়ে কথা বলার মাধ্যমে ভুক্তভোগীকেই দায়ী করার চেষ্টার বিপরীতে অবস্থান নিতে হবে৷
ছবি: Maurizio Gambarini/dpa/picture alliance
পরবর্তী প্রজন্মকে শেখান
আমরা পরবর্তী প্রজন্মের সামনে যে উদাহরণগুলো তৈরি করবো সেগুলো ভবিষ্যতে লিঙ্গ, সম্মান এবং মানবাধিকার বিষয়ে তাদের মনোভাব সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে৷ যেসব প্রচলিত ধ্যানধারণায় ভুল আছে, সেগুলো সম্পর্কে তাদেরকে সচেতন করতে হবে৷ তাদের মধ্যে যে যেমন, তাকে সেভাবে গ্রহণের মানসিকতা তৈরি করতে হবে৷ পাশাপাশি পৃথিবী সম্পর্কে পরবর্তী প্রজন্মের মতামতও শুনতে হবে৷
ছবি: Aref Karimi/DW
ভুক্তভোগীর সহায়তা পাওয়ার সুযোগ তৈরি করুন
সহিংসতার শিকার হওয়া ব্যক্তি যাতে দ্রুত সহায়তা পেতে পারে সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে৷ দ্রুত সহায়তা বলতে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র, হটলাইন, পরামর্শের মতো বিষয়গুলো, যাতে ভুক্তভোগীর নাগালের মধ্যে থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. May
সম্মতির বিষয়টি বুঝতে হবে
একজন মানুষ মুক্তভাবে এবং উৎসাহের সাথে সম্মতি দিচ্ছেন কিনা সেটা নিশ্চিত করতে হবে৷ যৌনতায় একজন নারী সম্মতি দিচ্ছেন কিনা সে বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে হবে৷ ‘‘সে এটা চেয়েছিল’’ বা ‘‘ছেলেরা এমনই’’ এ ধরনের কথাবার্তা বলে একজন নারীর সম্মতি প্রদানের বিষয়টি এড়ানোর সুযোগ তৈরি করা যাবে না৷
নিগ্রহের নানা রূপ আছে এবং নির্যাতনের কারণে ভুক্তভোগীর উপর মারাত্মক শারীরিক ও মানসিক প্রভাব পড়তে পারে৷ আপনার যদি মনে হয় যে, আপনার কোনো বন্ধু নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, তাহলে তাকে সহায়তার চেষ্টা করুন৷ আপনার যদি মনে হয় কেউ আপনাকে নিপীড়ন করছে, তাহলে তা প্রতিরোধে সহায়তা নিন৷
ছবি: Imago Images/Panthermedia
আলোচনা করুন
নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা হচ্ছে মানবাধিকার লঙ্ঘন, যা দশকের পর দশক ধরে ঘটছে৷ এই চর্চা বিস্তৃত হলেও অবধারিত নয়, যদি আমরা চুপ না থাকি৷ ফলে নারীর প্রতি সহিংতার বিপরীতে শক্তভাবে অবস্থান নিন৷
ছবি: Frank Hoermann/Sven Simon/imago images
প্রতিবাদ করুন
ধর্ষণ সংস্কৃতি হচ্ছে এমন এক সামাজিক পরিবেশ, যেখানে যৌন সহিংসতাকে স্বাভাবিক এবং গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷ যুগ যুগ ধরে চলে আসা লিঙ্গ-বৈষম্য আর লিঙ্গ ও যৌনতা বিষয়ক ভ্রান্ত ধারণার কারণে বিষয়টি এমন হয়েছে৷ ধর্ষণ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে সবার উদ্যোগী হতে হবে৷
ছবি: Christin Klos/dpa/picture alliance
নারী বিষয়ক সংগঠনগুলোকে সহায়তা করুন
নারী অধিকার এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে কাজ করা স্থানীয় সংগঠনগুলোকে সাধ্যমতো সহায়তা করতে পারেন৷ জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থা ইউএন উইমেন এই বিষয়ক স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কাজ করছে৷
ছবি: Asif Hassan/AFP/Getty Images
জবাবদিহিতা নিশ্চিত করুন
কর্মক্ষেত্রে বা জনপরিসরে যৌন নিপীড়নসহ সহিংসতা নানাভাবে ঘটতে পারে৷ আপনার সামনে আপত্তিকর কিছু ঘটলে প্রতিবাদ করুন৷ এভাবে সবার জন্য নিরাপদ একটি পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করতে পারেন আপনি৷
ছবি: Beata Zawrzel/NurPhoto/picture alliance
পরিসংখ্যান দেখুন এবং আরো দাবি করুন
লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হলে বিষয়টি আমাদের বুঝতে হবে৷ আর এজন্য এ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত জানলে সে অনুযায়ী উদ্যোগী হওয়া সম্ভব
ছবি: Michael McCoy/Reuters
10 ছবি1 | 10
প্রশ্নে নারী সুরক্ষা
আর জি করের ঘটনার পরএকের পর এক এমন ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গে নারী সুরক্ষা প্রশ্নের মুখে পড়েছে৷
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে এক চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়৷ এক্ষেত্রে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে৷ তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয় গ্রামে, হামলা চালানো হয় পুলিশ ফাঁড়িতে৷
নদিয়ার কৃষ্ণনগরে এক তরুণীর দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয় দুর্গাপুজোর মণ্ডপের একাংশে৷ শহরের জমজমাট একটি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে৷
পুরুলিয়ায় নদীর চর থেকে উদ্ধার হয় এক তরুণীর ক্ষতবিক্ষত দেহ৷ কাছেই ঝাড়খন্ড সীমানা৷ সেখান থেকে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে দুষ্কৃতীরা অপরাধ করেছে বলে অনুমান করা হয়৷
মুর্শিদাবাদের ডোমকলে শিশুকে চকোলেট দেয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে নিগ্রহ করার অভিযোগ ওঠে৷ উত্তরবঙ্গের ফালাকাটাতে ছয় বছরের এক নাবালিকাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে৷ অভিযুক্ত মারা যায় গণপ্রহারে৷
শুধু নাবালিকা, শিশু নয়, অন্যান্য নারীরাও এর শিকার হচ্ছেন৷ পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে এক প্রৌঢ়াকে ধর্ষণের চেষ্টা করে দুই যুবক৷
বিভিন্ন ধরনের যৌন অপরাধের যে হিসেব ব্যুরো-র কাছে রয়েছে, তার ২০২২ পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী, দেশে এই ধরনের ঘটনা কমছে৷ এই নিম্নমুখী হার শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, অন্যান্য রাজ্যেও৷ এই হার নারীদের বিরুদ্ধে সব অপরাধ, হত্যা ও ধর্ষণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য৷ যদিও হ্রাসের হার অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এখানে কম৷
এই তথ্য পরিসংখ্যানের সঙ্গে অভিজ্ঞতা মেলে না বলে অনেকের মত৷ তারা গভীরে গিয়ে কারণ অনুসন্ধান করেন৷
সমাজতত্ত্বের অধ্যাপক সুহৃতা সাহা ডিডাব্লিউকে বলেন, ‘‘মেয়েদের পণ্য হিসেবে দেখানো হয়৷ সেটা পাল্টানো দরকার৷ রাষ্ট্র, সমাজ, ব্যক্তি মানুষের মানসিকতা বদলের প্রয়োজন৷ শিক্ষাই একমাত্র সেটা বদলাতে পারে৷ মানুষকে শুধু মানুষ হিসেবে ভাবা ও তার লিঙ্গ পরিচয় দিয়ে না ভাবা প্রয়োজন৷''
নারী সুরক্ষা কতটা আইনশৃঙ্খলার সমস্যা, কতটা সামাজিক ব্যাধি, তা নিয়ে বিতর্ক আছে৷
সমাজকর্মী, অধ্যাপক শাশ্বতী ঘোষ বলেন, ‘‘এটাকে অনেকেই সামাজিক ব্যাধি বলছেন৷ কিন্তু এ কথা বলে দায়িত্ব শুধু সামাজিক সংগঠনগুলির উপর ঠেলে দিলে হবে না৷ এখানে রাজনৈতিক দলগুলিরও দায়িত্ব আছে৷ তাদেরও দেখতে হবে, যাতে এ ধরনের সামাজিক অপরাধ প্রশ্রয় না পায়৷’’
পুলিশের ভূমিকা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন সাবেক পুলিশকর্তা নজরুল ইসলাম৷ ডিডাব্লিউকে বলেন, ‘‘পুলিশের একটা ওয়ার্ক কালচার তৈরি হয়ে গিয়েছে৷ শাসক দলের লোকেরা বললে তবে পুলিশ ছুটতে শুরু করবে, কিন্তু তার আগে তারা কিছু করবে না৷ এমনটা চললে অপরাধীরা প্রশ্রয় পাবে৷ অপরাধ কমানো যাবে না৷ অভিযোগ পেলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে৷’’
কলকাতার প্রতিবাদস্থলের চেহারা এখন কেমন?
