হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ) মনে করে, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে মিয়ানমার৷ এই অপরাধের তথ্যপ্রমাণ আছে বলেও দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক এই মানবাধিকার সংগঠন৷
বিজ্ঞাপন
সোমবার এইচআরডাব্লিউ'র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে রাখাইনে মানবতাবিরোধী অপরাধের ৪টি ক্ষেত্র শনাক্ত করা হয়েছে৷ ১. কোনো জনগোষ্ঠীকে স্থানান্তরিত ও বাস্তুচ্যুত হতে বাধ্য করা ২. হত্যা ৩. ধর্ষণ ও অন্যান্য যৌন সন্ত্রাস এবং ৪. আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) রোম বিধিমালার বিবেচনায় নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ড৷
তারা বলছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর বিস্তৃত ও কাঠামোবদ্ধ হামলা চালিয়েছে৷ আগে স্যাটেলাইটে ধারণকৃত ছবিতে দেখা গেছে, জ্বালাও পোড়াওয়ের আলামত রাখাইন রাজ্যের ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত৷ ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে নভেম্বরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর জ্বালাও পোড়াওয়ের তৎপরতা নির্দিষ্ট এলাকা থেকে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল৷
২৫ আগস্ট থেকে রাখাইনেরোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনী যে নিপীড়ন চালিয়েছে তাতে সবগুলো অপরাধেরই আলামত বা প্রমাণ পাওয়ার কথা বলেছে এইচআরডাব্লিউ৷ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে ২০১২ এবং ২০১৬ সালে উগ্র বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং রাখাইনের বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্তরা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় যে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল, তখনও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের জন্য মিয়ানমার সরকারকে দায়ী মনে করে এইচআরডাব্লিউ৷
নূর খান
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের মাধ্যমেও বাস্তুচ্যূত হতে বাধ্য করেছে৷ আইসিসি এসব অপরাধকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবেই বিবেচনা করে৷
আইসিসির রোম বিধি'র সংজ্ঞা অনুযায়ী, মানবতাবিরোধী অপরাধ হলো এমন এক উদ্দেশ্যমূলক কর্মকাণ্ড, যা বেসামরিক জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিস্তৃত ও কাঠামোবদ্ধ হামলার মধ্য দিয়ে সংঘটিত হয়৷ এ ধরনের হামলা অবশ্যই রাষ্ট্রীয় অথবা সাংগঠনিক নীতির অংশ হতে হবে৷ আন্তর্জাতিক বিচারব্যবস্থা অনুযায়ী, এ ধরণের হামলা বিস্তৃত অথবা কাঠামোবদ্ধ৷ বিস্তৃত হামলার মানে হলো,‘অপরাধের মাত্রা কিংবা ঘটনার শিকার মানুষের সংখ্যা' এবং কাঠামোবদ্ধ হামলার মানে হলো পদ্ধতিগত পরিকল্পনা করে হামলা৷
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মানবতাবিষয়ক আইনে বলা আছে মানবতাবিরোধী অপরাধ যে কেবল সামরিক হামলার ক্ষেত্রে হবে, তা নয়৷ মানবতাবিরোধী অপরাধ সশস্ত্র সংঘাতমুলক প্রেক্ষাপটের মধ্যে কিংবা এর বাইরেও হতে পারে৷ আর মানবতাবিরোধী অপরাধ মানে যে কেবল একটি এলাকার গোটা জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা পরিচালনা করা, তা নয়৷
এর আগে চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে টেলিভিশনে প্রচারিত জাতির উদ্দেশে দেওয়াঅং সান সু চি'র ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় এইচআরডব্লিউ স্পষ্ট বিবৃতিতে জানায়, ওই ভাষণের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে হারানো গ্রহণযোগ্যতা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা নিয়েছেন সু চি৷ তবে বক্তব্যে সু চি দেশের রোহিঙ্গাবিরোধী জনতা এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ এড়িয়ে গেছেন৷ মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর অবরোধ ও অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানায় মানবাধিকার সংস্থাটি৷
টেকনাফে রোহিঙ্গা শরণার্থী
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সংঘাতের মুখে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশের টেকনাফে এসেছেন সাড়ে তিন লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী৷ সেখানে তাঁদের জীবনযাত্রা, তাঁদের জীবনের দুঃসহ স্মৃতির বর্ণনা জানুন ছবিঘরে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
টেকনাফের লম্বার বিল এলাকা দিয়ে দলে দলে রোহিঙ্গা শরণার্থী আসছে আশ্রয়ের সন্ধানে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
