লকডাউন, ঘরবন্দি পুরো দেশ, করোনার আতঙ্কের মধ্যেও চলছে গণধর্ষণ।
বিজ্ঞাপন
করোনা থামিয়ে দিচ্ছে মানুষের জীবন, থামিয়ে দিচ্ছে কল-কারখানার চাকা, দেশের অর্থনীতি, ১৩০ কোটি লোকের স্বাভাবিক জীবনযাপন। শুধু থামাতে পারছে না ধর্ষকদের। লকডাউনের বাজারে গোটা দেশ যখন ঘরবন্দি, তখনও ধর্ষণ হচ্ছে, এমনকী গণধর্ষণও হচ্ছে। যার শেষতম উদাহরণ রাজস্থানের সওয়াই মাধোপুর জেলার ঘটনা। সেটাও বলা যায়, কার্যত প্রশাসনের চোখের সামনে।
অপরাধের জন্য কুখ্যাত যেসব ভারতীয় শহর
ভারতের বেশ কিছু অংশে কিছু বিশেষ বিশেষ অপরাধের বাড়বাড়ন্ত রয়েছে৷ সেই শহরগুলি কোনটি, দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: picture-alliance/AP Photo
গাড়ি চুরি
উত্তর প্রদেশের মীরাট ও মুজফফরনগরের সাথে জড়িত হয়েছে বহু গাড়ি চুরির ঘটনা৷ শুধু তাই নয়, উত্তর ভারতের অন্যান্য শহরে গাড়ি চুরির ঘটনার তদন্ত থেকে উঠে এসেছে এই দুই শহরের দাগী আসামীদের নাম৷
ছবি: Colourbox/Andrey Armyagov
খুন
মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে খুনের ঘটনা রমরমিয়ে চলে উত্তর প্রদেশের ইটাওয়া ও বুলন্দশহর অঞ্চলে৷ গত কয়েক বছরে এই দুই শহরের সাথে বিহারের বেগুসারাই শহরে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে খুনের ঘটনা, জানাচ্ছে ভারতের জাতীয় অপরাধ ব্যুরো৷
ছবি: Fotolia
পরিচয়পত্র জালিয়াতি
ভোটার কার্ড বা ‘আধার’ জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির ঘটনা কয়েক বছরে মারাত্মক হারে বেড়েছে৷ অপরাধ ব্যুরোর সাইবার ক্রাইম বিভাগ জানাচ্ছে, এমন অপরাধের হারে শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণের শহর হায়দরাবাদ৷
ছবি: Getty Images/AFP/N. Seelam
লুট ও ডাকাতি
মধ্য প্রদেশ ও রাজস্থানের বিভিন্ন অঞ্চল লুটপাটের জন্য কুখ্যাত৷ হাইওয়ে সংলগ্ন বসতিহীন অঞ্চলগুলিই অপরাধীদের নজরে থাকে৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Dutta
‘আইটি ফ্রড’
তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নতুন ধরেন অপরাধ৷ বেঙ্গালুরু, যেখানে রয়েছে বিশ্বের তাবড় তাবড় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার দপ্তর, বর্তমানে ভারতের আইট ফ্রড বা তথ্যপ্রযুক্তি অপরাধের রাজধানী৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
ধর্ষণ
একের পর এক ভয়াবহ ধর্ষণের খবর সামনে আসার পর থেকে বলা হচ্ছে যে রাজধানী দিল্লিই ভারতের ‘ধর্ষণ রাজধানী’৷ যদিও এই দাবির সত্যতা যাচাই করার মতো কোনো তথ্য নেই, তাও দিল্লির গায়ে রয়েই গেছে এই তকমা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Saurabh Das
গুম বা অপহরণ
বেশ কয়েক দশক ধরে চলে আসা গুমের প্রবণতা এখনও ভারতের রাজ্য বিহারের পিছু ছাড়েনি৷ রাজনৈতিক প্রতিহিংসাজনিত কারণেই সেখানে বেশির ভাগ গুমের ঘটনা হয় বলে মনে করেন অনেকে৷
ছবি: Strdel/AFP/Getty Images
কয়লা মাফিয়া
কয়লা খনির জন্য বিখ্যাত ঝাড়খণ্ডে সক্রিয় আছে বহু মাফিয়া চক্র৷
ছবি: Ravi Mishra/Global Witness
