যুদ্ধের কারণে ইউক্রেইনের শরণার্থী সংকটের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ব্যবস্থাপনায় অর্থায়ন নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা বলেছেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি।
বিজ্ঞাপন
ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমের প্রতিবেদন অনুসারে, বুধবার ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের জন্য এখন পর্যন্ত দাতাদের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়ার কথা জানালেও ইউক্রেইন যুদ্ধের বর্তমান প্রেক্ষাপট নতুন ভাবনা তৈরি করেছে বলে তুলে ধরেন তিনি।
পাঁচ দিনের সফরে বাংলাদেশে আসা ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপ্পো বলেন, "এখন পর্যন্ত দাতাদের কাছ থেকে আমরা সমর্থন পেয়েছি। তবে এখন আমি কিছুটা চিন্তিত। প্রথমত, ভাসানচরের কারণে প্রয়োজনটা বেশি। আর ইউক্রেইন ও আফগানিস্তানের মত প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক সংকটও আমরা মোকাবেলা করছি।"
সফরকালে তিনি কক্সবাজারের পাশাপাশি ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেন।
২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে বাংলাদেশে ছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা।
কক্সবাজারে টেকনাফ ও উখিয়ার শরণার্থী শিবিরগুলোতে আশ্রয় নেওয়া এসব রোহিঙ্গাদের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে আসছে ইউএনএইচসিআর। কক্সবাজারের জনঘনত্বের কথা বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নিতে নোয়াখালীর ভাসানচর দ্বীপে অবকাঠামো তৈরি করেছে সরকার। এরই মধ্যে সেখানে নেওয়া হয়েছে ২৮ হাজারের মত মিয়ানমারের নাগরিককে।
প্রতিবছর ঘোষিত জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানের (জেআরপি) মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ব্যবস্থাপনায় দাতা দেশ ও সংস্থার অনুদান নিয়ে থাকে ইউএনএইচসিআর। ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পাঁচটি জেআরপিতে অর্থায়ন পরিকল্পনার মধ্যে চার বছর ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত অনুদান পাওয়া গিয়েছিল। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ২০২০ সালে অর্থায়ন হয়েছিল ৫৯ দশমিক ৫০ শতাংশ। ২০২১ সালে জেআরপির অর্থায়ন পরিকল্পনার ৯৪ কোটি ৩১ লাখ ডলারের মধ্যে অনুদান পাওয়া গিয়েছিল ৬৭ কোটি ৮৬ লাখ ডলার, যা পরিকল্পনার ৭১ দশমিক ৯০ শতাংশ।
২০২২ সালের জন্য জেআরপির অর্থায়ন পরিকল্পনা করা হয়েছে ৮৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের। এর মধ্যে ২৫ মে পর্যন্ত ১১ কোটি ৭৫ লাখ টাকার অর্থায়ন হয়েছে, যা মোট অংকের ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ।
অর্থায়নের এমন প্রেক্ষাপট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, "বিগত বছরগুলোতে জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানের পুরোপুরি অর্থায়ন হয়নি তা ঠিক। তবে অর্থায়নের প্রক্রিয়া বিবেচনায় সেটাকে সন্তোষজনকই মানছেন তিনি। এই পরিকল্পনায় পুরোপুরি অর্থায়ন হয়নি ঠিক, তবে এটা কোনো কোনো বছর ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত হয়েছে। আপনি যদি বিবেচনায় নেন, কীভাবে এই তহবিল আসে তাহলে বুঝবেন এটা অতটা খারাপ ফলাফল নয়।"
নতুন সংকট সামনে এলেও রোহিঙ্গাদের ব্যবস্থাপনায় অর্থায়ন চালু রাখতে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "যাতে বিশ্বের মানুষ জানে, এই সংকট ভুলে যাওয়া উচিত হবে না। কারণ, নানাবিধ সংকটে বেশি দৃষ্টি ও সম্পদ পুঞ্জিভুত হয়ে যাওয়ার কারণে- বিশেষ ইউক্রেইন সংকটের ফলে- কিছু সংকট এক কোণায় পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।"
রোহিঙ্গা নিয়ে কী বলছেন বিশ্ব নেতারা?
