বাংলাদেশ ও ভারতের সাতক্ষীরা সীমান্তে রোহিঙ্গাদের পুশব্যাক ও পাল্টা পুশব্যাকের ঘটনা ঘটেছে৷ ভারত যাতে সেখানে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পুশব্যাক করতে না পারে, সেজন্য সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ ও ভারতের সাতক্ষীরা সীমান্তে রোহিঙ্গাদের পুশব্যাক ও পাল্টা পুশব্যাকের ঘটনা ঘটেছে৷ ভারত যাতে সেখানে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পুশব্যাক করতে না পারে, সেজন্য সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে৷
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে কয়েক দফায় ৩৯ জন রোহিঙ্গা নারী, শিশু ও পুরুষকে সাতক্ষীরার সীমান্ত থেকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করে ভারতীয় সীমন্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ৷ তাদের মধ্যে ১৯ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি একই সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফেরত পাঠায় ১১ অক্টোবর৷ পরের দিন, অর্থাৎ ১২ অক্টোবর বিজিবি তাঁদের মধ্য থেকে ১৮ জনকে আবার বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়৷ এরপর নতুন করে এই পুশব্যাকের ঘটনা না ঘটলেও বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন৷ তাঁরা ভারতে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের বড় আকারের পুশব্যাকের আশঙ্কা করছেন৷ যাঁদের পুশব্যাক করা হচ্ছে তাঁদের মধ্যে কয়েক বছর আগে ভারতে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাও আছেন৷
লে. কর্নেল আরমান হোসেন
ভারত থেকে পুশব্যাক হয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের একজন আব্দুর রহিম৷ তিনি বাংলাদেশে পুশব্যাক হয়ে আসার পর সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘‘মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু জেলার হারিদং এলাকায় আমার বাড়ি-ঘর৷ ২০১৪ সালে মিয়ানমারে সহিংসতা হলে আমরা জীবন বাঁচাতে পালিয়ে ভারতে চলে যাই৷ সম্প্রতি মিয়ানমারে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ আশ্রয় দেওয়ার খবর শুনে ভারতের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের বলেছে, ‘তোমরা এই দেশের না, তোমরা পরদেশি, তোমাদের এদেশে ঠাঁই হবে না৷ তোমরা বাংলাদেশে চলে যাও৷' আমি আমার স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে ওখানে (ভারতে) তিন বছর অবস্থান করেছি৷ সেখানে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতাম৷ শুনেছি, আমার বাবা-মা বর্তমানে বাংলাদেশে চলে এসেছেন৷''
রহিম আরও বলেন, ‘‘১০ অক্টোবর গভীর রাতে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ আমাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়৷ এপাড়ে আসার পর বাংলাদেশি সীমান্তরক্ষী বাহিনী আটক করে৷''
রোহিঙ্গাদের দিকে বাংলাদেশের সাহায্যের হাত
গত ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৪ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে৷ তাঁদের আশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি নানান সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার৷ ছবিঘরে তারই কিছু নমুনা...
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
বায়োমেট্রিক নিবন্ধনে দীর্ঘ লাইন
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের জন্য রোহিঙ্গাদের লাইন৷ কুতুপালং ছাড়াও টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন এলাকার কয়েকটি কেন্দ্রে চলছে এই নিবন্ধন কার্যক্রম৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
নিবন্ধনে বিজিবি
কতুপালং শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধনে কাজ করছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা৷ একেকটি কেন্দ্রে দিনে গড়ে ৭০০ জনের মতো রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন হচ্ছে৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
নিবন্ধিত
বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের পর দুই রোহিঙ্গা শরণার্থী হারুনুর রশীদ ও মোহাম্মদ দিনার৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
সরকারি ত্রাণ
রোহিঙ্গাদের সহায়তা দিতে নানাভাবে এগিয়ে এসেছে বাংলদেশ সরকার৷ উখিয়ার কুতুপালংয়ে ট্রাক থেকে নামানো হচ্ছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী৷
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে যান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী৷ ৪৬টি দেশের কূটনীতিকরাও ছিলেন তাঁর সঙ্গে৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
