1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোবটকে ‘মানুষ’ করে তোলার প্রচেষ্টা

এলকে ওপিয়েলকা/এসবি২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪

রোবটকে দিয়ে আজকাল কলকারখানায় অনেক কাজ করানো হচ্ছে৷ কিন্তু তার মগজে অনুভূতি বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ঢোকানো সম্ভব কি? বার্লিনে একদল বৈজ্ঞানিক ও শিল্পী একটি রোবটকে সেভাবে তালিম দেওয়ার চেষ্টা করছেন৷

25.07.2014 projekt zukunft Myon
ছবি: DW

রোবটকে ‘মানুষ’ করে তোলার প্রচেষ্টা

03:27

This browser does not support the video element.

মিয়ন নামের রোবট ও তার স্রষ্টারা আরেকবার ল্যাব ছেড়ে বেরিয়েছেন৷ এবার মঞ্চে উঠে মিয়ন তার অনুভূতির ক্ষমতা দেখাচ্ছে৷ হুমবল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরো-রোবটিক বিভাগের মানফ্রেড হিল্ড বলেন, ‘‘আমাদের কাছে যা কিছু স্বাভাবিক, মিয়নের কাছে সেগুলিই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ৷ যেমন কারও মুখ চিনতে পারা৷ এই টেবিলের রং প্রায় মানুষের ত্বকের মতো, ফলে মিয়ন মাঝে মাঝে গুলিয়ে ফেলে৷ শুনলে অবাক লাগে বটে, কিন্তু রোবটের কাছে সেটা ক্যামেরায় তোলা ছবি, যা বিশ্লেষণ করতে হয়৷ শব্দ কোথা থেকে আসছে, তা আমরা সহজেই বুঝে ফেলি৷ কিন্তু ঘরের মধ্যে এত প্রতিফলন ঘটলে মিয়নের পক্ষে তার উৎস বোঝা বড়ই কঠিন৷''

মিয়নের স্রষ্টা মানফ্রেড হিল্ড ছয় বছর ধরে রোবট নিয়ে গবেষণা করেছেন৷ এখন তিনি মিয়নকে মঞ্চে পেশ করার কাজে ব্যস্ত৷ সঙ্গে রয়েছে পারফরমেন্স আর্টিস্ট ও গায়কদের এক দল – যার নাম ‘গব স্কোয়াড'৷ তার সদস্য সাইমন উইল বলেন, ‘‘কৃত্রিম মেধা নিয়ে বার্লিনে বেশ কয়েকটি প্রকল্প চলছে৷ তাই আমরা একটা শর্ট লিস্ট করেছি৷ প্রথম প্রার্থী ছিলেন মানফ্রেড৷ তিনি খুব স্পষ্ট করে কথা বলেন এবং শিল্পের প্রতিও তাঁর টান রয়েছে৷ তিনি খোলা মনে আমাদের আইডিয়া গ্রহণ করেছেন৷ কী ভাবে তা তাঁর গবেষণায় কাজে লাগতে পারে, সে বিষয়েও স্পষ্ট ধারণা ছিল৷ ফলে এটা যাকে বলে ‘প্রথম দর্শনেই প্রেম'৷''

গব স্কোয়াড গ্রুপের অন্যতম শিল্পী শন প্যাটেন ছোটবেলা থেকেই স্বাধীন রোবট সম্পর্কে আগ্রহী৷ স্টার ওয়ার্স ছবির রোবটগুলি ঠিক মিয়নের মতো নয়৷ তবে শেষ পর্যন্ত মিয়নকেই তো মঞ্চে বসে নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷

এবং এই রোবট নিজের আবেগও নাকি দেখাতে পারবে৷ যদিও আবেগ শব্দটাই তার জানা নেই৷ গব স্কোয়াডের সাইমন উইল, ‘‘আমরা এমন এক বাস্তব পরিস্থিতি তৈরি করতে চাই, যেখানে কোনো নির্দিষ্ট কাজ করতে হয়৷ এবং এটা কোনো বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার পরিবেশের মতো৷ সবাই রোবটকে দিয়ে আসল কিছু করাতে চায় এবং দেখতে চায়, সে সেটা পারে কিনা৷ পুরোটাই ‘লাইভ' অবস্থায় হচ্ছে৷ অর্থাৎ সে সত্যি বিফল হতে পারে৷ তা থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের বার অন্য চেষ্টা করবো৷''

শিল্পী এবং বিজ্ঞানী – দুই দলের জন্যই এই দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প এখনই বেশ ফল এনে দিচ্ছে৷ মানফ্রেড হিল্ড বলেন, ‘‘এখানে রিহার্সালের সময় এমন সব পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, যা ল্যাবে কখনোই সম্ভব হতো না৷ চারিদিকে গান হচ্ছে, বিশাল হলঘর – রোবটের কাছে এমন পরিবেশ সহজ নয়৷ কোনটা দূরে, কোনটা কাছে, সব গুলিয়ে যায়৷ যেমন তার পেছনে প্রায় ২০ জন বসে শব্দ সৃষ্টি করছে, নড়াচড়া করছে৷ ফলে সে মিনিটের পর মিনিট মাথা ঘুরিয়ে পেছনে তাকায়, যদিও আসল ঘটনা তার সামনে ঘটছে৷ এমন পরিস্থিতিতে তার মনোযোগ ভালো করে পর্যবেক্ষণ করা যায়৷ তারপর প্রয়োজন মতো রদবদল করতে হয়৷''

এবার ল্যাবে ফিরে কাজের পালা৷ আজ যা কিছু ঘটেছে, তা আবার খুঁটিয়ে পর্যালোচনা করতে হবে৷

বিশেষ ঘোষণা: এই সপ্তাহের অন্বেষণ কুইজে অংশ নিতে ক্লিক করুন এখানে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