রোহিঙ্গা শরণার্থীরা দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে এসে পৌঁছান টেকনাফে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
পরিবারের অসুস্থ ও বৃদ্ধ সদস্যদের এভাবে কাঁধে নিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে টেকনাফে এসেছেন অনেকেই৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
শরণার্থীরা মিয়ামনমার থেকে অনেকটা খালি হাতেই পালিয়ে এসেছেন৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
শরণার্থীদের মধ্যে অনেকেই চোখের সামনে দেখেছেন স্বজন হত্যার বিভৎস দৃশ্য৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
রোহিঙ্গা শরণার্থী নারী ও শিশুরা বাংলাদেশে আসার দীর্ঘপথে নদী-খালও পাড়ি দিয়েছেন৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, ২৫ আগস্টের পর থেকে প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী এসেছে বাংলাদেশে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
টেকনাফ ও নাইক্ষংছড়ির বিভিন্ন সীমান্ত থেকে আসা কমে গেলেও শাহপরীর দ্বীপ থেকে এখনও দলে দলে শরণার্থীরা আসছেন৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
টেকনাফের নাফ নদীর ওপারে প্রতিদিনিই দেখা যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের বসতি জ্বালিয়ে দেয়ার দৃশ্য৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
তিন দিন ধরে আগুন দেয়া হচ্ছে মংডু ও রাসিডাং এলাকার রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর৷ শাহপরীর দ্বীপ থেকে তোলা ছবি৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
বাংলাদেশে আসা শরণার্থীদের অনেকেই নিয়ে আসছেন গবাদি পশু৷ এক্ষেত্রে তাঁরা ব্যবহার করছেন নাফ নদীকে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
গত কয়েকদিন ধরে আসা মানুষদের বড় একটা অংশের শরণার্থী শিবিরে ঠাঁই মেলেনি৷ কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের পাশেই দিন কাটছে তাঁদের৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
অনেকে আবার জায়গা করে নিয়েছেন সড়কের পাশের বিভিন্ন টিলার উপরে৷ সোখানে খোলা আকাশের নীচেই দিন রাত পার করছেন তাঁরা৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
টেকনাফের বালুখালীতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নুতন শিবির৷ বিশাল এ এলাকায় সব শরণার্থীরই জায়গা করে দিতে কাজ করছে বাংলাদেশ সরকার৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
মিয়ানমার থেকে আসা প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে ২ লাখের বেশিই শিশু, যা এবার আসা মোট শরণার্থীর ৬০ শতাংশ৷ ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, ২৫ শে আগস্টের পর থেকে ১১শ’রও বেশি শিশু অভিভাবক ছাড়া রাখাইন থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হাতে ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত তিন হাজার রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ শুরু হয়েছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের কাজ৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে নির্যাতনের মুখে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসা শুরু করলে প্রথমে সীমান্ত সিল করা দেয়া হয়েছিল৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
কিন্তু কয়েকদিন পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক আচরনের নির্দেশ দিলে সীমান্ত শিথিল হয় এবং ব্যাপকহারে নির্যাতিত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসতে শুরু করে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা খাবারের তীব্র সংকটে ভুগছেন৷ কোনো গাড়ি থেকে শুকনা খাবার দিতে দেখলেই খাবার সংগ্রহ করতে তাঁদের মধ্যে শুরু হয় কঠিন প্রতিযোগিতা৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
২৫শে আগস্ট মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, অস্ত্রধারী বিদ্রোহীরা ২৪টি পুলিশ চেকপোস্ট ও একটি সেনাঘাঁটিতে একযোগে হামলা চালায়৷ তাদের পাল্টা হামলা চালালে তা সহিংসতায় রূপ নেয়৷ দু’পক্ষের সংঘর্ষে সেইদিনই রাখাইন রাজ্যে অন্তত ৮৯ জন নিহত হয়৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
22 ছবি1 | 22
মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী বাংলাদেশ সংলগ্ন সীমান্তে স্থল মাইন পুঁতে রাখছে বলে প্রমাণও হাজির করে এইচআরডব্লিউ৷ প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ, স্বাধীন সংবাদকর্মীর প্রতিবেদন আর এ সংক্রান্ত বিভিন্ন আলোকচিত্রের তথ্য বিশ্লেষণ করে তারা জানায়, ‘‘গত কয়েক সপ্তাহেও অ্যান্টি-পার্সোনেল মাইন ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে৷ এই মাইনের ব্যবহার আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ৷ মিয়ানমারকে অবিলম্বে ওই নিষিদ্ধ অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করে ১৯৯৭ সালের মাইন নিষিদ্ধকরণ চুক্তিতে সই করার আহ্বান জানিয়েছে এইচআরডাব্লিউ৷''