আরজি করে চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের পর উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। চলছিল অন্য প্রতিবাদও। আজ সেই ছবিটা কেমন?
ছবি: Satyajit Shaw/DW
আরজি করের বিক্ষোভস্থল
প্রতিবাদের কেন্দ্রস্থল ছিল এটাই। প্রতিবাদীদের ভিড়ে, স্লোগানে, নতুন নতুন পোস্টারে প্রতিবাদস্থলের চেহারা আলাদা ছিল। এখন সেই জায়গাটা ফাঁকা। জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে দুইটি সংগঠন হয়েছে। সবাই কাজে ফিরেছেন। এই জায়গার পাশ দিয়ে গেলে আগের বিক্ষোভের ছবিগুলো চোখে ভেসে ওঠে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
পোস্টারে পোস্টারে
প্রতিবাদস্থলের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পোস্টার। শুধু প্রতিবাদীরাই নেই। একসময় জোরালো প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। সাধারণ মানুষ নেমে এসেছিলেন পথে। আজ তার কেন্দ্রস্থলে শূন্যতা বিরাজ করছে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
আছে দেওয়াললেখা
আরজি কর হাসপাতালে ঘুরলেই চোখে পড়বে নানা ধরনের পোস্টার, ছবি ও দেওয়াললেখা। তার পাশ দিয়েই হেঁটে যাচ্ছেন পড়ুয়ারা, আসা-যাওয়া করছেন রোগীরা।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
একই ছবি মেডিক্যাল কলেজেও
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও লাগাতার বিক্ষোভ হয়েছে। সেই বিক্ষোভস্থলে এখন রোগীর আত্মীয়রা একটু বিশ্রাম করে নিচ্ছেন।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
রাস্তায় ছবিগুলো এখনো আছে
মেডিক্যালের সামনে রাস্তায় প্রতিবাদের ছবি মলিন হলেও এখনো আছে। আছে মেডিক্যালের ভিতরের পোস্টার ও দেওয়াললেখাও। নেই সেই প্রতিবাদ।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
ধর্মতলাও স্বাভাবিক
ধর্মতলার অবস্থানমঞ্চের সামনের অবস্থা স্বাভাবিক। সেখানে রাস্তায় এই ছবি না থাকলে বোঝাই যেত না, এখানে অবস্থান, প্রতিবাদ হয়েছিল।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
গান্ধীমূর্তির পাশটাও ফাঁকা
এখানে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাতেন এসএলএসটি-র চাকুরিপ্রার্থীরা। সেই জায়গাও এখন ফাঁকা। অন্তত বুধবার এখানে কোনো প্রতিবাদকারীর দেখা পাওয়া যায়নি। তারা আর রোজ আসেন না বা আসতে পারেন না।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিবাদ চলছে
ডিএ বা মহার্ঘভাতা-সহ নানা দাবিতে সরকারি কর্মীদের বিক্ষোভ চলছে। তারা ৬৫০ দিনেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
গ্রুপ সি ও ডি-র কর্মীদের বিক্ষোভ
এছাড়াও চলছে সরকারি গ্রুপ সি ও ডি কর্মীদের বিক্ষোভ। তাদের বিক্ষোভ ৭৮৭ দিনে পড়েছে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভও চলছে
মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির কাছে আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভও চলছে। কলকাতা হাইকোর্ট ১৪ হাজার ৫২টি খালি পদে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, এই নিয়োগ নিয়েও গড়িমশি করা হচ্ছে।