জাতিসংঘের প্রতিবেদনের পর পোপ ফ্রান্সিসও মিয়ানমারের ‘নিপীড়িত ও নিহত’ রোহিঙ্গাদের হয়ে বক্তব্য রেখেছেন৷ মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন৷
বিজ্ঞাপন
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় একটি রিপোর্টে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের প্রতি ‘পরিকল্পিত সন্ত্রাসের নীতি' অনুসরণের অভিযোগ করে৷ ওএইচসিএইচআর-এর রিপোর্টে শত শত রোহিঙ্গার নিহত হওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেই সঙ্গে রয়েছে শারীরিক নিপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনার উল্লেখ৷
২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর তিনটি ফাঁড়ির উপর আক্রমণে মোট নয় জন সীমান্তরক্ষী প্রাণ হারান৷ এরপর মিয়ানমার সেনাবাহিনী ওই এলাকায় যে ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশনস' শুরু করে, তাতে ১,০০০ অবধি রোহিঙ্গার প্রাণ হারানোর কথা শোনা গেছে৷ জাতিসংঘ স্বয়ং ৭০,০০০ রোহিঙ্গার বাংলাদেশে পালানোর কথা বলেছে৷
বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের কথা
জাতিসংঘের ত্রাণকর্মীদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, নভেম্বরের ১৯ থেকে ২১ তারিখ, এই তিনদিনে বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে শত শত রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে৷
ছবি: Reuters/M.P.Hossain
সহিংসতা
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৮৬ জন প্রাণ হারিয়েছে৷ গৃহহীন হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার জন৷ অক্টোবরের ২৭ তারিখে তোলা এই ছবিতে ঐ রাজ্যের একটি গ্রামের বাজার দেখা যাচ্ছে, যেটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল৷ শিশুরা সেখান থেকে বিভিন্ন জিনিস সংগ্রহ করছে৷
ছবি: Reuters/Soe Zeya Tun
পালিয়ে বাঁচা
সহিসংতা থেকে বাঁচতে নভেম্বরের ১৯ থেকে ২১ তারিখ শত শত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের ত্রাণকর্মীরা৷ উপরের ছবিটি ২১ নভেম্বরের৷ কক্সবাজারের কুটুপালাং শরণার্থী কেন্দ্রে বসবাসরত রোহিঙ্গা নারীরা নতুন আসা শরণার্থীদের দেখছেন৷
ছবি: Reuters/M.P.Hossain
নতুন শরণার্থী
মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত পার হয়ে কুটুপালাং শরণার্থী কেন্দ্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন নতুন শরণার্থীরা৷
ছবি: Reuters/M.P.Hossain
ধরা পড়ায় কান্না
অবৈধভাবে বাংলাদেশ সীমান্ত পার হওয়ায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যরা তাদের ধরেছে৷ মুসলিম নারী ও তাঁর সন্তানরা তাই কাঁদছেন৷
ছবি: Reuters/M.P.Hossain
অপেক্ষা
কুটুপালাং ক্যাম্পে ঢোকার অপেক্ষায় নতুন আসা রোহিঙ্গারা৷
ছবি: Reuters/M.P.Hossain
সন্তানসহ মা
মুসলিম এই রোহিঙ্গা নারী তাঁর সন্তানকে নিয়ে কুটুপালাং শিবিরে ঢোকার অপেক্ষায় আছেন৷
ছবি: Reuters/M.P.Hossain
শরণার্থী শিশু
কুটুপালাং শরণার্থী কেন্দ্রের রোহিঙ্গা শিশুরা স্কুলে পড়াশোনার ফাঁকে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে আছে৷
ছবি: Reuters/M.P.Hossain
আদি বাসিন্দা
কুটুপালাং ক্যাম্পে নিজেদের বাড়িতে শিশুরা৷
ছবি: Reuters/M.P.Hossain
বাড়ির আঙিনায়
একজন রোহিঙ্গা নারী তাঁর সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে কুটুপালাং শরণার্থী শিবিরে তাঁর বাড়ির সামনে বসে আছেন৷
ছবি: Reuters/M.P.Hossain
9 ছবি1 | 9
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সিটওয়ে জেলার আদালত সীমান্তরক্ষীদের ফাঁড়ির উপর আক্রমণের দায়ে উরুমা নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে৷ ২৩ বছর বয়সের অভিযুক্ত ব্যক্তি মোহাম্মদ উল্লাহ নামেও পরিচিত বলে সিটওয়ের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন৷
জাতিসংঘের প্রতিবেদনের পর মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট অং সান সু চি ঘোষণা করেন যে, রাখাইন কমিশনের মাধ্যমে জাতিসংঘের অভিযোগের তদন্ত করা হবে৷ সরকারের নিয়োজিত এই কমিশনে কোনো মুসলিম সদস্য নেই এবং কমিশনের প্রধান হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মায়িন্ট সোয়ে৷ গত জানুয়ারি মাসেই এই কমিশন একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর গণহত্যামূলক অভিযানের কথা অস্বীকার করেছে এবং বলেছে যে, ধর্ষণের ‘অপর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ' পাওয়া গিয়েছে৷
জীবিকার তাগিদে উত্তাল সাগর পাড়ি
উত্তাল সাগর পাড়ি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জীবিকার তাগিদে আফ্রিকার অনেক নাগরিক ইউরোপে যায়৷ কিন্তু সুখের দেখা কি মেলে?
