1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোবট যখন প্রত্নতাত্ত্বিক

মার্টিন রিবে/এসবি১১ ডিসেম্বর ২০১৫

রোম শহরের নীচে রয়েছে রহস্যময় সুড়ঙ্গের এক জগৎ৷ কিন্তু মানুষের পক্ষে সেই প্রাচীন সমাধিক্ষেত্রের সব অংশে প্রবেশ করা কঠিন৷ তাই রহস্য উন্মোচন করতে সেখানে পাঠানো হচ্ছে বিশেষ রোবট৷

SpaceBot Camp in Hürth bei Köln spacebot 21
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Vennenbernd

এবার মাটির নীচে রহস্য উন্মোচন করবে রোবট

04:04

This browser does not support the video element.

রোম শহরের নীচে অন্ধকার জগতে পা রাখছে এক রোবট৷ প্রায় ২,০০০ বছর আগে সেখানে ভূগর্ভস্থ সমাধি ছিল৷ এখনো পর্যন্ত প্রতিটি সুড়ঙ্গ খুঁজে দেখা সম্ভব হয় নি, কারণ অত্যন্ত সরু পথগুলি ধসে পড়ার ভয় রয়েছে অথবা সেখানে তেজস্ক্রিয় ‘ব়্যাডন' গ্যাস ছেয়ে আছে৷

‘মাটিল্ডা' নামের স্বয়ংক্রিয় রোবট পরীক্ষার জন্য একেবারে আদর্শ পরিবেশ৷ এই রোবট ভূগর্ভের থ্রিডি মানচিত্র তৈরি করে৷ বন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরিল স্টাখনিস বলেন, ‘‘রোম শহরের নীচে সমাধিগুলি একদিকে আমাদের সিস্টেমের মূল্যায়নের জন্য জরুরি৷ অন্যদিকে আমরা এর মাধ্যমে প্রত্নতাত্ত্বিকদের হাতে এমন আধুনিক থ্রিডি মডেল তুলে দিতে পারি, যার সাহায্যে তাঁরা সমাধিগুলি বিশ্লেষণ করে সেগুলির বর্তমান অবস্থা নির্ণয় করতে পারেন৷''

মানষকেও কি একদিন হার মানাবে রোবট?ছবি: Daimler und Benz Stiftung/Oestergaard

বন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপারদের এক দল এমন অ্যালগোরিদম তৈরি করেছেন, যার সাহায্যে রোবট রোম শহরের প্রাচীন আমলের খ্রিষ্টানদের সন্ধান করছে৷ সেকেন্ডে ৩০ সেন্টিমিটার গতিতে হাইটেক যন্ত্রসহ এই রোবট অন্ধকার সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে৷ সফটওয়্যার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে থ্রিডি মানচিত্র ও ভিডিও তৈরি করছে৷ অধ্যাপক সিরিল স্টাখনিস বলেন, ‘‘এই সফটওয়্যার ত্রিমাত্রিক পরিবেশ তৈরি করে, স্বাধীনভাবে তা পর্যবেক্ষণ করে৷ যাত্রাপথে বাধাবিপত্তি শনাক্ত করে তা এড়িয়ে যেতে পারে৷ গোটা সমাধি চষে বেড়িয়ে যতটা সম্ভব নিখুঁত এক মডেল তৈরি করতে পারে এই রোবট৷''

একাধিক ক্যামেরার মাধ্যমে এই রোবট সেকেন্ডে ২০ বার তার চারপাশের পরিবেশের ছবি তোলে৷ ৫০ ওয়াট এলইডি বাতি ভিডিও-র আলো হিসেবে কাজ করে৷ বাধা দেখলে সযত্নে তা এড়িয়ে গিয়ে কাজ চালিয়ে যায়৷

পথ হারানোর কোনো আশঙ্কা নেই৷ ‘মাটিল্ডা' ঘুরে ঘুরে একই জায়গায় ফিরে যায় এবং তারপর ধাপে ধাপে নতুন জায়গায় পা বাড়ায়৷ অধ্যাপক স্টাখনিস বলেন, ‘‘ঘুরে চলার এই কায়দার মাধ্যমে যতটা সম্ভব নিখুঁত মানচিত্র তৈরি করা সম্ভব৷ রোবট বার বার চেনা জায়গায় গিয়ে আগের ভুলত্রুটি শুধরে নিয়ে সঠিক হিসেব করতে পারে৷''

ঠিকমতো কাজ করতে হলে রোবটকে যে কোনো সারফেসের উপর সহজে চলাফেরা করতে হয়৷ মাটির নীচে যাত্রার সময়ে নানা ধরনের বাধাবিপত্তির সামনে পড়তে হয় এবং যে কোনো পরিস্থিতিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হয়৷

আজ এক পরীক্ষামূলক অভিযানের সময় রোবটকে প্রমাণ দিতে হবে, যে তার এমারজেন্সি সফটওয়্যার সত্যি কাজ করছে৷ বন শহরের কাছে এক গুহায় তা পরীক্ষা করা হচ্ছে৷ অধ্যাপক স্টাখনিস বলেন, ‘‘আমরা রোবট নিয়ে বেরিয়ে এই গুহায় অভিযান চালাবো৷ তারপর তাকে এক কৃত্রিম অবস্থায় ফেলে ত্রুটি শনাক্ত করাবো৷ অর্থাৎ সে তখন কাজ করবে না এবং প্ল্যাটফর্ম স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাইরে যাবার পথ খুঁজে নেবে৷ এভাবে আমরা নিশ্চিত হতে চাই, যে রোবট কখনো হারিয়ে যাবে না৷''

ঐতিহাসিক নিদর্শন পরীক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ভবিষ্যতে প্রত্নতাত্ত্বিক, ইতিহাসবিদ বা ইঞ্জিনিয়াররা এই রোবট ব্যবহার করবেন৷ তাই সহজেই যাতে তা ব্যবহার করা যায়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে৷ এর মধ্যে রয়েছে আপদকালীন অবস্থায় উৎসে ফিরে আসার এক স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা৷ কিন্তু সেটা কি সত্যি কাজ করে?

বিজ্ঞানীরা কৃত্রিমভাবে মারাত্মক এক ‘সিস্টেম এরর' সৃষ্টি করেছেন৷ ফলে রোবটের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে৷ রোবট পরীক্ষায় পাশ করে কয়েক মিনিটের মধ্যে আবার গুহার মুখে ফিরে এসেছে৷ এই রোবট এর মধ্যে রোম শহরের নীচে সমাধিক্ষেত্রের প্রায় ৫ কিলোমিটার অংশের মানচিত্র তৈরি করেছে৷ ইন্টারনেটে থ্রিডি ভিডিওর মাধ্যমে যে কেউ বাড়িতে বসেই রহস্যজনক সুড়ঙ্গ দেখতে পারবে, যেমনটা আজ ‘গুগল স্ট্রিট ভিউ'-এর মাধ্যমে সম্ভব৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