রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় অংশ নিতে আগামী সপ্তাহে ঢাকায় আসছে মিয়ানমার সরকারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি'র একটি প্রতিনিধি দল৷ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সংবাদ মাধ্যমকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন৷
বিজ্ঞাপন
সু চি'র প্রতিনিধি দলে মিয়ানমারের মিনিস্টার অব দি অফিস ও স্টেট কাউন্সিলর উ টিন্ট সোয়ে ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী উ কিয়াও থিন থাকতে পারেন৷ রাষ্ট্রদূত শহীদুল হক বলেছেন, ‘‘প্রতিনিধি দলটি আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে ঢাকা সফরে আসবে৷ রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হবে৷’’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, ‘‘এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন মিয়ানমার স্টেট কাউন্সিলর অফিসের ইউনিয়ন মন্ত্রী উ টিন্ট সোয়ে৷ তিনি মিয়ানমারের একজন প্রভাবশালী রাজনীতিক এবং রাখাইন বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত৷ তিনি একজন পেশাদার কূটনীতিক এবং ১০ বছর জাতিসংঘে মিয়ানমারের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন৷’’ তিনি আরো জানান, ‘‘গত জুলাই মাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন৷ অক্টোবরের ১ বা ২ তারিখে প্রতিনিধি দলটি ঢাকায় আসছে৷ এই সফর এক বা দুই দিনের হতে পারে৷’’
সবর্শেষ গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে সাইড লাইনের বৈঠকে মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থাউং টুন রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার প্রস্তাব দেন৷ সব মিলিয়ে এটা এখন নিশ্চিত যে আগামী সপ্তাহে ঢাকায় রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে ঢাকা-মিয়ানমার বৈঠক হচ্ছে৷
রোহিঙ্গাদের দিকে বাংলাদেশের সাহায্যের হাত
গত ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৪ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে৷ তাঁদের আশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি নানান সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার৷ ছবিঘরে তারই কিছু নমুনা...
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
বায়োমেট্রিক নিবন্ধনে দীর্ঘ লাইন
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের জন্য রোহিঙ্গাদের লাইন৷ কুতুপালং ছাড়াও টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন এলাকার কয়েকটি কেন্দ্রে চলছে এই নিবন্ধন কার্যক্রম৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
নিবন্ধনে বিজিবি
কতুপালং শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধনে কাজ করছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা৷ একেকটি কেন্দ্রে দিনে গড়ে ৭০০ জনের মতো রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন হচ্ছে৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
নিবন্ধিত
বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের পর দুই রোহিঙ্গা শরণার্থী হারুনুর রশীদ ও মোহাম্মদ দিনার৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
সরকারি ত্রাণ
রোহিঙ্গাদের সহায়তা দিতে নানাভাবে এগিয়ে এসেছে বাংলদেশ সরকার৷ উখিয়ার কুতুপালংয়ে ট্রাক থেকে নামানো হচ্ছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী৷
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে যান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী৷ ৪৬টি দেশের কূটনীতিকরাও ছিলেন তাঁর সঙ্গে৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
কূটনীতিকদের আশ্বাস
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন শিবিরে গিয়ে শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন কূটনীতিকরা৷ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ সহায়তার ঘোষণাও দেন তাঁরা৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
শিশুসেবা
টেকনাফের শরণার্থী শিবিরগুলোতে সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন বয়সের শিশুদের টিকা দেয়া হচ্ছে৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
নতুন শিবির
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া নতুন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বালুখালীতে দুই হাজার একর জায়গায় শিবির গড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
তাঁবুর রাজ্য
শরণার্থীর চাপে এরইমধ্যে বালুখালীর এই অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রের সীমানা কয়েকগুণ বড় হয়েছে৷ উখিয়ার পাহাড়-টিলার সবখানেই এখন শরণার্থীদের অস্থায়ী তাঁবু৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
নতুন বসতি
নতুন নতুন পাহাড়ের গাছপালা কেটে প্রতিদিনই নিজেদের বসতি গড়ছেন রোহিঙ্গারা৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
11 ছবি1 | 11
আর গত বছরের অক্টোবরে রাখাইনে সহিংসতা শুরু হলে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবার জন্য মিয়ানমার তিন মাস সময় নিয়েছিল৷ জানুয়ারি মাসে মিয়ানমার সরকার ‘কেউ টিন’ নামে এক বিশেষ দূতকে কোনো ম্যান্ডেট ছাড়াই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য ঢাকায় পাঠায়৷ সে বৈঠকে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি৷
সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার হয়ে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে চার লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে৷ আর আগে থেকেই বাংলাদেশে আরো চার লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী ছিল৷
সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস)-এর চেয়ারম্যান মুন্সি ফয়েজ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশ মিয়ানমারের এবারের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে৷ কারণ, মিয়ানমার এবার রাখাইনে রোহিঙ্গা জাতিগত নিধন নিয়ে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে৷ অতীতেও অনেক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে তবে তা তেমন কোনো ফল বয়ে আনেনি৷ এবার রাখাইনে সহিংসতা বন্ধ, রোহিঙ্গাদের সহায়তা এবং তাদের মিয়ানমারে ফেরত নেয়া – এই তিন বিষয়ে বৈঠকে বাংলাদেশকে জোর দিতে হবে৷ কোফি আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ চাপ দিতে হবে বাংলাদেশকে৷ এজন্য আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক তৎপরতাও বাংলাদেশকে অব্যাহত রাখতে হবে৷’’
‘‘এবারের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে’’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ এখানে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দিল কি দিল না এটা খুব গুরত্বপূর্ণ নয়৷ গুরুত্বপূর্ন হলো তাদের আশ্রয়, খাদ্য ও চিকিৎসা দেয়া৷ বাংলাদেশ সাধ্যমতো তা করছে৷ আর ইউএনএইচসিআর প্রধানও বলেছেন বাংলাদেশ তাদের শরণার্থী, রাষ্ট্রহীন বা অন্য যে-কোনো নামেই ডাকুক না কেন, রোহিঙ্গাদের সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে৷ আমি মনে করি, বাংলাদেশ তার অবস্থানে ঠিক আছে৷ কারণ, শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দিলে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো আরো জটিল হবে৷’’
প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গা মুসলিমদের মিয়ানমার এখন নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না৷ আর বাংলাদেশ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বলে ‘অনুপ্রবেশকারী’৷
রোহিাঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে জাপান
ঢাকা সফররত জাপানের পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স আইয়াও হরি জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাঁর দেশ বাংলাদের পাশে আছে৷ তিনি রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷
বুধবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তাঁর সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সাংবাকিদের এ তথ্য জানান৷
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘‘আমরা রোহিঙ্গা ইস্যুতে টেকসই সমাধান চাই৷ আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়নের মাধ্যমে এটা সম্ভব৷ এজন্য আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে জাপান আমাদের পাশে থাকবে৷’’
প্রিয় পাঠক, আপনি কিছু বলতে চাইলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে...
