‘রেহানা মরিয়ম নূর'-এর মতো প্রাপ্তি দেখলে ভাল লাগে!
৮ জুলাই ২০২১
সাদ এবং পুরো টিমকে ধন্যবাদ কানের বুকে এক ফোঁটা বাংলাদেশ দেখানোর জন্য৷‘রেহানা মরিয়ম নূর'-এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারের ভিডিওটি ডয়চে ভেলের ফেসবুকে দেখে এমন মন্তব্য করেছেন অসংখ্য পাঠক৷
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাছবি, বাংলাদেশের ছবি অসাধারণ একটা ব্যাপার.....ভালোই লাগে যখন দেখি দেশের কাজগুলো আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে প্রসংশা পায়৷ অনেক অনেক শুভ কামনা থাকলো 'রেহানা মরিয়ম নূর' ছবিটির জন্য৷ ভিডিও দেখে পাঠক সাইরাস মিলি তার ভালো লাগার কথা জানিয়েছেন এভাবেই৷ আর অভি লিখেছেন স্বনামধন্য অভিনেত্রী বাঁধনের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্র যে কান চলচ্চিত্র উৎসবের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্থান করে নিয়েছে তা বাঙালি জাতির গর্ব৷
‘রেহানা মরিয়ম নূর'এর সম্মাননায় আবেগঘন মুহূর্তটি বাংলাদেশকে ও দেশের চলচ্চিত্রকে একটি অনন্য উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছে৷ সকল টিম মেম্বারদের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন! সাঁচি চৌধুরীর মন্তব্য৷
'রেহানা মরিয়ম নূর' এর নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা বাঁধন৷ ভিডিওতে কানের প্রিমিয়ারে নায়িকা বাঁধনের আনন্দাশ্রু দেখে পাঠক আদনান আরিফ লিখেছেন, এই কান্না ভালোবাসার, এই কান্না বাংলাদেশকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার কান্না৷ প্রায় একই কথা লিখেছেন শোয়েব আহমেদও৷
আর পাঠক শাহাদাত সিমন লিখেছেন, একটা জীবন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়ে সেখান থেকে আবার কিভাবে নিজেকে গড়তে হয় বাঁধনকে দেখে বোঝা যায়৷ অভিনন্দন প্রিয় আজমেরি হক বাঁধন৷ শরীফুল ভুঁইয়া বলছেন, কিছু আনন্দে চোখ বেয়ে আসে জল, কিছু আনন্দে শরীর কাটা দেয়, 'রেহানা মরিয়ম নূর' তেমনই একটি সৃষ্টি৷
কিছু খবর সারাদিনের বিরক্তি ভুলিয়ে মুখে এক চিলতে হাসি ফোটাতে পারে বলে মনে করেন পাঠক রাকিব হাসান আর ‘রেহানা মরিয়ম নূর' তার কাছে তেমনই একটি ছবি৷ তিনি ধন্যবাদ দিয়েছেন সাদ এবং পুরো টিমকে কানের বুকে এক ফোঁটা বাংলাদেশ দেখানোর জন্য৷
‘রেহানা মরিয়ম নূর'-এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারের ভিডিওর অসাধারণ দৃশ্য দেখে গর্বে বুক ভরে উঠেছে, ঠিক এভাবেই লিখেছেন পাঠক সুশীল লিলা শুভ্র৷
এদিকে পাঠক কাকলি কাজি হলে গিয়ে ছবিটা দেখার আশা ব্যক্ত করেছেন৷ তবে ছবিটি নিয়ে বাংলাদেশে আলোচনা, উন্মাদনা কিছুই নেই বলে জানিয়েছেন পাঠক বাবু তানজিব৷
ভাল লাগে '-এর মতো কিছু প্রাপ্তি দেখলে! মন্তব্য শামসুজ্জোহা সাদিকের৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: খালেদ মুহিউদ্দীন
কানে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী যারা
এক নজরে দেখে নেয়া যাক আঁ সার্তে রিগা ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের ‘রেহানা মরিয়ম নূর’-এর প্রতিদ্বন্দ্বী কারা!
