লকডাউনে হারানো জনপ্রিয়তা ফিরে পাচ্ছে রেডিও৷ প্রচলিত বেতার মাধ্যমের সঙ্গে জুড়ছে রেডিওর ডিজিটাল সংস্করণ৷
বিজ্ঞাপন
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ভারতে লকডাউন চলছে৷ ঘরবন্দি মানুষের অবসর যাপনের উপায় মূলত বিনোদন৷ এই সুযোগে টেলিভিশনের দাপটে কোণঠাসা রেডিও তার হারানো জনপ্রিয়তা একটু একটু করে ফিরে পাচ্ছে৷ সরকার পরিচালনাধীন আকাশবাণী ছাড়াও বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক এফএম চ্যানেলের অনুষ্ঠান শোনা যায় পশ্চিমবঙ্গে৷ এই চ্যানেলগুলির শ্রোতার সংখ্যা লকডাউন চলার সময়ে অনেকটা বেড়েছে৷ চ্যানেলের দাবি অনুযায়ী, ২০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে শ্রোতার সংখ্যা৷ মূলত সংগীতনির্ভর বিনোদনের পসরা নিয়ে এফএম দ্রুত মানুষকে স্পর্শ করেছে৷ অবসরের সময় অন্যান্য মাধ্যমের মতো জনপ্রিয়তা বেড়েছে বেতারেরও৷ বাংলার সংস্কৃতি জগতের দীর্ঘদিনের কর্মী, সংগীতশিল্পী শুভেন্দু মাইতি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বেতারের জনপ্রিয়তা গোটা বিশ্বেই ক্রমশ বাড়ছে৷ এটা খুব শুভ লক্ষণ৷ বেতার একটি জাতির সংস্কৃতিকে তুলে ধরে৷ টেলিভিশন সেভাবে পারে না৷’’
করোনায় সাংবাদিকতা
বাংলাদেশে সাংবাদিকরাও করোনায় আক্রান্ত। ঝুঁকির মুখে আছে অনেক সংবাদমাধ্যম। এই পরিস্থিতিতেও কীভাবে চলছে বাংলাদেশের প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন সাংবাদিকতা?
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
মাঠে যারা কাজ করেন
প্রধানত ইলেট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক এবং ক্যামেরাম্যানদের সীমিত আকারে হলেও বাইরে যেতে হয় অ্যাসাইনমেন্ট কাভার করতে। তারা চেষ্টা করেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
সবাই কি যথেষ্ট সচেতন?
মাস্ক তারা ঠিকই পড়েছেন। কিন্তু সতর্কতার জন্য আরো যা ব্যবহার করা প্রয়োজন তা কি করছেন?
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
সামজিক দূরত্ব কতটা মানছেন?
এই সম্প্রচার সাংবাদিকরা পিপিই পড়েছেন। তারপরও তারা কতটা নিরাপদ?
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
যাদের বাইরে না গিয়ে উপায় নেই
ফটো সাংবাদিক আর টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যানদের তো বাইরে যেতেই হবে। তাই তাদের অনেকেই নিরাপদ থাকতে সচেষ্ট।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
অনলাইন আর প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সুরক্ষা
যারা সরেজমিন প্রতিবেদন করেন তাদের বাইরে যেতেই হয়। তাই তারা যতটুকু সম্ভব সুরক্ষিত থাকার চেষ্টা করেন।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
ঘরে বসে কাজ
এই করোনায় সুরক্ষার জন্য সাংবাদিকদের বড় একটি অংশ, বিশেষ করে যারা ডেস্কে কাজ করেন এখন তারা বাড়িতে বসেই কাজ করেন।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
অফিসে সামাজিক দূরত্ব
যারা অফিসে কাজ করেন, তারা চেষ্টা করছেন সামাজিক দূরত্ব মানতে।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
অফিসে বসেই সংবাদ সংগ্রহ
এখন নানা ধরনের ব্রিফিং অনলাইনেই হয়। অফিসে বসেই করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ব্রিফিং শুনছেন।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
নিয়মিত স্প্রে করা হয়
নিউজরুমে নিয়মিত জীবানুনাশক স্প্রে করা হয়।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
আছে স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা
এখন সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রবেশ পথেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকে। আছে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ও শরীরের তাপ মাপার যন্ত্র।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
কেউ আর ঝুঁকি নিতে চান না
চেয়ারে বসে প্রথমেই স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবানুমুক্ত করেন সংবাদমাধ্যম কর্মীরা।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
টকশো চলে স্টুডিও ছাড়া
টকশোর অতিথিরা বাসা থেকেই যুক্ত হচ্ছেন জুম বা স্কাইপে। উপস্থাপকও অনেক সময় বাসা থেকে কাজ করেন।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
সাংবাদিকদের গাড়ি
করোনায় স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সংবাদিকদের গাড়িটিও হতে হয় জীবানুমুক্ত।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
বাড়তি সতর্কতা
টেলিভিশন সাংবাদিকদের কেউ কেউ বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে এখন লম্বা বুম ব্যবহার করেন।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
তারপরও ঘটে দুঃখজনক ঘটনা
সাংবাদিকরা তারপরও করোনা সংক্রমিত হচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানগুলো ঝুঁকির মুখে আছে। কয়েকজন কর্মী করোনা পজিটিভ হওয়ায় বেসরকারি চ্যানেল দীপ্ত টিভির খবর প্রচার ১৪ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
গৃহিনী এবং সাংবাদিক
রিপোর্টারদের বড় একটা অংশও এখন বাড়ি থেকে কাজ করছেন। সংসার আর অফিসের কাজ একসঙ্গেই করছেন তারা।
ছবি: DW/H.U. Rashid Swapan
সাংবাদিকরা কতটা মানেন?