এদিকে বাংলাদেশের মানবাধিকারকর্মী এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক নূর খান কয়েক সপ্তাহ ধরে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির এলকায় অবস্থান করছেন৷ তিনি এবং তাঁর সহকর্মীরা নির্যাতনের মুখে রাখাইন থেকে পালিয়ে আসারোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলছেন৷বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে ঘুরে ঘুরে তাঁদের বক্তব্য রেকর্ড করছেন৷ নূর খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘রাখাইনে আসলে গণহত্যা চলছে৷ সেখানকার অবস্থা মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদনে যা বলা হচ্ছে তার চেয়েও ভয়াবহ৷''
তিনি বলেন, ‘‘এখানে যাঁরা এসেছেন, নির্যাতনের ভয়াবহতায় তাঁদের একটি অংশ এখন ট্রমাটাইজড৷ গত দুই দিনে সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মীরা এক হাজার দু'শ রোহিঙ্গা শিশুকে তালিভুক্ত করেছে যারা তাদের বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে৷ ধারণা করা যায় তাদের বাবা-মা হত্যার শিকার হয়েছেন বা নিখোঁজ আছেন৷ একসপ্তাহ তালিকাভূক্তির কাজ চললে চিত্রটি কী হবে তা ভাবতেই গা শিউরে উঠছে৷''
তিনি আরো বলেন, ‘‘মিয়ানমারের এই মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ আছে৷''
রোহিঙ্গাদের দিকে বাংলাদেশের সাহায্যের হাত
গত ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৪ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে৷ তাঁদের আশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি নানান সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার৷ ছবিঘরে তারই কিছু নমুনা...
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
বায়োমেট্রিক নিবন্ধনে দীর্ঘ লাইন
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের জন্য রোহিঙ্গাদের লাইন৷ কুতুপালং ছাড়াও টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন এলাকার কয়েকটি কেন্দ্রে চলছে এই নিবন্ধন কার্যক্রম৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
নিবন্ধনে বিজিবি
কতুপালং শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধনে কাজ করছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা৷ একেকটি কেন্দ্রে দিনে গড়ে ৭০০ জনের মতো রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন হচ্ছে৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
নিবন্ধিত
বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের পর দুই রোহিঙ্গা শরণার্থী হারুনুর রশীদ ও মোহাম্মদ দিনার৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
সরকারি ত্রাণ
রোহিঙ্গাদের সহায়তা দিতে নানাভাবে এগিয়ে এসেছে বাংলদেশ সরকার৷ উখিয়ার কুতুপালংয়ে ট্রাক থেকে নামানো হচ্ছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী৷
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে যান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী৷ ৪৬টি দেশের কূটনীতিকরাও ছিলেন তাঁর সঙ্গে৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
কূটনীতিকদের আশ্বাস
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন শিবিরে গিয়ে শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন কূটনীতিকরা৷ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ সহায়তার ঘোষণাও দেন তাঁরা৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
শিশুসেবা
টেকনাফের শরণার্থী শিবিরগুলোতে সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন বয়সের শিশুদের টিকা দেয়া হচ্ছে৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
নতুন শিবির
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া নতুন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বালুখালীতে দুই হাজার একর জায়গায় শিবির গড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
তাঁবুর রাজ্য
শরণার্থীর চাপে এরইমধ্যে বালুখালীর এই অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রের সীমানা কয়েকগুণ বড় হয়েছে৷ উখিয়ার পাহাড়-টিলার সবখানেই এখন শরণার্থীদের অস্থায়ী তাঁবু৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
নতুন বসতি
নতুন নতুন পাহাড়ের গাছপালা কেটে প্রতিদিনই নিজেদের বসতি গড়ছেন রোহিঙ্গারা৷