1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রেস্টুরেন্টেই মদ আর ধর্মচর্চা!

৮ এপ্রিল ২০১৬

জাপানে বৌদ্ধ মন্দিরে এখন আর বেশি মানুষ যায় না৷ তাই বলে ভিক্ষুরা মন খারাপ করে বসে নেই৷ খোলা হয়েছে নতুন ধরণের রেস্টুরেন্ট৷ খাওয়া-দাওয়া, চা-কফি এমনকি মদ্যপানও চলে সেখানে৷ সঙ্গে থাকে বৌদ্ধ ধর্মের আলোচনা!

Japan buddhistische Mönche betreiben ein Restaurant in Tokio
ছবি: Reuters/Y. Shino

রাজধানী টোকিও এবং তার আশপাশে চুটিয়ে ব্যবসা করছে এমন কিছু রেস্টুরেন্ট৷ রেস্টুরেন্টগুলো আকারে খুব বড় নয়, তাই বলতে গেলে কোনো সময়ই ফাঁকা থাকে না৷ ২০ থেকে ৪০ বছরের নারীরাও যান সেখানে৷ খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি একটু ধর্ম নিয়ে কথা বলতে ভালোই লাগে তাঁদের৷

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রেস্টুরেন্টগুলোর মালিক বৌদ্ধ ভিক্ষু৷ কিছু কিছু রেস্টুরেন্টের ওয়েটারও ভিক্ষু৷ বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে দিব্যি অ্যালকোহল, অর্থাৎ মদও পরিবেশন করেন তাঁরা৷ হাসিমুখে কথা বলেন ক্রেতাদের সঙ্গে৷ ধর্মবিষয়ক প্রশ্নের উত্তরও দেন ভিক্ষুরা৷

টোকিওর এমনই এক রেস্টুরেন্টের নাম ‘টেরা ক্যাফে'৷ জাপানি শব্দ ‘টেরা' মানে মন্দির৷ সুতরাং বাংলায় রেস্টুরেন্টটির নাম দাঁড়ালো ‘মন্দির ক্যাফে'৷ সেই ক্যাফেতে মন্ত্র জপ করার জন্য পুঁতির মালা রাখা হয়েছে৷ কাপড়ে লেখা আছে মন্ত্র৷ ভেতরে গিয়ে একজন ভিক্ষুকে ডেকে নিয়ে কিছু একটা খেতে খেতেই শুরু করতে পারেন ধর্ম নিয়ে আলোচনা৷ চাইলে একটু মন্ত্রও জপ করে নিতে পারেন৷

‘টেরা ক্যাফে'র মালিক হিরোতাকে আসানো নিজেও ভিক্ষু৷ এখনো শিংগোয়িজি মন্দিরের প্রধান ভিক্ষুর দায়িত্বে আছেন তিনি৷ ২০১৩ সালে ‘টেরা ক্যাফে' প্রতিষ্ঠার পর থেকে ধর্ম প্রচারের কাজ মন্দিরের বাইরেই করছেন বেশি৷ ‘টেরা ক্যাফে' ব্যবসা সফল হওয়ায় আরো তিনটি রেস্টুরেন্ট এবং একটি গলফ শপও খুলেছেন হিরোতাকে আসানো৷ রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় নামার কারণ জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আজকাল লোকজন আর মন্দিরে আসেনা- এই কথা বলে কান্নাকাটি না করে আমি মন্দিরকেই মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে চেয়েছি৷''

এসিবি/জেডএইচ (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