1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোম সম্মেলনে লিবিয়ার বিদ্রোহীদের প্রতি সহায়তার অঙ্গীকার

৫ মে ২০১১

জাতিসংঘের অভিযান সত্ত্বেও লিবিয়ার পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না৷ এই অবস্থায় রোমে আজ এক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে৷

রোমে লিবিয়া সম্মেলনছবি: AP

সম্মেলনের মূল প্রেক্ষাপট

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব কার্যকর করে লাগাতার বিমান হামলা সত্ত্বেও লিবিয়ার শীর্ষ নেতা কর্নেল গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করা সম্ভব হয় নি৷ সেদেশের বিদ্রোহীরাও আন্তর্জাতিক সহায়তা ও সমর্থন কাজে লাগিয়ে নিজেদের অবস্থান জোরদার করতে পারে নি৷ এমন অচলাবস্থা বেশিদিন চলতে পারে না৷ তাই সব পক্ষই সংকটের সমাধানের নতুন পথ খুঁজছে৷ বৃহস্পতিবার রোমে লিবিয়া সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর বৈঠকে এমনই কিছু সমাধানসূত্র উঠে আসছে৷ ন্যাটো, আরব লিগ ও আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা লিবিয়ার বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনা করে কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন৷ ২০টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন৷ এর মধ্যে ফ্রান্স, ইটালি ও কাতার বিদ্রোহীদের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে৷

‘লিবিয়া কনট্যাক্ট গ্রুপ’এর সদস্যরাছবি: AP

বিদ্রোহীদের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন

বেনগাজি ভিত্তিক বিদ্রোহীরা আন্তর্জাতিক সমর্থন পেলেও এখনো পর্যন্ত বেশ দুর্বল রয়েছে৷ রোম সম্মেলনে তাদের জন্য বিশেষ এক তহবিল গঠন করা হয়েছে৷ ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আল্যাঁ জুপে বলেছেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এই তহবিল প্রস্তুত হয়ে যাবে৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন এই তহবিলের জন্য কর্নেল গাদ্দাফির জব্দ হওয়া সম্পদের একাংশ কাজে লাগাতে চান৷ এর জন্য অ্যামেরিকায় প্রয়োজনীয় আইন প্রনয়ণের কথাও বলেন তিনি৷ উল্লেখ্য, বিভিন্ন দেশে গাদ্দাফি প্রশাসনের প্রায় ৩,০০০ কোটি ডলার সম্পদের উপর আপাতত নিষেধাজ্ঞা চালু রয়েছে৷ বিদ্রোহীদের তত্ত্বাবধায়ক জাতীয় পরিষদ মনে করছে, আগামী কয়েক মাস কাজ চালিয়ে যেতে কমপক্ষে ৩০০ কোটি ডলার প্রয়োজন হবে৷

সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লিন্টন ও ইটালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাটিনিছবি: dapd

সামরিক অভিযানের মূল্যায়ন

গাদ্দাফি বাহিনীর বিরুদ্ধে ন্যাটোর নেতৃত্বে যে বিমান হামলা চলছে, উপস্থিত প্রতিনিধিরা তার প্রতি আস্থা প্রকাশ করছেন, যদিও এই অভিযানের ফলে এখনো পর্যন্ত কোনো বড় সাফল্য দেখানো যাচ্ছে না৷ মিসরাটা শহরে এখনো অবরোধের শিকার অসংখ্য মানুষ৷ গাদ্দাফি বাহিনীর হামলা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার তাদের মধ্যে প্রায় ১,০০০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে৷ আসলে লিবিয়ার প্রশ্নে ন্যাটোর সদস্য দেশগুলির মধ্যে অবস্থান যে কতটা ভিন্ন, তাও স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷ ফ্রান্স শুরু থেকেই গাদ্দাফির বিরুদ্ধে প্রতিরোধের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে৷ সেদেশের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি আগামী সপ্তাহে ‘লিবিয়ার বন্ধু'দের নিয়ে আলাদা একটি সম্মেলন আয়োজন করতে চলেছেন৷ ব্রিটেন লন্ডন থেকে আরও দুই লিবীয় কূটনীতিককে দেশ ছেড়ে চলে যাবার নির্দেশ দিয়েছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