বন্যপ্রাণীর চোরাশিকার ও পাচার
ভারতের উত্তরাখণ্ড, যেখানে রয়েছে বন্যপ্রাণীদের জন্য অভয়ারণ্য, বর্তমানে বন্যপ্রাণীদের চোরাশিকার ও পাচারের একাধিক চক্র৷ বাঘ, চিতাবাঘ ছাড়াও নানা রকমের পাখির চোরাপাচার হয় সেখান থেকে৷
ছবি: AP
মাদক বাজার
হিমাচল প্রদেশের কুলু ও মানালি অঞ্চলে রয়েছে মাদক-পর্যটনের ব্যাপক প্রচলন৷ বিশেষ করে বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে রয়েছে এই অঞ্চলে আসার ঝোঁক৷ যার কারণ এই অঞ্চলে ব্যাপকহারে গাঁজা, আফিম ও চরসের উৎপাদন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/R. R. Jain
নকল
পরীক্ষায় নকল করার জন্য বিহারের বদনাম রয়েছে কয়েক দশক ধরে৷ এতটাই গভীরে এই নকলের ধারা যে বেশ কয়েক বার সারা রাজ্যে প্রথম হওয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেও পরীক্ষায় নকল করার অভিযোগ ওঠে ও শিক্ষার্থীরা দোষীও সাব্যস্ত হয়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
11 ছবি1 | 11
কী হয়েছিল সওয়াই মাধোপুরে তা একবার দেখে নেওয়া যাক। এক মহিলা লকডাউনে আটকে পড়েছিলেন। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার পর তিনি জয়পুরে নিজের ভাড়াবাড়িতে একা ফেরার জন্য হাঁটতে শুরু করেন। কিন্তু রাস্তা হারিয়ে ফেলে একটা গ্রামে গিয়ে উপস্থিত হন। তিনি পুলিশ-প্রশাসনকে জানালে তাঁরা গ্রামবাসীদের বলেন, মহিলার থাকার জায়গা ঠিক করে দিতে। গ্রামবাসীদের ভয় ছিল, মহিলা করোনায় আক্রান্ত। তাঁরা তাঁকে একটি ফাঁকা স্কুলবাড়িতে রাতে থাকতে দেন। প্রশাসনের আপত্তিও তারা মানেনি। তারপর রাতে তিনজন বছর ২৭ এর যুবক মহিলাকে গণধর্ষণ করে। মহিলা থানায় অভিযোগ করেন। তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে, করোনা পরীক্ষাও। তাঁকে গ্রামে রাখা হয়েছে। তিনজন ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ভারতে লকডাউন ঘোষণার দিন কয়েক আগেই ফাঁসি হয়েছে নির্ভয়ার চার ধর্ষকের। তারপর প্রথমে ২১ দিনের লকডাউন, সেটা শেষ হওয়ার পর লকডাউনের সময়সীমা আরও ১৯ দিন বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ, প্রথম ২১ দিনের লকডাউনের পরেও করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। এখনও একই অবস্থা। সওয়াই মাধোপুরেই আটজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এখান থেকে জয়পুরের দূরত্ব ১৭৭ কিলোমিটার। সেখানে পরিস্থিতি খুবই খারাপ। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, চারজন মারা গিয়েছেন।
ধর্ষণে শীর্ষ ১০ দেশ
বিশ্বের ৩৫ শতাংশ নারী যৌন হয়রানির শিকার হন৷ এর মধ্যে ৪০ শতাংশ নারী যৌন হয়রানির শিকার হলেও চুপ থাকেন, ১০ শতাংশ আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেন৷ এক সমীক্ষা জানাচ্ছে, ২০১৯ সালে কোন দেশে কতগুলো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে৷
ছবি: picture-alliance/Pacific Press/E. McGregor
সাউথ আফ্রিকা
