1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোগী সামলাতেই কি তলব নার্সিং পড়ুয়াদের

১১ জুলাই ২০২০

করোনা পরিস্থিতিতে নির্ধারিত ক্লিনিক্যাল ক্লাস করতে চান না মেডিকেল টেকনোলজি ও নার্সিংয়ের পড়ুয়ারা৷ এই সময়ে তাঁদের প্র্যাকটিকাল ক্লাসে যোগ দিতে বলা হলেও ঝুঁকি নিতে রাজি নন তাঁরা৷

Indien Medizinische Hochschule in Kalkutta
ছবি: DW/P. Samanta

সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের জন্য পশ্চিমবঙ্গের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ৷ কবে ক্লাস শুরু হবে তার নিশ্চয়তা নেই৷ এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের পড়ুয়াদের ক্লাসে যোগ দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে৷ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, মেডিক্যাল টেকনোলজি (এম টি) ও নার্সিং পড়ুয়াদের ক্লিনিক্যাল আওয়ার বা ক্লাস শেষ করতে হবে৷ নইলে তাঁরা হাতে-কলমে কাজ শিখতে পারবেন না৷ এতে অসুবিধা হবে পেশাদারি ক্ষেত্রে৷ যদিও কর্তৃপক্ষের এই বক্তব্য মানতে রাজি নন নার্সিং ও এম টি পড়ুয়ারা৷ তাঁদের বক্তব্য, কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় যে বিপুল সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী এখনই দরকার, তার প্রয়োজন মেটাতে ক্লিনিক্যাল ক্লাসের কথা বলা হচ্ছে৷ এর সঙ্গে ততটা শিক্ষার সম্পর্ক নেই, যতটা রোগী পরিষেবার যোগ আছে৷

নার্সিং ও এম টি পড়ুয়াদের প্র্যাকটিকাল ক্লাস করতে হয় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানেই৷ রোগী পরিষেবার কাজে তাঁদের যুক্ত করা হয় বিভিন্ন হাসপাতালে৷ কাজে লাগানো হয় ল্যাবরেটরিতে৷ নার্সিং কাউন্সিল-এর নিয়ম অনুযায়ী ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের পাঠ্যক্রমের চূড়ান্ত বর্ষে এই প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস বা ক্লিনিক্যাল আওয়ার সম্পূর্ণ করেন৷ লকডাউনে মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে এই পড়ুয়ারা কলেজ থেকে নিজেদের বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন৷ তাঁদের দাবি, মাসখানেক আগে থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ টেলিফোন বা মেসেজ করে ক্লাসে যোগ দেয়ার বার্তা পাঠিয়েছেন৷ শুধু মৌখিকভাবে নয়, প্র্যাকটিকাল শুরু করার জন্য জিএনএম এবং বিএসসি নার্সিং-এর ছাত্রছাত্রীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে লিখিত আকারে৷ একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এমএসসি নার্সিং-এর প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়ারা৷

ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়

This browser does not support the audio element.

এখন নার্সিং পড়ুয়াদের আশঙ্কা, পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্যকর্মীর অভাব পূরণ করতে তাঁদের ডাক দেওয়া হচ্ছে৷ নার্স সংগঠন নার্সেস ইউনিটি-র সম্পাদক ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘গ্লাভস, জুতো, স্যানিটাইজার নিজেদের নিয়ে আসতে৷ কোনও কোনও কলেজ কর্তৃপক্ষ কোভিড পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট আনতে বলছেন৷ ছাত্রছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়লে তার দায়িত্ব কে নেবে? বিশেষত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পাঠরত ছেলেমেয়েদের চিকিৎসার খরচ কে দেবে তা স্পষ্ট নয়৷’’

ক্লাসে যোগ দেওয়ায় আপত্তি জানিয়ে প্যারামেডিক্যাল ছাত্রদের সংগঠন স্বাস্থ্য ভবনে ডেপুটেশন দিয়েছে৷ প্যারামেডিক্যাল স্টুডেন্টস ইউনিট-এর নেতা, এমটি পড়ুয়া মহম্মদ কামরুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এখন ক্লিনিক্যাল ক্লাস শুরু করা বিপজ্জনক৷ আমাদের মধ্যে কেউ কোভিডে আক্রান্ত হলে গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে৷ তাছাড়া এখন নতুন করে লকডাউন শুরু হয়েছে৷ ট্রেন চলছে না, বাস সংখ্যায় কম৷ পড়ুয়ারা কীভাবে বাড়ি থেকে কলেজে আসবে? এলেও তাদের থাকা-খাওয়া নিয়ে সমস্যা রয়েছে৷ আর অসুস্থ হলে কী পরিণতি হবে সেটা কেউ জানে না৷’’

নার্স সংগঠনের অভিযোগ, ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা যতটা পড়ুয়াদের শেখানোর উদ্দেশ্যে, তার থেকে বেশি ছাত্রছাত্রীদের রোগী পরিষেবার কাজে ব্যবহারের লক্ষ্যে৷ ভাস্বতী বলেন, ‘‘প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে৷ নতুন কোভিড ইউনিট খোলা হচ্ছে৷ অনেক স্বাস্থ্যকর্মীকে কোয়ারান্টিনে যেতে হচ্ছে৷ ফলে কর্মী সংখ্যায় ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে৷ সেজন্য ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহার করা ঠিক নয়৷ ওঁদের কোভিড ইউনিটে না দেওয়া হলেও, উপসর্গহীন রোগীকে শুশ্রূষা করতে গিয়ে আক্রান্ত হতেই পারে৷ সব ধরনের পড়াশোনা যখন বন্ধ, তখন এটা চালু করার অর্থ নেই৷’’ এই পরিস্থিতিতে প্যারামেডিক্যাল পড়ুয়াদের দাবি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাঁদের ক্লিনিক্যাল ক্লাস হোক৷ অন্যান্য শিক্ষার ক্ষেত্রে যেমন হচ্ছে, তাঁদেরও সেভাবে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হোক৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