প্রাচীন যুগে নারী
১০ মার্চ ২০১২খ্রীস্টের জন্মের ৭২ সাল পরে রোমক সাম্রাজ্যের বৃহত্তম এই স্থাপনার কাজ শুরু হয়৷ গোলাকৃতি একটি বহুতল অ্যাম্ফিথিয়েটার৷ পঞ্চাশ হাজার মানুষ বসার মতো জায়গা৷ এখানেই সেই সুবিখ্যাত গ্ল্যাডিয়েটরদের মল্লযুদ্ধ হতো - দুই মল্লের একজনের প্রাণ না যাওয়া পর্যন্ত৷ আবার সাজানো স্থলযুদ্ধ, নৌযুদ্ধ, পশু শিকার, এমনকি পুরাণকথার উপর নির্ভর করে রচিত নাটকের অভিনয়, এ' সবই হতো৷
এই সব বিভীষণ রকম পুরুষালি ব্যাপারের মধ্যে মহিলারা আসেন কি করে? এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সেই উত্তরটাই দেবার চেষ্টা করেছেন কলোসিয়াম মিউজিয়ামের কর্তৃপক্ষ৷ তাদের বক্তব্য: কলোসিয়ামে যেমন একদিকে জলহস্তি কি জিরাফের মতো উদ্ভূটে জীব দেখিয়ে দর্শকদের মনোরঞ্জন করা হতো, অন্যদিকে তেমনই বামনদের খেলা কি মহিলা গ্ল্যাডিয়েটরদের যুদ্ধও দেখানো হতো, তবে ক্কচিৎ-কদাচিৎ৷
আসল বিপদ ছিল এই যে, এ'যুগের মহিলারা যেমন ডেভিড বেকহ্যাম কি ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্দো'র মতো ফুটবলারদের ভক্ত হয়ে পড়েন, সেকালের রোমক মহিলারা তেমনিভাবেই নামকরা গ্ল্যাডিয়েটরদের প্রেমে পড়তেন, কখনে-সখনো সেই প্রেমিকের সঙ্গে গৃহত্যাগও করতেন৷ রোমান আমলের ব্যাঙ্গাত্মক কবি জুভেনাল তাই ঠাট্টা করে লিখেছিলেন: ‘‘মেয়েরা তো লোহাই ভালোবাসে৷''
জুভেনালই লিখেছেন সে কাহিনি: এক রোমান সেনেটর'এর স্ত্রী এপিয়া কি'ভাবে স্বামীপুত্র ছেড়ে এক গ্ল্যাডিয়েটরের সঙ্গে মিশরে পালিয়ে গিয়েছিলেন, যদিও সেই বীর মল্লের ‘‘একটা হাত ভাঙা, নাকের ওপরে একটা বিরাট ফোলা এবং ঘোলাটে চোখ''৷ সেনেটর আর কি বড় কথা, খোদ রোমান সম্রাট মার্কুস অরেলিয়াস'এর মহিষী ফাউস্তিনা'র নাকি একাধিক গ্ল্যাডিয়েটরের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে ছিল৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