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের অন্যতম অ্যাজেন্ডা রোহিঙ্গা ইস্যু৷ অধিবেশনের পাশাপাশি চলা বিভিন্ন সেমিনারে ইতোমধ্যে এ নিয়ে কথা বলছেন বিশ্ব নেতারা৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
দ্রুত সমাধান চান মাহাথির
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এখনি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ৷ এটি একটি আন্তর্জাতিক ইস্যু বলে মন্তব্য করেন তিনি৷
ছবি: Reuters
টেকসই প্রত্যাবাসন চায় চীন
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা যেন নিরাপদে ও স্থায়ীভাবে নিজ দেশে বাস করতে পারে সে পরিস্থিতি চায় চীন৷ বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কূটনীতিকদের সাথে এক আলোচনা শেষে গণমাধ্যমকে একথা জানান চীনের কূটনীতিকরা৷
ছবি: Reuters/L. Jackson
আলাদা জমির দাবি
রোহিঙ্গাদের জন্য শিবির বানিয়ে দিতে বাংলাদেশের কাছে জমি বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু৷ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গাদের সমস্যার বোঝা বহনের আহ্বানও জানান তিনি৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা বাংলাদেশের কাছে রোহিঙ্গাদের জন্য ক্যাম্প তৈরি করতে জমি বরাদ্দ চেয়েছি৷ আমরা তুরস্কে অবস্থানরত সিরিয়ার শরণার্থীদের জন্য শিবির তৈরি করেছি যা এখন বিশ্বের সবচেয়ে ভালো শিবির৷’’
ছবি: AFP/A. Altan
ত্রিপাক্ষিক কমিটি গঠনের প্রস্তাব
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করে ত্রিপাক্ষিক আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে চীন৷ এ লক্ষে তারা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কূটনীতিকদের সাথে একটি আলোচনা সভাও করেছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/V. Yu
সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব শেখ হাসিনার
রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান বিষয়ে চারটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ এর মধ্যে রয়েছে, জাতিগত নিধন বন্ধ করা, রাখাইনে ‘সেফ জোন’ গড়ে তোলা ও বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করা৷ শুক্রবার সাধারণ পরিষদের সভায় এ প্রস্তাব বিশ্ব নেতাদের সামনে তুলে ধরার কথা শেখ হাসিনার৷
ছবি: PID
5 ছবি1 | 5
ইউক্রেইন সংকটের ধাক্কা রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রেও লাগার কথা তুলে ধরে গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ইউএনএইচসিআর প্রধান। অর্থায়ন বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, "কখনও বলব না, এটা অসম্ভব। তবে সত্যি কথা বলতে, এটা অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় কঠিন হবে। এটা বাংলাদেশ সরকার, ইউএনএইচসিআর ও দাতারাও জানে। আর সেই কারণেই তার এ সফর বলে উল্লেখ করেন তিনি।"
মানবিক দিক বিবেচনায় অর্থায়নে ‘কাটছাঁট' দাতাগোষ্ঠী করবে না বলে আশা প্রকাশ করে ফিলিপ্পো বলেন, "কারণ এখানে জীবনের প্রশ্ন, জীবিকার প্রশ্ন। আমি আপনার সাথে একমত, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার বড় চ্যালেঞ্জ হবে। তবে, আমরা ছেড়ে দিব না, আমি ছেড়ে দিব না।"
ভাসানচরে অর্থায়ন
ভাসানচরের জন্য অর্থায়নের বিষয়ে দাতা দেশগুলোর মনোভাবের বিষয়ে এক প্রশ্নে ফিলিপ্পো বলেন, "হ্যাঁ, তারা বুঝতে পারে এরা কক্সবাজারের রোহিঙ্গাদেরই অংশ। তাদেরও একই রকমের সহায়তা দরকার এবং এটা করা গুরুত্বপূর্ণ। তবে, এর জন্য তাদের বুঝতে হবে কার্যক্রমটা কতটা টেকসই। তারা এমন জায়গায় টাকা ঢালবে না, যেটা টেকসই নয়, এটা সব দাতার ক্ষেত্রেই স্বাভাবিক। এ কারণে আমি সরকারের সঙ্গে আলোচনা করব, আলোচনা চালিয়ে যাব- কীভাবে আমরা এটাকে টেকসই করতে পারি।"
ভাসানচরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সরকারের সঙ্গে কাজ করার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, "আমরা সরকারের সঙ্গে এটা নিয়ে কাজ করব। যাতে এটা দাতাদের জন্য অর্থবহ করা যায়। অবকাঠামো, স্যানিটেশন প্রভৃতি ছোটখাটো কোনো কাজ নয়। এটাতে দীর্ঘ সময় লাগবে। আমি এখানে রাষ্ট্রদূতদের কাছ থেকে স্বদিচ্ছার কথা শুনেছি। সবাই বলেছে, আমাদের ভালো যুক্তি দেন, যাতে রাজধানীতে তা পাঠাতে পারি। কারণ, ফান্ডতো রাজধানীতে, দূতাবাসে নয়।”
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সরকারের অবস্থানের সঙ্গেও একমত প্রকাশ করে ইউএনএইচসিআর প্রধান বলেন, "সংকটের সমাধান মিয়ানমারের কাছেই। রাখাইন রাজ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় বিভিন্ন স্থানীয় প্রকল্পে কাজ করছে ইউএনএইচসিআর ও ইউএনডিপি। এক্ষেত্রে আরও বেশি উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন, যাতে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ও স্থায়ীভাবে যাওয়ার পথ তৈরি হয়। যেসব রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে আলাপ করেছি, পরিস্থিতি ঠিক থাকলে তারা ফেরার ইচ্ছাই প্রকাশ করেছে। বিশ্ববাসীর উচিত তাদের দুর্দশার গোড়ার কারণ তুলে ধরা এবং তাদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন করা।"
রোহিঙ্গাদের ফেরানোর প্রক্রিয়ায় মিয়ানমারের বর্তমানের ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে কারিগরি পর্যায়ের আলোচনা চালিয়ে যেতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ফিলিপ্পো।
রোহিঙ্গারা যে দ্রুতই যাচ্ছে না, সে বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, "এটা এমন বিষয়, যা আগামীকাল হয়ে যাবে না। এতে সময় ও ধৈর্য্য লাগবে, বিনিয়োগও প্রয়োজন। চলুন আশা করি, একটা প্রক্রিয়া শুরু হোক, যাতে কিছু লোক অন্তত স্বেচ্ছায় ফিরে গেছে। তবে বাস্তবতা হল আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও সেই প্রত্যাবাসন আজও শুরু হয়নি।"
২০১৯ সালে দুই দফা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও রাখাইন রাজ্যের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কার কথা তুলে ধরে ফিরতে রাজি হননি রোহিঙ্গারা।
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
হত্যা, নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার ছাড়তে বাধ্য হওয়া রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে বড় অংশটি আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে৷ এতে স্থানীয়দের জীবনে এসেছে কিছু পরিবর্তন৷ বিভিন্ন ধরনের অপরাধেও জড়িয়ে পড়ছেন রোহিঙ্গাদের একাংশ৷ দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: bdnews24.com
মালয়েশিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনার অভিযোগ
গত মে মাসে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খুব গুরুত্ব পেয়েছিল খবরটি৷ রমজান মাসে একাধিক সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনাকারী সন্দেহে চার ব্যক্তিকে আটক করে মালয়েশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী৷ আটককৃতদের মধ্যে দু’জন ছিলেন রোহিঙ্গা৷ পুলিশ জানায়, রোজার সময় কুয়ালালামপুর এবং আশেপাশের এলাকায় অনেক মানুষকে হত্যা ও সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করছিল ওই চারজন৷ আরো জানতে ওপরের + চিহ্নে ক্লিক করুন...
ছবি: DW/V. Hölzl
জার্মান সাংবাদিকদের উপর হামলা
গত ফেব্রুয়ারিতে মা ও দুই শিশু কন্যাকে অপহরণের অভিযোগ তুলে কক্সবাজারের উখিয়ায় তিন জার্মান সাংবাদিকসহ চার ব্যক্তির ওপর হামলা চালায় রোহিঙ্গারা৷ হামলার সময় সাংবাদিকদের গাড়ি ভাংচুর করে লুটপাট চালানো হয়৷আরো জানতে ওপরের + চিহ্নে ক্লিক করুন...
