1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারকে রাজি করাবে চীন

৪ জুলাই ২০১৯

বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার পরিবেশ তৈরিতে মিয়ানমারকে রাজি করানোর উদ্যোগ নেবে চীন৷ 

Bangladesch Prime Minister Sheikh Hasina with Chinese Prime Minister Li Keqiang
ছবি: PID

বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে গ্রেট হল অব দ্য পিপলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এই প্রতিশ্রুতি দেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছ্যাং

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক উপস্থিত সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরানোর বিষয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য ওই এলাকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হচ্ছে৷ শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফেরানোর জন্য এটা খুবই দরকার৷''

এ প্রসঙ্গে চীনের প্রধানমন্ত্রীও একমত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব৷ তিনি বলেন, ফিরে যাওয়ার মধ্য দিয়েই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে মত দিয়েছেন দেশটির সরকারপ্রধান৷

অপরদিকে বিদ্যুৎখাতকে এগিয়ে নিতে সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরিতে চীনের সঙ্গে পাঁচটি চুক্তি করেছে বাংলাদেশ৷ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই পাঁচটি চুক্তি সই হয়৷ এছাড়াও তিনটি সমঝোতা স্মারকে সই এবং একটি লেটার অব এক্সচেঞ্জ বিনিময় করেছে বাংলাদেশ ও চীন৷

চুক্তি অনুযায়ী বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়নে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ১৪০ কোটি ডলার পাবে৷ পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ পাবে ২৮ কোটি ৪ লাখ ডলার৷ অর্থনীতি ও কারিগরি সহযোগিতায় ৭ কোটি ২৭ লাখ ডলার পাবে বাংলাদেশ৷

দুটি দেশের মধ্যে ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠা এবং ইয়ালু ঝাংবো ও ব্রহ্মপুত্র নদীর তথ্য বিনিময়ে স্বাক্ষরিত হয়েছে দুটি সমঝোতা স্মারক৷ পর্যটন খাতে সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরিতে সই হয়েছে অপর সমঝোতা স্মারকটি৷

চীন-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক আলোচনা

01:29

This browser does not support the video element.

এদিকে মিয়ানমারে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের আড়াই হাজার মেট্টিক টন চাল কিনতে একটি লেটার অব একচেঞ্জ বিনিময় করেছে বাংলাদেশ ও চীন৷

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে পৌঁছান সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ তাঁকে স্বাগত জানায় চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছ্যাং৷ দেয়া হয় লাল গালিচা সংবর্ধনা৷ গার্ড অব অনার দেয় সশস্ত্র বাহিনীর চৌকস দল৷ তোপধ্বনির পর বাজানো হয় দুই দেশের জাতীয় সংগীত৷ অভ্যর্থনার আনুষ্ঠানিকতা শেষে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দেন দুই দেশের সরকারপ্রধান ও প্রতিনিধি দল৷

মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী৷ এসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর মেয়ে, অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন৷

এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন৷

টিএম/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম,বাসস)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