নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের আওতায় আনার কাজ শুরু হয়েছে৷ এদিকে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়িতে নতুন করে আগুন দেয়ার খবর পাওয়া গেছে৷
বিজ্ঞাপন
মিয়ানমারে নাফ নদীর তীরবর্তী এলাকায় নতুন করে আরও পাঁচটি গ্রামে রোহিঙ্গাদের ঘর-বাড়িতে আগুন দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী৷ সোমবার ভোর রাতে আগুনের পর হাজার হাজার রোহিঙ্গা নাফ নদী পাড়ি দিয়ে শাহপরী দ্বীপে প্রবেশ করছে৷ সোমবার সকালেও টেকনাফের শাহপরি দ্বীপ থেকে আগুন ও ধোঁয়া দেখা গেছে৷ সকালে শাহপরী দ্বীপে ছিলেন সাংবাদিক আমানুর রহমান রনি৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘নাফ নদীর জেটি থেকে আমরা মিয়ানমারের গ্রামে আগুন এবং কালো ধোঁয়া দেখতে পাই৷ আগুনের কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় মিয়ানমারের নাফ নদীর তীরবর্তী এলাকার আকাশ৷ আগুনের পর ট্রলারে করে আসা আশ্রয়প্রত্যাশী রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাঘগুনিয়া, গর্জনদিয়া, খুইন্যাপাড়া, সায়ড়াপাড়া, মাঝেরডিগি ও মংডুর পাহাড় অঞ্চলের সব গ্রামে আগুন দেওয়া হয়েছে৷’’
‘মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বোমাও ছুড়ে মারে’
তিনি বলেন, ‘‘হাজার হাজার রোহিঙ্গা ভোররাত থেকে ট্রলারে করে শাহপরী দ্বীপের দিকে আসে৷ তারা জানায়, আগুন দেয়ার আগে এক ধরনের গ্যাস ছড়িয়ে দেয়া হয়৷ ওই গ্যাসে চোখ জ্বলে৷ বাড়ির বাইরে বের হলেই বাড়ি ঘরে আগুন দেয়া হয়৷ মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বোমাও ছুড়ে মারে৷’’
এদিকে জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রী সিগমার গ্যাব্রিয়েল শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংস পরিস্থিতিতে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন৷ এতে করে আবারও অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যাচ্ছে৷ সাধারণ মানুষদের জীবনের স্বার্থে আমি সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই৷’’
তিনি বলেন, ‘‘এখন আসলে আক্রান্তদের দিকে মনোযোগ দেওয়ার সময়৷ মিয়ানমার সরকারের উচিত মানবাধিকার ও ত্রাণ সংস্থাগুলোকে মানবিক সহায়তা প্রদানের অনুমতি দেয়া৷’’ আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে জাতিসংঘ ও রেডক্রসকে অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান তিনি৷
রোহিঙ্গা সংকট: কার কী অবস্থান?
হিংসালীলা ও বৈরি মনোভাবের মুখে মিয়ানমার থেকে দলে দলে পালাতে হচ্ছে রোহিঙ্গাদের৷ তাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সমাজে সহানুভূতি সত্ত্বেও মূলত কৌশলগত কারণে বিভিন্ন দেশ ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Armangue/AP
বাংলাদেশ
মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাংলাদেশেই আশ্রয় নিচ্ছে বেশিরভাগ রোহিঙ্গা শরণার্থী৷ এত সংখ্যক মানুষকে আশ্রয় দেওয়া অবশ্যই বিশাল চ্যালেঞ্জ৷ আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংগঠনের সঙ্গে সমন্বয়ের উদ্যোগ চলছে৷ শরণার্থীদের পরিচয় নিশ্চিত করতে তাদের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ নিয়ে তথ্যভাণ্ডার গড়ার কথা চলছে৷
ছবি: picture-alliance/AA/Z. H. Chowdhury
ভারত
দেশের উত্তর পূর্বে বিদ্রোহীদের মোকাবিলা করতে এবং চীনের প্রভাব সীমিত রাখতে ভারতের একের পর এক সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করে চলেছে৷ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও প্রথম মিয়ানমার সফরে গিয়ে সে দেশের সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন৷ রাখাইনের অর্থনৈতিক উন্নতির লক্ষ্যেও প্রকল্পে অংশ নিচ্ছে ভারত৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Sharma
তুরস্ক
রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি নিয়ে সোচ্চার হয়ে উঠেছে তুরস্ক৷ শুধু কথায় নয়, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সাহায্য দিতেও তৎপর সে দেশ৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফার্স্ট লেডি শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করে যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন৷ জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরতেও তৎপর হতে চায় তুরস্ক৷
ছবি: picture-alliance/abaca/K. Ozer
মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়া মানবিক কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাময়িক আশ্রয়ের আশ্বাস দিয়েছে৷ তবে অন্যান্য নথিপত্রহীন বহিরাগতদের মতো তাদেরও নির্দিষ্ট কেন্দ্রে আটক রাখা হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ উল্লেখ্য, মালয়েশিয়া জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেশনে স্বাক্ষর করেনি৷ তাই সেখানে শরণার্থীরা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে বিবেচিত হয়৷
ছবি: Reuters/Stringer
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি-র প্রতি অগাধ আস্থা দেখিয়েছিলেন৷ বর্তমান রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন এখনো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়নি৷ মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের পরিস্থিতি সম্পর্কে গভীর দুশ্চিন্তা প্রকাশ করলেও সরাসরি মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কোনো কূটনৈতিক অবস্থান নেয় নি৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Watson
ইউরোপীয় ইউনিয়ন
ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাখাইনে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে মিয়ানমারের সহযোগিতা দাবি করেছে৷ সেইসঙ্গে এই সংখ্যালঘু এই গোষ্ঠীর উপর নিপীড়ন বন্ধ করার ডাক দিয়েছে ইইউ৷ শরণার্থীদের সহায়তা করতে বাংলাদেশে ত্রাণ সাহায্য পাঠানোর অঙ্গীকার করেছে এই রাষ্ট্রজোট৷
ছবি: Reuters/M. P. Hossain
চীন
মিয়ানমারের সরকারের সঙ্গে চীনের দীর্ঘ ও গভীর সম্পর্ক রয়েছে৷ সে দেশে কৌশলগত স্বার্থের খাতিরেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সরকারের বিরোধিতা করছে না চীন৷ জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক মঞ্চে চীনের এই অবস্থান আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মিয়ানমারের সরকারের জন্য জরুরি৷
ছবি: Reuters/R. Dela Pena
রাশিয়া
চীনের মতো রাশিয়াও মিয়ানমারের সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষে৷ জাতিসংঘে সে দেশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে এই দুই ভেটো শক্তি৷ এদিকে রাশিয়ার মুসলিম-প্রধান চেচনিয়া অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে মস্কোর উপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Z.Bairakov
জাতিসংঘ
জাতিসংধের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিস্থিতির মোকাবিলার উদ্যোগ নিচ্ছে৷ জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে হিংসালীলা বন্ধ করার ডাক দিয়েছেন৷ প্রাক্তন মহাসচিব কোফি আন্নানের নেতৃত্বে এক কমিশন পরিস্থিতির উন্নতির লক্ষ্যে কিছু প্রস্তাব পেশ করেছে৷ তবে নিরাপত্তা পরিষদ এখনো প্রকাশ্যে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি৷
ছবি: Reuters
9 ছবি1 | 9
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘‘গত কয়েকদিনে আমরা মিয়ানমার নিয়েই কথা বলছি৷ এই সময়ে ২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে আর এটি সামলানো বাংলাদেশের জন্য কঠিন৷ বাংলাদেশের এমন পদক্ষেপকে আমরা প্রশংসা করি ও স্বাগত জানাই৷’’
জাতিসংঘের সেন্ট্রাল এমার্জেন্সি ফান্ড (সিইআরএফ)-এর মাধ্যমে জার্মানিও এই রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে বলে জানান গ্যাব্রিয়েল। তিনি বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক এই সংকটে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে যে, রাখাইনে টেকসই পরিবর্তন দরকার৷’’ জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কোফি আনান কমিশনের দেওয়া প্রস্তাবগুলো জার্মান সরকার সমর্থন করে বলে তিনি অং সান সুচি’র প্রতি সেগুলো বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান৷
সিগমার গাব্রিয়েল আরো বলেন, ‘‘জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারকে সমর্থন দিতে প্রস্তুত আছে৷’’
বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের আওতায় আনার কাজ শুরু করেছে৷ সোমবার বিকেল থেকে এই কাজ শুরু হয় বলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট খালেদ মাহমুদ ডয়চে ভেলেকে জানান৷ তিনি বলেন, ‘‘দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারনে সকালে কাজ শুরুর কথা থাকলেও শুরু হয়েছে বিকেলে৷ এই কাজে সহায়তার জন্য ঢাকা থেকে কক্সবাজারে একটি টিম গেছে৷’’
বায়োমেট্রিক রেজিষ্ট্রেশন কেমন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘তাদের নাম, ঠিকানা, ছবি এবং আঙুলের ছাপ নেয়া হবে৷ তবে এ কাজে এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো তাঁদের এক জায়গায় নেয়া৷ আমরা বালুখালিতে দুই হাজার একর জমির ওপরে একটি ক্যাম্প বানাতে শুরু করেছি৷ দু'টি নিবন্ধিত ক্যাম্পের ৩২ রাজার রোহিঙ্গা বাদে বাকি সবাইকে ওই ক্যাম্পে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে৷’’
