রোববার দুপুরে মোকা আঘাত হানতে পারে
১২ মে ২০২৩বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন শুক্রবার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান৷
এদিকে, ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের ১০ নম্বর বুলেটিনে বলা হয়ছে, রোববার দুপুর ১২টার দিকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি খুব সম্ভবত কক্সবাজার ও মিয়ানমারের সিত্তের কাছে কিয়াকপিউ শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে যেতে পারে৷ সেসময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ১৫০-১৬০ কিলোমিটার৷
বঙ্গোপসাগরের মধ্য ও দক্ষিণপূর্ব অংশ এবং আন্দামান সাগর বেশ উত্তাল রয়েছে৷ ‘মোকা' ভূমিতে আঘাত হানার সময় বাংলাদেশের দক্ষিণপূর্ব ও মিয়ানমারের উত্তর উপকূলে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় দুই থেকে দুই দশমিক পাঁচ মিটার উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে৷
ঝুঁকিতে সেন্টমার্টিন-কক্সবাজার
কক্সবাজার ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছে মোকার প্রভাবে উচ্চ জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকিতে রয়েছে সেন্টমার্টিনসহ কক্সবাজার উপকূলীয় অঞ্চল৷ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপ৷
ঝুঁকি ও ক্ষতি নিরসনে সেন্টমার্টিনসহ উপকূলীয় অঞ্চলে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে৷ উপকূল অতিক্রমের সময়ও শক্তি কমবে না অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোকার৷ যার ফলে পূর্ণ শক্তি নিয়েই এটি বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মিয়ানমারের উপকূলীয় অঞ্চল অতিক্রম করবে বলে জানান বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক৷
তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র সেন্টমার্টিনের কাছাকাছি দিয়ে অতিক্রম করবে, তাই দ্বীপটির ওপর এর প্রভাব বেশি পড়বে৷
কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘‘সেন্টমার্টিন দ্বীপ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে৷ দ্বীপটি অতিক্রমের সময় ঝড়ো হাওয়ার গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটারের বেশি থাকতে পারে৷ ফলে সেন্টমার্টিনে ১৫ থেকে ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে৷ সেন্টমার্টিন দ্বীপ অতিক্রম করতে মোখার প্রায় ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা সময় লাগবে৷ এই সময় সেখানে উচ্চ জলোচ্ছ্বাস থাকবে৷ সেজন্য সেখানকার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়াটাই সবচেয়ে ভালো উদ্যোগ হবে৷''
সব রকমের প্রস্তুতি শুরু করেছে কক্সবাজার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়৷ ইতোমধ্যে সেন্টমার্টিনে ৫ টন চাল, ১ লাখ টাকা ও ২০০ প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে৷
জেকে/জেডএইচ (দ্য ডেইলি স্টার)