1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গাদের নিঃস্ব করছে তারা

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে কক্সবাজার এলাকার এক শ্রেণির লোক ব্যবসা শুরু করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ রোহিঙ্গাদের সঙ্গের মূল্যবান সম্পদ কম দামে  কিনে বা কেড়ে নিচ্ছে তারা৷

Rohingya Krise in Bangladesch
ছবি: DW/M.M. Rahman

কক্সবাজারের টেকনাফের হোছনিপাড়া, নয়াবাড়ি, পাহাড়ার কাটা,উছনি প্রাং ও হ্নীলা এলাকায় এখন রোহিঙ্গাদের ঘর ভাড়া দেয়ার ব্যবসা জমজমাট৷ সেখানকারই নয়াবাড়ি পুলিশ গেটের আলিশা মার্কেটের নিচে ছয়টি খালি দোকান ভাড়া নিয়েছেন রোহিঙ্গারা৷ মিয়নমারের রাখাইন রাজ্যের ম্যারুল্লা শিকদারপাড়া থেকে পালিয়ে আসা হাজেরা খাতুন  জানান,তিন ছেলে ও তিন মেয়ে নিয়ে তিনি এক সপ্তাহ ধরে একটি দোকানে  ভাড়ায় থাকছেন৷ মাসে দুই হাজার টাকা ভাড়া দেবেন এই চুক্তিতে তাঁরা সেখানে উঠেছেন৷

আজিদা নামে এক নারী সংবাদ মাধ্যমকে  বলেন, ‘‘আমি আড়াই হাজার টাকায় ভাড়া থাকি৷ এক রুমে চার জন থাকি৷ স্বামী ও দুই বাচ্চা নিয়ে এই রুমেই থাকি৷ বাবা-মাকে এখনও খুঁজে পাইনি৷ আমরা কয়েকদিন পরে ক্যাম্পে যাবো৷''

হাবিবুর রহমান নামের একজন বলেন,‘‘ঘর তৈরি করে দিলে দুই হাজার টাকা, আর যদি ঘর আমরা তৈরি করি, তাহলে মাটি ভাড়া একহাজার টাকা দিতে হবে৷''

সেখানে অবস্থানরত সাংবাদিক আমানুর রহমান রনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘অনেক রোহিঙ্গাকে ভুল তথ্য দিয়ে ক্যাম্পে যেতে দিচ্ছে না স্থানীয় একটি চক্র৷ তারা তাদের ব্যবসার জন্য এ কাজ করছেন৷ তারাই এখন ঘর তুলে রোহিঙ্গাদের কাছে ভাড়া দিচ্ছে সাপ্তাহিক এবং মাসিক ভিত্তিতে৷''

আমানুর জানান, ‘‘এই চক্রটিই আবার কম দামে রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে তাদের স্বর্নালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র কিনে নিচ্ছে৷ কেউ কেউ প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে৷''

আনোয়ারুল আজিম

This browser does not support the audio element.

তিনি আরো বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা পারাপারের বিনিময়ে জেলেরা গরু অথবা নগদ টাকা নেয়৷ কখনো গরু বা নগদ টাকা দিতে না পারলে নারীদের স্বর্ণালংকারও রেখে দেয় জেলে ও নৌকার মাঝিরা৷''

‘গুপ্তচর' আটক

মঙ্গলবার রাতে ঘুমধুম এলাকা থেকে তিন জন ও বুধবার নাইক্ষ্যংছড়ি সদর থেকে মিয়ানমারের চার নাগরিককে গুপ্তচর সন্দেহে আটক করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)৷ তারা সবাই মিয়ানমারের মংডু শহরের ফকিরাবাজারস্থ আমতলির বাসিন্দা৷ ঘুমধুম এবং নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ফুলতলি ঢেকুবুনিয়া সীমান্তের ৪৮ নম্বর পিলারের কাছে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার সময় তাদের আটক করা হয়৷

বিজিবি ৩১ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল আনোয়ারুল আজিম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ওই চার রোহিঙ্গা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর  পক্ষে গুপ্তচরের কাজ করতো বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ তারা নিয়মিত সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে যেতো৷ তাদের আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷''

তারা বাংলাদেশে কিভাবে এলো– জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তারাও বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে এবং এখানে তারা তথ্য সংগ্রহের কাজ করছিল বলে ধারণা করছি৷''

জাকির হোসেন

This browser does not support the audio element.

ঢাকার কাছ থেকে ২০ রোহিঙ্গা উদ্ধার

ঢাকার অদূরে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর এলাকা থেকে ১১ শিশুসহ ২০ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছেন স্থানীয় পুলিশ৷ ওই উপজেলার ধল্লা ইউনিয়ন থেকে বুধবার  রাতে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে৷ তারা তিনটি পরিবারের সদস্য এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু জেলার মন্ডুকাদের বিল গ্রামের বাসিন্দা৷ মাওলানা মো. তাজুল ইসলাম নামে একজনের হেফাজতে ছিলেন তারা৷ তাজুল ইসলামের দাবি, তিনি তাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন৷

মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হাসান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা তাদের আটক করিনি, উদ্ধার করেছি৷ তাদের এখন কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি৷''

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘এবারই বাংলাদেশে এসেছেন৷ তারা কিভাবে, কার সহায়তায় এবং কেন মানিকগঞ্জে এসেছেন তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে৷''

তবে কক্সবাজারের একাধিক লোকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একটি স্থানীয় চক্র রোহিঙ্গাদের থাকার ভালো জায়গার কথা বলে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্যাম্পের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে৷

প্রতিবেদনটি নিয়ে আপনার মতামত জানান, নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