আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ছাড়া আজকের যুগে প্রায় কোনো ক্ষেত্রেই অগ্রগতির সম্ভাবনা নেই বলে দাবি করা হয়৷ জার্মানিতেও এ বিষয়ে বিস্তর গবেষণা চলছে৷ ইন্দোনেশিয়ার এক গবেষকও তাতে অংশ নিচ্ছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/TU
বিজ্ঞাপন
জার্মানির নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের রাইন-সিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ইট-বটস টিম-এর ডেরা৷ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবোটিক্সের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ‘রোবো কাপ'-এ এই টিমেরই জয় হয়েছে৷ অনেক গবেষক একযোগে রোবটের জন্য অ্যালগোরিদম সৃষ্টি করেন এবং অনেক আন্তর্জাতিক রোবট প্রতিযোগিতায় অংশ নেন৷
রোবটের অন্যতম মূল উপাদানই হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা৷ ইন্দোনেশিয়ার এক বিজ্ঞানীও গবেষকদের এই দলে এআই সৃষ্টির কাজে সক্রিয় রয়েছেন৷ এআই গবেষক হিসেবে মোহাম্মাদ ওয়াসিল জানান, ‘‘এটা হলো ইউবট, এক ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবট৷ আমার গবেষণার মূল বিষয় হলো রোবটের বোধশক্তি৷ রোবট এভাবে আশেপাশের পরিবেশ বিশ্লেষণ করে সব বস্তু শনাক্ত করে৷''
এই রোবট ‘টাইম-অফ-ফ্লাইট' ক্যামেরা ব্যবহার করে৷ সেটি দিয়ে বস্তুর টুডি ও থ্রিডি ছবি তোলা যায়৷ তারপর রোবট বস্তু শনাক্ত করে এবং সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে সেগুলির অবস্থান আন্দাজ করে৷
ওয়াসিল মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে তাঁর রোবটকে প্রশিক্ষণ দেন৷ সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে সেটি কারখানায় অ্যালুমিনিয়ম ও নাটবল্টু চিনতে পারে৷ তিনি বলেন, ‘‘সবার আগে সেই সব বস্তু সম্পর্কে আমাদের তথ্য সংগ্রহ করতে হয়, রোবটকে যেগুলি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে৷ সেই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা রোবটকে প্রশিক্ষণ দেই৷ রোবট তখন বস্তুর নাম ও অবস্থান আগেভাগে বলতে পারবে৷''
তারপর রোবটকে নিজস্ব ক্ষমতার বলে বোধবুদ্ধি প্রয়োগ করে নির্দিষ্ট বস্তু বেছে নিয়ে পরিবহণের দায়িত্ব দেওয়া হবে৷ তবে রোবট সব বস্তু নিখুঁতভাবে বেছে নিতে পারে না৷ কারণ, বস্তুর অবস্থান আন্দাজ করতে রোবটের ভুল হয়৷ বস্তুর আকার ও জটিলতাও এই ত্রুটির অন্যতম কারণ৷ ন্যাভিগেশনের পথে বাধা এলে ইউবট সহজেই বিকল্প পথ খুঁজে নিতে পারে৷
কোন দেশে কত রোবট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে?