ছবি: Reuters
নড়বড়ে জলযানে উত্তাল সাগর পাড়ি
এভাবেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতি বছর গ্রীষ্মে কাজের খোঁজে হাজার হাজার আফ্রিকান নাগরিক উত্তাল সাগর পাড়ি দিয়ে ইটালির দক্ষিণাঞ্চলে পৌঁছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অস্থায়ী বাসস্থান
কোনোমতে সাগর পাড়ি দিতে পারলে অভিবাসীদের থাকার ব্যবস্থা হয় ছবির এমন পরিবেশে, একটি বস্তিতে৷ সেখানে থেকে তাঁরা সবজি বা ফল পাড়ার কাজ খোঁজেন৷ কিন্তু এসব পণ্যের মূল্য কমে যাওয়ায় ইদানীং বেশি কাজ পাওয়া যাচ্ছে না৷
ছবি: DW/J.Hahn
‘ইউরোপীয় বস্তি’
প্রায় এক হাজার আফ্রিকান নাগরিক বাস করেন দক্ষিণ ইটালির আপুলিয়ার এই বস্তিতে৷ ‘দ্য ঘেটো’ নামে পরিচিত সেই আবাসস্থলে নেই বিদ্যুৎ, নেই টয়লেট, এমনকি নেই পানিও৷ তারপরও গ্রীষ্মকাল এলেই সেখানে আগন্তুকের সংখ্যাটা বাড়ে৷ কারণ আবহাওয়া উপকূলে থাকায় ইদানীং আরও বেশি সংখ্যক আফ্রিকান সাগর পাড়ি দিতে আগ্রহী হচ্ছেন৷
ছবি: DW/J.Hahn
সাইকেলই ভরসা
‘দ্য ঘেটো’-তে বেঁচে থাকতে হলে একজনের উদ্ভাবনী ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন৷ আর সেটা যদি হয় সাইকেল ঠিক করার দক্ষতা তাহলে ভালো৷ কেননা সাইকেলে করেই অভিবাসীরা কাজের খোঁজে বের হন৷ অনেকে সাইকেল ধারও নেন৷
ছবি: DW/J.Hahn
অর্থনৈতিক সংকট
‘দ্য ঘেটো’র সবচেয়ে কাছের বড় শহর ফোগিয়া, যেটা ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত৷ অভিবাসীরা সাধারণত সেখানেই কাজের খোঁজ করেন৷ তবে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে সেখানে বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ছে৷
ছবি: DW/J.Hahn
আশা যেন নিরাশা
ইবরা এমবেকে ফল (বামে) এবং নাগর সার (ডানে)৷ সেনেগালের এই দুই নাগরিক জানেন ইটালিতে টাকা আয় করা কতটা কঠিন৷ ইবরা ঘণ্টা প্রতি সাড়ে তিনশো টাকায় টমেটো তোলার কাজ করেন৷ তবে এর একটা অংশ চলে যায় মাফিয়াদের কাছে৷
ছবি: DW/J.Hahn
বাংলাদেশিদের লক্ষ্য মালয়েশিয়া
আফ্রিকানদের যেমন ইউরোপ তথা ইটালি, বাংলাদেশিদের তেমন স্বপ্নের দেশ মালয়েশিয়া৷ কক্সবাজার থেকে ট্রলারে করে সাগর পাড়ি দিয়ে সেখানে যেতে আগ্রহী হন অনেক বাংলাদেশি বেকার যুবক৷ এমনটা করতে গিয়ে মারা পড়েন অনেকেই৷
ছবি: Reuters
7 ছবি1 | 7
জাতিসংঘের রিপোর্ট প্রকাশের কয়েকদিনের মধ্যেই পোপ ফ্রান্সিস মন্তব্য করেন যে, মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের তাদের ধর্মের জন্য ‘নিপীড়ন ও হত্যা' করা হচ্ছে৷ পোপ রোহিঙ্গা ‘ভাইবোনদের' জন্য বিশেষভাবে প্রার্থনা করেন৷
ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া উদ্বিগ্ন
রাখাইন রাজ্যে শান্তি আনার জন্য মিয়ানমানের ‘তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ' নেওয়া উচিত বলে মনে করেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি৷ ১০ই ফেব্রুয়ারি তাঁর সিঙ্গাপুর সফরের অবকাশে মারসুদি এ কথা বলেন৷ ‘‘রাখাইন রাজ্যে মানবিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির ব্যাপারে আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসমাজের উদ্বেগে ইন্দোনেশিয়াও অংশ নেয়,'' বলেন মারসুদি৷
ভুলে যাওয়া শরণার্থীরা: বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে রোহিঙ্গারা
গত অক্টোবরে মিয়ানমারে দমনপীড়ন শুরুর পর ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে গেছেন৷ মুসলিমপ্রধান দেশটিতে বর্তমানে পাঁচ লাখের মতো রোহিঙ্গা শরণার্থী বাস করছেন৷ কুতুপালংয়ের মতো জনাকীর্ণ ক্যাম্পগুলোতে তাদের অনেকের বাস৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/T. Chowdhury
মিয়ানমার থেকে পালানো
মিয়ানমারে গত অক্টোবরে নয় পুলিশ হত্যার অভিযোগ ওঠে এক রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে৷ তারপর থেকে সেদেশে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের উপর আবারো দমনপীড়ন শুরু হয়৷ ফলে সত্তর হাজারের বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে৷ তারা যেসব ক্যাম্পে বসবাস করেন সেগুলোর একটি এই কুতুপালং৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/T. Chowdhury
