বাংলাদেশে এখন সব মিলিয়ে প্রায় ৯ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছে৷ এরমধ্যে পাঁচ লাখ এসেছে ২৫ আগস্টের পর থেকে৷ বাংলাদেশে তাদের অবস্থান দীর্ঘস্থায়ী হলে নিরাপত্তা, রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংকটের আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা৷
বিজ্ঞাপন
মিয়ানমারের রাখাইনে নির্যাতনের মুখে ২৫ আগাষ্ট থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসা শুরু করেন৷ যাঁরা আসছেন তাঁদের বড় অংশই নারী ও শিশু৷ রোহিঙ্গারা এখনো আসছেন৷ তবে প্রবেশ পথ পরিবর্তন করেছেন তাঁরা৷ এখন টেকনাফের শাহপরী দ্বীপ থেকে নৌকায় বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন৷ গত চার দিনে ওই পথে প্রায় সাত হাজার রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু কক্সবাজারে প্রবেশ করেছে৷ ইউএনএইচসিআর-এর হিসাব মতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩৫ দিনে রাখাইন থেকে মোট রোহিঙ্গা শরণার্থী এসেছে পাঁচ লাখ এক হাজার ৫০০৷
রোহিঙ্গাদের দিকে বাংলাদেশের সাহায্যের হাত
গত ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৪ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে৷ তাঁদের আশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি নানান সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার৷ ছবিঘরে তারই কিছু নমুনা...
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
বায়োমেট্রিক নিবন্ধনে দীর্ঘ লাইন
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের জন্য রোহিঙ্গাদের লাইন৷ কুতুপালং ছাড়াও টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন এলাকার কয়েকটি কেন্দ্রে চলছে এই নিবন্ধন কার্যক্রম৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
নিবন্ধনে বিজিবি
কতুপালং শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধনে কাজ করছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা৷ একেকটি কেন্দ্রে দিনে গড়ে ৭০০ জনের মতো রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন হচ্ছে৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
নিবন্ধিত
বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের পর দুই রোহিঙ্গা শরণার্থী হারুনুর রশীদ ও মোহাম্মদ দিনার৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
সরকারি ত্রাণ
রোহিঙ্গাদের সহায়তা দিতে নানাভাবে এগিয়ে এসেছে বাংলদেশ সরকার৷ উখিয়ার কুতুপালংয়ে ট্রাক থেকে নামানো হচ্ছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী৷
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে যান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী৷ ৪৬টি দেশের কূটনীতিকরাও ছিলেন তাঁর সঙ্গে৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
কূটনীতিকদের আশ্বাস
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন শিবিরে গিয়ে শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন কূটনীতিকরা৷ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ সহায়তার ঘোষণাও দেন তাঁরা৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
শিশুসেবা
টেকনাফের শরণার্থী শিবিরগুলোতে সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন বয়সের শিশুদের টিকা দেয়া হচ্ছে৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
নতুন শিবির
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া নতুন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বালুখালীতে দুই হাজার একর জায়গায় শিবির গড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
তাঁবুর রাজ্য
শরণার্থীর চাপে এরইমধ্যে বালুখালীর এই অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রের সীমানা কয়েকগুণ বড় হয়েছে৷ উখিয়ার পাহাড়-টিলার সবখানেই এখন শরণার্থীদের অস্থায়ী তাঁবু৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
নতুন বসতি
নতুন নতুন পাহাড়ের গাছপালা কেটে প্রতিদিনই নিজেদের বসতি গড়ছেন রোহিঙ্গারা৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
11 ছবি1 | 11
