1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গারা যাবে জলদস্যুদের আস্তানায়?

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরনার্থীদের ঠেঙ্গার চরে নিতে বিদেশি বন্ধু দাতাদের সমর্থন চায় সরকার৷ তাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলি এ বিষয়ে কুটনীতিকদের ব্রিফ করেছেন৷ তিনি জানান, ঠেঙ্গার চরকে রোহিঙ্গাদের বাসোপযোগী করা হচ্ছে৷

Bangladesch Rohingya Flüchtlinge im Flüchtlingslager Kutupalang
ছবি: picture-alliance/dpa/N. Islam

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ঠেঙ্গার চরে ঘর-বাড়ি, স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ ও অন্যান্য স্থাপনা বানানো হচ্ছে৷

পররাষ্ট্র  মন্ত্রনালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিদেশি কুটনীতিকদের জানান, বর্তমানে চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা অবৈধভাবে বাংলাদেশে বসবাস করছে৷ বেশিরভাগ রোহিঙ্গা কক্সবাজারে অবস্থান করার কারণে সেখানে পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে৷ তাই কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরনার্থীদের  ঠেঙ্গার চরে অস্থায়ীভাবে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে৷''

পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চান৷ তিনি বলেন, ‘‘ঠেঙ্গার চরে পাঠানো একটা অস্থায়ী ব্যবস্থা৷''

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ক্যানাডা, চীন, জাপান,  ভারত, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, সৌদি আরব ,মালয়েশিয়া, ফ্রান্স, সুইডেন, ডেনমার্ক, শ্রীলংকা, ব্রুনাই, স্পেন, নেপালসহ অনেকগুলো দেশের রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘ আবাসিক প্রতিনিধি  অংশ নেন৷

খন্দকার রেজাউল করিম

This browser does not support the audio element.

এর আগে বুধবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘‘কক্সবাজারের রোহিঙ্গারা বাঙ্গালি সমাজের সাথে মিশে গেছে৷ তাই রোহিঙ্গাদের নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করার জন্য স্থানীয় কমিটি করা হয়েছে এবং তাদের চিহ্নিত করা হবে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায়৷''

শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে মিয়ানমারের অবৈধ নাগরিকদের হাতিয়া'র ঠেঙ্গার চরে অস্থায়ী ক্যাম্পে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ সেনাবাহিনীর সহায়তায় ঠেঙ্গার চরে কাঠামো তৈরি করার কাজ চলছে৷ তবে এতে বেশ  সময় লাগবে৷'' তিনি আরো বলেন, ‘‘কক্সবজারের কুতুপালং ক্যাম্পে ধারণ ক্ষমতা ৩০,০০০৷  কিন্তু সেখানে বাস করে তিন লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা৷ এর ফলে কক্সবাজার ও উখিয়াতে পরিবেশ বিপর্যয় হচ্ছে এবং সামাজিক, প্রাকৃতিক, স্বাস্থ্যগত সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না৷''

ঠেঙ্গার চর দ্বীপটির আয়তন প্রায় ৩৪ বর্গ কিলোমিটার৷ এটি নোয়খালীর হাতিয়া উপজেলায়৷ হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  খন্দকার রেজাউল করিম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘উপজেলা সদর থেকেও এই দ্বীপ অনেক দূরে৷ নদীপথ ছাড়া আর কোনো যোগাযোগের সুযোগ নাই৷ দুর্গম এই চরে কোনো সাধারণ মানুষের বসতি নেই৷ এখানে ডাকাত ও জল দস্যুদের আস্তানা আছে৷

রঞ্জিত চন্দ্র কুরি

This browser does not support the audio element.

তিনি আরো বলেন, ‘‘সরকারের কাছ থেকে আমি এখনো কোনো অফিসিয়াল আদেশ পাইনি যে ঠেঙ্গার চরে রোহিঙ্গাদের আনা হবে৷ আর এখনো কোনো নির্মান কাজ শুরু হয়নি৷ সেনাবাহিনীর কোনো ক্যাম্পও নেই৷''

এদিকে নেয়াখালীর সাংবাদিক রণজিত চন্দ্র কুরি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ঠেঙ্গার চরটি মেঘনা এবং বঙ্গোপসাগরের মোহনায়৷ নেয়াখালী সদর থেকে  ৭০/৮০ কিলোমিটার দূরে৷ এখনো সেখানে কোনো জনবসতি নেই৷

তিনি আরো জানান, জোয়ারের সময় চরের বড় একটি অংশ ডুবে যায়৷ বর্ষা মৌসুমে পুরো চরই বলতে গেলে তলিয়ে যায়৷ দুর্গম এই চরে যাওয়াও কষ্টসাধ্য৷ তাই ঠেঙ্গার চরে এখন অপরাধীরা আশ্রয় নেয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