কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিওগুলোকে যেসব শর্তে কার্যক্রম চালানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তা থেকে সরে তারা অন্য কাজ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশ সরকার৷
বিজ্ঞাপন
শর্ত ভেঙে যেসব এনজিওর অন্য কাজে লিপ্ত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যাবে সেগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম আবদুস সালাম জানিয়েছেন৷
এনজিও ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে দুই হাজার ৪৮৬টি এনজিও কাজ করছে, এরমধ্যে দুই হাজার ২৩২টি দেশি এবং ২৫৪টি বিদেশি৷
এই ব্যুরোর উপপরিচালক ও রোহিঙ্গা বিষয়ক সেলের ফোকাল পয়েন্ট আব্দুল্লাহ আল খায়রুম বৃহস্পতিবার ডয়চে ভেলেকে জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৮৯টি এনজিও কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদান নিয়েছে, এর মধ্যে ৫৫টি বিদেশি৷ কক্সবাজারে বর্তমানে দেশি-বিদেশি ৯৩টি এনজিও কাজ করছে৷
সম্প্রতি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তিনটি এনজিওর প্রকল্প স্থগিত করা হয়েছে৷ ছয়টি এনজিওকে কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছে৷
এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক আবদুস সালাম বৃহস্পতিবার ডয়চে ভেলেকে বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের সময়কার ঘটনা নিয়ে জেলা প্রশাসক প্রতিবেদন দিয়েছেন৷ কেউ (এনজিও) নগদ টাকা দিয়েছে, কেউ গেঞ্জি বিতরণ করেছে৷ এনজিওগুলোকে এসব না করতে সব সময় নিষেধ করা হয়েছে৷ যত প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তার গাইডলাইনেও এসব বলা আছে৷
‘‘এই ঘটনাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে আরেকটু ভেতরে খতিয়ে দেখব অন্য এনজিওগুলো কতটুকু কপ্লায়েন্স, কতটুকু কী করেছ, আমাদের লিগ্যাল নির্দেশনা প্রতিপালন করছে কি না, তা যাচাই করছি৷''
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
হত্যা, নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার ছাড়তে বাধ্য হওয়া রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে বড় অংশটি আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে৷ এতে স্থানীয়দের জীবনে এসেছে কিছু পরিবর্তন৷ বিভিন্ন ধরনের অপরাধেও জড়িয়ে পড়ছেন রোহিঙ্গাদের একাংশ৷ দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: bdnews24.com
মালয়েশিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনার অভিযোগ
গত মে মাসে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খুব গুরুত্ব পেয়েছিল খবরটি৷ রমজান মাসে একাধিক সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনাকারী সন্দেহে চার ব্যক্তিকে আটক করে মালয়েশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী৷ আটককৃতদের মধ্যে দু’জন ছিলেন রোহিঙ্গা৷ পুলিশ জানায়, রোজার সময় কুয়ালালামপুর এবং আশেপাশের এলাকায় অনেক মানুষকে হত্যা ও সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করছিল ওই চারজন৷ আরো জানতে ওপরের + চিহ্নে ক্লিক করুন...
ছবি: DW/V. Hölzl
জার্মান সাংবাদিকদের উপর হামলা
গত ফেব্রুয়ারিতে মা ও দুই শিশু কন্যাকে অপহরণের অভিযোগ তুলে কক্সবাজারের উখিয়ায় তিন জার্মান সাংবাদিকসহ চার ব্যক্তির ওপর হামলা চালায় রোহিঙ্গারা৷ হামলার সময় সাংবাদিকদের গাড়ি ভাংচুর করে লুটপাট চালানো হয়৷আরো জানতে ওপরের + চিহ্নে ক্লিক করুন...
ছবি: DW/S. Kumar Dey
মাদক পাচারে রোহিঙ্গা
দু’ দিন আগে টেকনাফে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ দুই রোহিঙ্গা মাদক পাচারকারীকে আটক করে কোস্টগার্ড জওয়ানেরা৷ এমন খবর এর আগেও এসেছে সংবাদমাধ্যমে৷ আরো জানতেক ওপরের + চিহ্নে ক্লিক করুন...
ছবি: picture alliance/JOKER
হামলা, হত্যাসহ নানা অপরাধ
রোহিঙ্গাদের হামলা, হত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়ানোর খবর আসছে ২০১৭ সাল থেকে৷ সে বছর এক মাসে রোহিঙ্গাদের অন্তত ৩০টি অপরাধের ঘটনা রেকর্ড করে টেকনাফ ও উখিয়া থানা৷ রোহিঙ্গাদের হামলায় তখন কমপক্ষে দু’জন পুলিশও আহত হয়৷ আরো জানতে ওপরের + চিহ্নে ক্লিক করুন...
ছবি: bdnews24.com
বৌদ্ধদের ঘরে আগুন লাগানোর চেষ্টা
এক বৌদ্ধ তরুণ ফেসবুক পোস্টে কোরানের অবমাননা করেছেন— এমন অভিযোগ তুলে ২০১২ সালে রামুতে ৩০০ বছরের পুরোনো এক বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা চালানো হয়৷ জ্বালিয়ে দেয়া হয় সেই মন্দির৷ স্থানীয় বৌদ্ধরা তখন থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন৷ রাতে বৌদ্ধদের বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে অনেকবার৷ এ অব্স্থায় বৌদ্ধঅধ্যুষিত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে হয়েছে৷ আরো জানতে ওপরের + চিহ্নে ক্লিক করুন...
