রোবট মৌমাছির মাধ্যমে শিশুদের প্রোগ্রামিং প্রশিক্ষণ
৩১ আগস্ট ২০২১
আজকের এই ডিজিটাল যুগের জন্য প্রস্তুতি কখন শুরু করা উচিত? সুইজারল্যান্ডে এক মৌমাছি রোবটকে কিন্ডারগার্টেনের শিশুদের মধ্যে খেলাচ্ছলে তথ্য-প্রযুক্তি সংক্রান্ত জ্ঞানের ভিত্তি সৃষ্টির কাজে লাগানো হচ্ছে৷
বিজ্ঞাপন
কিন্ডারগার্টেনে মৌমাছির মতো দেখতে রোবট আনা হয়েছে৷ শিশুদের তথ্য-প্রযুক্তি সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান দেওয়াই সেটির কাজ৷ মানুয়েলা বোডমার এই ডিজিটাল টুল ব্যবহার করে শিশুদের ডিজিটাল যুগের জন্য প্রস্তুত করছেন৷ শিক্ষিকা হিসেবে মানুয়েলা বলেন, ‘‘আমি এই রোবট কাজে লাগাতে ভালোবাসি৷ সেটি শিশুদের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে এবং তাদের যুক্তিযুক্ত চিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ করে৷ তাদের অনেক ভাবনাচিন্তা করতে হয়, মৌমাছি রোবটে ভরার জন্য পদক্ষেপগুলির পরিকল্পনা করতে হয়৷ এমন প্রোগ্রামিং করতে তাদের বেশ মাথা ঘামাতে হয়৷ দারুণ অভিজ্ঞতা!’’
সুইজারল্যান্ডের জুরিখ জেলায় গবেষণার ফল হিসেবে বিশেষ এই খেলার রোবট তৈরি করা হয়েছে৷ ‘বি-বট' নামের এই রোবটের এক চারণক্ষেত্রে ফুল, মধু ও নানা বাধা-বিপত্তি রয়েছে৷ শিশুদের বি-বটের গতিবিধি প্রোগ্রাম করতে হয়৷ ডান দিক ঘোরা, সামনে তাকানো এবং সোজা চলার নির্দেশ দিতে হয়৷ পরিকল্পনা সফল হলে সেটি তার গন্তব্যে পৌঁছতে পারে৷
এই কিন্ডারগার্টেনে বি-বট নিয়ে খেলা হয়৷ কিন্ডারগার্টেনে থাকতেই শিশুদের পক্ষে প্রোগ্রামিং শেখা সম্ভব কিনা এবং এমন ডিজিটার টুল কতটা সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে, প্রোফেসর এল্সবেট স্ট্যার্ন ও অন্যান্যরা সেই গবেষণা করছেন৷
জার্মানির পাবলিক স্কুলগুলোতে কী হয়?
জার্মানিতে স্কুলগুলো একটি জটিল প্রক্রিয়া অনুসরণ করে৷ সেই জটিল প্রক্রিয়া আবার রাজ্য থেকে রাজ্যে ভিন্ন৷ প্রাথমিক পর্যায় থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে উত্তরণ সবচেয়ে জটিল৷ ছবিঘরে একটি ধারণা পেতে পারেন৷
ছবি: picture alliance/dpa/F. Kästle
টডলার থেকে টিনএজার
শিশুরা তাদের বয়স ৬ বছর হওয়া পর্যন্ত কিন্ডারগার্টেনে পড়ে৷ এরপর ৫ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত (গ্রেড ১ থেকে ৯, কোথাও ১০ পর্যন্ত) স্কুলে উপস্থিতিতে ব্যাপক কড়াকড়ি৷ হোমস্কুলিংয়ের কোনো বিষয় নেই৷ তবে খুব বিরল কারণে (যেমন, ভয়াবহ অসুস্থতা) হোমস্কুলিং সম্ভব৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Karmann
প্রাথমিক পর্যায়
প্রথম দিন স্কুলে গেলে বিশেষ মিষ্টি উপহার পায় শিশুরা৷ সিরিয়াস বিষয়ের সঙ্গে আস্তে আস্তে তাদের পরিচিত করানো হয়৷ পড়াশোনার পদ্ধতি ঠিক করে রাজ্যগুলো, তাতে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই৷ বেশিরভাগ স্কুলে ৪ বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে শিশুরা৷ কোথাও কোথাও ৬ বছর৷ এরপর মাধ্যমিক৷
ছবি: imago/Kickner
শিক্ষকের সুপারিশ