ছবি: Zbaer Ahmed/DW
কী এই আঁ সার্তে রিগা?
আঁ সার্তে রিগা এর অর্থ 'অন্য দৃষ্টি থেকে'। নামের সঙ্গে মিল রেখেই অন্যভাবে যারা সিনেমা তৈরি করে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দিতে চান, তাদের জন্যই এই ক্যাটাগরি। উৎসবের মূল পুরস্কার পাম দি'ওর এর জন্য কম্পিটিশন বিভাগে আসে বিশ্বনন্দিত পরিচালকদের ছবি। কিন্তু এর বাইরের ছবিগুলোর প্রতিযোগিতার জন্য এই ক্যাটাগরি চালু হয় ১৯৭৮ সালে। ২০টি চলচ্চিত্র স্থান পায় এখানে, পুরস্কার প্রায় ৩০ হাজার ইউরো বা প্রায় ৩০ লাখ টাকা।
ছবি: Brynn Anderson/AP/picture alliance
বাংলাদেশের 'রেহানা মরিয়ম নূর'
মেডিকেল কলেজের সহকারি অধ্যাপক রেহানা মরিয়ম নূর। কলেজের এক অধ্যাপকের কক্ষ থেকে এক ছাত্রীকে কাঁদতে কাঁদতে বের হয়ে আসতে দেখেন রেহানা। পরে তার ছয় বছরের মেয়ের অদ্ভুত আচরণ বিষয়ে স্কুল থেকেও অভিযোগ আসে। রেহানা সমাজের উন্মত্ততার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শপথ নেন। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ, প্রযোজনা করেছেন জেরেমি চুয়া। নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আজমেরি হক বাঁধন।
ছবি: Potocol and Metro Video
যুক্তরাষ্ট্রের 'আফটার ইয়েং'
ছোট্ট মেয়ের সবচেয়ে কাছের বন্ধু- অ্যান্ড্রয়েড রোবট ইয়েং একদিন যান্ত্রিক ত্রুটির শিকার হয়। বাবা জেইক তখন সেটিকে সারানোর উপায় খুঁজে বের করেন। এই প্রক্রিয়ার মধ দিয়ে যেতে গিয়ে জীবনের নতুন অর্থ খুঁজে পান তিনি। পরিচালক কোগোনাডার পরিচালনায় জেইকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কলিন ফ্যারেল।
ছবি: A24 Films
তুরস্কের 'আগলিলিক হাসান'
উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া জমিতে চাষ করে জীবন ভালোই কাটছিল হাসানের। কিন্তু একদিন তার জমির মাঝখানেই বিদ্যুতের খুঁটি বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। হাসান এর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। পরবর্তীতে মক্কায় তীর্থযাত্রা সবকিছুকে নতুনভাবে তার সামনে উপস্থাপন করে। সেমিহ কাপলানোলুর পরিচালনায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন উমুত কারাদাগ।
ছবি: Kaplan Film & Sinehane
যুক্তরাষ্ট্রের 'ব্লু বাইউ'
প্রেমিকা ও স্ত্রী ক্যাথি এবং সৎ মেয়ে জেসিকে নিয়ে সুখেই জীবনযাপন করছিলেন কোরিয়া থেকে দত্তক সন্তান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে আসা আন্তোনিও লাব্লাংক। হঠাৎ একদিন লাব্লাংকের জীবন ওলটপালট হয়ে যায়। তিনি জানতে পারেন, তাকে যেকোনো সময় কোরিয়া ফেরত পাঠানো হতে পারে। পুরষ্কারপ্রাপ্ত লেখক-পরিচালক জাস্টিন চোন নিজেই অভিনয় করেছেন আন্তোনিও লাব্লাংক- এর ভূমিকায়।
ছবি: Entertainment One - MACRO/imago images
ফ্রান্সের 'বন মেরে' বা 'ভালো মা'
