1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গাদেরকে ফেলে আসা ভূমিতেই ফিরিয়ে নেয়া হবে: মিয়ানমার

২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

রোহিঙ্গারা যাতে আরো সহায়ক পরিবেশে বাস করতে পারে সেজন্য তাদেরকে ফেলে আসা ভূমিতে ফিরিয়ে নিতে চায় মিয়ানমার৷ কিন্তু এমন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার জন্য নিয়ন্ত্রিত একটি পরিবেশ তৈরি করতে হবে বলে জাতিসংঘকে জানিয়েছে দেশটি৷

Rohingya-Flüchtlinge in Bangladesch hoffen auf Rückkehr nach Myanmar
ছবি: DW/Arafatul Islam

সাত লাখ ৪০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে একটি দীর্ঘমেয়াদি ও বাস্তবিক সমাধানের চেষ্টা করছে মিয়ানমার৷ এজন্য বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের সঙ্গে তারা কাজ করছে বলে জানান দেশটির অফিস অব স্টেইট কাউন্সিলরমন্ত্রী কিয়াও টিন্ট সুয়ি৷ শনিবার তিনি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন৷ রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়াসহ, গণহত্যার কারণে দেশটির কর্মকর্তাদের বিচারের মুখোমুখি করার বিষয়েও প্রতিক্রিয়া জানান তিনি৷ 

টিন্ট সুয়ি বলেন, ‘‘সহিংসতার জেরে রাখাইনের বিভিন্ন সম্প্রদায়গুলো আক্রান্ত হওয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে যে উদ্বেগ আছে সেটি তারা ধারণ করেন৷ দ্রুত পুনর্বাসন এবং যাচাই বাছাইর মাধ্যমে ফিরে আসাদের জন্য আরো সহায়ক একটি পরিবেশ তৈরির উপর আমরা এখন প্রাধান্য দিচ্ছি৷'' তবে এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ, মিয়ানমারের বাইরে অন্য কোন দেশ থাকার প্রয়োজন নেই বলেও জানান তিনি৷ বলেন, ‘‘প্রতিবেশীদের মধ্যকার ইস্যু অবশ্যই হৃদ্যতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ উপায়ে দ্বিপাক্ষিক প্রক্রিয়ায় সমাধান করতে হবে৷''

মিয়ানমারের উপর চাপতৈরির জন্য অনবরত চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি৷ বলেন, ‘‘সেইফ জোন বা নিরাপদ অঞ্চল গড়ার দাবি৷ একদিকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে যেমন নিশ্চয়তা দিতে পারবে না, অন্যদিকে সেটি কাজও করবে না৷''

রোহিঙ্গারা যেভাবে মিয়ানমারের নাগরিকত্ব পেতে পারেন

00:46

This browser does not support the video element.

দেয়া হবে পরিচিতি কার্ড

ফিরিয়ে নেয়ার পর রোহিঙ্গাদের পরিচতি কার্ড দেয়া হবে বলেও জানান এই মন্ত্রী৷ বলেন, ‘‘যে-ই ফিরে আসবে তাদেরকে একটি কার্ড প্রদান করা হবে৷ যারা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ায় উত্তীর্ণ হবে তাদেরকে দেয়া হবে নাগরিকত্ব কার্ড৷ বাকীদের ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড দেয়া হবে, যা দিয়েও মিয়ানমারে বসবাস করা যাবে৷'' যদিও এর আগে বরাবরই রোহিঙ্গাদের নিজেদের নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতে অস্বীকার করে আসছিল দেশটি৷

দায়ীদের বিচারে সামরিক আদালত

মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উপর দেশটির সামরিক বাহিনীর নির্যাতনকে এরইমধ্যে গণহত্যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ৷ এজন্য মিয়ানমারের সামরিক কমান্ডারদের গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতা বিরোধী অপরাধে বিচারের মুখোমুখি করার প্রস্তাব দিয়েছিল সংস্থাটির তদন্ত কমিটি৷ গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সর্বোচ্চ কমিটিও এ বিষয়ে প্রমাণ সংগ্রহের জন্য একটি দল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

তবে জাতিসংঘে দেয়া ভাষণে এই বিচার প্রক্রিয়া প্রত্যাখ্যান করেছেন মিয়ানমারে মন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত মিয়ানমারের সামরিক কর্মকর্তাদের বিচার করতে পারবে না৷ কেননা দেশটি এই আদালতের সঙ্গে নেই৷'' তবে রোহিঙ্গাদের উপর চালানো নির্যাতনের বিষয়ে দেশটির সামরিক বাহিনী সম্প্রতি একটি তদন্ত শুরু করেছে বলে জানান টিন্ট সুয়ি৷ যার প্রেক্ষিতে দায়ীদের বিচারে খুব দ্রুত ''কোর্ট মার্শাল'' বা সামরিক আদালত গঠন করা হবে৷

এফএস/এআই (এপি, এএফপি) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