রোহিঙ্গাদের এক জায়গায় রাখতে কুতুপালং-এর বালুখালিতে অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র করা হয়েছে৷ সেখানে এ পর্যন্ত দুই লাখ রোহিঙ্গাকে নেয়া গেছে৷ বাকিরা কক্সবাজারের বিভিন্ন এলকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে অবস্থান করছেন৷ বড় একটি অংশ অবস্থান নিয়েছেন মহা সড়কের পাশে৷ মহা সড়কের পাশে তাঁরা মূলত ত্রাণের জন্যই আশ্রয় নিয়েছেন৷ কারণ, জেলা প্রশাসন প্রতিদিন ১২টি স্পটে এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে রান্না করা খাবার দিচ্ছে৷ এ পর্যন্ত যেসব ত্রাণ বিদেশ থেকে এসেছে তা-ও পর্যাপ্ত নয়৷ সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন সংগঠনের দেয়া ত্রাণ সামগ্রীর ওপরই মূলত টিকে আছেন এই রোহিঙ্গারা৷ ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে চার লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রবেশ করে৷ জাতিসংঘ তখন ওই হিসাব অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের জন্য আগামী ছয় মাসে ২০০ মিলিয়ন ডলারের প্রয়োজনের কথা জানায়৷ এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ ৭৮ মিলিয়ন ডলার সহায়তার আবেদন জানিয়েছিল৷ কিন্তু রাখাইন থেকে নির্যাতনের মুখে রোহিঙ্গাদের আসা অব্যাহত থাকায় ত্রাণ সহায়তার কোনো সাময়িক হিসাবই মিলছে না৷
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নারীদের অন্তত ২০ হাজার হলেন গর্ভবতী মা৷ আর অনেক শিশু বাবা-মাকে হারিয়ে এতিম অবস্থায় বাংলাদেশে এসেছে৷ অন্তত দেড় লাখ শিশু আছে, যারা এখনই স্কুলে যাওয়ার উপযোগী৷ কক্সবাজারে অবস্থানরত মানবাধিকার কর্মী এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক নূর খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা রোহিঙ্গাদের এক জায়গায় রাখতে চাইছি৷ এটা মানবাধিকারের এক ধরণের লঙ্ঘন৷ এখনো তাদের নিবন্ধণ শেষ হয়নি৷ তাদের কিভাবে রাখবো? এক এলাকার লোক এক জায়গায় রাখব কিনা তা-ও নিশ্চিত নয়৷ বাস্তবে এখনই এক ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে৷ গর্ভবতী মা, শিশু এবং বয়স্ক মানুষের খাবারে যে বিশেষত্ব থাকে, তা রিলিফ ওয়ার্কে এখনো দেখা যাচ্ছে না৷ সবার জন্য একই খাবার৷’’
‘রোহিঙ্গাদের থাকার জন্য বন ও পাহাড় কাটা হচ্ছে’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘এই ৮-৯ লাখ মানুষের চাপের প্রভাব স্থানীয়ভাবে এখনই দেখা যাচ্ছে৷ কক্সবাজার এলকায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে গেছে৷ তাদের থাকার জন্য বন এবং পাহাড় কাটা হচ্ছে৷ স্থানীয় অধিবাসীদের চেয়ে এখন রোহিঙ্গা বেশি৷ তাদের সঙ্গে কালচারের পার্থক্য আছে৷ রোহিঙ্গা জনসংখ্যা এখানে আরো বাড়বে৷ আমরা বিষয়টি মানবিকভাবেই দেখছি৷ কিন্তু দীর্ঘ অবস্থানের কারণে এসব বিষয়ই সংকটের সৃষ্টি করতে পারে৷’’
মিয়ানমারে বাংলাদেশের সাবেক ডিফেন্স এটাশে মেজর জেনারেল (অব.) শহীদুল হক মনে করেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে দীর্ঘকাল অবস্থান করলে তিন ধরনের সমস্যা হতে পারে৷
১. নিরাপত্তা ঝুঁকি
২. সামাজিক সমস্যা
৩. রাজনৈতিক সমস্যা
‘৯০-এর দশকে যে রোহিঙ্গারা এসেছে তারা রাজনীতিতে জড়িয়েছে’
তিনি বলেন, ‘‘আমি জঙ্গি তৎপরতার অাশঙ্কার কথা বলছি না৷ আমি বলছি, এরা দীর্ঘকাল এখানে থাকলে যদি কোনো কাজ না পায়, তাহলে অপরাধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে৷ শিশুরা যদি লেখাপড়ার সুযোগ না পায়, তাহলে বিপথগামী হবে, যার প্রভাব ওই এলাকায় পড়বে৷ আর এই মানুষগুলোকে দীর্ঘকাল বাংলাদেশের পক্ষে খাইয়ে-পড়িয়ে রাখা এক বড় চ্যালেঞ্জ৷ স্থানীয়ভাবে তাঁরা প্রভাব বিস্তারও করতে চাইতে পারে৷ অতীতে তা দেখা গেছে৷ তা সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি করবে৷’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘৯০-এর দশকে যে রোহিঙ্গারা এসেছেন, তারা রাজনীতিতে জড়িয়েছে৷ তারা জামায়াতের রাজনীতির অনুসারী হয়েছে৷ আর এ কারণে তাদের পুনর্বাসন করা হয়েছে৷ সাতকানিয়া এলাকায় তাদের পুনর্বাসন করা হয়েছে৷ এবার এখনই ঘটবে তা আমি বলছি না৷ তবে তাদের অবস্থান দীর্ঘস্থায়ী হলে তাদের মধ্যে অস্থিরতা বাড়বে৷ তারা বেশি সুযোগ- সুবিধা ও চলাচলের স্বাধীনতা চাইবে৷ ফলে তারা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হতে চাইবে৷ এবং কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এর সুযোগও নেবে৷’’
প্রিয় পাঠক, আপনি কিছু বলতে চাইলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে...