পঞ্চাশোর্ধ্ব পরিষ্কারকর্মী নোরা ছেলে এলিসকে নিয়ে বেশ চিন্তায় আছেন। এলিস ডাকাতির দায়ে কয়েক মাস ধরে কারাগারে। এই অপেক্ষার সময়টা যতটা সম্ভব নিজের কষ্ট কমানোর চেষ্টা করেন নোরা। হাফসিয়া হেরজির পরিচালনায় নোরার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন হালিমা বেনহামেদ।
ছবি: Guy Ferrandis/SBS Productions/Design: Benjamin Seznec TROIKA
রাশিয়ার 'ডেলো' বা 'গৃহবন্দী'
বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ডেভিড সোশাল মিডিয়ায় শহর কর্তৃপক্ষের সমালোচনা শুরু করেন। কিন্তু মেয়রের বিরুদ্ধের তদন্তের বদলে ডেভিডের বিরুদ্ধেই অর্থ কারচুপির অভিযোগ এনে তাকে গৃহবন্দী করা হয়। সব চাপ সত্ত্বেও ডেভিড তার বক্তব্যে অনড় থাকেন। আদালতের বিচারের তারিখ যত এগিয়ে আসতে থাকে, এই লড়াইয়ে কার জয় হবে, এ নিয়ে চিন্তাও বাড়তে থাকে। আলেকসেই জের্মান জুনিয়রের পরিচালনায় ডেভিডের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মেরাব নিনিদজে।
ছবি: Daria Shumakova
অস্ট্রিয়া-জার্মানির 'ডি গ্রোসে ফ্রাইহাইট'
সিনেমাটির নামের অর্থ 'মহান স্বাধীনতা'। যুদ্ধপরবর্তী জার্মানিতে সমকামী হওয়ার কারণে হান্সকে বারবার গ্রেপ্তার করা হয়। ১৭৫ অনুচ্ছেদের কারণে তার স্বাধীনতা একেবারেই ক্ষুণ্ণ। তার জীবনে একমাত্র দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক হয় কারাগারে তার কক্ষে থাকা খুনি ভিক্টরের সঙ্গে। সেবাস্টিয়ান মাইজের পরিচালনায় হান্সের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ফ্রানৎস রোগোভস্কি।
ছবি: reibeuterfilm_Rohfilm
হাইতি, ফ্রান্স, বেনিনের 'ফ্রেদা'
পোর্ত-অউ-প্রিন্সের দরিদ্র এলাকায় ফ্রেদার পরিবারের বাস। রাস্তার পাশের ছোট দোকান তাদের খাওয়াপড়ার জোগান দিলেও হাইতির চলমান সহিংসতা তাদের ধীরে ধীরে শঙ্কিত করে তুলছে। তবে ফ্রেদা তার দেশের ভবিষ্যতের ওপর ভরসা করতে চান। জেসিকা জেনেউস এর পরিচালনায় নেয়েমিয়া বাস্টিয়েন অভিনয় করেছেন ফ্রেদা চরিত্রে।
ছবি: SaNoSi Productions
চীনের 'গায়ে ওয়া'র'
এই শব্দের অর্থ 'রাস্তার জ্ঞানী'। ডংজি তার বাবার চিকিৎসার জন্য অন্যদের দেয়া ধারের টাকা ফেরত নেয়ার ওপর নির্ভর করে। অস্থির মানসিক অবস্থাতেও জিউওর নামের এক মেয়ে তার মনে স্বস্তি এনে দিতে পারে। কিন্তু ঘটনাক্রমে একইদিনে ডংজি তার বাবা এবং জিউওরকে হারায়। জিয়াঝৌ না এর পরিচালনায় মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জিউচিয়াও লি।
ছবি: The Seventh Art Pictures
বেলজিয়াম, রোমানিয়া, মেক্সিকোর 'লা সিভিল'
সিয়েলোর মেয়েকে মাদকচক্রের লোকজন অপহরণ করেছে। কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হওয়ার পর সিয়েলো নিজের কাঁধেই মেয়ে খুঁজে বের করার দায়িত্ব নেন। তদন্তে নেমে ভিন্ন ধারায় কাজ করা এক আর্মি মেজরের সঙ্গে পরিচয় হয় সিয়েলোর। এরপর এগিয়ে চলে ঘটনা। একের পর এক সহিংস ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন সিয়েলো। সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন তিওডোরা আনা মিহাই। সিয়েলোর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আর্সেলিয়া রামিরেজ।
