1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমার থেকে অস্ত্র আসে:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

৪ অক্টোবর ২০২১

রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মিয়ানমার থেকে বিভিন্নভাবে অস্ত্র আসার কথা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল৷ রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহর হত্যাকারীদের ‘শিগগিরই' আইনে আওতায় আনার কথা জানালেন তিনি৷

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল(ফাইল ছবি)ছবি: bdnews24.com

শারদীয় দুর্গোৎসব সামনে রেখে রোববার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা শেষে সংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব মন্তব্য করেন বলে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদনে প্রকাশ৷ আশ্রয় শিবিরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ‘যথেষ্ট ভালো' বলে দাবি রাষ্ট্রমন্ত্রীর৷

রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে মাদক পাচারের বিষয়টি বহুদিন ধরেই চলে আসছে৷ কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলো ঘিরে রোহিঙ্গা ডাকাতদের তৎপরতার খবরও আসছে সংবাদমাধ্যমে ৷ তবে রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহকে ক্যাম্পের ভেতরে গুলি করে হত্যার ঘটনাটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ তৈরি করেছে৷

মুহিবুল্লাহর হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘মিয়ানমার থেকে বিভিন্নভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিবেশ অস্থির করার জন্য অস্ত্র আসছে৷ অস্ত্র নিয়ে তাদের আধিপত্য বিস্তার করার জন্য বিভিন্ন গ্রুপের মারামারিও দেখেছেন৷  যে নেতার (মুহিবুল্লাহ) কথা বলছেন, সে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য সবসময় সোচ্চার ছিল৷ তার এই ঘটনাটা তদন্ত করে এর মূল কারণটা বের করতে হবে, সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করছি৷''

রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ(ফাইল ছবি)ছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS

মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ইউএনএইচসিআরসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো৷ পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমে ‘রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর' হিসেবে পরিচিত ছিলেন রাখাইন রাজ্যের মংডুর এলাকার স্কুলশিক্ষক মুহিবুল্লাহ৷ ‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস' নামে রোহিঙ্গা সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন মুহিবুল্লাহ৷

একদল অস্ত্রধারী গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ায় লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৪৮ বছর বয়সি মুহিবুল্লাহকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়৷ রোহিঙ্গাদের অন্য একটিব সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেছে বলে সন্দেহ তার পরিবারের৷ মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার জন্য রোহিঙ্গাদের যে গ্রুপটির মধ্যে মুহিবুল্লাহর হত্যার ঘটনা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে৷

পুলিশ ইতোমধ্যে পাঁচ রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তাদের মধ্যে দুজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "যারা তাকে হত্যা করেছে বলে আমরা মনে করছি সে বিষয়ে তদন্ত চলছে, খুব শিগগিরই এর ব্যবস্থা করতে পারব বলে বিশ্বাস করি৷” রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারদিকে কাঁটাতাদের বেড়া দেওয়া হচ্ছে৷ চতুর্দিকে ওয়াচ টাওয়ারও করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান৷

"আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সেনাবাহিনী ভালো কাজ করছে৷ কক্সবাজারে লাখ লাখ পর্যটক যাচ্ছেন৷ সবকিছু মিলিয়ে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে বলেই সব কিছু ভালো অবস্থায় আছে৷'' এমন মন্তব্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর৷

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