1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

একটি মানব ট্র্যাজেডির ট্রেলার!

৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

আল-জাজিরার এজে প্লাস টুইটার অ্যাকাউন্টে একটি এক মিনিট পাঁচ সেকেন্ডের ভিডিও৷ বিষয়: মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়ন ও পলায়ন৷

Bangladesch Rohingya Flüchtlinge in Kutupalong Flüchtlingslager
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/T. Chowdhury

একবিংশ শতাব্দীটাই যেন বিতাড়ন আর পলায়নের শতাব্দী – তার পিছনে জাতি, ধর্ম, অতীত ইতিহাস বা বর্তমান রাজনীতি, যা-ই কাজ করুক না কেন৷ কে জানে, ধর্মের উৎস খুঁজতে গেলেও আমরা শেষমেষ এই ধরনের বিতাড়ন ও পলায়নের কাহিনির সম্মুখীন হব কিনা৷

বাড়িঘর পুড়ছে, পুড়ছে একটি আস্ত গ্রাম৷ আগুন লাগিয়েছে দৃশ্যত মিয়ানমার সেনাবাহিনী৷ ভিডিও-র সূত্রধর  বলছেন, সেনারা একটির পর একটি বাড়িতে আগুন দিয়েছে, একটি জ্বলন্ত কুটিরের সামনে বলছেন, ‘এটা আমার বাড়ি৷' সম্ভবত ভিডিও-র সবচেয়ে ব্যক্তিগত মুহূর্ত৷

সেনাবাহিনী নাকি বলছে, বিদ্রোহীরাই এর জন্য দায়ী৷ ২০০৬ সালেও তারা এমনই বলেছিল৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সূত্রে স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবি দিয়ে দেখানো হচ্ছে ধ্বংসের পরিমাণ৷ এরপর আবার একটি স্থানীয়, ব্যক্তিগত উল্লেখ – সিমবায়া নামের শেষ বসতিটিও এখন জ্বলছে৷

সহিংসতার শিকার মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা

02:13

This browser does not support the video element.

এবার কিছু পরিসংখ্যান: ৬০,০০০ উদ্বাস্তু সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে গেছেন; নো-ম্যানস-ল্যান্ডে আটকা পড়েছেন আরো ১০,০০০৷ জাতিসংঘ কি বলেছে, মিয়ানমারের সেনাপ্রধান কি বলেছেন...

এ সবই শব্দ এবং অনুলিপি, এক মিনিট পাঁচ সেকেন্ডের ভিডিওটি জুড়ে৷ তথ্য সংগ্রহ, পরিবেশন ও বিস্তারের এই যে পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা, তার সঙ্গে রোহিঙ্গাদের এই মানব ট্র্যাজেডি – মানবিক ট্র্যাজেডির চেয়েও যা বড় – তার সম্পর্ক কোথায় বা কতটুকু?

আমরা যারা মিডিয়ায় কাজ করি, তাদের দায়িত্বই বা কী? আর কবি-সাহিত্যিক-সমাজসেবী? দেশবিদেশের সরকার? নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী? জাতিসংঘ? পোপ? ইউরোপীয় ইউনিয়ন?

পথের পাঁচালীর অপুকে যদি এইরকম ধোঁয়া, আগুন আর হত্যাকাণ্ডের মধ্যে নিশ্চিন্দিপুর ছাড়তে হতো?

এসি/এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