ছবি: Menuetto - Agustin Paredes
আইসল্যান্ডের 'ল্যাম্ব'
আইসল্যান্ডের এক প্রেমিক জুটি মারিয়া এবং ইংভার এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভেড়ার খামারে থাকেন। একদিন খামারে এক নবজাতককে কুড়িয়ে পান তারা। নিজেদের সন্তানের মতো লালন পালন করে শুরুতে অসীম আনন্দ পেলেও পরবর্তীতে তা হয়ে দাঁড়ায় তাদের ধ্বংসের কারণ। ভালদিমির জোহানসনের পরিচালনায় মারিয়া চরিত্রে নুমি রাপাসে এবং ইংভার চরিত্রে হিলমির স্নায়ের গুডনাসন অভিনয় করেছেন।
ছবি: Go to Sheep, Black Spark Film & TV, Madants, Film i Vast, Chimney, Rabbit Hole, Helgi Jóhannsson
ফ্রান্সের 'মঁ ফ্রেঁ এ মোয়াঁ'
সিনেমার নামের অর্থ- আমার ভাই এবং আমি। চার ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ১৪ বছরের নোয়া। তাদের মা দীর্ঘদিন ধরে কোমায় আছেন। ভাইদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে মায়ের যত্ন নেয় নোয়া। মায়ের পছন্দের অপেরা শোনাতে গিয়ে নোয়া নিজেই পড়ে যায় অপেরার প্রেমে। একসময় তার সামনেও সুযোগ আসে খোলস ভেঙে বের হয়ে আসার। ইয়োহান মাংকার পরিচালনায় নোয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছেন মায়েঁল রোয়িঁ-বেরান্দোঁ।
ছবি: David Koskas - Single Man Productions
তাইওয়ানের 'মানিবয়েজ'
তাইওয়ানের পাশাপাশি সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, বেলজিয়ামের প্রযোজকেরা। ফেই নামের এক সমকামী ছোটখাট অবৈধ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু যখন তিনি বুঝতে পারেন যে তার পরিবার তার উপার্জনের টাকা নিলেও তার সমকামী হওয়াটাকে মেনে নিতে রাজি না, তখন তার সব স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়ে যায়। সি. বি. ইয়ি এর পরিচালনায় ফেই এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কাই কো।
ছবি: MONEYBOYS
মেক্সিকোর 'নচে দে ফুয়েগো'
সিনেমার নামের অর্থ- চুরি যাওয়াদের জন্য প্রার্থনা। সিনেমটিতে তুলে ধরা হয়েছে মেক্সিকোর পাহাড়ি শহরের তিন শিশুর কথা। পরিত্যক্ত বিভিন্ন বাড়িতে নিজেদের পালিয়ে থাকার জায়গা গড়ে তোলে তারা। কিন্তু একসময় তাদেরও শিকার হতে হয় নানা সহিংসতার। মেক্সিকোর পাশাপাশি জার্মানি, ব্রাজিল ও কাতারের সহপ্রযোজনায় সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন তাতিয়ানা হুয়েৎসো।
ছবি: NOCHE DE FUEGO
জাপানের 'অনোডা'