বিশ্বের বিভিন্ন কারখানায় মানুষের জায়গা দখল করছে রোবট৷ উন্নত দেশগুলোতে ১০ হাজার কর্মচারীর মধ্যে গড়ে কতটি রোবট কর্মচারী রয়েছে, জেনে নিন ছবিঘরে৷
ছবি: picture alliance/Everett Collection
১০. স্পেন
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার কর্মচারীর মধ্যে গড়ে ৮৪ টি রোবট কর্মচারী রয়েছে৷
ছবি: APTN
৯. যুক্তরাষ্ট্র
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার কর্মচারীর মধ্যে গড়ে ৮৬ টি রোবট কাজ করে৷
ছবি: picture-alliance/epa/G. Rothstein
৮. বেলজিয়াম
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার কর্মচারীর মধ্যে গড়ে কাজ করে ৮৯ টি রোবট৷
ছবি: Getty Images/AFP/B. Horvat
৭. ফিনল্যান্ড
এই দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার কর্মচারীর মধ্যে গড়ে ৯৮ টি রোবট কাজ করে৷
ছবি: DW/D. Pundy
৬. ইটালি
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার কর্মচারীর মধ্যে গড়ে কাজ করে ১২৪ টি রোবট৷
ছবি: Starship Technologies
৫. সুইডেন
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার কর্মচারীর মধ্যে গড়ে ১২৬ টি রোবট কাজ করে৷
ছবি: Getty Images/AFP/C.Koall
৪. জার্মানি
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার কর্মচারীর মধ্যে গড়ে কাজ করে ১৬৩ টি রোবট৷
ছবি: Getty Images/AFP/T. Schwarz
৩. দক্ষিণ কোরিয়া
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার কর্মচারীর মধ্যে গড়ে ১৬৪ টি রোবট কাজ করে৷
ছবি: picture-alliance/Seung-il Ryu/NurPhoto
২. সিঙ্গাপুর
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার কর্মচারীর মধ্যে গড়ে ১৬৯ টি রোবট কাজ করে৷
ছবি: DW/J. Yan
১. জাপান
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার কর্মচারীর মধ্যে গড়ে ২৯৫ টি রোবট কাজ করে৷
ছবি: Getty Images/T. Yamanaka
10 ছবি1 | 10
কুকা যেসব ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবট সৃষ্টি করছে, এই রোবট তারই এক উদাহরণ৷ শিক্ষা ও গবেষণার কাজে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে৷ মোহাম্মাদ ওয়াসিল জানান, ‘‘শিল্পক্ষেত্রে রোবট বিভিন্ন যন্ত্রাংশ জোড়া দিতে পারে৷ দ্বিতীয়ত, রোবট স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় মালপত্র পরিবহণ করতে পারে৷ কৃষিক্ষেত্রে আমার গবেষণার মাধ্যমে রোবট শস্য শনাক্ত করতে পারে, যাতে আরো দক্ষতার সঙ্গে সার স্প্রে করা যায়৷ এছাড়া স্বয়ংসম্পূর্ণ গাড়ি পথঘাট, পথচারী, সাইকেল চালক ও অন্যান্য গাড়ি চিহ্নিত করে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমাতে পারে৷''
বি-ইট-বটস ২০১৯ সালের রোবোকপ জার্মান ওপেন এবং সিডনিতেও রোবোকপ ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাট ওয়ার্ক প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে৷
ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণাকে ঘিরে ওয়াসিলের আশা কী? ওয়াসিল মনে করেন, ‘‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ক্ষেত্রে ইন্দোনেশিয়ার আরো গবেষক শামিল হবেন বলে আমি আশা রাখি৷ কারণ, বর্তমানে আমরা ইন্ডাস্ট্রি ফোর পয়েন্ট জিরো পর্যায়ে প্রবেশ করছি, যার অন্যতম উপকরণ এআই৷ ফলে ইন্দোনেশিয়ায় উৎপাদন ও কৃষির মতো নানা ক্ষেত্রে এআই গবেষণায় আরো অগ্রগতি হবে৷''