দেশটির প্রতি এক লাখের মধ্যে ১৩২ জনেরও বেশি নারী ধর্ষণের শিকার হন৷ দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের জরিপ অনুসারে, প্রতি চারজনের মধ্যে একজন ধর্ষণ করে সেই কথা স্বীকারও করেন৷
ছবি: Reuters
বোতসোয়ানা
দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ বোতসোয়ানায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে৷ দেশটির প্রতি এক লাখ নারীরর মধ্যে ৯৩ জন ধর্ষণের শিকার হন৷
ছবি: picture alliance/AA/K. Mathe
লেসোথো
দক্ষিণ আফ্রিকার আরেক দেশ লেসোথোয় ২০১৯ সালে তৃতীয় সর্বোচ্চ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে৷ সেখানকার এক লাখ নারীর মধ্যে ৮৩ জন ধর্ষণের শিকার হন৷ দেশটির মোট জনসংখ্যা ২১ লাখ ২৫ হাজার ২৬৮ জন৷
ছবি: Imago/F. Stark
সোয়াজিল্যান্ড
সোয়াজিল্যান্ডে প্রতি এক লাখ নারীর মধ্যে ৭৮ জন ধর্ষণের শিকার হন৷ দক্ষিণ আফ্রিকার এই দেশটির জনসংখ্যা ১১ লাখ ৪৮ হাজার ১৩০ জন৷ সেই হিসেবে ২০১৯ সালে এ দেশে ৮৯৫টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Kalaene
বারমুডা
দেশটির প্রতি এক লাখের মধ্যে ৬৭ জনেরও বেশি নারী ধর্ষণের শিকার হন৷ অনেক দেশেই যৌন নিপীড়ন ও সহিংসতারিবোধী আইন থাকলেও নানান অসঙ্গতিতে তা ঠিকমতো প্রয়োগ হয় না৷
ছবি: pictureäalliance/dpa/A. Simmons
সুইডেন
ইউরোপের এই দেশটিতে প্রতি এক লাখের মধ্যে ৬৩ জনেরও বেশি নারী ধর্ষিত হন৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীরা যৌন নির্যাতনের শিকার হলেও বিশ্বজুড়ে পুরুষরাও প্রতিদিন যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন৷
ছবি: picture-alliance/robertharding/A. Tamboly
সুরিনাম
দক্ষিণ অ্যামেরিকার দেশ সরিনামের প্রতি এক লাখ নারীর মধ্যে ৪৫ জন ধর্ষণের শিকার হয়৷ দেশটিতে পাঁচ লাখ ৮১ হাজার ২৭২ জন মানুষ বসবাস করে৷ গত বছর দেশটিতে ২৬২ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/E.Troon
কোস্টা রিকা
মধ্য অ্যামেরিকার দেশ কোস্টা রিকার প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ৩৭ জন ধর্ষণের শিকার হন৷ গবেষণা বলছে, ১৬ থেকে ১৯ বছর বয়সের নারীদের ধর্ষণ বা যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি৷
ছবি: Reuters/J.C. Ulate
নিকারাগুয়া
মধ্য অ্যামেরিকার এই দেশটির প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ন৩২ জন ধর্ষণের শিকার হন৷ দেশটির মোট জনসংখ্যা ৬৫ লাখ ৪৫ হাজার ৫০২ জন৷ ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ ডটকম বলছে, অনেক নারী যৌন সহিংসতার ঘটনা নিয়ে অভিযোগই করেন না৷
ছবি: Getty Images/AFP/I. Ocon
গ্রেনাডা
ক্যারিবীয় এই দেশটির প্রতি এক লাখ নারীর মধ্যে ৩১ জন ধর্ষণের শিকার হন৷ দেশটির মোট জনসংখ্যা এক লাখ ১২ হাজার তিনজন৷ ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সি কলেজ ছাত্রীরাও যৌন নির্যাতনের ঝুঁকিতে থাকেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Camara
অন্যান্য