ছবি: DW/S. Kumar Dey
মাদক পাচারে রোহিঙ্গা
দু’ দিন আগে টেকনাফে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ দুই রোহিঙ্গা মাদক পাচারকারীকে আটক করে কোস্টগার্ড জওয়ানেরা৷ এমন খবর এর আগেও এসেছে সংবাদমাধ্যমে৷ আরো জানতেক ওপরের + চিহ্নে ক্লিক করুন...
ছবি: picture alliance/JOKER
হামলা, হত্যাসহ নানা অপরাধ
রোহিঙ্গাদের হামলা, হত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়ানোর খবর আসছে ২০১৭ সাল থেকে৷ সে বছর এক মাসে রোহিঙ্গাদের অন্তত ৩০টি অপরাধের ঘটনা রেকর্ড করে টেকনাফ ও উখিয়া থানা৷ রোহিঙ্গাদের হামলায় তখন কমপক্ষে দু’জন পুলিশও আহত হয়৷ আরো জানতে ওপরের + চিহ্নে ক্লিক করুন...
ছবি: bdnews24.com
বৌদ্ধদের ঘরে আগুন লাগানোর চেষ্টা
এক বৌদ্ধ তরুণ ফেসবুক পোস্টে কোরানের অবমাননা করেছেন— এমন অভিযোগ তুলে ২০১২ সালে রামুতে ৩০০ বছরের পুরোনো এক বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা চালানো হয়৷ জ্বালিয়ে দেয়া হয় সেই মন্দির৷ স্থানীয় বৌদ্ধরা তখন থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন৷ রাতে বৌদ্ধদের বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে অনেকবার৷ এ অব্স্থায় বৌদ্ধঅধ্যুষিত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে হয়েছে৷ আরো জানতে ওপরের + চিহ্নে ক্লিক করুন...
ছবি: Reuters
ক্রসফায়ারে রোহিঙ্গা ‘সন্ত্রাসী’
সম্প্রতি পুলিশ জানায়, গত দুই বছরে কক্সবাজার এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে ৩৩ জন রোহিঙ্গা৷ পুলিশের দাবি, নিহতরা বিভিন্ন ধরনের অপরাধকর্মে জড়িত ছিলেন৷ তবে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস বলেছে, ওই ৩৩ জন ক্যাম্পের বাইরে নিহত হয়েছেন বলে তারা রোহিঙ্গা কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত নয়৷আরো জানতে ওপরের + চিহ্নে ক্লিক করুন...
রোহিঙ্গাদের অসহায়ত্বের সুযোগও নিচ্ছেন অনেকে৷ ফলে কক্সবাজারে দেহব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন অনেক রোহিঙ্গা মেয়ে৷আরো জানতে ওপরের + চিহ্নে ক্লিক করুন...
ছবি: DW/Arafatul Islam
মোবাইল ব্যবহার
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও গুরুত্ব বিবেচনা, আইন-শৃংখলা রক্ষা ও জনসুরক্ষার স্বার্থে রোহিঙ্গাদের আর মোবাইল ব্যবহারের সুযোগ না দেয়ার জন্য অপারেটরদের নির্দেশনা দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি৷ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রোহিঙ্গাদের কাছে অন্তত পাঁচ লক্ষ মোবাইল রয়েছে৷আরো জানতে ওপরের + চিহ্নে ক্লিক করুন...
ছবি: Reuters/M. Ponir Hossain
ধ্বংসের মুখে কক্সবাজারের বন
গত এপ্রিলে ‘অ্যামেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর অ্যাডভান্সমেন্ট অফ সায়েন্স' সাময়িকীতে ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং পরিবেশ' শীর্ষক এক প্রবন্ধে জানানো হয় ২০১৭ সালে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা আসার পর টেকনাফ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, হিমছড়ি ও ইনানী জাতীয় উদ্যানের জীববৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে৷ এতে দুই হাজার হেক্টর বন ধ্বংস হয়েছে বলেও জানানো হয় প্রতিবেদনে৷আরো জানতে ওপরের + চিহ্নে ক্লিক করুন...