মাধ্যমিকে পড়তে যাবার সময় প্রাথমিকের শিক্ষক একটি সুপারিশ দেন৷ এই সুপারিশই নির্ধারণ করে শিক্ষার্থী মাধ্যমিকের কোন স্কুলে যাবে৷ কারণ, মাধ্যমিকে গিমনাজিউম, রেয়ালশুলে ও হাউপ্টশুলে ছাড়াও গেজাম্টশুলে নামের ভিন্ন ভিন্ন ধরনের স্কুল রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/imageBROKER/R. Hottas
গিমনাজিউম
এটি মূলত অ্যাকাডেমিকস তৈরির স্কুল৷ এই স্কুলে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য তৈরি করা হয়৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হলে গ্রেড ১২ বা ১৩ শেষ করে শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার এনট্রান্স পরীক্ষা (এ লেভেল) অথবা হাইস্কুল ডিপ্লোমা পরীক্ষা দিতে হয়ে৷
ছবি: picture alliance/BeyondFoto
রেয়ালশুলে
রেয়ালশুলেতেও (গ্রেড ৫-১০) গিমনাজিউমের বিষয়গুলো পড়ানো হয়৷ তবে কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আছে৷ যেমন, বিদেশি ভাষার বিষয়ে ভিন্ন ধরনের চাহিদা থাকে৷ মূলত শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে প্রযুক্তি বা বিজনেস স্কুলে পড়ার জন্য তৈরি করা হয়৷ যারা ভালো করে, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে গিমনাজিউম বা গেজাম্টশুলেতে সুইচ করতে হয়৷
ছবি: picture-alliance/W. Bahnmüller
হাউপ্টশুলে
এই স্কুলেও অন্যান্য উচ্চ মাধ্যমিকের বিষয়গুলো পড়ানো হয়, তবে ধীর গতিতে৷ এখানে মূলত কারিগরি শিক্ষার ওপর বেশি জোর দেয়া হয়, যেন তারা ভবিষ্যতে কারিগরি স্কুল বা এ সংক্রান্ত শিক্ষানবিশী কর্মসূচিতে ভর্তি হতে পারে৷ তবে ভালো ফল করলে এখান থেকেও রেয়ালশুলে ডিপ্লোমা বা বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ট্রান্স পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/U. Baumgarten
গেজাম্টশুলে
গেজাম্টশুলের ধারণাটি তুলনামূলক নতুন৷ তিন টায়ারের স্কুল পদ্ধতির বিপরীতে এর উৎপত্তি মূলত ৬০ ও ৭০-এর দশকে৷ এখানে গিমনাজিউম, রেয়ালশুলে ও হাউপ্টশুলে তিনটি স্কুলের ধারণাকে একীভূত করা হয়েছে৷ এখান থেকে শিক্ষার্থীরা গ্রেড ১৩ পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিতে পারে, অথবা ৯ম বা ১০ম গ্রেড পাশ করে কারিগরি স্কুলে যেতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/imageBROKER/u. umstätter
বাড়ছে গেজাম্টশুলে’র জনপ্রিয়তা
সম্প্রতি গেজাম্টশুলে’র জনপ্রিয়তা খুব বেড়েছে৷ বিশেষ করে বড় শহরগুলোতে সিটের চেয়ে আবেদন বেশি পড়ছে৷ কোলনে ২০১৮ সালে প্রায় ১ হাজার আবেদন উপেক্ষা করতে হয়েছে৷
ছবি: picture alliance/blickwinkel/M. Begsteiger
বদলাবার সুযোগ
পড়তে পড়তেই শিক্ষার্থীরা পদ্ধতি বদল করতে চাইতে পারে৷ যেমন, গিমনাজিউমে ৫ম ও ৬ষ্ঠ গ্রেডকে ট্রায়াল পিরিয়ড বলা হয়৷ এ সময় শিক্ষার্থীরা ভালো করতে না পারলে শিক্ষকেরা তাকে রেয়ালশুলে বা হাউপ্টশুলেতে পাঠাবার সুপারিশ করতে পারেন৷ তবে মাঝামাঝি পর্যায়ে গিয়ে গেজাম্টশুলেতে যাওয়া একটু কঠিন, কারণ, তাদের পড়াবার কৌশল একটু ভিন্ন৷ এছাড়া ভালো ফলাফল করলে রেয়াল বা হাউপ্টশুলে থেকে গিমনেজিউমেও যাবার সুযোগ রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul
রাজ্য থেকে রাজ্যে ভিন্নতা
