রোহিঙ্গা নেতা হত্যার দুই আসামি গ্রেপ্তার
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২১৪ এপিবিএন-এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ কথা জানান৷
তিনি জানান, উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-১১ ব্লকের বাসিন্দা মৃত এজাহার মিয়ার ছেলে সামসু আলম ও কুতুপালং ২-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-১ ব্লকের বাসিন্দা মৃত মোহাম্মদ হোসেন ওরফে মো. ছৈয়দের ছেলে আব্দুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷
৬০ বছর বয়সি আবুল কালাম কুতুপালং ২-ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-ডব্লিউ-৫ ব্লকের বাসিন্দা মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে এবং ক্যাম্পটির বি-ডব্লিউ-৫ ব্লকের সাব-মাঝি বা উপ-সর্দার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন৷
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে কুতুপালং ২-ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-ডব্লিউ-৫ ব্লকে সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়৷ স্থানীয়রা আইওএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন৷ সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে আবুল কালাম মারা যান৷ ওইদিন রাতেই নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন৷
পুলিশ সুপার নাইমুল বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা নেতা আবুল কালাম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের অবস্থানের খবরে এপিবিএন পৃথক অভিযান চালায়৷ এ সময় আসামিদের সন্দেহজনক বসতঘর ঘিরে ফেললে তারা পালানোর চেষ্টা করে৷ পরে ধাওয়া দিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়৷’’ গ্রেপ্তার করা আসামিদের উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি৷
গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর দুর্বৃত্তরা উখিয়া উপজেলার ১-ইস্ট নম্বর লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৭ ব্লকে রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে৷ মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ প্রত্যাবাসনের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন৷
একই বছরের ২২ অক্টোবর ভোররাতে পালংখালী ইউনিয়নের ১৮ নম্বর ময়নারঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ-৫২ ব্লকের ‘দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসায়' একদল লোকের হামলায় মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকসহ ছয় রোহিঙ্গা নিহত হন৷
এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)