1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোবটকে হাঁটতে শেখানোর চেষ্টা

মাবেল গুন্ডলাখ/এসবি২৩ ডিসেম্বর ২০১৪

চলচ্চিত্রের পর্দায় রোবটের কত রকম কাণ্ডকারখানাই তো আমরা দেখতে পাই৷ এমনকি সবসময় তাদের রোবট হিসেবে চেনাও যায় না৷ অথচ বাস্তবে রোবটের পক্ষে ঠিকমতো হাঁটাচলা করা বেশ কঠিন৷ তাই এবার মানুষের মতো হাঁটতে শেখানো হচ্ছে রোবটদের৷

06.10.2014 DW Projekt Zukunft Roboter
ছবি: DW

রোবটরা ভালোই উড়তে পারে৷ কিন্তু এগিয়ে চলার অন্য উপায়গুলি তাদের ভালো করে শিখতে হবে৷ এ কাজে তাদের সাহায্য করছেন অধ্যাপক কাটিয়া মমবাউর৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার তো রোবটদের দারুণ সৃষ্টি মনে হয়৷ তাদের সঙ্গে কাজ করে মজা পাই৷''

বর্তমানে এই গণিতজ্ঞ এক বিশেষ প্রকল্পে কাজ করছেন৷ ‘হিউমানয়েড' বা মানুষের মতো দেখতে রোবট-দের তিনি মানুষের মতোই হাঁটতে শেখাচ্ছেন৷ হাইডেলব্যার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি এক ইউরোপীয় গবেষণা প্রকল্পের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যাতে অন্যান্য দেশের বিজ্ঞানীরাও জড়িত৷ এর উদ্দেশ্য, রোবট-রা স্বাধীনভাবে ও নিরাপদে বিভিন্ন রকম সারফেসের উপর হাঁটতে শেখানো৷ তখন তারা বিপর্যয়ের সময়ও সাহায্য করতে পারবে৷

কাটিয়া মমবাউর এ প্রসঙ্গে ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্রের দুর্ঘটনার কথা মনে করিয়ে দেন৷ তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টা হলো, যে সব মানুষ ভিতরে যেতে পারতেন, তারা এই বিপর্যয় এড়াতে পারতেন৷ কিন্তু সেটা অত্যন্ত বিপজ্জনক কাজ হতো৷ তেজস্ক্রিয় বিকরণের মাত্রা ছিল অত্যন্ত বেশি৷ ফলে ভেতরে মানুষ পাঠানো যায়নি৷ কিন্তু মানুষের মতো দেখতে, তার মতো নড়াচড়ার ক্ষমতা ও বুদ্ধি রয়েছে – এমন রোবট সে কাজ করতে পারতো৷''

রাস্তার ধারে বসে আছে মূর্তিমান এক রোবট!ছবি: Reuters

কম্পিউটারের পর্দায় হাঁটার কাজ দিব্যি চলছে৷ কিন্তু আসল রোবট-রা এখনো এত ভালো করে হাঁটার কাজ রপ্ত করতে পারেনি৷ সে তুলনায় অন্য কিছু নড়াচড়ার কাজ অনেক সহজ৷ কিন্তু রোবট-দের অনেকটা সাপের আদলে তৈরি করা হয়৷ ফলে বিপর্যয়ের সময়ে তাদের কাজে লাগানোর প্রশ্ন ওঠে না৷ হিউম্যানয়েড রোবট অবশ্য মানুষের কিছু মুভমেন্ট নকল করতে শেখে৷ যেমন হাত তোলার ভঙ্গি তারা ভালোই জানে৷

হাঁটার কাজ সেই তুলনায় অনেক জটিল৷ কাটিয়া মমবাউর বলেন, ‘‘মানুষের হাঁটার প্রক্রিয়ায় শুধু পা নয়, গোটা শরীর কাজে লাগাতে হয়৷ মাটি সমান হলে হাত ঝুলিয়ে আমরা মোটামুটি সহজেই হাঁটতে পারি৷ কিন্তু পরিস্থিতি কঠিন হলে হাত কাজে লাগিয়ে ব্যালেন্স করতে হয়৷ প্রয়োজনে হাত দিয়ে কিছু ধরে ফেলতে হয়৷ ফলে তখন গোটা শরীরটাই কাজে লাগে৷''

তাই এই প্রকল্পের আওতায় মানুষের নড়াচড়ার প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ কোন ধরনের সার্ফেসের উপর মানুষ কী ভাবে হাঁটছে, তাও দেখা হচ্ছে৷ ভবিষ্যতের রোবট-কে তো সব ধরনের অজানা জায়গায় হাঁটাচলা করতে হবে৷

এই গবেষণার আওতায় সবচেয়ে ভালো মুভমেন্ট খোঁজার কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ – যাকে প্রযুক্তির পরিভাষায় ‘অপটিমাইজেশন ক্রাইটেরিয়া' বলা হয়৷ কাটিয়া মমবাউর বলেন, ‘‘নড়াচড়ার পরিমাপ আমরা হুবহু রোবট-এর উপর চাপিয়ে দেই না৷ সেটা সম্ভবও নয়, কারণ রোবট-এর জ্যামিতি, আকার, আয়তন, ক্ষমতা মানুষের তুলনায় একেবারে আলাদা৷ মানুষের তুলনায় সে অনেক ধীরে এগোতে পারে৷ আমরা ‘অপটিমাইজেশন ক্রাইটেরিয়া'-র মৌলিক নীতি মেনে চলি এবং সেটা রোবট-এর উপর প্রয়োগ করি৷''

পরীক্ষামূলক রোবট-গুলি হাঁটাচলার প্রাথমিক অনুশীলন শুরু করেছে, বাধা এড়িয়ে চলতে শিখছে৷ সিঁড়িভাঙার কাজও শিখছে৷ তবে তাদের আরও পারদর্শী এবং দ্রুত হয়ে উঠতে হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