এই পদ্ধতিগুলোতে রাজ্য থেকে রাজ্যেও ভিন্নতা রয়েছে৷ যেমন, স্যাক্সনিতে স্কুলগুলো ওবারশুলে (রেয়াল ও হাউপ্টশুলে মিশ্রিত) ও গিমনাজিউম– এই দুই ভাগেই বিভক্ত৷ বাভেরিয়াতে মিটেলশুলে বলে একটি স্কুল-পদ্ধতি আছে৷ এছাড়া কারিগরি শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিত হতে চাইলে আছে বেরুফসশুলে৷ সেখানে কোনো একটি কারিগরি দিকে উচ্চতর পড়াশোনা বা শিক্ষানবিশীর সুযোগ রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/imageBROKER
বিশেষায়িত স্কুল
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্যও রয়েছে আলাদা স্কুল, যেমন, ফ্যোর্ডারশুলে ও জন্ডারশুলে৷ তবে কোনো কোনো প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে সাধারণ বাচ্চাদের সঙ্গেই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বাচ্চারা শিক্ষাগ্রহণ করে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Wüstneck
11 ছবি1 | 11
পেট্রা আডামাৎসেক ‘চাইল্ড ল্যাব’ উদ্যোগের প্রতিষ্ঠাতা৷ সেখান থেকেই বি-বট এসেছে৷ তিনি মনে করেন, ‘‘সমান অধিকারের সুযোগই আমাদের কাজের প্রধান কারণ৷ স্কুলে কম বয়সেই যখন তথ্য প্রযুক্তি শেখানো হয়, তখন সব শিশু এই প্রযুক্তির সংস্পর্শে আসে এবং সড়গড় হয়ে ওঠে৷ সেই দায়িত্ব বাবা-মার উপর দিলে সাধারণত ছেলেদের কোনো কম্পিউটার কোর্সে ভর্তি করে দেওয়া হয়৷ ছেলেরাই প্রথম কম্পিউটার হাতে পায়৷ সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া শিশুদের ক্ষেত্রেও সেটাই ঘটে৷’’
সহজ টুলের সাহায্যে একেবারে শিশু বয়স থেকে প্রোগ্রামিং শিখলে এবং সেটা করতে গিয়ে মজা পেলে মন্দ কী! মৌমাছি রোবট, গেমিং ফিল্ড এবং বাক্সের মধ্যে খেলার কার্ড এরই মধ্যে প্রায় ৮,০০০ শিশুর নাগালে এসে গেছে৷ এই গবেষণার ফল কী বলে? ডিজিটাল মৌমাছির মাধ্যমে শিক্ষা এবং তথ্য-প্রযুক্তির ভিত্তি আসলে কী? গবেষক হিসেবে প্রো. এল্সবেট স্ট্যার্ন বলেন. ‘‘বস্তুগুলি নির্দিষ্ট বিন্যাস অনুযায়ী সাজানো এর মধ্যে পড়ে৷ অপ্টিমাইজেশন স্ট্র্যাটিজি এবং লক্ষ্য অনুযায়ী ভাবনাচিন্তা করাও জরুরি৷ কখনো আবার পরিবেশের বাকি বিষয়গুলিও বিবেচনা করতে হয়৷ আমরা সে সব পরীক্ষা করেছি৷’’
তাঁর গবেষণার ফল অনুযায়ী তথ্য-প্রযুক্তির ভিত্তি অবশ্যই কিন্ডারগার্টেনে শেখা সম্ভব৷ তবে আরও কিছু বিষয় ভুললে চলবে না৷ প্রো. স্ট্যার্ন বলেন, ‘‘আমাদের দুটি গুরুত্বপূর্ণ অনুমান ছিল৷ প্রথমত, শিশুরা কি একা খেলার সময় ততটাই শিখতে পারে, যতটা তারা নির্দেশ অনুযায়ী কাজের সময়ে শেখে? এমন অনুমান সত্য প্রমাণিত হয় নি৷ শিশুদের নির্দেশের প্রয়োজন হয়৷ দ্বিতীয়ত ইলেকট্রনিক খেলনা হিসেবে বি-বট সব সময়ে আরও ভালো ফল দেখায় না৷ বরং অনেক কিছু বোর্ড গেমের মাধ্যমে আরও ভালোভাবে শেখানো সম্ভব৷ বাস্তবেও এমনটাই দেখা গেছে৷’’
ডিজিটাল চিন্তাধারা শেখার জন্য সব সময়ে যে ডিজিটাল টুলের প্রয়োজন, সেটা ঠিক নয়৷ তবে বি-বটের কিছু সুবিধা রয়েছে৷ সেটি খেলাচ্ছলে ফিডব্যাক দেয়৷ সুইজারল্যান্ডের স্কুল ও কিন্ডারগার্টেনগুলি বিনামূল্যে এই টুল ধার করতে পারে৷ এই কিন্ডারগার্টেনেও সম্ভবত আবার বি-বট কাজে লাগানো হবে৷
ক্রিস্টিয়ান সেভাল্ড/এসবি
ঘরে ইন্টারনেট নেই, তবুও চলছে লেখাপড়া