ছবি: Reuters
ক্রসফায়ারে রোহিঙ্গা ‘সন্ত্রাসী’
সম্প্রতি পুলিশ জানায়, গত দুই বছরে কক্সবাজার এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে ৩৩ জন রোহিঙ্গা৷ পুলিশের দাবি, নিহতরা বিভিন্ন ধরনের অপরাধকর্মে জড়িত ছিলেন৷ তবে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস বলেছে, ওই ৩৩ জন ক্যাম্পের বাইরে নিহত হয়েছেন বলে তারা রোহিঙ্গা কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত নয়৷আরো জানতে ওপরের + চিহ্নে ক্লিক করুন...
রোহিঙ্গাদের অসহায়ত্বের সুযোগও নিচ্ছেন অনেকে৷ ফলে কক্সবাজারে দেহব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন অনেক রোহিঙ্গা মেয়ে৷আরো জানতে ওপরের + চিহ্নে ক্লিক করুন...
ছবি: DW/Arafatul Islam
মোবাইল ব্যবহার
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও গুরুত্ব বিবেচনা, আইন-শৃংখলা রক্ষা ও জনসুরক্ষার স্বার্থে রোহিঙ্গাদের আর মোবাইল ব্যবহারের সুযোগ না দেয়ার জন্য অপারেটরদের নির্দেশনা দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি৷ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রোহিঙ্গাদের কাছে অন্তত পাঁচ লক্ষ মোবাইল রয়েছে৷আরো জানতে ওপরের + চিহ্নে ক্লিক করুন...
ছবি: Reuters/M. Ponir Hossain
ধ্বংসের মুখে কক্সবাজারের বন
গত এপ্রিলে ‘অ্যামেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর অ্যাডভান্সমেন্ট অফ সায়েন্স' সাময়িকীতে ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং পরিবেশ' শীর্ষক এক প্রবন্ধে জানানো হয় ২০১৭ সালে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা আসার পর টেকনাফ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, হিমছড়ি ও ইনানী জাতীয় উদ্যানের জীববৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে৷ এতে দুই হাজার হেক্টর বন ধ্বংস হয়েছে বলেও জানানো হয় প্রতিবেদনে৷আরো জানতে ওপরের + চিহ্নে ক্লিক করুন...
ছবি: Getty Images/P. Bronstein
10 ছবি1 | 10
জেলা প্রশাসক ছাড়াও শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনাররে কার্যালয়ের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এনজিওগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে জানান আবদুস সালাম৷
তিনি বলেন, ''শুরু থেকে মিয়ারমারের রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে) বিভিন্নভাবে ৪১টি এনজিওর বিরুদ্ধে তথ্য পেয়েছিলাম৷ ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে ছয়টির কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি এবং বাকিগুলোকে শর্ত সাপেক্ষ কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর পর দুটি এনজিওর বিরুদ্ধে রিপোর্ট পাওয়া গেছে৷ সম্প্রতি তিনটি এনজিওর সব কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে, এখন পর্যন্ত নয়টি এনজিওর কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে৷''
আবদুস সালাম বলেন, ‘‘এনজিওগুলোর যে কাজ করার কথা ছিল তা থেকে সরে গিয়ে অন্য কাজ করছে বলে একটা পারসেপশন বা ধারণা তৈরি হয়েছে৷ পাবলিক পারসেপশন, সোশ্যাল পারসেপশন, সবকিছু মিলে একটা পারসেপশন তৈরি হয়েছে যে তারা মূল কাজের বাইরে চলে যাচ্ছে৷ সবকিছু মিলিয়ে আমরা খতিয়ে দেখছি আসল ঘটনা কী৷ যারা ভিন্নধর্মী কাজ করার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট পেলে অবশ্যই লিগ্যাল অ্যাকশন নেব৷ যারা সঠিকভাবে কাজ করছে তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই৷''
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালামের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷ গত ২ সেপ্টম্বর প্রত্যাবাসন কমিশনারের দায়িত্ব থেকে ওএসডি হয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে সংযুক্তি পাওয়া এই কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন জানিয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান৷
রোহিঙ্গাদের জন্য ধারালো অস্ত্র তৈরির অভিযোগ ওঠায় মুক্তি কক্সবাজার নামে একটি এনজিওর ছয়টি প্রকল্প সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷
রোহিঙ্গা শিশুদের পড়াশোনা, ধর্মচর্চা ও চিকিৎসা
জীবন বাঁচাতে রোহিঙ্গারা ত্যাগ করেছেন মাতৃভূমি৷ বাংলাদেশে কিভাবে হচ্ছে তাঁদের সন্তানদের পড়াশোনা আর নিজেদের ধর্মচর্চা? কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে গিয়ে তোলা ছবি দিয়েই তা জানাচ্ছেন জীবন আহমেদ৷
