রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে তাঁদের মিয়ানমারে পাঠানোর বিরোধিতা করেছে জাতিসংঘ৷ অন্যদিকে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ(আইসিজি) রোহিঙ্গাদের অবস্থানের কারণে নিরাপত্তা সংকটের আশঙ্কা করছে৷ তাহলে বাংলাদেশ কোন দিকে যাবে?
বিজ্ঞাপন
জাতিসংঘ বলছে, বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের জোর করে মিয়ানমারে পাঠানো যাবে না৷ যখন তাঁরা নিরাপদ বোধ করবেন, কেউ যখন তাঁদের জোর করে কোথাও যেতে বাধ্য করবে না, কেবল তখনই তাঁরা নিজের দেশে ফিরে যাবেন৷ জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক নিউইয়র্কে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেছেন৷
এর আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান জেইদ রাদ আল হোসাইন জেনেভায় বিশেষ মানবাধিকার অধিবেশনে বলেছেন, কোনোভাবেই তাড়াহুড়ো করে পূর্ণ প্রস্ততি ছাড়া রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানো ঠিক হবে না৷ কাউকেই ইচ্ছার বিরুদ্ধে ফেরত পাঠানো যাবে না৷ যদি সেখানে তাঁদের নিরাপত্তা, সম্মান, অধিকার নিশ্চিত না হয় এবং মুক্ত বোধ না করেন, তাহলে তাঁদের ফেরত পাঠানো যায় না৷''
তিনি আরো বলেন, ‘‘আমি জাতিসংঘ মহাসচিবকে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন, তাদের দু:খ কষ্ট নিয়ে আরো উচ্চকিত হতে বলব৷ তাঁরা মিয়ানমারে যে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, একই সঙ্গে বাংলাদেশে যে করুণ অবস্থায় আছে, দুটোই তুলে ধরতে হবে৷''
রোহিঙ্গাদের উপর নৃশংসতার চিত্র
মিয়ানমারের রাখাইনে সামরিক বাহিনীর হামলা থেকে বাঁচতে কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে চলে গেছে৷ রয়টার্সের আলোকচিত্রীর ছবিতে সেইসব নৃশংসতার ছবি ফুটে উঠেছে৷
ছবি: Reuters/J. Silva
একবছরের শিশু
মনকে নাড়া দেয়া ব্যান্ডেজে মোড়ানো তুলতুলে ছোট্ট এই দু’টি পা শহিদের৷ বয়স মাত্র এক বছর৷ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হামলা থেকে বাঁচতে দাদি তাহেরা যখন পালাচ্ছিলেন, তখন তাঁর কোল থেকে পড়ে যায় ছোট্ট শহিদ৷ ছবিটি কক্সবাজারে রেডক্রসের এক হাসপাতালে ২৮ অক্টোবর তোলা৷
ছবি: Reuters/H. McKay
কালাবারো, ৫০
রাখাইনের মংদুতে তাঁদের গ্রামে আগুন ধরিয়ে দেয় সেনা সদস্যরা৷ এতে স্বামী, মেয়ে ও এক ছেলেকে হারান কালাবারো৷ তাঁর ডান পায়ে আঘাত করা হয়৷ যেখানে পড়ে গিয়েছিলেন সেখানেই কয়েক ঘণ্টা মারা যাওয়ার ভান করে ছিলেন তিনি৷
ছবি: Reuters/J. Silva
সেতারা বেগম, ১২
নয় ভাই-বোনের মধ্যে একজন সে৷ সেনারা যখন তাদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়, তখন বাকি আটজন বের হয়ে যেতে পারলেও সে আগুনের মধ্যে আটকা পড়ে গিয়েছিল৷ পরে তাকে উদ্ধার করা হয়৷ তবে পা পুড়ে যায়৷ এই অবস্থায় বাংলাদেশে পৌঁছেছে সে৷ বাংলাদেশেই তার চিকিৎসা করা হয়৷ এখন তার দুই পা থাকলেও নেই কোনো আঙুল৷
ছবি: Reuters/J. Silva
নূর কামাল, ১৭
নিজের ঘরে লুকিয়ে ছিল সে৷ সেখান থেকে সৈন্যরা তাকে খুঁজে বের করে প্রথমে রাইফেলের বাট, পরে ছুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করে৷ ছবিতে সেটিই দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Reuters/J. Silva
আনোয়ারা বেগম, ৩৬
ঘরে আগুনের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘুম থেকে উঠে পালাতে গিয়েছিলেন তিনি৷ তবে এর মধ্যেই পুড়ে যাওয়া ছাদ তাঁর মাথায় ভেঙে পড়ে৷ ফলে শরীরে থাকা নাইলনের কাপড় গলে হাত পুড়িয়ে দেয়৷ ‘‘আমি মনে করেছিলাম, মরে যাব৷ তবে আমার সন্তানদের জন্য বেঁচে থাকার চেষ্টা করছি,’’ রয়টার্সকে বলেন তিনি৷
ছবি: Reuters/J. Silva
মমতাজ বেগম, ৩০
সেনারা তাঁর বাড়িতে ঢুকে মূল্যবান জিনিসপত্র দিতে বলেছিল৷ তখন মমতাজ তাঁদের দারিদ্র্যের কথা জানালে সৈন্যরা বলেছিল, ‘‘যদি তোমার কোনো অর্থ না থাকে, তাহলে আমরা তোমাকে হত্যা করব৷’’ এই বলে, সৈন্যরা তাঁকে ঘরে বন্দি করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল৷ কোনোরকমে সেখান থেকে মুক্তি পেয়ে বের হয়ে দেখেন তাঁর তিন ছেলে মৃত, আর মেয়েকে প্রহার করা হয়েছে, তার রক্ত ঝরছে৷
ছবি: Reuters/J. Silva
ইমাম হোসেন, ৪২
মাদ্রাসায় পড়িয়ে ফেরার পথে তিন ব্যক্তি ছুরি নিয়ে তাঁর উপর হামলা করেছিল৷ পরের দিনই তিনি তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে গ্রামের অন্যদের সঙ্গে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেন৷ এরপর তিনিও কক্সবাজারে পৌঁছান৷