করোনা প্রতিরোধে মসজিদে ৫ জনের বেশি নামাজ পড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে৷ নিষেধাজ্ঞা মানা হচ্ছে কিনা তা নিয়মতি দেখতে হয় সাংবাদিকদের। তাই প্রায় প্রতিদিনই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে যেতে হয় তাদের। অনেকেই কিন্তু ‘সামাজিক দূরত্ব’ বজায় রাখেন না৷
ছবি: DW/H.U. Rashid Swapan
17 ছবি1 | 17
শুধু আকাশবাণী নয়, প্রবীণ এই শিল্পী বেতারের নয়া সংস্করণেও অনুষ্ঠান করেছেন৷ লকডাউনের সময় শহরে জন্ম নিয়েছে নতুন চ্যানেল রেডিও কোয়ারান্টাইন কলকাতা৷ ২৪ মার্চ বিকেল থেকে এই ডিজিটাল রেডিওর লাইভ স্ট্রিমিং শুরু হয়েছে৷ গান শোনানো হচ্ছে, রয়েছে গল্প ও কবিতা পাঠ৷ ছোটদের জন্য অনু্ষ্ঠান হচ্ছে৷ সঙ্গে অবশ্যই করোনা নিয়ে সতর্কবাণী৷ গীতিকার মোহিনী চৌধুরীকে নিয়ে অনুষ্ঠান করেছেন শুভেন্দু মাইতি৷ এই ডিজিটাল রেডিওতে অনুষ্ঠান করেছেন অধ্যাপক, প্রাবন্ধিক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, ‘‘ভারত রামচরিতমানসের দেশ৷ এখানে মৌখিক সাহিত্য ও শ্রুতির বড় স্থান৷ শ্রুতি কিন্তু দৃশ্যের চেয়ে মানবসভ্যতার ইতিহাসে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়৷ যখন আমাদের দুয়ার রুদ্ধ, আমরা ঘরে বদ্ধ, তখন শ্রুতি মনের জানলা খুলে দিচ্ছে৷’’ শুভেন্দুর মতো সঞ্জয়ও আশাবাদী, ‘‘পৃথিবীর দুই গোলার্ধেই রেডিওর সম্মানজনক প্রত্যাবর্তন হবে৷ এশিয়া ও আফ্রিকাতে নিশ্চিতভাবে৷’’
তাঁর বক্তব্য, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ার বাড়বাড়ন্ত দেখে বোঝা যায়, মানুষ আর কেন্দ্রীভূত মাধ্যমে বিশ্বাসী নয়৷ তাই ঘর থেকে ঘরে, কিংবা গোষ্ঠীর মধ্যে স্বল্প পরিসরে সম্প্রচারের গুরুত্ব বাড়ছে৷ সে কারণেই আকাশবাণীর মতো গণমাধ্যমের সঙ্গে কমিউনিটি রেডিওর উপযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে৷’’
কলকাতায় ২০০৮ সালে চালু হয়েছিল পূর্ব ভারতের প্রথম কমিউনিটি রেডিও৷ ৯০.৮ মেগাহার্ৎজে প্রচারিত হয় রেডিও জেইউ৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই বেতারের অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়, সাধারণভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে৷ কিন্তু, লকডাউনের আপৎকালীন পরিস্থিতিতে অনেক প্রসারিত হয়েছে রেডিও জেইউ-র ভূমিকা৷ এই বেতারের আহ্বায়ক অধ্যাপক ইমনকল্যাণ লাহিড়ী বলেন, ‘‘অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে আমরা ইউটিউব-এর মাধ্যমে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছি৷ অনেকেই ভিক্ষাবৃত্তি করে বেঁচে থাকার রসদ জোগাড় করেন৷ তাঁদের কথা তুলে ধরছি৷ ইতিমধ্যে বাউল সম্প্রদায় ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়ে অনুষ্ঠান হয়েছে৷’’
ইমনকল্যাণ লাহিড়ী