‘আমরা বালুখালিতে দুই হাজার একর জমির ওপরে একটি ক্যাম্প বানাতে শুরু করেছি’
তিনি আরো বলেন, ‘‘রোহিঙ্গারা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ছে, তারা ট্রাকে করে বিভিন্ন জায়গায় চলে যাচ্ছে৷ তাদের এক জায়গায় নেয়া অনেক কঠিন কাজ৷ তাই বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের কাজ কবে শেষ হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না৷’’
বাংলাদেশে এখন মোট সাত লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী আছে৷ এর মধ্যে তিন লাখ এসেছে ২৫ আগষ্টের পর থেকে৷ এর আগে গত বছরের ৯ অক্টোবরের পর থেকে রাখাইন রাজ্যে একইভাবে হামলার ঘটনা ঘটে৷ ওই সময় প্রাণ ভয়ে পালিয়ে আসে প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা৷ ওই ঘটনার পর বাংলাদেশ একটি টাস্কফোর্স গঠন করে জরিপ করে মোট চার লাখ রোহিঙ্গা থাকার কথা জানিয়েছিল৷ এবার যোগ হলো আরো তিন লাখ৷ এবং প্রতিদিনই এই সংখ্যা বাড়ছে৷
বাংলাদেশে দু'টি নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প হলো উখিয়ার কুতুপালং ও টেকনাফের নয়াপাড়া৷ এর বাইরে আরো ১২টি অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প আছে৷
প্রিয় পাঠক, আপনি কিছু বলতে চাইলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে...
১ সেপ্টেম্বরের এই ছবিঘরটি দেখুন৷
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাংলাদেশ যাত্রা
নিজের দেশে সহিংসতা থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছেন হাজার হাজার রোহিঙ্গা৷ তবে জাতিসংঘের অনুরোধ সত্ত্বেও সীমান্তে কড়াকড়ি অব্যাহত রেখেছ বাংলাদেশ৷ আজও রোহিঙ্গাদের অবৈধ অভিবাসী মনে করে মিয়ানমার৷
আশ্রয়ের সন্ধান
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে সেদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর উপর রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের পরিকল্পিত হামলার জের ধরে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর দমনপীড়ন শুরু করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী৷ ফলে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশের সীমান্তের দিকে ছুটছেন রোহিঙ্গারা৷ সর্বশেষ অস্থিরতায় ইতোমধ্যে প্রাণ গেছে একশ’র বেশি মানুষের৷
ব্যাপক উদ্বাসন
বাংলাদেশের সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার মাঝখান থেকে এক রোহিঙ্গা শিশুকে পার করছেন এক ব্যক্তি৷ মিয়ানমার সরকার দাবি করেছে, রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা সাতটি গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে, একটি চেকপোস্ট এবং এক শহরের দুই প্রান্তে হামলা করেছে৷
ছবি: Getty Images/R.Asad
বৌদ্ধ শরণার্থীরা ছুটছে দক্ষিণের দিকে
নিরাপত্তা বাহিনীর দমনপীড়নের কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকার বৌদ্ধরাও নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় খুঁজছেন৷ রোহিঙ্গা মুসলমান এবং রাখাইন বৌদ্ধদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ ২০১২ সালে সেখানে রক্তাক্ত দাঙ্গা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
প্রবেশ নিষেধ
বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীরা আশ্রয়প্রত্যাশী রোহিঙ্গাদের সীমান্ত থেকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন৷ তবে এ সব বাধার মাঝেও তিন হাজারের মতো রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন৷ বাংলাদেশ ইতোমধ্যে চারলাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে৷
ছবি: Reuters/M. Ponir Hossain
মানবিক সংকট
একটি আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থার কর্মী লিখেছেন: ‘‘অনেক রোহিঙ্গাকে আমরা অসুস্থ অবস্থায় পাচ্ছি৷ এর কারণ তাঁরা বাংলাদেশে প্রবেশের আগে দীর্ঘসময় সীমান্তে আটকে ছিলেন৷ অসুস্থদের মধ্যে নারী এবং শিশুদের সংখ্যা বেশি৷’’
ছবি: picture-alliance/dpa/M.Alam
বাংলাদেশে স্বাগত নয়
কক্সবাজারের কুতুপালাং শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া একদল রোহিঙ্গা শরণার্থী৷ বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের একটি দ্বীপে সরিয়ে নিতে চাচ্ছে যেটি বর্ষা মৌসুমে অধিকাংশ সময় পানির নীচে তলিয়ে থাকে৷
ছবি: Reuters/M. P. Hossain
নো ম্যান’স ল্যান্ডের আটকে থাকা
পানির মধ্যে দিয়ে হেঁটে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশের চেষ্টা করছে রোহিঙ্গা শিশুরা৷ এই মুহূর্তে ছ’হাজারের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় সীমান্তে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