ছবি: Reuters/J. Silva
মোহাম্মদ জাবাইর, ২১
গ্রামের বাড়িতে এক বিস্ফোরণে তার শরীরের এই অবস্থা৷ ‘‘আমি কয়েক সপ্তাহ অন্ধ ছিলাম৷ কক্সবাজারের এক সরকারি হাসপাতালে ২৩ দিন চিকিৎসাধীন ছিলাম,’’ বলেছে সে৷
ছবি: Reuters/J. Silva
8 ছবি1 | 8
অন্যদিকে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি) এক প্রতিবেদনে বলেছে, ‘‘বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বড় ধরনের নিরাপত্তার সংকট তৈরি করতে পারে৷'' তারা বলছে, ‘‘জঙ্গি দলে ভেড়ানোর জন্য উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের টার্গেট করা হচ্ছে৷'' তারা রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের মধ্যে আরসা'র রিক্রুটমেন্টের কথাও বলেছে৷ বাংলাদেশকে ব্যবহার করে আরসা আন্তঃসীমান্ত হামলার দিকেও যেতে পারে৷
আইসিজি মনে করে, রোহিঙ্গাদের ওপর এই নির্যাতন মুসলমানদের ওপর নির্যাতন হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে৷ মিয়ানমারে আল কায়েদা , আইএস, জিহাদী গ্রুপগুলোকে হামলার আহ্বান জানাচ্ছে তারা৷
Abdur Rashid - MP3-Stereo
বংলাদেশের নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রশীদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশ কোনোভাবেই জোর করে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাবে না৷ আমার সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একদিন আগেও কথা হয়েছে৷ বাংলাদেশ কোফি আনান কমিশনের আলোকেই রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে চায়৷ আর তাই এখানে শর্ত তিনটি৷ এটি নিরাপদ হতে হবে, স্থায়ী হতে হবে এবং দ্রুত হতে হবে৷ রোহিঙ্গাদের পুড়িয়ে দেয়া বাড়িঘর নির্মান করে দিতে হবে, তাদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিতে হবে এবং তাদের জন্য সেফ জোন তৈরি করতে হবে৷ বাংলাদেশ এই নীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমেই রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে চায়৷''
তিনি রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে বড় ধরনের নিরাপত্তা সংকট প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘যদি এরকম হয় তা শুধু বাংলাদেশ নয়, মিয়ানমার, চীন, ভারত সবার জন্যই হবে৷ তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত হবে তাদের জীবন মান এবং বর্তমান অবস্থার উন্নয়নে সহায়তা করা৷ তারা যাতে নিরাপদে নিজ দেশে ফেরত গিয়ে অধিকার নিয়ে থাকতে পারে, তার ব্যবস্থা করা৷''
তিনি আরো বলেন, ‘‘তবে এটা নিয়ে এক ধরনের প্রচারণা আছে৷ এখানে জঙ্গি তৎপরতা বাড়বে বলে যে কথা বলা হচ্ছে, সেটা অনেকটা বাড়িয়ে বলা হচ্ছে৷ বাংলাদেশে যেসব রোহিঙ্গা এসেছেন তাঁরা নিরীহ এবং সাধারণ৷ অল্পকিছু বিদ্রোহী বা আরসা থাকলেও থাকতে পারে৷ তবে তারা এখানে সক্রিয় হতে পারবে বলে মনে হয় না৷ বাংলাদেশের নজরদারী অত্যন্ত জোরালো৷''
S M Iqbal Hossain - MP3-Stereo
এদিকে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. এস এম ইকবাল হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত কোনো নিরাপত্তা সংকট তৈরি হয়নি৷ আশা করি ভবিষ্যতেও হবে না৷ আর আমরা নানা ধরনের পদক্ষেপ ও নজরদারীর ব্যবস্থা নিয়েছি৷''
স্থানীয় পুলিশ সূত্র জানায়, গত এক মাসে টেকনাফ ও উখিয়া থানা পুলিশ রোহিঙ্গাদের সংঘটিত অন্তত ৩০টির মতো অপরাধের ঘটনা রেকর্ড করেছে৷ আর হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাথে অন্তত ৩০ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷
২৫ অগাস্ট থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ৬ লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমারের রাখাইন থেকেপালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে৷ তাদের ফেরত নিতে মিয়ানমার বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে৷
টেকনাফে রোহিঙ্গা শরণার্থী
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সংঘাতের মুখে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশের টেকনাফে এসেছেন সাড়ে তিন লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী৷ সেখানে তাঁদের জীবনযাত্রা, তাঁদের জীবনের দুঃসহ স্মৃতির বর্ণনা জানুন ছবিঘরে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
টেকনাফের লম্বার বিল এলাকা দিয়ে দলে দলে রোহিঙ্গা শরণার্থী আসছে আশ্রয়ের সন্ধানে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
