1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গা-সংকট গোটা অঞ্চলের সমস্যা

২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

জাতিসংঘের প্রতিবেদনের পর পোপ ফ্রান্সিসও মিয়ানমারের ‘নিপীড়িত ও নিহত’ রোহিঙ্গাদের হয়ে বক্তব্য রেখেছেন৷ মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন৷

Indonesien Protest gegen Gewalt an Rohingya Angehörigen in Myanmar
ছবি: Getty Images/AFP/B. Ismoyo

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় একটি রিপোর্টে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের প্রতি ‘পরিকল্পিত সন্ত্রাসের নীতি' অনুসরণের অভিযোগ করে৷ ওএইচসিএইচআর-এর রিপোর্টে শত শত রোহিঙ্গার নিহত হওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেই সঙ্গে রয়েছে শারীরিক নিপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনার উল্লেখ৷

২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর তিনটি ফাঁড়ির উপর আক্রমণে মোট নয় জন সীমান্তরক্ষী প্রাণ হারান৷ এরপর মিয়ানমার সেনাবাহিনী ওই এলাকায় যে ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশনস' শুরু করে, তাতে ১,০০০ অবধি রোহিঙ্গার প্রাণ হারানোর কথা শোনা গেছে৷ জাতিসংঘ স্বয়ং ৭০,০০০ রোহিঙ্গার বাংলাদেশে পালানোর কথা বলেছে৷

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সিটওয়ে জেলার আদালত সীমান্তরক্ষীদের ফাঁড়ির উপর আক্রমণের দায়ে উরুমা নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে৷ ২৩ বছর বয়সের অভিযুক্ত ব্যক্তি মোহাম্মদ উল্লাহ নামেও পরিচিত বলে সিটওয়ের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন৷

জাতিসংঘের প্রতিবেদনের পর মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট অং সান সু চি ঘোষণা করেন যে, রাখাইন কমিশনের মাধ্যমে জাতিসংঘের অভিযোগের তদন্ত করা হবে৷ সরকারের নিয়োজিত এই কমিশনে কোনো মুসলিম সদস্য নেই এবং কমিশনের প্রধান হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মায়িন্ট সোয়ে৷ গত জানুয়ারি মাসেই এই কমিশন একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর গণহত্যামূলক অভিযানের কথা অস্বীকার করেছে এবং বলেছে যে, ধর্ষণের ‘অপর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ' পাওয়া গিয়েছে৷

জাতিসংঘের রিপোর্ট প্রকাশের কয়েকদিনের মধ্যেই পোপ ফ্রান্সিস মন্তব্য করেন যে, মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের তাদের ধর্মের জন্য ‘নিপীড়ন ও হত্যা' করা হচ্ছে৷ পোপ রোহিঙ্গা ‘ভাইবোনদের' জন্য বিশেষভাবে প্রার্থনা করেন৷

ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া উদ্বিগ্ন

রাখাইন রাজ্যে শান্তি আনার জন্য মিয়ানমানের ‘তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ' নেওয়া উচিত বলে মনে করেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি৷ ১০ই ফেব্রুয়ারি তাঁর সিঙ্গাপুর সফরের অবকাশে মারসুদি এ কথা বলেন৷ ‘‘রাখাইন রাজ্যে মানবিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির ব্যাপারে আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসমাজের উদ্বেগে ইন্দোনেশিয়াও অংশ নেয়,'' বলেন মারসুদি৷

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক গত জানুয়ারি মাসেই মিয়ানমারের সমালোচনা করেছিলেন৷ রাজাক বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রতি মিয়ানমারের আচরণ আসিয়ান জোটের জন্য একটি ‘কলঙ্ক'৷ ইসলামি চরমপন্থিরা এই সংকটের সুযোগ গ্রহণ করতে পারে বলেও রাজাক সাবধান করে দেন৷

আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷

এসি/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