রোজার সময় খেজুর ছাড়া ইফতার করার কথা যেন ভাবাই যায় না৷ খেজুর খেতে মিষ্টি এবং এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালোরি এ কথা ঠিক৷ তবে এতে রয়েছে প্রচুর খাদ্যগুণ, যেমন ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’ আয়রন এবং প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা হৃদপিণ্ড এবং রক্তচাপের জন্য খুবই উপকারী৷ আরো রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম, অ্যামিনো অ্যাসিড৷ তাছাড়াও ট্রিপটোফেন-মেলাটনিন হরমোন যা, ভালো ঘুম হতে সহায়তা করে৷

পারস্য উপসাগর খেজুরের আদিবাস, তবে উত্তর আফ্রিকা, পাকিস্তান, মিশর, ইরান এবং সৌদি আরবেই প্রচুর খেজুর জন্মায়৷ তবে জার্মানিতে গুণমান সম্পন্ন বেশিরভাগ খেজুর আমদানী করা হয় টিউনেশিয়া থেকে৷

শুকনো খেজুরের ওজনের শতকরা ৮০ ভাগই চিনি এবং সে কারণেই সরাসরি রক্তে চলে যায়৷ আর সে কারণেই শুকনো খেজুরকে মরুভূমির গ্লুকোজ বলা হয়ে থাকে৷

বিশেষজ্ঞের মতে, খেজুরে থাকা উচ্চ মাত্রার ভিটামিন ‘বি’ নার্ভকে শান্ত করে রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে৷

খেজুরে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড ও ট্রিপটোফেন, যা সিরোটোনিন হরমোন তৈরিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ এছাড়া এই মিষ্টি ফল মনে আনন্দের অনুভূতি ছড়িয়ে দেয়, খুশি রাখে৷

স্ট্রেস ও নার্ভাসনেসের কারণে মাথা ব্যথা হলে তা সহজেই দূর করতে পারে খেজুর৷ খেজুরে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, যা স্ট্রেস দূর করতে সহায়ক৷

ভিটামিন ‘কে’-তে ভরপুর খেজুর৷ হাড়কে মজবুত রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে ভিটামিন ‘কে’৷

মানসিক চাপ, রাগ বা অন্য অনেক কারণেই হঠাৎ করে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়৷ আবার এর সঙ্গে পেট ব্যথাও হয়ে থাকে অনেক সময়৷ এরকম পরস্থিতিতে শুকনো খেজুর খেলে খুব সহজে পেট পরিষ্কার হতে পারে৷ তবে সাথে প্রচুর পানি পান করতে হবে৷ একমাত্র তবেই সঠিক ফল পাওয়া সম্ভব৷

তাজা খেজুর সরাসরি ফ্রিজে রাখা ভালো এবং কয়েকদিনের মধ্যেই তা খেয়ে ফেলা উচিত৷ তবে শুকনো খেজুর বা খোরমা কিছুদিন রেখে খাওয়া যায়৷ তবে লক্ষ্য রাখতে হবে তাতে যেন পোকা বা ফাঙ্গাস না হয়৷ এরকমটা হলে খেজুর সাথে সাথেই ফেলে দেওয়া উচিত৷

যাঁদের মাইগ্রেন বা প্রচণ্ড মাথা ব্যথার সমস্যা রয়েছে, তাঁদের খেজুর না খাওয়াই ভালো৷ কারণ ছোট মিষ্টি খেজুরে‘টিরামিন’ বলে যে পদার্থটি রয়েছে, তা মাথা ব্যথা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে৷ তাছাড়া আর যাঁরা ডিপ্রেশনে ভুগছেন, তাঁদের জন্যও খেজুর খাওয়া ঠিক নয়৷ এক্ষেত্রে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে৷

ঢাকার অধিকাংশ মসজিদের দরজায় এখন তালা ঝুলছে৷ করোনা প্রতিরোধে গত সোমবার মসজিদ, মন্দিরসহ উপাসনালয়ে প্রার্থনার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার৷ তবে নিয়মিত আজান দেয়া হচ্ছে৷

অনেক মসজিদের দরজায় সরকারি নির্দেশনাটি টাঙিয়ে রাখা হয়েছে৷

করোনা আতঙ্কে মসজিদের কিছু ওজুখানাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷

সরকারি নির্দেশনায় প্রতি ওয়াক্তের নামাজে ইমাম, মুয়াজ্জিন আর খাদেমসহ সর্বোচ্চ পাঁচজন উপস্থিত থাকতে পারবে বলে জানানো হয়৷ তবে মঙ্গলবার রাতে শুক্রাবাদের একটি মসজিদে এশার নামাজের সময় তোলা এই ছবিতে মাত্র দুজনকে দেখা যাচ্ছে৷

বুধবার ধানমন্ডির এক মসজিদে জোহরের নামাজের সময় এই ছবিটি তোলা৷ দরজা দিয়ে শুধু ইমাম আর মুয়াজ্জিনকে ঢুকতে দেয়া হয়েছে৷

তাবলিগ জামাতের প্রধান কেন্দ্র কাকরাইল মসজিদ৷ সরকারি নির্দেশনার পর এই মসজিদের দরজাও এখন বন্ধ৷

সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন যেন সম্ভব হয় তাই কাকরাইল মসজিদের গেটে পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছে৷

বিদেশ থেকে আসা তাবলিগের প্রায় ৫০০ সদস্য এখনো বাংলাদেশের বিভিন্ন মসজিদে কোয়ারান্টিনে আছেন৷ তাদের বড় একটি অংশ আছেন কাকরাইল মসজিদে৷

বৃহস্পতিবার শবে বরাতের রাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের বাইরে কোনো মুসল্লিকে দেখা যায়নি৷

ভেতরে নিয়ম মেনে ইমাম, মুয়াজ্জিন আর খাদেমসহ পাঁচজন শবে বরাতের নামাজ পড়েছেন৷

তবে আরো দু-একজন মুসল্লিও ছিলেন৷ তারা আলাদাভাবে নামাজ আদায় করেন৷

বায়তুল মোকাররমে আগে থেকে পুলিশ মোতায়েন করা হয় যেন জুমার নামাজে ভিড় না হয়৷

জুমার নামাজে সর্বোচ্চ ১০ জনের নামাজ পড়ার অনুমতি আছে৷ সেই নিয়মও মানা হয়েছে৷

মসজিদে ঢোকার মুখে এত জুতা, স্যান্ডেল বলে দিচ্ছে ভেতরে নিয়মের চেয়ে বেশি লোক ঢুকেছে৷ তবে মসজিদে ঢুকে দেখা যায় তাঁরা নিরাপদ দূরত্বে থেকে আলাদা হয়ে নামাজ পড়ছেন৷

কেউ কেউ মসজিদের বাইরে দেয়ালের পাশে নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে জুমার নামাজ আদায় করেন৷

মসজিদের বাইরে দাঁড়িয়ে নামাজের সময় কেঁদে ফেলেন এই তরুণ৷

সরকারে আহবান মেনে মুসল্লিরা এখন বাসায় একাকি বা পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে নামাজ আদায় করছেন৷

এই ছবিটি গত সপ্তাহের৷ জুমার নামাজের সময় মসজিদ ছাড়িয়ে রাস্তায়ও নামাজ আদায় করেছিলেন মুসল্লিরা৷