করোনাকালে বিশ্বের অনেক দেশেই চলছে অনলাইন ক্লাস৷ কিন্তু ফিলিপাইনসের কিছু জায়গায় ইন্টারনেট সংযোগের অবস্থা এমন যে লেখাপড়ার জন্য একরকম যুদ্ধেই নামতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের৷ দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: Eloisa Lopez/REUTERS
ফিলিপাইনসের পরিস্থিতি
বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পড়াশোনার পরিস্থিতি কেড়ে নিয়েছে৷ অনলাইনে পড়াশোনার দিকে সবাই ঝুঁকলেও বিশ্বের বহু জায়গায় পর্যাপ্ত ইন্টারনেট পরিষেবা নেই৷ ফলে, শিক্ষা থেকে বঞ্চিত অসংখ্য শিক্ষার্থী৷ ফিলিপাইনসের অবস্থাও অনেকটা এমনই৷
ছবি: Eloisa Lopez/REUTERS
ছাদে সংযোগ
দশ বছর বয়েসি ঝায় আর চালমার বাসার ভেতরে ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যায় না৷ তাই করোনাকালে পঞ্চম শ্রেণীর এই শিক্ষার্থীকে ছাদে উঠে চালের ওপর বসে বসেই করতে হয় অনলাইন ক্লাস৷ তার মা জানিয়েছেন, ‘‘মাঝে মাঝে আমরা সিমকার্ড পরিবর্তন করি যাতে আরেকটু ভালো সংযোগ পাওয়া যায়৷ কিন্তু সবসময় তা করার মতো টাকা হাতে থাকে না৷’’
ছবি: Eloisa Lopez/REUTERS
সরকারের সাহায্য
ফিলিপাইনসের সরকার অন্যান্য দেশের মতোই শিক্ষার্থীদের এই পরিস্থিতিতে ট্যাব বা মোবাইল ফোন দিয়েছে, যার সাহায্যে তারা অনলাইন ক্লাসে যোগ দিতে পারে৷ কথা ছিল জানুয়ারি মাসেই স্কুল খুলবে৷ কিন্তু ফিলিপাইনসে বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত৷ ফলে, আরো কিছু দিন অনলাইনেই চলবে পড়াশোনা৷
ছবি: Eloisa Lopez/REUTERS
পরিসংখ্যান যা বলছে
অনলাইন পড়াশোনায় উন্নত বিশ্বের দেশগুলি সাফল্য পেলেও ফিলিপাইনসে বাস্তবতা ভিন্ন৷ দশ কোটি আট লাখ মানুষের দেশটিতে মাত্র পাঁচ ভাগের এক ভাগের হাতেই, অর্থাৎ মাত্র দুই কোটি মানুষের কাছে রয়েছে ইন্টারনেটের সুবিধা৷ এছাড়া আরো অনেক পরিবারেরই নেই মোবাইল কেনার সামর্থ্য৷ অন্যদিকে ইন্টারনেট না থাকায় স্কুলছুট হয়েছে সেদেশের শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ, জানাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়৷
ছবি: Eloisa Lopez/REUTERS
পরিবারের ভূমিকা
এগারো বছরের লাভলি তার পরিবারের সাথে ম্যানিলার একটি কবরস্থানেই থাকে৷ মুরগি বেচে সংসার চালান তার বাবা-মা৷ বাসার মানুষের কাছ থেকে সে পড়াশোনায় সাহায্য না পেলেও তাদের পাশে, কবরের ওপরে বসেই, পড়ার কাজ শেষ করে৷ লাভলির মা জানেন, এই পরিস্থিতি পড়াশোনার জন্য অনুকূল নয়৷ তবে পরিস্তিতি মেনে নিয়েই তাকে বলতেহয়, ‘‘ব্যবসা না দেখলে ওকে খাওয়াবো কী? ও পড়াশোনা করে চাকরি পেলে তবেই আমরা এখান থেকে বেরোতে পারবো৷’’
ছবি: Eloisa Lopez/REUTERS
পড়ার জন্য পাহাড় চড়া
কলেজপড়ুয়া মার্ক ফিলিপাইনসের বাতাঙ্গাস অঞ্চলের বাসিন্দা৷ ইন্টারনেট সংযোগের জন্য তাকে কখনো জঙ্গলের ভেতর, কখনো পাহাড়ে চড়তে হয়৷ পড়ার জন্য প্রয়োজনীয় ইন্টারনেটের খরচ জোগাতে পার্ট-টাইম কাজও করে সে৷
ছবি: Eloisa Lopez/REUTERS
তবুও নাছোড়বান্দা যারা
হাজারো প্রতিকূলতা সত্ত্বেও লক্ষ্যে অনড় মার্ক৷ তার বক্তব্য, ‘‘আমি জানি, আমরা ধনী নই, তাই পড়াশোনা শেষ করেই আমি বাবা-মায়ের ঋণ শোধ করতে চাই৷ হাল না ছেড়ে, ধৈর্যের সাথে এই কঠিন সময়েও আমি পড়ায় মন দিতে চাই৷ উন্নতি করতে চাই৷’’