১১৮টি দেশের মধ্যে চালানো এই জরিপে ১৪তম অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র৷ ৪০তম অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের প্রতি এক লাখ নারীর মধ্যে প্রায় ১০ জন ধর্ষণের শিকার হন৷ ৪২তম অবস্থানে থাকা জার্মানিতে প্রতি এক লাখ নারীর মধ্যে ৯ জনেরও বেশি ধর্ষিত হন৷ আর ভারতের প্রতি লাখ নারীর মধ্যে এক দশমিক ৮ জন ধর্ষণের শিকার হন৷
ছবি: picture-alliance/Pacific Press/E. McGregor
11 ছবি1 | 11
এই তথ্য দেওয়ার উদ্দেশ্য একটাই, ওই যুবকদের করোনায় মারা যাওয়ার ভয়ও ঢেকে গিয়েছে বিকৃত যৌন তাড়নায়। যে মহিলা করোনায় আক্রান্ত ভেবে গ্রামের লোকেরা তাঁকে স্কুলে একা রেখে দেয়, নির্ভয়ে তাঁকেই গণধর্ষণ করে তিন যুবক। ভারতীয় সংসদে যখন আইন বদল করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসাবে ফাঁসির বিধান দেওয়া হয়েছিল, তখন সাংসদদের দাবি ছিল, এ বার দেশে ধর্ষণের পরিমাণ কমবে। এখন লকডাউনের বাজারেও গণধর্ষণ ও বেপরোয়া ধর্ষণের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, তাঁরা হয় অবাস্তব আশাবাদী ছিলেন বা সেই সময় লোকের মনের ক্ষোভের কথা আঁচ করে শুধু আইন কড়া করে নিজেদের দায় সেরেছিলেন।
সওয়াই মাধোপুরের ঘটনা বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা নয়। লকডাউনের মধ্যে উত্তর প্রদেশে খেতে ফসল তুলতে যাওয়া পরিবারের লোকেদের কাছে খাবার পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে ধর্ষিতা হয়েছেন একজন। মধ্যপ্রদেশে ছয় বছরের একটি শিশুকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। তারপর একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে হাত পিছমোড়া করে বেঁধে ফেলে রেখে চলে গিয়েছে ধর্ষক। তার বিকৃত লালসার শিকার হয়ে শিশুটিকে বেঁচে থাকতে হবে। দিল্লির দিকে একবার চোখ ফেরানো যাক। ২২ মার্চ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৩৩টি। দিল্লিতে লকডাউন নিয়ে খুবই কড়াকড়ি চলছে। বাড়ি থেকে পাস ছাড়া বেরনো যাচ্ছে না। তার মধ্যে ৩৩টা ধর্ষণ? আর শ্লীলতাহানি সহ মেয়েদের বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ হয়েছে ২৩টি। পুরোপুরি ঘরবন্দি দিল্লির যদি এই অবস্থা হয়, তা হলে আর বলার কিছু থাকতে পারে না।
ভারতে মেয়েদের সুরক্ষার অভাব নিয়ে সংসদের প্রায় প্রতিটি অধিবেশনেই বিতর্কের ঝড় ওঠে। তথ্যের বন্যা বয়ে যায়। সমালোচনার তীাব্রতা এবং তার মধ্যে 'শেম শেম' ধ্বনিতে মুখরিত হয় লোকসভা ও রাজ্যসভা কক্ষ। কিন্তু সেখানেই রাজনৈতিক প্রয়াসের সমাপ্তি। তারপর? লকডাউনের মধ্যে হেঁটে ফিরতে গিয়ে পথ হারিয়ে গণধর্ষিতা হতে হয়, বাড়ির অঙিনায় খেলতে থাকা ছয় বছরের ফুলের মতো শিশুকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়, দিল্লিতে ৩৩ জন ধর্ষিতা হন। তাঁরা সবাই নিঃসন্দেহে গরিব ঘরের মানুষ বা একলা নারী। না হলে, এখন কী করে তাঁদের জীবনে নেমে আসে এরকম কালো মেঘ?
এতগুলি ঘটনা একটা কথাই বুঝিয়ে দিচ্ছে, করোনার ভয় থাক বা না থাক, লকডাউন চলুক বা বন্ধ হোক, ধর্ষকদের যতই ফাঁসি হোক, ধর্ষণকারীদের কোনও ভয় নেই, চিন্তা নেই, চেতনা নেই। আর নারীদের কোনও সুরক্ষা নেই।