১৯৪৪ সাল, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান হারার পথে। রহস্যে ঘেরা মেজর তানিগুচির আদেশে তরুণ হিরু অনোডা অ্যামেরিকান সৈন্যদের আসার ঠিক আগে আগে ফিলিপিন্সের একটি দ্বীপে যান। সেখানে তারা জঙ্গলে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। জাপানের জন্য যুদ্ধ শেষের দিকে হলেও অনোডার যুদ্ধ শেষ হয় ১০ হাজার রাত পর। আর্থার হারারির পরিচালনায় তরুণ আনোডার চরিত্রে ইউইয়া এন্দো এবং বৃদ্ধ আনোডার চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাঞ্জি ৎসুদা।
ছবি: athysphere
রাশিয়ার 'রাজহিমায়া কুলাকি'
এই সিনেমার নামের অর্থ- মুঠি শিথিল করা। উত্তর ওসেটিয়ার খনিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এক গ্রামে আদা নামে এক তরুণী বাস করেন। পরিবারকে ভালোবাসলেও তাকে পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকেই পালাতে হবে শিগগির। এ নিয়েই সিনেমার গল্প। কিরা কোভালেংকোর পরিচালনায় আদার ভূমিকায় করেছেন মিলানা আগুজারোভা।
ছবি: RAZZHIMAYA KULAKI
নরওয়ের 'দ্য ইনোসেন্টস'
নরওয়ের পাশাপাশি সুইডেন, ডেনমার্ক এবং যুক্তরাজ্যের প্রযোজকেরাও এই সিনেমার সহপ্রযোজনায় অংশ নিয়েছেন। নর্ডিক এলাকায় এক গ্রীষ্মকালে হঠাৎই এক দল শিশু বুঝতে পারে যে তাদের কিছু রহস্যময় ক্ষমতা রয়েছে। শুরুতে মজার খেলা হলেও একসময় অদ্ভুত সব কাণ্ড ঘটতে থাকে। সিনেমটাই পরিচালনা করেছেন এসকিল ফোগট।
ছবি: Mer Films
বেলজিয়ামের 'উন মন্দে'
সিনেমার নামের অর্থ- খেলার মাঠ। স্কুলে প্রায়ই আবেলকে অন্যান্য বাচ্চারা হেনস্তা করে। আবেলের সাত বছর বয়সি ছোট বোন নোরা তা সহ্য করতে না পেরে বাবকে জানাতে যায়। কিন্তু আবেল তাতে বাধা দেয়। নোরা শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের জীবনকে বোঝার ফারাক নিয়ে বেশ জটিলতায় পড়ে। লরা ওয়ানডেলের পরিচালনায় নোরার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মায়া ভানডেরবেকুয়ে।
ছবি: Dragons Films
ইসরায়েলের 'ভায়েহি বোকার'
ফ্রান্সের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে নির্মিত সিনেমাটির নামের অর্থ- সকাল হতে দাও। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে জেরুসালেমে বাস করেন সামি। ভাইয়ের বিয়েতে যোগ দিতে তিনি তার আরব অধ্যুষিত গ্রামে যেতে বাধ্য হন। বিয়ের পর কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই ইসরায়েলি বাহিনি সে গ্রাম অবরুদ্ধ করে। সামির জীবন পালতে যেতে শুরু করে। এরান কলিরিনের পরিচালনায় সামির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আলেক্স বাকরি।
ছবি: DORI MEDIA/LES FILMS DU POISSON
বুলগেরিয়ার 'উইমেন ডু ক্রাই'
ফ্রান্সের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে নির্মিত সিনেমাটি সত্য ঘটোনা অবলম্বনে নির্মিত। সিনেমাটিতে একটি বুলগেরিয়ান পরিবারের নারীদের মুখোমুখি হওয়া নানা সংকটের কথা তুলে ধরা হয়েছে। নারীর সমতার বিরোধীদের সহিংসতার চিত্রও দেখানো হয়েছে পরিচালক মিনা মিলেভা নির্মিত সিনেমাটিতে।