কূটনীতিকদের আশ্বাস
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন শিবিরে গিয়ে শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন কূটনীতিকরা৷ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ সহায়তার ঘোষণাও দেন তাঁরা৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
শিশুসেবা
টেকনাফের শরণার্থী শিবিরগুলোতে সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন বয়সের শিশুদের টিকা দেয়া হচ্ছে৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
নতুন শিবির
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া নতুন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বালুখালীতে দুই হাজার একর জায়গায় শিবির গড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
তাঁবুর রাজ্য
শরণার্থীর চাপে এরইমধ্যে বালুখালীর এই অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রের সীমানা কয়েকগুণ বড় হয়েছে৷ উখিয়ার পাহাড়-টিলার সবখানেই এখন শরণার্থীদের অস্থায়ী তাঁবু৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
নতুন বসতি
নতুন নতুন পাহাড়ের গাছপালা কেটে প্রতিদিনই নিজেদের বসতি গড়ছেন রোহিঙ্গারা৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
11 ছবি1 | 11
বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত৷ সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবি'র অধিনায়ক লে. কর্নেল আরমান হোসেন ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘সীমান্তের ওপারে বিএসএফ রোহিঙ্গাদের জড়ো করছে৷ তাঁদের বাংলাদেশে পাঠানোর হয়তো চেষ্টা করছে বিএসএফ৷ আমরা তাই সীমান্তে নজরদারী বাড়িয়েছি৷ সীমান্তে অতিরিক্ত ফোর্স সোতায়েন করেছি৷ আর স্থানীয় লোকজনও আমাদের সহায়তা করছে৷ যেখানে আমাদের ফোর্স নাই সেখানে স্থানীয় লোকজন পাহারা দিচ্ছে৷''
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গাদের পুশব্যাক করছে ভারত৷ কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টু ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা এ পর্যন্ত ২২ জন রোহিঙ্গাকে ধরে স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পে দিয়েছি৷ সেখান থেকে তাঁদের কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে৷ অন্যান্য এলাকা থেকেও পুশব্যাক করা হচ্ছে৷''
আমিনুল ইসলাম লাল্টু
তিনি জানান, ‘‘পুশব্যাকের শিকার রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, ভারতে প্রবেশের পর বিএসএফ তাঁদের আটক করে৷ আটকের পর বলে তোমাদের থাকা-খাওয়ার অনেক ভালো ব্যবস্থা আমরা বাংলাদেশে করেছি৷ সেখানেই তোমরা ভালো থাকবে৷ এইভাবে বুঝিয়ে বাংলাদেশে পাঠায়৷''
বিএসএফ-এর একজন কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, ‘‘যেসব রোহিঙ্গা প্রথমদিকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছে, আমরা তাঁদের আটক করে স্থানীয় পুলিশের হেফাজতে দিয়েছি৷ কিন্তু এখন আমাদের পরিস্কার নির্দেশনা হলো, কোনো রোহিঙ্গা সীমান্ত অতিক্রম করলে তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে৷''
বাংলাদেশে সর্বশেষ যে ১৮ জন রোহিঙ্গাকে ভারত পুশব্যাক করেছে, তাঁরা এখন কোথায় আছে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷ তবে একটি সূত্র জানায়, তাঁদের ফের ভারতে পুশব্যাক করা হয়েছে৷ স্থানীয় সূত্র জানায়, যাঁদের বিএসএফ পুশব্যাক করেছে, তাঁদের সবাইকে যে আবার ভারতে পুশব্যাক করা হয়েছে, তা নয়৷ স্থানীয় হিসেবে এ পর্যন্ত ভারত ৫৭ জন রোহিঙ্গাকে পুশব্যাক করেছে বাংলাদেশে৷ তাঁদের মধ্যে ১৮ জনকে বিজিবি আবার ভারতে পাঠিয়ে দিয়েছে৷ বাকিদের কক্সবাজার রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে৷ যাঁদের বিএসএফ পুশব্যাক করেছে, তাঁদের মধ্যে ২৫ আগস্টের পরেই শুধু নয়, তার আগে ভারতে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারাও আছেন৷
ভুলে যাওয়া শরণার্থীরা: বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে রোহিঙ্গারা
গত অক্টোবরে মিয়ানমারে দমনপীড়ন শুরুর পর ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে গেছেন৷ মুসলিমপ্রধান দেশটিতে বর্তমানে পাঁচ লাখের মতো রোহিঙ্গা শরণার্থী বাস করছেন৷ কুতুপালংয়ের মতো জনাকীর্ণ ক্যাম্পগুলোতে তাদের অনেকের বাস৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/T. Chowdhury
মিয়ানমার থেকে পালানো
