1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যা, অপরাধ বেড়েছে

২৯ জানুয়ারি ২০২৩

বাংলাদেশ পুলিশ বলছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, ডাকাতি, মানবপাচার ও মাদক ব্যবসা বেড়েছে৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে পুলিশের দেয়া তথ্য বলছে, ২০২২ সালে ৩১ জন হত্যার শিকার হয়েছেন, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ৷

Rohingya Flüchtlingslager in Bangladesch
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images

রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ বলেন, ক্যাম্পে কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতাসহ এতজনের মৃত্যুর ঘটনায় রোহিঙ্গাদের মনে আশঙ্কা জন্মেছে৷ একদিকে ক্যাম্পে সশস্ত্র গোষ্ঠীদের প্রভাব বাড়ছে, অন্যদিকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সহিংসতা কমাতে ব্যর্থ হচ্ছে৷ ‘‘বাংলাদেশ ছেড়ে অনেক রোহিঙ্গার ঝুঁকিপূর্ণ সাগরযাত্রায় যাওয়ার এটি অন্যতম কারণ,'' বলে রয়টার্সকে জানান তিনি৷

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলছে, ২০২০ সালে সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ৩৪৮ রোহিঙ্গা প্রাণ হারিয়েছেন৷ গতবছর ৩,৫৪৫ জন রোহিঙ্গা বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়েছেন বা দেয়ার চেষ্টা করেছেন৷ ২০২১ সালে সংখ্যাটি ছিল প্রায় ৭০০৷

২৩ বছর বয়সি মোহাম্মদ ইসমাইল রয়টার্সকে জানান, গতবছর এপ্রিল থেকে অক্টোবরের মধ্যে বন্দুকধারীদের হাতে তার চার আত্মীয় মারা যান৷ গত সেপ্টেম্বরে একদল মুখোশধারী তাকেও অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল৷ এরপর তার বাম হাত ও পায়ের কিছু অংশ কেটে ফেলে তাকে খালে ফেলে দেয়া হয়৷ ইসমাইল জানান আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি, আরসার সদস্যরা তাকে ও তার আত্মীয়দের আরসায় যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল৷ কিন্তু এতে সাড়া না দেয়ায় হয়ত তাদের উপর হামলা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তিনি৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রায় এক ডজন রোহিঙ্গা রয়টার্সকে জানান, আরসার সদস্যরা বাংলাদেশের ক্যাম্পগুলোতে মানব ও মাদক পাচারসহ নানান অপরাধের সঙ্গে যুক্ত৷

এ ব্যাপারে আরসার সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো উত্তর পায়নি রয়টার্স৷ তবে গত ডিসেম্বরে এক টুইটে আরসা দাবি করেছিল, তাদের কার্যক্রম শুধু মিয়ানমারে সীমাবদ্ধ৷

২০২২ সালে পুলিশ ২,৫৩১ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করে৷ তাদের বিরুদ্ধে ১,২২০টি মামলা দায়ের করা হয়৷ এরমধ্যে ৯০ শতাংশ মামলার কারণ ছিল হত্যা, অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার, মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, ধর্ষণ, অপহরণ, মানবপাচার ও পুলিশের উপর হামলা৷

সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের একটি উপকূলে নৌকায় পৌঁছানো রোহিঙ্গা শরণার্থীরাছবি: Chaideer Mahyuddin/AFP

২০২১ সালে ১,৬২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল৷ মামলা হয়েছিল ৬৬৬টি৷

বাংলাদেশের শরণার্থী বিষয়ক কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে৷ এজন্য পুলিশের একটি বিশেষ ব্যাটালিয়ন কাজ করছে বলেও জানান তিনি৷

তবে এ মাসেই হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ৪০ জনের বেশি রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷ এতে অভিযোগ করা হয়, ২০২০ সাল থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়োজিত বাংলাদেশ পুলিশের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা চাঁদাবাজি, জোরপূর্বক আটক ও শরণার্থীদের হয়রানির সঙ্গে জড়িত

এ ব্যাপারে জানতে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নকে ইমেল করা হলেও উত্তর পাওয়া যায়নি৷

একটি এনজিওতে চাকরি করা বার্মা ভাষার শিক্ষক ২৫ বছর বয়সি খায়ের উল্লাহ বলেন, অপরাধ ছাড়াও শিক্ষা ও কাজ না থাকায় অনেক রোহিঙ্গা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশ৷ কারণ তারা বৃদ্ধ মা-বাবাকে দেখাশোনা করতে পারছে না৷ ভবিষ্যতে সন্তান হলে তাদের কীভাবে লালনপালন করা যাবে, তা নিয়েও চিন্তিত তারা৷ সর্বোপরি মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাওয়ায় হতাশ রোহিঙ্গারা৷

জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