1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গা যৌনকর্মী বাড়ছে, বাড়ছে পাচার

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
৩ আগস্ট ২০১৯

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নারীদের মধ্যে যৌন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ার হার ক্রমশ বাড়ছে৷ আর এর নেপথ্যে রয়েছে দেশীয় দালাল চক্র৷ রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ সারাদেশে সক্রিয় এ চক্রটি৷

Bangladesch Rohingya Flüchtlinge, Cox's Bazar
ছবি: picture-alliance/Zuma Press/Km Asad

গত জুন মাসে কক্সবাজার থেকে পাচারের সময় অন্তত ২১ জন নারীকে উদ্ধার করা হয়৷ মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে চাকরি দেয়ার কথা বলে পাচার করা হচ্ছিল তাদের৷ এর আগে ১৪মে উদ্ধার করা হয় ১৭ জন নারীকে৷ তাদের দলে ১৬ জন শিশু ও একজন পুরুষও ছিলেন৷ উদ্ধারের পর তাদের ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়৷ শুধু কক্সবাজার নয়, বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকা থেকেও রোহিঙ্গা নারীদের উদ্ধার করা হচ্ছে৷

গত ২০ জুলাই রাজধানী ঢাকা থেকে দুই রোহিঙ্গা নারীকে  উদ্ধার করে র‌্যাব৷ এ সময় দালাল চক্রের সদস্যদেরও আটক করা হয়৷ জানা যায়, ওই দুই নারীকে বাংলাদেশি পাসপোর্টের মাধ্যমে বিদেশে পাচারের চেষ্টা করছিল দালাররা৷
কক্সবাজারে যৌনকর্মীদের নিয়ে কাজ করে ‘নোঙর' নামে একটি স্থানীয় এনজিও৷ তারা এইচআইভি নিয়ে কাজ করলেও রোহিঙ্গা নারীদের যৌন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে৷ প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক দিদারুল আলম রাশেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘স্থানীয় দালাল চক্র ছাড়াও আগেই বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের অনেকে এ গোষ্ঠিটির নারীদের নানা উপায়ে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করছে৷ হতদরিদ্র অবস্থার সুযোগ নিয়ে এ কাজ করছে তারা৷''

পরিচয় পাল্টে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে: দিদারুল আলম রাশেদ

This browser does not support the audio element.

তিনি বলেন, ‘‘চাকরির নামে বিদেশে যাদের পাচার করা হয় তাদের আসলে যৌন ব্যবসায় নিয়োজিত করা হয়৷ পাচারের সময় অনেক রোহিঙ্গা নারী উদ্ধার করা হয়েছে৷ আর এ থেকেই বোঝা যায় যে, কি পরিমান রোহিঙ্গ নারী পাচার হয়েছে৷ চাকরি ছাড়ায়ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রোহিঙ্গা নারীদের যৌন ব্যবসায় নিয়োজিত করা হয়৷ অনেক রোহিঙ্গা নারী এখানে আসার পর ক্যাম্পের বাইরে থেকেই তাদের যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হয়৷ তাদের শুধু কক্সবাজার এলাকায় নয় দেশের অন্যান্য এলাকায় পরিচয় পাল্টে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে৷''

ঠিক কতজন রোহিঙ্গা নারী যৌন ব্যবসায় জড়িয়েছে তা সঠিকভাবে বলা না গেলেও তাদের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে বলে জানান তিনি৷ তিনি বলেন, ‘‘বাড়ার কারণ হলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প সুরক্ষিত নয়৷ আর ক্যাম্পের মধ্যেই যৌন ব্যবসার দালালদের নেটওয়ার্ক৷''

যৌন ব্যবসার ব্যাপারে পুলিশের নজরদারি আছে: মো. ইকবাল হোসেন

This browser does not support the audio element.

কক্সবাজার এলাকার হোটেল ছাড়াও দালালরা যৌন ব্যবসার জন্য বাসা ও বিভিন্ন রেস্ট হাউজও ব্যববহার করে৷ তবে, রোহিঙ্গা নারীদের যৌন ব্যবসায় নিয়োজিত হওয়ার বিষয়ে কোন তথ্য নেই স্থানীয় প্রশাসনের কাছে৷ কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন অবশ্য দাবি করেন, ‘‘রোহিঙ্গা নারীরা যে যৌন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে সে তথ্য আমাদের কাছে নেই৷ তবে ক্যাম্পের ভিতরে তারা যৌন হয়রানির শিকার হন এমন অভিযোগ আমরা পাই৷''

যৌন ব্যবসার ব্যাপারে পুলিশের নজরদারি আছে বলে জানান তিনি৷

আর কক্সবাজার জেলা সমাজ সেবা দপ্তরের উপ পরিচালক প্রীতম চৌধুরী বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা নারীরা যৌন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছেন এমন তথ্য এবং অভিযোগ আমরা শুনি৷ তবে আমরা ক্যাম্পের শিশুদের নিয়ে কাজ করি, নারীদের নিয়ে নয়৷

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