২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ভারতের সমকামীদের জন্য ভীষণ আনন্দের দিন৷ সেদিন দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, সমকামিতা কোনো অপরাধ নয়৷ এই স্বীকৃতি সমকামীদের জীবনে আনন্দের প্লাবন এনে দিলেও তাঁরা অবশ্য জানেন, আদালত যা-ই বলুক, সমাজ এখনো সমকামীবান্ধব নয়৷ ভারতে সমকামীদের বিয়ের এখনো আইনি বা সামাজিক স্বীকৃতি নেই৷

এলজিবিটি-দের জন্য থাইল্যান্ডের সমাজ অনেক অনুকূল৷ কয়েক দিন আগেই পাতায়ায় হয়ে গেল ট্রান্সজেন্ডার, অর্থাৎ তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়াদের ১৫তম সুন্দরী প্রতিযোগিতা৷ শুধু তাই নয়, এ বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও প্রার্থী হচ্ছেন একজন হিজড়া৷তবে এশিয়ার এই দেশটিতেও একই লিঙ্গের মানুষদের বিয়ের স্বীকৃতি নেই৷

খুব আশায় ছিলেন সমকামীযুগলরা৷ ভেবেছিলেন এবার বুঝি বিয়ে করার অধিকার পেয়েই যাবেন৷ সেই আশা নিয়েই তাকিয়ে ছিলেন গণভোটের দিকে৷ কিন্তু তাইওয়ানের মানুষ ভোট দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন সমাজের বেশির ভাগ মানুষ এখনো সবার সমান অধিকারে বিশ্বাসী হয়নি৷

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল মুসলিম অধ্যুষিত দেশ ইন্দোনেশিয়া৷ সেখানে এলজিবিটি-দের সমঅধিকারের দাবি তোলাও ঝুঁকিপূর্ণ৷ সে-দেশে প্রায়ই এলজিবিটিবিরোধী মিছিল করে মৌলবাদীরা৷ সমকামী, উভকামী এবং হিজড়াদের অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন এনজিওগুলোর ওপর হামলা হয়েছে বেশ কয়েকবার৷ ইন্দোনেশিয়ায় তাই এলজিবিটি-দের থাকতে হয় আতঙ্কে, যৌনপরিচয় গোপন করে৷

বার্লিনের পর্যটন মেলার আগে মালয়েশিয়ার পর্যটন মন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ‘‘আপনার দেশে কি গে-দের স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করা হয়?’’ জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমাদের দেশে ওরকম কিছু আছে বলে আমি মনে করি না৷’’ তুমুল বিতর্ক শুরু হয় তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে৷ মালয়েশিয়ায় অবশ্য এ নতুন কিছু নয়৷ সে দেশের অন্য মন্ত্রীদের মুখেও প্রায়ই এলজিবিটিদের সম্পর্কে তাচ্ছিল্যপূর্ণ মন্তব্য শোনা যায়৷

সিঙ্গাপুরের এই গে প্যারেডের আনন্দ কিন্তু সব সময়ের জন্য সত্যি নয়৷ দ্বীপদেশটি অনেক ক্ষেত্রে উদার হলেও সমকামী, উভকামী এবং হিজড়াদের বেলায় রক্ষনশীল৷ সমলিঙ্গের সম্পর্কের কারণে জেলও হতে পারে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত এ দেশে৷

বিশ্বে সর্বপ্রথম সমকামী বিয়ে বৈধ হয় এই দেশে৷ ২০০০ সালে বৈধতা পাওয়ার পর ২০০১ সালে সমকামী বিয়ে অনুষ্ঠিত হয় দেশটিতে৷

২০১৬ সালে দেশটিতে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়৷

২০১৫ সালে গণভোটের মাধ্যমে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায় এই দেশে৷

যুক্তরাষ্ট্রে সমকামী বিয়ে বৈধ হয় ২০১৫ সালে৷

২০১৪ সালে দেশটিতে সমকামী বিয়ে বৈধ হয়৷

২০১৫ সালে দেশটিতে সমকামী বিয়ে বৈধ হয়৷

২০১৪ সালে এখানে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়৷

২০১৫ সালে এখানে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়৷

২০১৩ সালে এখানে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়৷

২০১৩ সালে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায় এখানে৷

২০১৩ সালে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়৷

২০১৩ সালে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায় এখানে৷

২০১২ সালে এখানে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়৷

২০১০ সালে এখানে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়৷

২০১০ সালে এখানে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়৷

২০১০ সালে এখানে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়৷

২০০৯ সালে এখানে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়৷

২০০৮ সালে এখানে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়৷

২০০৬ সালে দেশটিতে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়৷

২০০৫ সালে এখানে সমলিঙ্গের বিয়ে বৈধতা পায়৷

২০১৩ সালে এখানে সমলিঙ্গের বিয়ে বৈধতা পায়৷

২০০৩ সালে এখানে সমলিঙ্গের বিয়ে বৈধতা পায়৷

২০০৫ সালে দেশটিতে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়৷

অস্ট্রেলিয়ায় সমকামীদের বিয়ে বৈধতা পেয়েছে। ২০১৭ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রতিনিধি পরিষদে এ-সংক্রান্ত বিল পাস হয়৷ এই প্রস্তাবের পক্ষে ১৪৬টি এবং বিপক্ষে পড়ে মাত্র ৪টি ভোট৷ এর আগে ১৫ই নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার ব্যুরো অফ স্ট্যাটিসটিকস বা এবিএস ঘোষণা করে যে, দেশটির জনগণ সমকামী বিয়ের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন৷ সমকামী বিয়ে বৈধতা আইনে গণভোটের পক্ষে ভোট দেন ৬১ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ৷

২০১৭ সালে দেশটির সাংবিধানিক আদালত সমকামী বিয়ের অধিকারের পক্ষে রায় দেয়৷ ২০১৯ সাল থেকে তা কার্যকর হয়৷

২০১৭ সালের ৩০শে জুন জার্মানিতে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়৷ অর্থাৎ ইউরোপের ১৫তম দেশ হিসেবে জার্মানিতে সমকামী বিয়ে বৈধতা পেল৷ জার্মান পার্লামেন্টে এর পক্ষে ৩৯৩টি ভোট পড়ে আর বিপক্ষে পড়ে ২২৬টি ভোট৷ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের রক্ষণশীল খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী পার্টি সমকামী বিয়ের বিপক্ষে থাকলেও, সংসদীয় নির্বাচনের ক’মাস আগে হঠাৎ করেই ম্যার্কেল ঘোষণা করেন যে, এ বিষয়ে ভোটাভুটি হবে৷

২০১৭ সালের জুলাই মাসে মাল্টায় সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়, যদিও এর বিরোধিতা করেছিল ক্যাথলিক চার্চ৷

২০০৯ সালে সংবিধান সংশোধন করে সমকামী বিয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল বলিভিয়া৷ কিন্তু ২০১৬ সালে তারা ট্রান্সজেন্ডারদের নানারকম অধিকার দেয়াকে সমর্থন করে৷ দুই বছরের আইনী লড়াইয়ের পর ২০২০ সালে দেশটিতে এক সমকামী যুগল বিয়ের স্বীকৃতি পায়৷

২০১৯ সালের ১৭ মে এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে তাইওয়ানের সংসদ সমকামী বিয়েকে আইনগত বৈধতা দিয়ে একটি বিল পাস করে৷ ফলে সে দেশের সমকামীরা এখন তাদের বিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন৷