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অনুষ্ঠান রেকর্ড করার সরঞ্জাম বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ বাড়িতে বসেই রেকর্ড করা হচ্ছে অনুষ্ঠান, আপলোড হচ্ছে ইউটিউব-এ৷ অধ্যাপক লাহিড়ী জানান, তাঁদের ইমেলে প্রতিদিন অজস্র অভাব-অভিযোগ আসছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের সাহায্যে সেগুলি তাঁরা প্রশাসনের নজরে আনছেন, স্থানীয় স্তরে সমাধানের চেষ্টাও করছেন৷
লকডাউন ঘোষিত হওয়ার পর সপ্তাহখানেকের জন্য আকাশবাণী কলকাতা অনেকটাই নীরব হয়ে গিয়েছিল৷ এপ্রিলের গোড়া থেকে কিছুটা ছন্দে ফিরেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত এই প্রতিষ্ঠান৷ যদিও নিয়মিত অধিকাংশ অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হচ্ছে না৷ করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান শোনানো হচ্ছে৷ সঙ্গে অন্যান্য সাংস্কৃতিক আয়োজন৷ তাহলে কি নস্ট্যালজিয়া থেকে আবার বর্তমানে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে আকাশবাণী-সহ সমগ্র বেতার মাধ্যম? শুভেন্দু মাইতি বলেন, ‘‘এটা সভ্যতার পক্ষে মঙ্গলজনক৷ টেলিভিশন দৃশ্য চাপিয়ে দেয়৷ বেতার কল্পনা করতে সাহায্য করে৷ শুধু দৃশ্যনির্ভর হয়ে উঠলে দুই প্রজন্ম পর মানুষের সৃষ্টিশীলতা নষ্ট হয়ে যাবে৷ বেতার সেই বিপর্যয় থেকে আমাদের বাঁচাতে পারে৷’’
ভ্রমণের ইচ্ছে জাগায় এমন ১০ মুভি
করোনা ভাইরাসের কারণে ডয়চে ভেলের ট্রাভেল এডিটররা এখন ঘরে বসে আছেন৷ তাদের মধ্যে দশজন তাদের প্রিয় মুভির কথা জানিয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Schumann
ওয়াইল্ড (২০১৪)
প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট কোস্টে ১,৬০০ কিলোমিটারের বেশি হাইকিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে বই লিখেছিলেন শ্যারল স্ট্রেইড৷ সেটি দিয়েই এই মুভিটি তৈরি হয়েছে৷ এটি দেখার পর মনে হয়েছে এখনই ব্যাকপ্যাক নিয়ে বেরিয়ে পড়ি, বলছেন ডয়চে ভেলের নিকোল মাইসনার৷
ছবি: picture-alliance/All Canada Photos/F. Pali
লরেন্স অফ অ্যারাবিয়া (১৯৬২)
মরক্কো, জর্ডান (ছবি) আর স্পেনের মরুভূমিতে চিত্রায়িত এই মুভি ডয়চে ভেলের আনে টেয়ারমেসের মধ্যে মরুভূমির প্রতি আকর্ষণ বাড়িয়েছে৷ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ ও সেনা কর্মকর্তা থমাস এডওয়ার্ড লরেন্সের অভিজ্ঞতা এই মুভিতে তুলে ধরা হয়েছে৷ বিশেষ করে জর্ডানের একমাত্র উপকূলীয় শহর আকাবা ও সিরিয়ার দামেস্কে তাঁর হামলার বিষয় উঠে এসেছে৷
জার্মান লেখক কার্ল মায়ের উপন্য়াসের একটি চরিত্র ভিনেটু৷ তাকে নিয়ে বেশ কয়েকটি মুভি তৈরি হয়েছে৷ এগুলোর বেশিরভাগেরই শুটিং হয়েছে ক্রোয়েশিয়ায়৷ যেমন, প্লিৎভিৎসে লেকস ন্যাশনাল পার্ক (ছবি)৷ বেশ কয়েকটি ঝরনা আর লেকের এই পার্ক হেঁটে কিংবা নৌকায় ঘুরে দেখা যায়৷ (এলিজাবেথ ইয়র্ক ফন ভার্টেনবুর্গ)
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Schumann
জেমস বন্ড ০০৭ - থান্ডারবল (১৯৬৫)