দক্ষতা বাড়াতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উৎপাদন, কৃষি ও অন্যান্য ক্ষেত্রের রূপান্তর ঘটাতে পারে৷
আয়ু পুর্বানিংসিহ/এসবি
লন্ডনে গত ৫০০ বছরের রোবট নিয়ে প্রদর্শনী
যুক্তরাজ্যের সায়েন্স মিউজিয়ামে খুলেছে বিগত ৫০০ বছরের ‘রোবট’ বা যন্ত্রমানবদের নিয়ে চমকে দেওয়ার মতো একটি প্রদর্শনী৷
ছবি: Plastiques Photography, courtesy of the Science Museum
অ্যানিমাট্রনিক বেবি
লন্ডনের সায়েন্স মিউজিয়ামে ‘রোবটস’ প্রদর্শনীর সূচনাতেই রাখা রয়েছে একটি মানবশিশু, তবে রক্তমাংসের নয়, যন্ত্রের৷ অন্যান্য নবজাতকের মতো এই শিশুটিও শুধু হাত-পা নাড়তে পারে৷ তবে দেখলে মনে হবে যেন দম নিচ্ছে, আবার হেঁচেও ফেলতে পারে! ফিল্মের শুটিংয়ের জন্য এ ধরনের বেবি তৈরি করা হয় বটে, কিন্তু এরা এতই জীবন্ত যে অনেক মা এদের প্রেমে পড়ে যান৷
ছবি: Plastiques Photography, courtesy of the Science Museum
কলের পুতুল
‘রোবট’ শব্দটি সৃষ্টি হয় ১৯২০ সালে, কিন্তু দম দেওয়া কলের পুতুল তার অনেক আগে থেকেই আছে৷ পুতুলনাচের ভঙ্গিতে বাইবেলের কাহিনি উপস্থাপনার জন্য মেলায় বা গির্জায় ব্যবহার করা হতো এই সব কলের পুতুল৷ এই দম দেওয়া যাজকটি এসেছেন স্পেন থেকে৷ এর সৃষ্টি সম্ভবত ১৫৬০ সালে৷
ছবি: Smithsonian Institution/Jennie Hills
জাদু আলমারি
ষোড়শ শতাব্দীর সম্ভ্রান্ত মানুষদের বাড়িতে আলমারি কিংবা বিশেষ কক্ষে নানা ধরনের ‘আশ্চর্য’ জিনিসপত্র রাখা থাকত৷ সেখানে থাকত অত্যন্ত জটিল ও মনোহারী সব কলের পুতুল৷ লন্ডন প্রদর্শনীর ‘মার্ভেল’ বা ‘আশ্চর্য’ বিভাগে রয়েছে ১৭৭৩ সালের সেই সুবিখ্যাত ‘রুপোর রাজহাঁস’৷ দম দিলে এই হাঁসটি নড়ে-চড়ে, নিজের পালক পরিষ্কার করে, এমনকি একটি মাছও ধরে৷ ঔপন্যাসিক মার্ক টোয়েন নাকি এই হাঁসটির চোখে ‘বুদ্ধির ঝলক’ দেখেছিলেন৷
ছবি: Plastiques Photography, courtesy of the Science Museum
লৌহমুষ্টি
প্রস্থেটিক বা কৃত্রিম অঙ্গ দিয়ে দেহের হৃত বা ক্ষতিগ্রস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বদলে দেওয়ার প্রথা বহুদিনের৷ তার একটি নিদর্শন পাওয়া গেছে খ্রিষ্টপূর্ব ৯৫০ থেকে ৭১০ সালের একটি মিশরীয় ‘মামি’তে৷ প্রদর্শনীতে দেখানো হচ্ছে, রানি ভিক্টোরিয়ার আমলের প্রস্থেটিক হাত, যা অনেকের কাছে ভীতিকর মনে হতে পারে৷
ছবি: Plastiques Photography, courtesy of the Science Museum
‘রোবট’ নামটির স্রষ্টা এক চেক লেখক
কারেল চাপেক তাঁর ‘আর.ইউ.আর’ বা ‘রোসুমস ইউনিভার্সাল রোবটস’ নামের সায়েন্স ফিকশন নাটকটিতে ‘রোবট’ কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন৷ কথাটা এসেছে চেক ‘রোবোটা’ শব্দটি থেকে, যার অর্থ বেগার খাটা৷ ১৯২৩ সালের মধ্যে চাপেকের নাটক ৩০টি ভাষায় অনুদিত হয়েছিল৷ ডানদিকের ‘এরিক’ রোবটটি ১৯২৮ সালের একটি রোবটের অনুকরণে তৈরি৷
ছবি: Plastiques Photography, courtesy of the Science Museum
সিনেমার প্রথম রোবট ছিল এক মহিলা