মিয়ানমারে গত অক্টোবরে নয় পুলিশ হত্যার অভিযোগ ওঠে এক রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে৷ তারপর থেকে সেদেশে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের উপর আবারো দমনপীড়ন শুরু হয়৷ ফলে সত্তর হাজারের বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে৷ তারা যেসব ক্যাম্পে বসবাস করেন সেগুলোর একটি এই কুতুপালং৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/T. Chowdhury
স্বনির্ভরতা দরকার
কুতুপালং ক্যাম্পের শরণার্থীরা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে নিরাপদ আছে বটে, তবে জীবন সেখানে মোটেই সহজ নয়৷ সেখানে সত্যিকারের কোনো অবকাঠামো নেই, সবই শরণার্থীদের গড়া অস্থায়ী আবাস৷ তারা নিজেদের দেশ ছেড়ে এসেছেন, কেননা, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং অসংখ্য মানুষকে হত্যা, ধর্ষণ করেছে৷ মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছে এই তথ্য৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/T. Chowdhury
শিশুদের খেলা নয়
আশ্রয়শিবিরটির অধিকাংশ এলাকায় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নেই৷ কয়েক হাজার শরণার্থী শিশুর খেলোধুলারও কোন ব্যবস্থা নেই৷ ক্যাম্পের লেক থেকে মাটি সংগ্রহ করছে এই শিশুটি৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/T. Chowdhury
কুঁড়েঘরে বসবাস
কাদা মাটি এবং সহজলভ্য অন্যান্য উপাদান দিয়ে ঘর তৈরি করে বাস করেন শরণার্থীরা, যাতে মাথার উপরে অন্তত ছাদ থাকে৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/T. Chowdhury
সংঘাতের দীর্ঘ ইতিহাস
সেই ১৯৪৮ সালে মিয়ানমার স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই সেদেশে রোহিঙ্গারা নানাভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন৷ তাদেরকে নাগরিকত্ব এবং ভোট দেয়ার অধিকার দিচ্ছে না সরকার৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/T. Chowdhury
বাংলাদেশেও বৈষম্যের শিকার?
বাংলাদেশেও বৈষম্যে শিকার হচ্ছেন রোহিঙ্গারা৷ ক্যাম্পে আর জায়গা নেই- বলে বাংলাদেশে জলপথে আশ্রয় নিতে আসা অসংখ্য রোহিঙ্গাকে তাদের নৌকাসহ ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে সীমান্তরক্ষীরা৷ পাশাপাশি কক্সবাজার ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের একটি দুর্গম দ্বীপে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার৷ স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, দ্বীপটি বর্ষাকালে অধিকাংশ সময় পানির নীচে তলিয়ে যায়৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/T. Chowdhury
নির্জন দ্বীপে সরিয়ে নেয়া
ঠ্যাঙ্গার চর বাংলাদেশের মূল ভূখন্ড থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে মেঘনা নদীর মোহনায় কয়েকবছর আগে জেগে ওঠা এক দ্বীপ৷ শুধুমাত্র নৌকায় করে সেখানে যাওয়া যায় এবং চরটিতে অতীতে একাধিকবার জলদস্যু হানা দিয়েছে৷ এক উন্নয়নকর্মী সম্প্রতি ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন যে দ্বীপটিতে কর্মসংস্থানেরও তেমন কোনো সুযোগ নেই৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/T. Chowdhury
প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন নেই
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী স্বীকার করেছেন যে, ঠ্যাঙ্গার চরকে বসবাসের উপযোগী করতে আরো অনেক কাজ করতে হবে৷ তিনি বলেন, ‘‘দ্বীপটিতে উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করার পর রোহিঙ্গাদের সেখানে সরিয়ে নেয়া হবে৷’’ তবে সরকার অতীতে এরকম প্রতিশ্রুতি দিলেও তার বাস্তবায়ন দেখা যায়নি৷ কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের তেমন কোন উন্নয়ন সাধন করা হয়নি৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/T. Chowdhury
ইতিহাস থেকে মোছার চেষ্টা
নিরাপদ আবাসভূমি না থাকায় রোহিঙ্গাদে ভবিষ্যত ক্রমশ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে৷ অন্যদিকে, মিয়ানমার তাদের অতীত মুছে ফেলতে কাজ করছে৷ দেশটির সংস্কৃতি এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ইতিহাস বিষয়ক পাঠ্যবই প্রকাশের পরিকল্পনা করেছে যেখানে রোহিঙ্গাদের কথা একেবারেই উল্লেখ থাকবে না৷ গত ডিসেম্বরে মন্ত্রণালয়টি দাবি করেছে, মিয়ানমারের ইতিহাসে কোনো সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীকে কখনো রোহিঙ্গা নামে আখ্যায়িত করা হয়নি৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/T. Chowdhury
9 ছবি1 | 9
বাংলাদেশে এখন প্রায় সাড়ে নয় লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী আছে৷ তাঁদের মধ্যে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ ২৪ আগস্ট চেকপোস্টে হামলার পর মিয়ানমারের রাখাইনে সামরিক অভিযানের মুখে পালিয়ে এসেছে৷ বাকি চার লাখ আগে এসেছিলো৷