টেকনাফে রোহিঙ্গা শরণার্থী
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সংঘাতের মুখে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশের টেকনাফে এসেছেন সাড়ে তিন লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী৷ সেখানে তাঁদের জীবনযাত্রা, তাঁদের জীবনের দুঃসহ স্মৃতির বর্ণনা জানুন ছবিঘরে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
টেকনাফের লম্বার বিল এলাকা দিয়ে দলে দলে রোহিঙ্গা শরণার্থী আসছে আশ্রয়ের সন্ধানে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
রোহিঙ্গা শরণার্থীরা দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে এসে পৌঁছান টেকনাফে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
পরিবারের অসুস্থ ও বৃদ্ধ সদস্যদের এভাবে কাঁধে নিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে টেকনাফে এসেছেন অনেকেই৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
শরণার্থীরা মিয়ামনমার থেকে অনেকটা খালি হাতেই পালিয়ে এসেছেন৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
শরণার্থীদের মধ্যে অনেকেই চোখের সামনে দেখেছেন স্বজন হত্যার বিভৎস দৃশ্য৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
রোহিঙ্গা শরণার্থী নারী ও শিশুরা বাংলাদেশে আসার দীর্ঘপথে নদী-খালও পাড়ি দিয়েছেন৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, ২৫ আগস্টের পর থেকে প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী এসেছে বাংলাদেশে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
টেকনাফ ও নাইক্ষংছড়ির বিভিন্ন সীমান্ত থেকে আসা কমে গেলেও শাহপরীর দ্বীপ থেকে এখনও দলে দলে শরণার্থীরা আসছেন৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
টেকনাফের নাফ নদীর ওপারে প্রতিদিনিই দেখা যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের বসতি জ্বালিয়ে দেয়ার দৃশ্য৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
তিন দিন ধরে আগুন দেয়া হচ্ছে মংডু ও রাসিডাং এলাকার রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর৷ শাহপরীর দ্বীপ থেকে তোলা ছবি৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
বাংলাদেশে আসা শরণার্থীদের অনেকেই নিয়ে আসছেন গবাদি পশু৷ এক্ষেত্রে তাঁরা ব্যবহার করছেন নাফ নদীকে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
গত কয়েকদিন ধরে আসা মানুষদের বড় একটা অংশের শরণার্থী শিবিরে ঠাঁই মেলেনি৷ কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের পাশেই দিন কাটছে তাঁদের৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
অনেকে আবার জায়গা করে নিয়েছেন সড়কের পাশের বিভিন্ন টিলার উপরে৷ সোখানে খোলা আকাশের নীচেই দিন রাত পার করছেন তাঁরা৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
টেকনাফের বালুখালীতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নুতন শিবির৷ বিশাল এ এলাকায় সব শরণার্থীরই জায়গা করে দিতে কাজ করছে বাংলাদেশ সরকার৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
মিয়ানমার থেকে আসা প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে ২ লাখের বেশিই শিশু, যা এবার আসা মোট শরণার্থীর ৬০ শতাংশ৷ ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, ২৫ শে আগস্টের পর থেকে ১১শ’রও বেশি শিশু অভিভাবক ছাড়া রাখাইন থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হাতে ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত তিন হাজার রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ শুরু হয়েছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের কাজ৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে নির্যাতনের মুখে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসা শুরু করলে প্রথমে সীমান্ত সিল করা দেয়া হয়েছিল৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
কিন্তু কয়েকদিন পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক আচরনের নির্দেশ দিলে সীমান্ত শিথিল হয় এবং ব্যাপকহারে নির্যাতিত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসতে শুরু করে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা খাবারের তীব্র সংকটে ভুগছেন৷ কোনো গাড়ি থেকে শুকনা খাবার দিতে দেখলেই খাবার সংগ্রহ করতে তাঁদের মধ্যে শুরু হয় কঠিন প্রতিযোগিতা৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
২৫শে আগস্ট মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, অস্ত্রধারী বিদ্রোহীরা ২৪টি পুলিশ চেকপোস্ট ও একটি সেনাঘাঁটিতে একযোগে হামলা চালায়৷ তাদের পাল্টা হামলা চালালে তা সহিংসতায় রূপ নেয়৷ দু’পক্ষের সংঘর্ষে সেইদিনই রাখাইন রাজ্যে অন্তত ৮৯ জন নিহত হয়৷