জার্মান চিত্রনির্মাতা ফ্রিৎস লাঙ-এর ১৯২৭ সালের পথিকৃৎ সায়েন্স ফিকশন ছবি ‘মেট্রোপোলিস’-এ ফিল্মের ইতিহাসে এক আদিম রোবট রাখা হয়েছিল, যার নাম ছিল ‘মাশিনেনমেন্শ’বা যন্ত্রমানব৷ ছবির কাহিনি ২০২৬ সালের৷ রোবটটির স্রষ্টা তাঁর প্রেমিকা মারিয়াকে নতুন করে সৃষ্টি করতে চান৷ লন্ডনের প্রদর্শনীতে মারিয়ার একটি মডেল রাখা হয়েছে৷
ছবি: Plastiques Photography, courtesy of the Science Museum
‘আমি আবার ফিরব’
রোবটদের সম্পর্কে আমাদের ধারণা ও কল্পনা যতটা না বিজ্ঞান, তার চেয়ে বেশি শিল্পকলা থেকে এসেছে৷ কারেল চাপেকের নাটকেই রোবটরা বিদ্রোহ করে তাদের স্রষ্টাদের বিতাড়ন করার চেষ্টা করছে৷ তারপর আরো অনেক ছবিতে রোবটদের বিপজ্জনক হিসেবে দেখানো হয়েছে৷ যেমন, পরিচালক জেমস ক্যামেরনের ১৯৮৪ সালের থ্রিলার ‘দ্য টার্মিনেটর’৷ ‘টার্মিনেটর জেনাইসিস’ কোম্পানির টি৮০০ টার্মিনেটর লন্ডনের প্রদর্শনীর অঙ্গ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. S. Gordon/2015 Paramount Pictures
বিজ্ঞান আর কল্পনা
লন্ডন প্রদর্শনীতে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই সংক্রান্ত ফিল্ম দেখানো হচ্ছে, যেমন স্টিভেন স্পিলবার্গের ২০০১ সালের ছবি ‘এ.আই. আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ বা অ্যালেক্স গারল্যান্ডের ২০১৫ সালের ছবি ‘এক্স মাশিনা’৷ ছবিতে যে অত্যাধুনিক রোবটটিকে দেখা যাচ্ছে, তিনি হলেন অভিনেত্রী অ্যালিসিয়া ভিকান্ডার৷ এ ধরনের ছবি আর সায়েন্স ফিকশন না থেকে, ক্রমেই আমাদের দৈনন্দিন বাস্তবতার অঙ্গ হয়ে উঠছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A24 Films
একঘেয়ে কাজ
শিল্পকারখানায় রোবটের ব্যবহার আজ সর্বত্র৷ যে কাজ মানুষের জন্য বুদ্ধিহীন, ক্লান্তিকর, নোংরা অথবা বিপজ্জনক, সেখানেই রোবটদের কাজে লাগানো হয়৷ ব্যাক্স্টার নামের এই রোবটটিকে কোনো নতুন কাজ শেখাতে কয়েক মিনিটের বেশি সময় লাগে না৷ ব্যাক্স্টারের দাম ২৫ হাজার ডলার, যা কিনা পশ্চিমা বিশ্বে একজন শ্রমিকের গড় বাৎসরিক বেতনের সমান৷
ছবি: Plastiques Photography, courtesy of the Science Museum
এই খবরপাঠকও কিন্তু রোবট!
স্থল মাইন সরাতে রোবটকে কাজে লাগানো যায়৷ কিন্তু টেলিভিশনে খবর পড়াটাও তো একঘেয়ে হয়ে উঠতে পারে? জাপানের ‘কোডোমোরয়েড’ হলো একটি সংবাদ পড়ার রোবট৷ ইনার জন্ম ২০১৪ সালে৷ তাঁকে দেখতে একেবারে মানুষের মতো এবং ইনি একাধিক ভাষায় অবিরাম সংবাদ পড়তে পারেন - একবারও হোঁচট না খেয়ে৷ এমনকি তাঁর রসবোধও আছে৷
ছবি: Plastiques Photography, courtesy of the Science Museum
একদিন না একদিন...
রব নাইট-এর ওপেন সোর্স অ্যান্ড্রয়েড ‘রোজা’ হলো বিশ্বের প্রথম ‘অ্যানথ্রোপোমিমেটিক’ রোবট, অর্থাৎ তাকে মানবদেহের কাঠামোর নকল করে তৈরি করা হয়েছে৷ লন্ডনের সায়েন্স মিউজিয়ামে যে রোবটদের দেখানো হয়েছে, তারা টেলিভিশনের ‘ওয়েস্টওয়ার্ল্ড’ সিরিয়ালের অ্যানড্রয়েডগুলির সঙ্গে পাল্লা দিতে না পারলেও, আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, মানুষ কে ও কেন৷ প্রদর্শনী চলবে ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে তেসরা সেপ্টেম্বর২০১৭ অবধি৷
ছবি: Plastiques Photography, courtesy of the Science Museum