1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আরো এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ!

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৮ মে ২০১৪

র‌্যাবের বিরুদ্ধে পুরান ঢাকার আরক ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ নাম রহমত উল্লাহ সেন্টু৷ তাঁর স্ত্রী অভিযোগ করেন, র‌্যাব ১০-এর সদস্য পরিচয়ে একমাস আগে তাঁর স্বামীকে তুলে নেয়া হলেও আজ পর্যন্ত তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি৷

ছবি: picture-alliance/dpa

রহমত উল্লাহ সেন্টু পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন৷ তাঁর স্ত্রী লাভলী আক্তার বৃহস্পতিবার ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ৯ই এপ্রিল তাঁর স্বামীকে পুরনো ঢাকার ইংলিশ রোড এলাকা থেকে র‌্যাবের পোশাক পড়া কয়েকজন অপহরণ করে৷ তিনি জানান, ঐ দিন তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে একটি মামলার বিষয়ে আলোচনার জন্য পুরনো ঢাকার আদালত পাড়ার আইনজীবীর সহকারী শাহ আলমের চেম্বারে যান৷ আলমের সঙ্গে কথা বলে বেলা ১১টার দিকে তাঁরা দু'জন চেম্বার থেকে বের হন৷ তখন ৮/১০ জন লোক তাঁর স্বামীকে জোর করে ইংলিশ রোডের দিকে নিয়ে যায়৷ তাঁদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন এবং অপহরণকারীদের সঙ্গে তখন স্থানীয় লোকজনের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে৷ কিন্তু এক পর্যায়ে সেন্টুকে টেনেহিঁচড়ে রাস্তার মুখে সাদা রঙের মাইক্রোবাসে তোলা হয়৷ মাইক্রোবাসটিতে কালো কাচ লাগানো ছিল৷ উপস্থিত লোকজন মাইক্রোবাসটি আটকানোর চেষ্টা করে বিফল হন৷

রহমত উল্লাহ সেন্টুর স্ত্রী অভিযোগ করেন, ‘‘এর কয়েক মিনিট পর র‌্যাবের পোশাক পরা অস্ত্রধারী তিন থেকে চারজন লোক এসে জড়ো হওয়া লোকদের লাঠিপেটা করে মাইক্রোবাসের সামনে থেকে সরিয়ে দেয়৷ এরপর র‌্যাবের আরেকটি গাড়ি আসে সেখানে৷ র‌্যাবের পোশাক পরা লোকগুলো তাঁর স্বামীকে ওই গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়৷ লাভলী আক্তার জানান, পাশেই কয়েকজন পুলিশ দায়িত্ব পালন করছিলেন৷ তখন পুলিশের সহায়তা চাইলে তাঁরা জানান যে, তাঁরা র‌্যাব ১০-এর সদস্য৷ পরিচয়-পত্রও দেখান তাঁরা৷ অথচ লাভলী আক্তার বলেন, ঘটনার পর তিনি র‌্যাব ১০-এর কার্যালয়ে গেলে তারা তাঁর স্বামীকে আটকের কথা অস্বীকার করে৷

ব্যবসায়িক বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের ইন্ধনে র‌্যাব এক ব্যবসায়ীকে ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগছবি: picture-alliance/dpa

এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় ১৬ই এপ্রিল একটি অপহরণ মামলা করেন লাভলী আক্তার৷ তাঁর অভিযোগ, ব্যবসায়িক বিরোধের জের ধরে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের সাইফুল ইসলাম মাহমুদ ও টার্মিনালের কর্মচারী বাবুর সহায়তায় র‌্যাব ১০-এর সদস্যরা তাঁর স্বামীকে ধরে নিয়ে গেছে৷ এ ঘটনায় আইনজীবীর সহকারী শাহ আলমের যোগসূত্র আছে বলেও অভিযোগ তাঁর৷ অপহরণের পর একমাস পার হলেও পুলিশ বা র‌্যাব তাঁর স্বামীকে উদ্ধারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন লাভলি আক্তার৷ তাই স্বামীকে উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি৷

লাভলী আক্তার জানান, তাঁর স্বামী রহমত উল্লাহ সেন্টু সায়েদাবাদ-টঙ্গী রুটের তুরাগ পরিবহনের ভাইস চেয়ারম্যান৷ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড়ে রড-সিমেন্টের ব্যবসা রয়েছে তাঁর৷ পরিবারসহ সানারপাড়ে নিজস্ব বাড়িতে বাস করতেন তিনি৷

এ ব্যাপারে র‌্যাব ১০-এর কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল খন্দকার গোলাম সারওয়ার জানান, ‘‘আমরা এ ধরণের কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি৷ অভিযোগ পেলে কথিত ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে৷'' কোতোয়ালি থানা পুলিশ এ ব্যাপারে একটি জিডির কথা স্বীকার করে৷ তবে তারা বলে অপহরণ নয়, নিখোঁজ হওয়ার জিডি করা হয়েছিল৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