ছবি: Jibon Ahmed
১ম শ্রেণি শেষ করেছে আয়াছ
নয় বছর বযসি মো. আয়াছ-ও শরণার্থীর ঢলের সাথে জীবন বাঁচাতে চলে এসেছে বাংলাদেশে৷ অল্প বয়সেই সাক্ষী হয়েছে বিভৎসতার, নিষ্ঠুরতার৷ তারপরও থেমে থাকেনি আয়াছ৷ এক বছরে শেষ করেছে প্রথম শ্রেণির পড়াশোনা৷ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও পরিচালিত ‘মুক্তি’ স্কুলে লেখাপড়া করা আয়াছ মেধার পরিচয়ও দিচ্ছে শ্রেণীকক্ষে, জানালেন শিক্ষকরা৷
ছবি: Jibon Ahmed
ডাক্তার হবে উম্মে হাবিবা
ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখে ৬ বছরের উম্মে হাবিবা৷ স্বপ্ন পূরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হাবিবা ক্যাম্পের স্কুলের দৈনিক তিন শিফটের কোনোটিই বাদ দিতে চায় না৷ ইংরেজিতে ছড়া ও অক্ষর লিখতে শিখেছে ইতিমধ্যে৷ হাবিবা পড়ালেখায় ভালো এবং মনোযোগী বলে জানিয়েছেন তার শিক্ষকেরা৷
ছবি: Jibon Ahmed
রোহিঙ্গা শিশুদের ইংরেজি পড়ান নাহিদা
রোহিঙ্গা তরুনী নাহিদা নিজ দেশ ছেড়ে পালিয়ে এসেছেন পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে৷ নিজ দেশ ছেড়ে এসেও থেমে নেই তিনি৷ বর্তমানে একটি এনজিও পরিচালিত স্কুলের শিক্ষিকা হিসেবে কাজ করেন৷ চেষ্টা করছেন রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা-দীক্ষায় এগিয়ে নিয়ে যেতে৷
ছবি: Jibon Ahmed
রোহিঙ্গা শিশুদের ধর্ম শিক্ষা
সাত লাখেরও অধিক রোহিঙ্গার ধর্ম শিক্ষার জন্য মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণ করেছে বিভিন্ন এনজিও৷ রোহিঙ্গা মুসলিম শিশুদের মাদ্রাসায় পড়ার আগ্রহই বেশী৷ অন্যদিকে মসজিদগুলোতে বয়স্কদের নামাজ পড়ার জন্য রয়েছে ভালো ব্যাবস্খা৷
ছবি: Jibon Ahmed
মা-বাবা নেই, তাই এতিমখানায়
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থাপিত বেশিরভাগ মাদ্রাসাতেই রয়েছে এতিমখানা৷ মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে মা-বাবা হারানো সন্তানদের ঠাঁই হয়েছে এ এতিমখানাগুলোতে৷ এতিমখানাগুলোতে সবাই মিলেমিশে মা-বাবা হারানোর শোক ভোলার চেষ্টা করে তারা৷
ছবি: Jibon Ahmed
স্থানীয় চিকিৎসা
ঝার-ফুঁক আর ওঝা দিয়ে জীন তাড়ানোর সংস্কারও আছে রোহিঙ্গাদের মধ্যে৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে এক বৈদ্য আগুন দিয়ে একজন ‘রোগীর উপর ভর করা জীন’ তাড়ানোর চেষ্টে করছেন৷ তিনি একজন পেশাদার বৈদ্য৷ জীন তাড়ানো বাবদ প্রতিবার তিনি তিন হাজার এক টাকা করে নেন৷
ছবি: Jibon Ahmed
6 ছবি1 | 6
প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, রোহিঙ্গারা যাতে মিয়ানমারে ফিরে না যান এনিয়ে কিছু এনজিও তাদের ইন্ধন যোগাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷
এছাড়া ক্যাম্পের মধ্যে রোহিঙ্গাদের বিশাল সমাবেশ আয়োজনে অর্থ করা দিয়েছে এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে কি না, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে তাও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি৷
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান সম্প্রতি ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, কিছু কিছু এনজিও রোহিঙ্গাদের বোঝাচ্ছে তারা যেন নিজ দেশে না যায়৷ এনজিওরা বোঝাচ্ছে, নাগরিকত্বসহ কিছু শর্ত পূরণ না হলে যেন তারা না ফিরে যায়৷ কমিটি এসব এনজিওদের কাজ মনিটরিং করে তাদের চিহ্নিত করতে বলেছে৷''
রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা দেশি-বিদেশি এনজিওর কর্মকাণ্ড নিয়ে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকেও প্রশ্ন উঠেছিল৷ ওই কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক তখন বলেছিলেন, ''কিছু এনজিও সেখানে ইল মোটিভ নিয়ে কাজ করছে বলে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে৷''
২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর নির্যাতনের মুখে প্রাণ বাঁচাতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তে ছুটতে থাকে৷ দুই বছরে এই সংখ্যা সাত লাখ ছাড়িয়েছে৷ তাদের আশ্রয় দেওয়া হয় কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে; সেখানে আগে আসা আরও চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে৷