রোহিঙ্গা শরণার্থীরা দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে এসে পৌঁছান টেকনাফে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
পরিবারের অসুস্থ ও বৃদ্ধ সদস্যদের এভাবে কাঁধে নিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে টেকনাফে এসেছেন অনেকেই৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
শরণার্থীরা মিয়ামনমার থেকে অনেকটা খালি হাতেই পালিয়ে এসেছেন৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
শরণার্থীদের মধ্যে অনেকেই চোখের সামনে দেখেছেন স্বজন হত্যার বিভৎস দৃশ্য৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
রোহিঙ্গা শরণার্থী নারী ও শিশুরা বাংলাদেশে আসার দীর্ঘপথে নদী-খালও পাড়ি দিয়েছেন৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, ২৫ আগস্টের পর থেকে প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী এসেছে বাংলাদেশে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
টেকনাফ ও নাইক্ষংছড়ির বিভিন্ন সীমান্ত থেকে আসা কমে গেলেও শাহপরীর দ্বীপ থেকে এখনও দলে দলে শরণার্থীরা আসছেন৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
টেকনাফের নাফ নদীর ওপারে প্রতিদিনিই দেখা যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের বসতি জ্বালিয়ে দেয়ার দৃশ্য৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
তিন দিন ধরে আগুন দেয়া হচ্ছে মংডু ও রাসিডাং এলাকার রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর৷ শাহপরীর দ্বীপ থেকে তোলা ছবি৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
বাংলাদেশে আসা শরণার্থীদের অনেকেই নিয়ে আসছেন গবাদি পশু৷ এক্ষেত্রে তাঁরা ব্যবহার করছেন নাফ নদীকে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
গত কয়েকদিন ধরে আসা মানুষদের বড় একটা অংশের শরণার্থী শিবিরে ঠাঁই মেলেনি৷ কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের পাশেই দিন কাটছে তাঁদের৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
অনেকে আবার জায়গা করে নিয়েছেন সড়কের পাশের বিভিন্ন টিলার উপরে৷ সোখানে খোলা আকাশের নীচেই দিন রাত পার করছেন তাঁরা৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
টেকনাফের বালুখালীতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নুতন শিবির৷ বিশাল এ এলাকায় সব শরণার্থীরই জায়গা করে দিতে কাজ করছে বাংলাদেশ সরকার৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
মিয়ানমার থেকে আসা প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে ২ লাখের বেশিই শিশু, যা এবার আসা মোট শরণার্থীর ৬০ শতাংশ৷ ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, ২৫ শে আগস্টের পর থেকে ১১শ’রও বেশি শিশু অভিভাবক ছাড়া রাখাইন থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হাতে ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত তিন হাজার রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ শুরু হয়েছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের কাজ৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে নির্যাতনের মুখে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসা শুরু করলে প্রথমে সীমান্ত সিল করা দেয়া হয়েছিল৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
কিন্তু কয়েকদিন পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক আচরনের নির্দেশ দিলে সীমান্ত শিথিল হয় এবং ব্যাপকহারে নির্যাতিত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসতে শুরু করে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা খাবারের তীব্র সংকটে ভুগছেন৷ কোনো গাড়ি থেকে শুকনা খাবার দিতে দেখলেই খাবার সংগ্রহ করতে তাঁদের মধ্যে শুরু হয় কঠিন প্রতিযোগিতা৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
২৫শে আগস্ট মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, অস্ত্রধারী বিদ্রোহীরা ২৪টি পুলিশ চেকপোস্ট ও একটি সেনাঘাঁটিতে একযোগে হামলা চালায়৷ তাদের পাল্টা হামলা চালালে তা সহিংসতায় রূপ নেয়৷ দু’পক্ষের সংঘর্ষে সেইদিনই রাখাইন রাজ্যে অন্তত ৮৯ জন নিহত হয়৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
22 ছবি1 | 22
এ বিষয়ে আপনার কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে৷