ডয়চে ভেলের ইয়েন্স ফ্রিৎসে বন্ডের সঙ্গে দুনিয়া ঘুরতে পছন্দ করেন৷ তাঁর প্রিয় একটি জেমস বন্ড মুভি হচ্ছে থান্ডারবল৷ এর মাধ্যমে লন্ডন থেকে বাহামার রাজধানী নাসাওতে ঘুরতে পেরেছেন ইয়েন্স ফ্রিৎসে৷ এরপর ১৯৮৩ সালে থান্ডারবলের রিমেক ‘নেভার সে নেভার অ্যাগেন’ মুক্তি পেলে আবারও বাহামায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল তাঁর৷
ছবি: picture-alliance/imageBROKER/J. Tack
বেস্ট এক্সোটিক মেরিগোল্ড হোটেল (২০১১)
ভারতের জয়পুরে চিত্রায়িত এই মুভিটি পছন্দ করেন ডয়চে ভেলের ক্যায়ারস্টিন শ্মিড্ট৷ কারণ ব্রিটিশ এই কমেডি তাকে জয়পুরের বাজার, প্রাসাদে ঘুরিয়ে নিয়ে আসে৷ তবে ব্রিটিশ পেনশনারদের মতো সেখানে অবসর কাটাতে না চাইলেও দ্বিতীয়বারের মতো ভারতে ঘুরতে যেতে চান ক্যায়ারস্টিন শ্মিড্ট৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/V. Bhatnagar
রাফিকি (২০১৮)
কেনিয়ার দুই তরুণীর ভালোবাসার সম্পর্ক নিয়ে এই মুভি তৈরি হয়েছে৷ ক্যামেরার কাজের মাধ্যমে কেনিয়ার দারুণ কিছু চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বলে মনে করেন ডয়চে ভেলের উইনি মডেস্টো৷ করোনার সময়ে এই মুভি তাকে কেনিয়ায় তার শেষ সফরের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/F. El-Geziry
ইঙ্কহার্ট (২০০৮)
জার্মান লেখক কর্নেলিয়া ফুংকের ‘ইঙ্কহার্ট’ ট্রিলজির প্রথম বই ইঙ্কহার্ট প্রকাশিত হয় ২০০৩ সালে৷ সেটি নিয়ে ২০০৮ সালে তৈরি মুভিতে ইটালির দুটি জায়গা দেখানো হয়েছে৷ এটি দেখার পরপরই সেসব জায়গায় ছুটে যেতে চেয়েছেন ডয়চে ভেলের সুসান বনি-কক্স৷
ছবি: picture-alliance/imageBROKER/H. Corneli
ওয়ান, টু, থ্রি (১৯৬১)
পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির দ্বন্দ্ব স্যাটায়ারের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে এই মুভিতে৷ তবে যখন শুটিং চলছিল সেই সময় ১৯৬১ সালের ১৩ আগস্ট বার্লিন প্রাচীর তৈরির কাজ শুরু হয়৷ মুভিটি মুক্তি পায় ঐ বছরের ডিসেম্বরে৷ ঐ সময়কার পরিস্থিতিতে এমন স্যাটায়ারভিত্তিক ছবি ভালো চলেনি৷ পরে ১৯৮৫ সালে আবারও মুক্তি দেয়া হলে এটি সফল হয়েছিল৷ (ক্রিস্টিয়ান হফমান)
ছবি: picture alliance / akg-images
লস্ট ইন ট্রান্সলেশন (২০০৩)
ফ্লুরেসেন্ট বাতি, ভবিষ্যৎমুখী ভবন, বৌদ্ধমন্দির - জাপানের রাজধানী টোকিওর এমন চিত্র ফুটে উঠেছে এই মুভিতে৷ তাই সেখানে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ডয়চে ভেলের ইয়ানিস হেক্টোয়া৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Duenzl
ব্লেড রানার (১৯৮২)
এই সায়েন্স ফিকশন মুভি দেখে উচ্ছ্বসিত ডয়চে ভেলের আন্দ্রেয়াস কির্শহোফ৷ বিশেষ করে ডাচ অভিনেতা রাজগার হাওয়ারের শেষ দৃশ্যের মন্তব্যটি তার বিশেষ প্রিয়৷ সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি যা দেখেছি তা তোমরা বিশ্বাস করবেনা৷’’