1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

একঘেয়েমি কাটাতে বাস স্টপে আর্ট গ্যালারি

২৮ এপ্রিল ২০২০

লন্ডনের এক শিক্ষিকা একঘেয়েমি কাটাতে বাসার সামনে একটি বাস স্টপকে আর্ট গ্যালারিতে পরিণত করেছেন৷ ইনস্টাগ্রামে আবেদন জানিয়ে অসাধারণ সাড়া পেয়েছেন৷

ছবি: Reuters/H. McKay

করোনা সংকটের ফলে অনেক মানুষের জীবন থেকে আনন্দ, আমোদ, মনোরঞ্জন উধাও হয়ে গেছে৷ লকডাউনের বেড়াজালে বাসার চার দেওয়ালের মাঝেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে৷ লন্ডনের এক নারী এমন ক্লান্তিকর অবস্থা মেনে নিতে পারছিলেন না৷ তিনি স্থানীয় একটি বাস স্টপকে শিশুদের আর্ট গ্যালারিতে পরিণত করেছেন৷

লকডাউনের মধ্যে সামাজিক ব্যবধান বজায় রেখে এমন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা মোটেই সহজ ছিল না৷ সরাসরি কারো কাছে যাবার উপায় নেই৷ তাই ইনস্টাগ্রামের শরণাপন্ন হয়েছিলেন সারা লামার৷ হাতে লেখা একটি চিরকুটের ছবি আপলোড করে শিশু ও বড়দের ছবি এঁকে জমা দিতে উৎসাহ দিয়েছিলেন তিনি৷ সেই ডাকে সাড়া দিয়ে দেখতে দেখতে বাস স্টপ ছবিতে ভরে গেল৷ মোটিফের অভাব হয়নি৷ একশৃঙ্গ ইউনিকর্ন থেকে শুরু করে ব্রিটেনের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি সংহতি দেখাতে ফুল, রামধনু, কী নেই সেখানে! সঙ্গে রয়েছে ইতিবাচক বার্তা৷ 

কে এই সারা লামার? পার্ট-টাইম শিক্ষক ছাড়াও তিনি চার বছর বয়সি এক শিশুর মা৷ ব্রিটেনে লকডাউন শুরু হবার একদিন পর তিনি সকালে ঘুম থেকে উঠে বুঝতে পারলেন, যে অনির্দিষ্টকালের জন্য সপরিবারে তাঁকে ঘরবন্দি থাকতে হবে৷ জানালা দিয়ে শুধু ধূসর রংয়ের এক বাসস্টপের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে৷ একঘেয়েমি কাটাতে তখন তাঁর মাথায় এই আইডিয়া এলো৷ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে সারা বলেন, তিনি ‘রেয়ার উইন্ডো' নামে অ্যালফ্রেড হিচককের এক থ্রিলার ছবির কথা ভাবলেন৷ ১৯৬৪ সালের সেই চলচ্চিত্রে এক ফটোগ্রাফার পা ভেঙে বাসায় বসে জানালা দিয়ে প্রতিবেশীদের পর্যবেক্ষণ করতেন৷

সারা আরও বলেন, শিশু নিয়ে বাড়ির যে তলায় আটকে থাকুন না কেন, জানালা দিয়ে কিছু না কিছু দেখা যাবেই৷ বাগান না থাকলেও ক্ষতি নেই৷ বাস স্টপকে আর্ট গ্যালারিতে পরিণত করে শুধু সারা ও তাঁর সন্তানই জানালা দিয়ে মনোরম দৃশ্য দেখতে পাচ্ছেন না, পথচলতি মানুষের মনও ভাল হয়ে যাচ্ছে৷ কঠিন এই সময়ে একঝলক রং ও উৎসাহের বার্তা তাদের জীবনের একঘেয়েমি কাটিয়ে তুলছে৷

শুধু নিজের বাসার সামনের বাসস্টপ রঙিন করে তুলেই সন্তুষ্ট নন সারা৷ ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে তিনি সবার উদ্দেশ্যেই এমন উদ্যোগ শুরু করতে উৎসাহ দিচ্ছেন৷ সত্যি তো, আমরাও কি সারার মতো এমন উদ্যোগের মাধ্যমে লকডাউনের একঘেয়েমি কাটাতে পারি না?

এসবি/জেডএইচ (রয়টার্স) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