টেকনাফে রোহিঙ্গা শরণার্থী
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সংঘাতের মুখে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশের টেকনাফে এসেছেন সাড়ে তিন লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী৷ সেখানে তাঁদের জীবনযাত্রা, তাঁদের জীবনের দুঃসহ স্মৃতির বর্ণনা জানুন ছবিঘরে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
টেকনাফের লম্বার বিল এলাকা দিয়ে দলে দলে রোহিঙ্গা শরণার্থী আসছে আশ্রয়ের সন্ধানে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
রোহিঙ্গা শরণার্থীরা দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে এসে পৌঁছান টেকনাফে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
পরিবারের অসুস্থ ও বৃদ্ধ সদস্যদের এভাবে কাঁধে নিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে টেকনাফে এসেছেন অনেকেই৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
শরণার্থীরা মিয়ামনমার থেকে অনেকটা খালি হাতেই পালিয়ে এসেছেন৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
শরণার্থীদের মধ্যে অনেকেই চোখের সামনে দেখেছেন স্বজন হত্যার বিভৎস দৃশ্য৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
রোহিঙ্গা শরণার্থী নারী ও শিশুরা বাংলাদেশে আসার দীর্ঘপথে নদী-খালও পাড়ি দিয়েছেন৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, ২৫ আগস্টের পর থেকে প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী এসেছে বাংলাদেশে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
টেকনাফ ও নাইক্ষংছড়ির বিভিন্ন সীমান্ত থেকে আসা কমে গেলেও শাহপরীর দ্বীপ থেকে এখনও দলে দলে শরণার্থীরা আসছেন৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
টেকনাফের নাফ নদীর ওপারে প্রতিদিনিই দেখা যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের বসতি জ্বালিয়ে দেয়ার দৃশ্য৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
তিন দিন ধরে আগুন দেয়া হচ্ছে মংডু ও রাসিডাং এলাকার রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর৷ শাহপরীর দ্বীপ থেকে তোলা ছবি৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
বাংলাদেশে আসা শরণার্থীদের অনেকেই নিয়ে আসছেন গবাদি পশু৷ এক্ষেত্রে তাঁরা ব্যবহার করছেন নাফ নদীকে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
গত কয়েকদিন ধরে আসা মানুষদের বড় একটা অংশের শরণার্থী শিবিরে ঠাঁই মেলেনি৷ কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের পাশেই দিন কাটছে তাঁদের৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
অনেকে আবার জায়গা করে নিয়েছেন সড়কের পাশের বিভিন্ন টিলার উপরে৷ সোখানে খোলা আকাশের নীচেই দিন রাত পার করছেন তাঁরা৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
টেকনাফের বালুখালীতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নুতন শিবির৷ বিশাল এ এলাকায় সব শরণার্থীরই জায়গা করে দিতে কাজ করছে বাংলাদেশ সরকার৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
মিয়ানমার থেকে আসা প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে ২ লাখের বেশিই শিশু, যা এবার আসা মোট শরণার্থীর ৬০ শতাংশ৷ ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, ২৫ শে আগস্টের পর থেকে ১১শ’রও বেশি শিশু অভিভাবক ছাড়া রাখাইন থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হাতে ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত তিন হাজার রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ শুরু হয়েছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের কাজ৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে নির্যাতনের মুখে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসা শুরু করলে প্রথমে সীমান্ত সিল করা দেয়া হয়েছিল৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
কিন্তু কয়েকদিন পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক আচরনের নির্দেশ দিলে সীমান্ত শিথিল হয় এবং ব্যাপকহারে নির্যাতিত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসতে শুরু করে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা খাবারের তীব্র সংকটে ভুগছেন৷ কোনো গাড়ি থেকে শুকনা খাবার দিতে দেখলেই খাবার সংগ্রহ করতে তাঁদের মধ্যে শুরু হয় কঠিন প্রতিযোগিতা৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
২৫শে আগস্ট মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, অস্ত্রধারী বিদ্রোহীরা ২৪টি পুলিশ চেকপোস্ট ও একটি সেনাঘাঁটিতে একযোগে হামলা চালায়৷ তাদের পাল্টা হামলা চালালে তা সহিংসতায় রূপ নেয়৷ দু’পক্ষের সংঘর্ষে সেইদিনই রাখাইন রাজ্যে অন্তত ৮৯ জন নিহত হয়৷