স্বনির্ভরতা দরকার
কুতুপালং ক্যাম্পের শরণার্থীরা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে নিরাপদ আছে বটে, তবে জীবন সেখানে মোটেই সহজ নয়৷ সেখানে সত্যিকারের কোনো অবকাঠামো নেই, সবই শরণার্থীদের গড়া অস্থায়ী আবাস৷ তারা নিজেদের দেশ ছেড়ে এসেছেন, কেননা, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং অসংখ্য মানুষকে হত্যা, ধর্ষণ করেছে৷ মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছে এই তথ্য৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/T. Chowdhury
শিশুদের খেলা নয়
আশ্রয়শিবিরটির অধিকাংশ এলাকায় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নেই৷ কয়েক হাজার শরণার্থী শিশুর খেলোধুলারও কোন ব্যবস্থা নেই৷ ক্যাম্পের লেক থেকে মাটি সংগ্রহ করছে এই শিশুটি৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/T. Chowdhury
কুঁড়েঘরে বসবাস
কাদা মাটি এবং সহজলভ্য অন্যান্য উপাদান দিয়ে ঘর তৈরি করে বাস করেন শরণার্থীরা, যাতে মাথার উপরে অন্তত ছাদ থাকে৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/T. Chowdhury
সংঘাতের দীর্ঘ ইতিহাস
সেই ১৯৪৮ সালে মিয়ানমার স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই সেদেশে রোহিঙ্গারা নানাভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন৷ তাদেরকে নাগরিকত্ব এবং ভোট দেয়ার অধিকার দিচ্ছে না সরকার৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/T. Chowdhury
বাংলাদেশেও বৈষম্যের শিকার?
বাংলাদেশেও বৈষম্যে শিকার হচ্ছেন রোহিঙ্গারা৷ ক্যাম্পে আর জায়গা নেই- বলে বাংলাদেশে জলপথে আশ্রয় নিতে আসা অসংখ্য রোহিঙ্গাকে তাদের নৌকাসহ ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে সীমান্তরক্ষীরা৷ পাশাপাশি কক্সবাজার ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের একটি দুর্গম দ্বীপে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার৷ স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, দ্বীপটি বর্ষাকালে অধিকাংশ সময় পানির নীচে তলিয়ে যায়৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/T. Chowdhury
নির্জন দ্বীপে সরিয়ে নেয়া
ঠ্যাঙ্গার চর বাংলাদেশের মূল ভূখন্ড থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে মেঘনা নদীর মোহনায় কয়েকবছর আগে জেগে ওঠা এক দ্বীপ৷ শুধুমাত্র নৌকায় করে সেখানে যাওয়া যায় এবং চরটিতে অতীতে একাধিকবার জলদস্যু হানা দিয়েছে৷ এক উন্নয়নকর্মী সম্প্রতি ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন যে দ্বীপটিতে কর্মসংস্থানেরও তেমন কোনো সুযোগ নেই৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/T. Chowdhury
প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন নেই
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী স্বীকার করেছেন যে, ঠ্যাঙ্গার চরকে বসবাসের উপযোগী করতে আরো অনেক কাজ করতে হবে৷ তিনি বলেন, ‘‘দ্বীপটিতে উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করার পর রোহিঙ্গাদের সেখানে সরিয়ে নেয়া হবে৷’’ তবে সরকার অতীতে এরকম প্রতিশ্রুতি দিলেও তার বাস্তবায়ন দেখা যায়নি৷ কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের তেমন কোন উন্নয়ন সাধন করা হয়নি৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/T. Chowdhury
ইতিহাস থেকে মোছার চেষ্টা
নিরাপদ আবাসভূমি না থাকায় রোহিঙ্গাদে ভবিষ্যত ক্রমশ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে৷ অন্যদিকে, মিয়ানমার তাদের অতীত মুছে ফেলতে কাজ করছে৷ দেশটির সংস্কৃতি এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ইতিহাস বিষয়ক পাঠ্যবই প্রকাশের পরিকল্পনা করেছে যেখানে রোহিঙ্গাদের কথা একেবারেই উল্লেখ থাকবে না৷ গত ডিসেম্বরে মন্ত্রণালয়টি দাবি করেছে, মিয়ানমারের ইতিহাসে কোনো সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীকে কখনো রোহিঙ্গা নামে আখ্যায়িত করা হয়নি৷